মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সম্পূর্ণ সাজেশন 2026 ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভৌত বিজ্ঞান (Physical Science) বিষয়ে ভালো নম্বর পেতে চাইলে এই সাজেশনটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আপনি পাবেন WBBSE Class 10 Physical Science Suggestion 2026 PDF ফরম্যাটে, যেখানে অধ্যায়ভিত্তিক সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ), ভিভা প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত ও বিশদ প্রশ্নের সঠিক তালিকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)-এর সর্বশেষ পাঠক্রম এবং প্রশ্নপত্রের ধরন অনুসারে এই সাজেশনটি প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে ছাত্রছাত্রীরা সহজেই বোঝে কোন কোন অধ্যায় থেকে কী ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। এই মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৬ PDF শিক্ষার্থীদের রিভিশনের জন্য আদর্শ এবং এক্সাম প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে সময় বাঁচাতে সহায়ক। আপনি যদি মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করতে চান, তাহলে এখনই নিচের লিংক থেকে Physical Science Suggestion 2026 PDF ডাউনলোড করে প্রস্তুতি শুরু করুন। নিয়মিত রিভিশন, প্র্যাকটিস এবং এই সাজেশন অনুযায়ী পড়াশোনা করলেই মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিষয়ে আপনার সাফল্য নিশ্চিত।
মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সম্পূর্ণ সাজেশন 2026 PDF পরিবেশের জন্য ভাবনা
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
- কোন স্তরকে ক্ষুব্ধমন্ডল বলে?
উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ারকে - কোন স্তরকে শান্তমন্ডল বলে?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার - বায়ুমন্ডলের সর্বোচ্চ স্তরটির নাম কী?
উত্তরঃ এক্সোস্ফিয়ার। - বায়ুমন্ডলের উষ্ণতম স্তর কোনটি?
উত্তরঃ থার্মোস্ফিয়ার (প্রায় 1250°C)। - ভূপৃষ্ঠের সাপেক্ষে ট্রোপোস্ফিয়ারের গড় উচ্চতা কত।
উত্তরঃ 12 km। - ট্রোপোস্ফিয়ারের সর্বনিম্ন অঞ্চলে বায়ুর চাপ কত?
উত্তরঃ 76 cm Hg স্তম্ভের চাপের সমান। - বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ঝড় ও বৃষ্টি দেখা যায়?
উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ারে। - ল্যাপস রেট কী?
উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে উঠলে যে হারে উচ্চতা পরিবর্তিত হয় তাকে ল্যাপস রেট বলে। - ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে চাপ ও উচ্চতার কীরূপ পরিবর্তন ঘটে?
উত্তরঃ প্রতি 1 km উচ্চতা বৃদ্ধিতে চাপ প্রায় 10 kPa ও উষ্ণতা 6.5°C করে কমতে থাকে। - বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়?
উত্তরঃ থার্মোস্ফিয়ার - N₂ ও O₂ গ্রিনহাউস গ্যাস নয় কেন?
উত্তরঃ কারণ এরা সূর্য থেকে আগত IR রশ্মি শোষণ করে না। - পৃথিবীর ছাতা বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরকে বলা হয়?
উত্তরঃ ওজোন স্তরকে। - ওজোনস্তরের সর্বাধিক সঞ্চয় বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে দেখা যায়?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে - মিথেন হাইড্রেট যৌগটি কোন ভৌত অবস্থায় থাকে?
উত্তরঃ কঠিন। - UV রশ্মির প্রভাবে CFC থেকে নির্গত কোন পরমাণুটি ওজোন গ্যাসকে বিয়োজিত করে?
উত্তরঃ ক্লোরিন। - বায়োগ্যাসের মূল উপাদানের নাম কী?
উত্তরঃ মিথেন। - কোনটিকে জৈব মিথেন উৎপাদক নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তরঃ গোবর, পোলট্রি বর্জ্য, পচা জৈব বস্তু ইত্যাদি। - কাঠ, কয়লা, পেট্রোল ও ইথানল এর মধ্যে কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি?
উত্তরঃ পেট্রোল - বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য কোন গ্রিনহাউস গ্যাসের ভূমিকা সর্বাধিক?
উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড। - বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়?
উত্তরঃ থার্মোস্ফিয়ার। - সৌরকোষে শক্তির কী রূপান্তর ঘটে?
উত্তরঃ আলোকশক্তি তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। - কার্বনবিহীন একটি জ্বালানির নাম লেখ।
উত্তরঃ হাইড্রোজেন - জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়?
উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড - জীবাশ্ম জ্বালানির একটি বিকল্প জ্বালানির নাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বায়োগ্যাস (মিথেন) - পাওয়ার অ্যালকোহল কী?
উত্তরঃ পেট্রোলের সঙ্গে 20% ইথাইল অ্যালকোহলের মিশ্রণকে পাওয়ার অ্যালকোহল বলে। - বায়ুমণ্ডলের কোন কোন স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস পায়?
উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার - নাইট্রোজেন ঘটিত একটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখ।
উত্তরঃ নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) - ডিজেল, পেট্রোল এবং কেরোসিনের মধ্যে কোনটির তাপন মূল্য সবচেয়ে বেশি?
উত্তরঃ পেট্রোল - একটি তরল জীবাশ্ম জ্বালানির নাম লেখো।
উত্তরঃ পেট্রোল - অতিবেগুনি রশ্মির একটি ক্ষতিকারক প্রভাব উল্লেখ করা।
উত্তরঃ স্কিন ক্যান্সার - স্থিতিশীল উন্নয়নের ধারণা বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ চিরাচরিত শক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে অচিরাচরিত শক্তির খোঁজ এবং তাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে সমাজের অগ্রগতি ঘটানোই হলো স্থিতিশীল উন্নয়ন। - স্থিতিশীল বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বায়ুশক্তি ব্যবহার করা যায় কেন?
উত্তরঃ বায়ুশক্তি ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ হয় না। তাছাড়াও এটি অফুরন্ত। সেজন্য স্থিতিশীল বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বায়ুশক্তি ব্যবহার করা যায়। - স্যুইট গ্যাস কাকে বলে?
উত্তরঃ খনি থেকে প্রাপ্ত বিশুদ্ধ মিথেন যেখানে হাইড্রোজেন সালফাইড অনুপস্থিত তাকে স্যুইট গ্যাস বলে। - পুনর্নবীকরণযোগ্য দুটি শক্তি উৎসের নাম লেখো।
উত্তরঃ জলবিদ্যুৎ শক্তি, বায়ুশক্তি। - এমন একটি শক্তির উদাহরণ দাও যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই সূর্য থেকে আসে না।
উত্তরঃ পারমাণবিক শক্তি, ভূতাপ শক্তি - বায়ো গ্যাসের একটি ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। - কয়লার একটি নমুনার তাপন মূল্য 30,000 বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ এর অর্থ হল 1 kg কয়লার নমুনাটিকে পূর্ণ দহন করলে 30,0000 J শক্তি পাওয়া যাবে। - কয়লা ও কেরোসিনের মধ্যে কোনটির তাপন মূল্য বেশি?
উত্তরঃ কেরোসিনের।
বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর
- বায়ুমন্ডলের উষ্ণতম স্তরটি হল-
উত্তরঃ ম্যাগনেটোস্ফিয়ার - অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে পৃথিবীর জীব জগৎকে রক্ষা করে-
উত্তরঃ ওজোনোস্ফিয়ার - ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে উঠলে বায়ুর চাপ-
উত্তরঃ হ্রাস পায় - বায়ুমন্ডলের শীতলতম স্তর কোনটি-
উত্তরঃ মেসোস্ফিয়ার - আগুনে বরফ হল-
উত্তরঃ মিথেন হাইড্রেট - বায়ুমন্ডলে ওজোন গ্যাস কোন স্তরে ঘনীভূত অবস্থায় থাকে-
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার - সাধারণ অবস্থায় সমুদ্রপৃষ্ঠে আদর্শ গ্যাসের বায়ুচাপের পরিমাণ প্রায়-
উত্তরঃ 1013 মিলিবার - বায়ুমন্ডলের কোন স্তরটির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি?-
উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ার - প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাস হল-
উত্তরঃ CO₂ - গ্রীন হাউস এফেক্ট এর জন্য দায়ী-
উত্তরঃ ইনফ্রারেড রশ্মি - গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য যে গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি-
উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড - নিচের কোনটি গ্রীন হাউস গ্যাস-
উত্তরঃ নাইট্রাস অক্সাইড, উত্তরঃ মিথেন - প্রদত্ত কোন গ্যাসটি ওজোন স্তরের ওজন ক্ষয় সহায়তা করে-
উত্তরঃ CFC - গ্রীন হাউস প্রভাব সৃষ্টিতে কার্বন ডাই অক্সাইড এর অবদান-
উত্তরঃ 50% - সূর্যালোকের কোন রশ্মির জন্য সোলার কুকার কাজ করে-
উত্তরঃ অবলোহিত রশ্মি - সৌর কোষে অর্ধপরিবাহী হিসাবে ব্যবহৃত হয়-
উত্তরঃ সিলিকন - বায়ো গ্যাসের মূল উপাদান হল-
উত্তরঃ CH₄ - আদর্শ জ্বালানির অন্যতম বৈশিষ্ট্য-
উত্তরঃ উচ্চ তাপন মূল্য - কোনটি বায়োগ্যাস শক্তির উৎস নয়?-
উত্তরঃ পারমাণবিক বিভাজন - প্রদত্ত কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়-
উত্তরঃ গোবর গ্যাস - তাপন মূল্য অনুযায়ী কোনটি সর্বোৎকৃষ্ট জীবাশ্ম জ্বালানি-
উত্তরঃ LPG - মিথেন হাইড্রেট পদার্থটি কোন ভৌত অবস্থায় থাকে-
উত্তরঃ কঠিন - কয়লা খনিতে জমে থাকা কোন গ্যাসটিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়?-
উত্তরঃ মিথেন হাইড্রেট - মিথেন হাইড্রেটের সংকেত হল-
উত্তরঃ 4CH₄.23H₂O - বায়ো ডিজেল তৈরিতে ব্যবহৃত উদ্ভিদ হল-
উত্তরঃ জ্যাট্রোফা - একটি অপ্রচলিত শক্তির উৎস হল –
উত্তরঃ বায়োগ্যাস - একটি পেট্রো প্লান্ট এর উদাহরণ হল-
উত্তরঃ ইউফোরবিয়েসি - বায়ো গ্যাসে মিথেনের শতকরা পরিমাণ হল-
উত্তরঃ 60% - Sweet gas বলা হয় যে গ্যাসকে-
উত্তরঃ Coal bed methane - গ্রীন হাউস গ্যাস না থাকলে পৃথিবীর উষ্ণতা হত-
উত্তরঃ -23°C
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- ট্রপোস্ফিয়ারের বিস্তার কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 16 কিমি - বায়ুমন্ডলের কোন স্তরকে ক্ষুব্ধ মণ্ডল বলা হয়?
উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ার - ট্রপোস্ফিয়ারের শেষ সীমাকে কি বলে?
উত্তরঃ ট্রপোপজ - ওজোন স্তর বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে অবস্থান করে?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের - কোন স্তরকে শান্ত মণ্ডল বলা হয়?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার - ওজোন স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে কোথায় অবস্থান করে?
উত্তরঃ 15-35 কিলোমিটার - বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে জেট বিমান যাতায়াত করে?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার - স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের শেষ সীমাকে কি বলে?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোপজ - বায়ুমণ্ডলে কোন স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়?
উত্তরঃ থার্মোস্ফিয়ার বা আয়নোস্ফিয়ার - নিরক্ষরেখার উপর ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতা কত?
উত্তরঃ 17 km - বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরটি শীতলতম?
উত্তরঃ মেসোস্ফিয়ার - বায়ুমণ্ডলে কোন স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা বৃদ্ধি ও হ্রাস পায়?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার - বায়ুমণ্ডলে কোন স্তর দিয়ে জেট প্লেন গুলি চলাচল করে?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার - বায়ুমণ্ডলে কোন স্তরে ঝড় বৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ার - বায়ুমন্ডলে কোন স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়?
উত্তরঃ আয়নোস্ফিয়ার বা থার্মোস্ফিয়ার - বায়ুমন্ডলের উষ্ণতম স্তর কোনটি?
উত্তরঃ থার্মোস্ফিয়ার - বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের ঘনত্ব মাপার একক কি?
উত্তরঃ ওজোন স্তরের ঘনত্ব ডবসন এককে মাপা হয় - ওজোন স্তর তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণের কোন রশ্মি কে শোষণ করে জীবকুল কে রক্ষা করে?
উত্তরঃ অতিবেগুনি রশ্মি - বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের ঘনত্ব পরিমাপের যন্ত্রের নাম কি?
উত্তরঃ ডবসন স্পেকট্রোমিটার - বিদ্যুৎ ক্ষরণের সময় কোন গ্যাস ওজোন স্তরকে ভাঙে?
উত্তরঃ নাইট্রিক অক্সাইড (NO) - বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি করে এমন একটি গ্যাসের নাম করো।
উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড - একটি জৈব গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম কর।
উত্তরঃ মিথেন (CH₄) - গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর একটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখো।
উত্তরঃ গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে - বায়োগ্যাসের একটি ব্যবহার লেখ।
উত্তরঃ জ্বালানি হিসেবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে - কাঠকয়লা, পেট্রোল এবং ইথানল এর মধ্যে কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি?
উত্তরঃ পেট্রোল - বায়ো গ্যাস প্লান্টে যেসব ব্যাক্টেরিয়া বায়োগ্যাস কে মিথেন গ্যাসে পরিণত করে তাদের কি বলে?
উত্তরঃ মিথানোজেনিক ব্যাক্টেরিয়া - সি.এন.জি র প্রধান উপাদান কি?
উত্তরঃ মিথেন - বায়ো গ্যাসের মূল উপাদান কি?
উত্তরঃ মিথেন (CH₄) - ফায়ারি আইস বা আগুনে বরফ কাকে বলে?
উত্তরঃ মিথেন হাইড্রেটকে - কোন জ্বালানির তাপন মূল্য সব থেকে বেশি?
উত্তরঃ হাইড্রোজেন জ্বালানি - বায়োগ্যাস উৎপাদনের জন্য মূল কাঁচামাল কি?
উত্তরঃ গোবর - তাপন মূল্যের একক কি?
উত্তরঃ KJ/kg বা KJ/gm, KJ/mol - একটি গ্যাসের নাম কর যা গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে না?
উত্তরঃ অক্সিজেন, নাইট্রোজেন - গ্রীন হাউস শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কি?
উত্তরঃ গ্রীন হাউস শব্দটির অর্থ হল গাছপালা পরিচর্যার জন্য কাঁচের ঘর - প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাসটি নাম কর।
উত্তরঃ প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাসটি হলো কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর গ্রিনহাউস প্রভাব 50% - প্রাকৃতিক সৌর পর্দা কাকে বলে?
উত্তরঃ ওজোন স্তরকে প্রাকৃতিক সৌর পর্দা বলে - কয়েকটি অপ্রচলিত শক্তি উৎসের নাম লেখ।
উত্তরঃ কয়েকটি অপ্রচলিত শক্তি হলো সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি, জোয়ার ভাটার শক্তি, ভূতাপ শক্তি, বায়োগ্যাস শক্তি ইত্যাদি - তাপন মূল্য কাকে বলে? এর একক কি?
উত্তরঃ একক ভর বিশিষ্ট জ্বালানির সম্পূর্ণ দহনে যে তাপ শক্তি মুক্ত হয় তাকে ওই জ্বালানির তাপন মূল্য বলে। এর একক হল কিলোজুল/গ্রাম, কিলোজুল/কেজি - প্রচলিত জ্বালানিগুলির মধ্যে কার তাপন মূল্য সব থেকে বেশি?
উত্তরঃ LPG - সৌর কোষে কোন অর্ধপরিবাহী ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ সিলিকন - কোলবেডে মিথেন কি?
উত্তরঃ কয়লা খনিতে কয়লার কঠিন স্তরে অধিশোষিত গ্যাস ই হল কোলবেড মিথেন। - প্রতিবছর পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিমাণ কত?
উত্তরঃ 0.05°C - বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট-এ যে সব ব্যাক্টেরিয়া বায়োগ্যাস কে মিথেন গ্যাসে বিয়োজিত করে তাদের কি বলে?
উত্তরঃ মেথানোজেনিক ব্যাক্টেরিয়া
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর – মান ২
- গ্রিনহাউস এফেক্ট কী? অথবা, বিশ্ব উষ্ণায়ন কী?
উঃ- কার্বনডাই-অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি কিছু গ্যাস ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থানে করে। সূর্য থেকে আপতিত রশ্মি যখন ভূপৃষ্ঠ থেকে অবলোহিত রশ্মি রূপে নির্গত হয় তখন উক্ত গ্যাসগুলি এই অবলোহিত রশ্মিকে শোষণ করে। এর ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। এই সমগ্র প্রক্রিয়াটিকে গ্রিনহাউস ইফেক্ট বলে। - গ্রিনহাউস গ্যাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে সব গ্যাস অবলোহিত রশ্মি শোষণ করে পরিবেশের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে তাকে গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। যেমন- কার্বনডাই-অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি। - এমন দুটি শক্তি হচ্ছে নাম লেখ যার সরাসরি সূর্য থেকে আসে না।
উত্তরঃ পারমাণবিক শক্তি ও ভূতাপ শক্তি - স্থিতিশীল উন্নয়নের দুটি লক্ষ্য লেখ।
উত্তরঃ স্থিতিশীল উন্নয়নের দুটি লক্ষ্য হলো 1. পুনর্নবীকরণযোগ্য সম্পদের সঠিক ব্যবহার 2. সুস্থায়ী সমাজ ও সুস্থায়ী অর্থনীতি - সৌর শক্তির দুটি ব্যবহার লেখ।
উঃ- 1.সৌর কোষের সাহায্যে সূর্যালোক থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় এবং এই বিদ্যুৎ জলের পাম্প,রেডিও, টিভি ল্যাম্পপোস্টের বাতি ইত্যাদি জ্বালাতে ব্যবহার করা হয়। 2.সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সোলার হিটার তৈরি করা হয় এবং জল গরমের কাজে ব্যবহার করা হয় - বায়ুর প্রধান উপাদান গুলির নাম কর।
উঃ- নাইট্রোজেন (78.09%), অক্সিজেন (20.95%), আর্গন(0.93), কার্বন ডাই অক্সাইড (0.03%), জলীয় বাষ্প, মিথেন ইত্যাদি - মিথেন হাইড্রেট কি? একে ফায়ারী আইস বলে কেন?
উত্তরঃ মেরুপ্রদেশে বরফের নিচে এবং সমুদ্রের তলদেশে পুলিশ স্তরের নিচে বরফ চায়ের আকারে মিথেনের যে স্তর পাওয়া যায় তাকে মিথেন হাইড্রেট বলে। মিথেন হাইড্রেট আগুনে জ্বালালে এর থেকে নির্গত মিথেন বায়ুতে জ্বলতে থাকে এই কারণে মিথেন হাইড্রেট কে ফায়ারী আইস বা আগুনে বরফ বলে। - ওজোন স্তর ধ্বংসের কারণ লেখো।
উঃ- বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে CFC এর ব্যবহার। এছাড়াও নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, ট্রাইক্লোরোইথেন প্রভৃতি দ্বারা ওজোন স্তর ধ্বংস হচ্ছে। - বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানোর কয়েকটি উপায় লেখো।
উঃ- 1. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। 2. প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। - ওজোন স্তর ধ্বংসে CFC এর ভূমিকা আলোচনা করো।
উঃ- অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে CFC বিয়োজিত হয়ে সক্রিয় ক্লোরিন পরমাণুতে পরিণত হয়। যা ওজোন অণুর সাথে বিক্রিয়া করে অক্সিজেন এবং ক্লোরিন মনোক্সাইড এ পরিণত হয়। উৎপন্ন ক্লোরিন মনোক্সাইড (CIO) পুনরায় ওজোনের সাথে বিক্রিয়া করে অক্সিজেন এবং সক্রিয় ক্লোরিন পরমাণু উৎপন্ন করে। এই ক্লোরিন আবার ওজোনের সাথে বিক্রিয়া করে এইভাবে চক্রাকারে প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে।
বিক্রিয়াঃ
CFC l₃ = CFCl₂ + Cl
Cl + O₃ = CIO
CIO + O₃ = Cl + 2O₂ - স্থিতিশীল উন্নয়নের ধারণাটি কী?
উঃ- স্থিতিশীল উন্নয়ন হল সেই উন্নয়ন যা বর্তমান প্রজন্মের প্রয়োজন মেটায়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন মেটানোর সামর্থ্যের সঙ্গে আপোস না করে। এর ফলে পৃথিবীর প্রাকৃতিক উৎসের সীমার মধ্যে, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতি ঘটবে। - ওজোন স্তর ধ্বংসে নাইট্রোজেন যৌগের ভূমিকা লেখো।
উঃ- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে নাইট্রোজেন অক্সাইডের (যেমন NO₂, NO, N₂O ) পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ওজোন স্তরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই অক্সাইড সমূহের উৎস হল অতি দ্রুতগামী বিমান বা সুপারসনিক জেট বিমান। এই স্তরের ঘনত্ব কম হওয়ায় বিমান গুলি দ্রুতগামী হতে সক্ষম হয়। এজন্য NO এর সঙ্গে বিক্রিয়ায় O₂ অণুতে পরিণত হয়।
NO + O₃ → NO₂ + O₂
O₂ + (অতিবেগুনি রশ্মি) → O + O
এখানে NO যেমন ওজোনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে, তেমনি NO2 ওজোন সৃষ্টিকারী অক্সিজেন পরমাণুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে। ফলে প্রথম ক্ষেত্রে ওজোন সরাসরি ধ্বংস হয় এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ওজোন সৃষ্টি ব্যাহত হয়। ফলে ওজোনের স্তর বিনষ্ট হয়। অন্যদিকে N2O সরাসরি ওজোনকে ধ্বংস করে।
- স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর ওজোনস্তর ধ্বংসের ক্ষতিকারক প্রভাব কি?
উঃ- স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব – চামড়ার ক্যান্সার হতে পারে, মেলানোমা হতে পারো। চামড়া পুড়ে তার রং তামাটে হয়ে যেতে পারে। প্রজনন ক্ষমতা কমে যেতে পারে। পরিবেশের উপর প্রভাব – অতিবেগুনি রশ্মি ভূপৃষ্ঠে প্রবেশ করলে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বেড়ে যাবে, জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটবে। সমুদ্রে ফাইটোপ্লাঙ্কটনের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া কমে যাবে। - ওজোন স্তর কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উঃ- সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি অক্সিজেনের অণুকে ভেঙ্গে পরমাণুতে পরিণত করে। একটি অক্সিজেন অণু (O₂) সঙ্গে একটি অক্সিজেন পরমাণু (O) যুক্ত হয়ে একটি ওজোন অণু (O₃) তৈরী করে। অতিবেগুনি রশ্মি অস্থায়ী O₃ অণুকে ভেঙে O₂ অণু এবং O পরমাণু উৎপন্ন করে। এবং O₃ চক্রটি চলতে থাকে।
O₂ + O → O₃ → O₂ + O - NO কীভাবে ওজোন স্তরকে ধ্বংস করে?
উঃ- ওজোন অণু NO এর সঙ্গে বিক্রিয়ায় O₂ অণুতে পরিণত হয়। ফলে ওজোন স্তর ধ্বংস হয়।
NO + O₃ → NO₂ + O₂ - মানুষের দ্বারা সৃষ্ট বা ব্যবহৃত কয়েকটি রাসায়নিক পদার্থের নাম করো যেগুলি ‘ওজোন গহ্বর’ সৃষ্টির জন্য দায়ী?
উত্তরঃ মানুষের দ্বারা বায়ুমণ্ডলে মুক্ত যৌগগুলি হল ক্লোরোফ্লোরো কার্বনগুলি, বিশেষত CF₂, Cl₃, CCI₃ F, যেগুলি যথাক্রমে CFC 12 এবং CFC 11 হিসাবে পরিচিত। এই যৌগগুলি রেফ্রিজারেন্ট - বায়োফুয়েল কী? এর একটি ব্যবহার লেখো।
উঃ- কাঠ, কৃষি বর্জ্য এবং গোবর জ্বালানি রূপে ব্যবহৃত হওয়ায় এদের বায়োফুয়েল বলে। গরুর এবং মোষের বর্জ্য পদার্থ অর্থাৎ গোবর থেকে তৈরী ঘুঁটে পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয় এবং সেই তাপ গ্রামঞ্চলে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। ঘুঁটে জ্বালানি রূপে ব্যবহৃত হয়। - কোনো জ্বালানির তাপনমূল্য বলতে কী বোঝ?
উঃ- কোনো রকমের জ্বালানির দহনের ফলে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয় তাকে ওই জ্বালানির তাপনমূল্য বলে। তাপনমূল্যের একক -kcal/kg। যেমন-১ কেজি কয়লা কে পুড়িয়ে আমরা ৫০০০ – ৮০০০ Kcal তাপ শক্তি পায়। হাইড্রোজেন গ্যাসের তাপনমূল্য সবচেয়ে বেশি প্রায়(১৫০০০০ kcal/kg )। - ভূপৃষ্ঠ থেকে সমুদ্রের বরাবর বায়ুর চাপ সবচেয়ে বেশি। ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর ঘনত্ব তত কমতে থাকে ফলে বায়ুর চাপও কমতে থাকে। ভূপৃষ্ঠা থেকে প্রতি কিমি ওপরে উঠলে বাতাসের চাপ পায় ৪.৫ সেমি করে যায়। সমুদ্র সমতল চাপ যতটা থাকে পাহাড়ের চূড়ায় বায়ুর চাপ তার চেয়ে অনেক কম হয়।
- বায়োমাস বা জীবভর বলতে কী বোঝো? এটি কী কাজে ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ বায়োমাস বা জীবভর বলতে বোঝায় কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মোট ভর জীবভরের মধ্যে সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিরূপে অবস্থান করে। উদ্ভিজ্জ জীবভর, যেমন- কাঠ, পাতা, ডালপালা আগাছা ইত্যাদি এবং প্রাণীজ জীবভর, যেমন মৃত প্রাণীদেহ, প্রাণীর মল-মূত্র ইত্যাদি। উদ্ভিজ্জ জীবভরকে সরাসরি জ্বালিয়ে অথবা কাঠকয়লায় পরিণত করে তার তা জ্বালিয়ে আমরা তাপশক্তি পেয়ে থাকি। এই তাপশক্তির সাহায্যে বাষ্প তৈরি করে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করা হয়। - পরিবেশের উপর বিশ্ব উষ্ণায়নের দুটি সম্ভাব্য প্রভাব লেখো।
উঃ- বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব – ১. আবহাওয়ায়ে অনেক পরিবর্তন ঘটবে। প্রবল বন্যা, খরা, ঝড়-ঝঞ্ঝা ইত্যাদি হবে। ২. মেরু অঞ্চলের প্রচুর পরিমাণ বরফ গলবে, ফলে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বেড়ে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিকে ডুবিয়ে দেবে। ৩. বিভিন্ন ধরনের জীবানুঘটিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে।
গ্যাসের আচরণ
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
- STP-তে কোনো গ্যাসের মোলার আয়তন কত?
উত্তরঃ 22.4 লিটার - কোন যন্ত্রের সাহায্যে চাপ মাপা হয়?
উত্তরঃ ব্যারোমিটার - SI পদ্ধতিতে চাপের একক কি?
উত্তরঃ পাস্কাল (Pa) বা Nm⁻² - CGS পদ্ধতিতে চাপের একক কী?
উত্তরঃ dyne/cm² - সেলসিয়াস স্কেলে দুটি পদার্থের উষ্ণতার পার্থক্য 10° হলে কেলভিন স্কেলে পদার্থ দুটির উষ্ণতার পার্থক্য কত হবে?
উত্তরঃ10K - গ্যাসীয় পদার্থের চাপ সৃষ্টির কারণ কী?
উত্তরঃ গতিশীল গ্যাসীয় কণা ও পাত্রের দেওয়ালের সংঘর্ষের ফলে চাপ সৃষ্টি হয়। - চাপ (P)-কে x-অক্ষ এবং চাপ ও আয়তনের গুণফল (PV)-কে y-অক্ষ ধরে লেখচিত্র অঙ্কন করলে লেখচিত্রটি কীরূপ হবে?
উত্তরঃ x- অক্ষের সমান্তরাল সরল রেখা পাওয়া যাবে। - শুষ্ক বায়ু ও আর্দ্র বায়ুর মধ্যে কোনটি হাল্কা?
উত্তরঃ আর্দ্র বায়ু বেশি হাল্কা - বয়েলের সূত্রে ধ্রুবকগুলি কী কী?
উত্তরঃ ভর ও উষ্ণতা - চার্লসের সূত্রে ধ্রুবকগুলি কী কী?
উত্তরঃ ভর ও চাপ - বয়েলে ও চার্লসের সূত্রে কোন রাশিটি উভয়ক্ষেত্রেই ধ্রুবক থাকে?
উত্তরঃ ভর - PV=nRT সমীকরণটিতে R এর SI একক কী? (চিহ্নগুলি প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত)
উত্তরঃ R=8.31J.mol⁻¹.K⁻¹ বা 8.31J.mol⁻¹.K⁻¹ - কোন অবস্থায় বাস্তব গ্যাস আদর্শ গ্যাসের মতো আচরণ করে?
উত্তরঃ নিম্ন চাপ ও উচ্চ উষ্ণতায় - চাপ স্থির রেখে কোনো গ্যাসের উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে তার আয়তনের কী রূপ পরিবর্তন হবে?
উত্তরঃ গ্যাসের উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে তার আয়তন সমানুপাতী হারে বৃদ্ধি পাবে। - অ্যাভোগাড্রো প্রকল্পটি লেখ।
উত্তরঃ সমান চাপ ও উষ্ণতায় সম আয়তনের সকল গ্যাসে সমান সংখ্যক অণু থাকে। - -100°C উষ্ণতার কেলভিন স্কেলে মান কত?
উত্তরঃ -100°C=(-100+273)K=173K - পরম শূন্য উষ্ণতার মান সেন্টিগ্রেড স্কেলে কত?
উত্তরঃ -273°C - পরম শূন্য উষ্ণতায় আদর্শ গ্যাসের চাপ কত?
উত্তরঃ শূন্য - কোন্ উষ্ণতায় গ্যাসীয় অণুর গতি লোপ পায়?
উত্তরঃ -273°C - প্রদত্ত বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো: “গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলি গতিশীল।”
উত্তরঃ সত্য - উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ব্যাপনের হার বাড়ে না কমে?
উত্তরঃ বৃদ্ধি পায়। - উষ্ণতা স্থির রেখে কোনো গ্যাসের ওপর চাপ বৃদ্ধি করলে তার আয়তনের কী রূপ পরিবর্তন হবে?
উত্তরঃ ব্যস্তানুপাতে পরিবর্তিত হবে। - একটি আদর্শ গ্যাসের অণুগুলির মোট স্থিতিশক্তির পরিমাণ কত?
উত্তরঃ শূন্য
বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর
- প্রদত্ত কোনটি চাপের SI একক?- (a) N.m⁻² (b) N.m⁻² (c) N.m (d) N
উত্তরঃ (b) N.m⁻² - স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের চাপ দ্বিগুণ করলে এর আয়তন হবে- (a) দ্বিগুণ (b) অর্ধেক (c) চার গুণ (d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (b) অর্ধেক - বয়েলের সূত্রের PV-P লেখচিত্র টি হল (a) P অক্ষের সমান্তরাল (b) PV অক্ষের সমান্তরাল (c) মূল বিন্দুগামী সরলরেখা (d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (a) P ওক্ষে সমান্তরাল - নিচের কোনটি গ্যাসের ধর্ম? (a) গ্যাস অনুগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল খুব বেশি (b) পাত্রের দেওয়ালের চাপের সৃষ্টি করে (c) নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে (d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (b) পাত্রের দেওয়ালের চাপের সৃষ্টি করে - গ্যাসের চাপ ও ঘনত্বের সম্পর্ক হল (a) সমানুপাতিক (b) ব্যস্তানুপাতিক (c) সমান (d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (a) সমানুপাতিক - বয়েলের সূত্রে ধ্রুবক রাশি গুলি হল- (a) চাপ ও ভর (b) আয়তন ও চাপ (c) ভর ও উষ্ণতা (d) ভর ও আয়তন
উত্তরঃ (c) ভর ও উষ্ণতা - প্রমাণ চাপ মাপা হয়- (a) 0 K উষ্ণতায় 45° অক্ষাংশে (b) 45°C উষ্ণতায় 0° অক্ষাংশে (c) 0° C উষ্ণতায় 45° অক্ষাংশে (d) 0°C উষ্ণতায় 48° অক্ষাংশে
উত্তরঃ (c) 0° C উষ্ণতায় 45° অক্ষাংশে - সেলসিয়াস (t) পরম উষ্ণতা (T) এর মধ্যে সম্পর্ক টি হল (a) t=T+273 (b) t=T-273 (c) t=T/273 (d) T=t+273
উত্তরঃ (d) T=t+273 - চার্লসের সূত্রে 1/273 ভগ্নাংশ টিকে বলা হয়- (a) আয়তন গুণাঙ্ক (b) চাপ গুণাঙ্ক (c) আয়তন ও চাপ উভয় গুণাঙ্ক (d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (c) আয়তন ও চাপ উভয় গুণাঙ্ক - আদর্শ গ্যাসের অনু গুলি গতিহীন হয় যে উষ্ণতায় তা হল- (a) 373K (b) 0K (c) 272K (d) -273K
উত্তরঃ (b) 0K - প্রমাণ চাপ ও উষ্ণতায় সময় আয়তন তিনটি পাত্রে হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন গ্যাস আছে, কোন বক্তব্যটি সঠিক- (a) প্রত্যেক স্থানের সমান অণু আছে (b) প্রত্যেকটা স্থানের অণুর গতিবেগ সমান (c) প্রত্যেক স্থানে গ্যাসের অণুর ঘনত্ব সমান (d) অক্সিজেনের তুলনায় হাইড্রোজেনের অণুর সংখ্যা বেশি
উত্তরঃ (a) প্রত্যেক স্থানে সমান অণু আছে - STP তে 5.6 লিটার CO2 এর ভর কত? (a) 88 gm (b) 22 gm (c) 44 gm (d) 11 gm
উত্তরঃ 11 gm - 84 gm নাইট্রোজেন =কত মোল নাইট্রোজেন? (a) 2 (b) 3 (c) 1 (d)4
উত্তরঃ (b) 3 - SI পদ্ধতিতে PV এর একক কি? (a) J/mol (b) J.K (c) J/K (d) J
উত্তরঃ (d) J - বাস্তব গ্যাসের আদর্শ আচরণ থেকে বিচ্যুতির কারণ- (a) আদর্শ গ্যাস অনু গুলি বিন্দু ভর (b) আদর্শ গ্যাসের অণুগুলির আন্তঃআণবিক বল শূন্য (c) a ও b উভয়ই (d) গ্যাস অণুগলি স্থিতিস্থাপক নয়
উত্তরঃ (c) a ও b উভয়ই - আদর্শ গ্যাসের অণুগলির শক্তি- (a) শুধুমাত্র স্থিতি শক্তি (b) স্থিতি শক্তি ও গতিশক্তির সমষ্টি (c) শুধুমাত্র গতিশক্তি (d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (c) শুধুমাত্র গতিশক্তি - গ্যাসের গতিতত্ত্ব অনুযায়ী গ্যাসীয় অণুগলির- (a) ভরবিহীন (b) আয়তন শূন্য (c) বিন্দু ভর (d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (c) বিন্দু ভর - গ্যাসের গতি তত্ত্বের স্বীকার্য অনুযায়ী কোনটি সঠিক? (a) গ্যাসের অণুগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল থাকে না (b) অণুগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল থাকে (c) গ্যাসের অণুগুলির স্থির (d) সমস্ত গ্যাস আদর্শ গ্যাস
উত্তরঃ (a) গ্যাসের অণুগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল থাকে না
শূন্যস্থান পূরণ কর :
- একটি বায়ুর বুদবুদ জলাশয়ের নিচ থেকে উপরে উঠে এলে তার আয়তন………….
উত্তরঃ বাড়ে - জলের হিমাঙ্কের মান পরম স্কেলে হবে………….
উত্তরঃ 273K - অস্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের চাপ দ্বিগুণ হলে এর আয়তন হবে………….
উত্তরঃ অর্ধেক - চাপ স্থির রেখে সেলসিয়াস উষ্ণতায় চার্লসের সূত্র অনুসারে আদর্শ গ্যাসের আয়তন শূন্য হবে?
উত্তরঃ -273.15°C - স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের লেখচিত্র অঙ্কন করলে লেখচিত্রটি কীরূপ হবে?
উত্তরঃ সমপরাবৃত্ত - গ্যাসীয় পদার্থের চাপ সৃষ্টির কারণ কী?
উত্তরঃ অণুগুলির গতিশীলতা - চাপের এসআই একক হল…….
উত্তরঃ পাস্কাল - শুষ্ক বায়ু ও আর্দ্র বায়ুর মধ্যে কোনটি হাল্কা?
উত্তরঃ আর্দ্র বায়ু - বয়েলের সূত্রে ধ্রুবকগুলি কী কী?
উত্তরঃ ভর ও উষ্ণতা - চার্লসের সূত্রে ধ্রুবকগুলি কী কী?
উত্তরঃ ভর ও চাপ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর – মান ২
- গ্যাস সংক্রান্ত বয়েল সূত্রটি লেখো এবং গানিতিক রূপ প্রকাশ করো এবং V বনাম P লেখচিত্র আঁকো।
উঃ- স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন গ্যাসটির চাপের সঙ্গে ব্যস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয়।
স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন =V এবং চাপ = P হলে,
সূত্রানুযায়ী, V ∝ I/P, V = K. I/P, PV = K। স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের চাপ P₁, এর আয়তন V₁,। একই উষ্ণতায় পরবর্তী অবস্থায় P₂.V₂ = K। সুতরাং, P₁ V₁ = P₂V₂
বয়েলের সূত্র অনুযায়ী, প্রাথমিক অবস্থায় P₁V₁ = K এবং পরিবর্তিত অবস্থায় P₂V₂ = K। সুতরাং, P₁ V₁ = P₂ V₂
[Image of the graph of V vs P]
সুতরাং, বয়েলের সূত্র অনুযায়ী, P₁V₁ = K এবং পরিবর্তিত অবস্থায় P₂V₂ = K। সুতরাং, P₁ V₁ = P₂ V₂ - চার্লসের সূত্রটি বিবৃত করো। এই সূত্র থেকে কিভাবে পরম শূন্য উষ্ণতার ধারণা পাওয়া যায় দেখাও।
উঃ- স্থির চাপে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন, প্রতি 1°C উষ্ণতা বৃদ্ধি বা হ্রাসের জন্য, 0°C উষ্ণতায় ওই গ্যাসের যে আয়তন ছিল তার 1/273 অংশ বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়।
চার্লসের সূত্র অনুযায়ী, Vt = V₀ (1 + t/273), সমীকরণ থেকে দেখা যায় যে, -273°C উষ্ণতায় স্থির চাপে আয়তন V-273 = {1 – (273/273)}V₀ = 0।
প্রকৃতপক্ষে, -273°C উষ্ণতায় পৌঁছানোর আগেই সমস্ত গ্যাস, তরল ও কঠিনে পরিণত হয়। তরল ও কঠিনের ক্ষেত্রে চালর্সের সূত্র প্রযোজ্য হয় না। যদি কোনো গ্যাস -273°C উষ্ণতায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকত তাহলে তার আয়তন শূন্য হত। আবার উষ্ণতা -273°C এর চেয়ে কম হলে গ্যাসের আয়তন ঋণাত্মক হয়, যা একটি অবাস্তব ব্যাপার। কাজেই বাস্তবে কখনই গ্যাসের আয়তন শূন্য আনা সম্ভব নয়। তাই এই উষ্ণতাকে পরম শূন্য উষ্ণতা বলে। - সর্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক কাকে বলে? একে সর্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক বলা হয় কেন?
উঃ- আদর্শ গ্যাস সমীকরণ PV=nRT তে ধ্রুবক R এর মান গ্যাসের রাসায়নিক প্রকৃতির উপর নির্ভর করে না এবং এটির মান এক মোল অনু পরিমাণ সকল গ্যাসের ক্ষেত্রে সমান। তাই R কে সর্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক বলে। R এর মান সব গ্যাসের ক্ষেত্রে সমান কারণ এর মান গ্যাসের ধর্ম বা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে না, তাই এটি সর্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক। - গে-লুসাকের গ্যাস আয়তন সূত্রটি লেখো।
উঃ- একই চাপ ও উষ্ণতায় গ্যাসীয় বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিকারক গ্যাস গুলি তাদের আয়তনের সরল অনুপাতে বিক্রিয়া করে এবং উৎপন্ন পদার্থ গ্যাসীয় হলে ওই একই চাপ ও উষ্ণতায় উৎপন্ন গ্যাসের আয়তনও বিকারক গ্যাস গুলির সঙ্গে সরল অনুপাতে থাকে। - একটি আবদ্ধ পাত্রে রক্ষিত কোনো গ্যাসের উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে গ্যাসটির চাপের উপর তার প্রভাব কী? যুক্তিসহ উত্তর দাও।
উঃ- কোনো বন্ধ পাত্রে উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে পাত্রে অবস্থিত গ্যাসীয় অনুগুলির গতি বৃদ্ধি পায়। ফলে এরা আরো জোরে পাত্রের দেওয়ালে ধাক্কা দেয়। ফলস্বরূপ চাপও বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, আদর্শ গ্যাসের সমীকরণ PV=nRT থেকে জানা যায় যে নির্দিষ্ট ভরের স্থির আয়তন সম্পন্ন কোন গ্যাসের চাপের তার পরম উষ্ণতার সঙ্গে সমানুপাতী, pαT। অর্থাৎ উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে চাপও বৃদ্ধি পারে। - বয়েলে ও চার্লসের সূত্রের সমন্বয় রূপটি প্রতিষ্ঠা করো।
উঃ- ধরা যাক, গ্যাসের পরিমাণ = n মোল চাপ= P, আয়তন= V, এবং উষ্ণতা= T বয়েলের সূত্রানুযায়ী, V ∝ I/P [যখন n এবং T অপরিবর্তিত] …………(1) পরম চার্লসের সূত্রানুযায়ী, V ∝ T [যখন n এবং P অপরিবর্তিত] …………(2) (1) এবং (2) নং সম্পর্কের সমন্বয় করে পাওয়া যায়, V ∝ T.I/P [P এবং T উভয়ই পরিবর্তিত, কিন্তু n অপরিবর্তিত থাকলে, বা, V= K. T/P [যেখানে K সমানুপাতিক ধ্রুবক] বা, P V = K. T [T- সমানুপাতিক ধ্রুবক] - কেলভিন স্কেলে উষ্ণতা ঋণাত্মক হওয়া সম্ভব কি? যুক্তি দাও।
উত্তরঃ সম্ভব না। কেলভিন স্কেলটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে উষ্ণতার মান শূন্য হলে আয়তনও শূন্য হয় এবং সেলসিয়াস স্কেলের একক পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি ও কেলভিন স্কেলের একক পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস সমান থাকে। তারমানে, যদি কেলভিন স্কেলের মান ঋণাত্মক হয়ে তবে আয়তনও ঋণাত্মক হবে যা অসম্ভব। - স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের P বনাম P লেখচিত্র অঙ্কন করো।
উঃ- [Image of the graph of P vs PV] - চার্লসের সূত্র থেকে পরম শূন্য উষ্ণতার সংজ্ঞা দাও।
উঃ- চার্লসের সূত্র অনুযায়ী, স্থির চাপে যে উষ্ণতায় সকল গ্যাসের আয়তন শূন্য হয়ে যায়, তাকে পরম শূন্য উষ্ণতা বলে। এই সূত্র থেকে দেখা যায়, -273°C উষ্ণতায় সকল গ্যাসের আয়তন শূন্য হয়ে যায়। - বাস্তব গ্যাস গুলি কখন আদর্শ গ্যাসের মত আচরণ করে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ উচ্চ উষ্ণতা ও নিম্নচাপে বাস্তব গ্যাস গুলি আদর্শ গ্যাসের মতো আচরণ করে। উক্ত উষ্ণতায় গ্যাসীয় অণুগুলির বেগ খুব বেশি হয়, ফলে অণুগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল নগণ্য। নিম্নচাপে পাত্রের আয়তনের তুলনায় অণুগুলির মোট আয়তন নগণ্য হয়। - পরম শূন্য উষ্ণতা কাকে বলে ? এরূপ নামকরণের কারণ কী?
উঃ- যে উষ্ণতায় সকল গ্যাসের আয়তন লোপ পায় (শূন্য হয়) তাকে পরম শূন্য উষ্ণতা বলে। এই উষ্ণতা হলো – সেলসিয়াস স্কেলে এর মান -273°C; মহাবিশ্বে এর চেয়ে কম উষ্ণতা কোথাও থাকতে পারে না। বাস্তবিকভাবে এটি অসম্ভব। এবং নিম্ন উষ্ণতায় আসার আগেই সব গ্যাস তরল হয়ে যায়। কঠিন বা তরলের ক্ষেত্রে চার্লসের সূত্র প্রযোজ্য নয় এবং বাস্তব পরম শূন্য উষ্ণতা পাওয়া সম্ভব নয়। - বয়েলের সূত্র, চার্লসের সূত্র ও অ্যাভোগাড্রো সূত্র প্রয়োগ করে আদর্শ গ্যাস সমীকরণ প্রতিষ্ঠা করো।
উঃ- ধরা যাক, গ্যাসের পরিমাণ = n মোল চাপ= P, আয়তন= V, এবং উষ্ণতা= T, বয়েলের সূত্রানুযায়ী, V ∝ 1 / P [যখন n এবং T অপরিবর্তিত] চার্লসের সূত্রানুযায়ী, V ∝ T [যখন n এবং P অপরিবর্তিত] অ্যাভোগাড্রোর সূত্রানুযায়ী, V ∝ n [যখন T এবং P অপরিবর্তিত] যৌগিক ভেদের নিয়ম অনুযায়ী, V ∝ n.T / P V=K. n.T / P [K- সমানুপাতিক ধ্রুবক PV = nRT এক মোল অনু পরিমাণ যে কোনো গ্যাসের ক্ষেত্রে K-কে R দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়। - চার্লসের সূত্র থেকে প্রমান করো কোনো গ্যাসের আয়তন পরম উষ্ণতা সমানুপাতিক।
উঃ- স্থির চাপে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের 0°C উষ্ণতায় আয়তন V₀ , t₁°C উষ্ণতায় আয়তন V₁ t₂°C এর কেলভিন স্কেলে মান T₁এবংT₂ K।
V₁ = V₀ (1 + t₁/273)V₀ এবং V₂ = V₀ (1 – t₂/273) V₀
V₁ / V₂ = T₁ / T₂
অতএব, V ∝ T
অর্থাৎ, স্থির চাপে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন ওই গ্যাসের পরম উষ্ণতার সমানুপাতিক। - একটি ফুটবলকে পাম্প করার সময় তার ভিতরের আয়তন ও চাপ দুই ই বাড়ে। এই ঘটনা কি বয়েলের সূত্রের বিরোধী?
উঃ- না। এই ঘটনা বয়েলের সূত্রের বিরোধী নয়। একটি ফুটবলকে পাম্প করার সময় তার ভিতরের আয়তন যেমন বাড়ে তেমনি সেই সঙ্গে ভেতরের বায়ুর ভরও বেড়ে যায়। বয়েলের সূত্র অনুযায়ী ভর অপরিবর্তিত থাকে। তাই এক্ষেত্রে বয়েলের সূত্র প্রযোজ্য হবে না। - চার্লসের সূত্র থেকে V বনাম T লেখচিত্র অঙ্কন করো।
উঃ- [Image of the graph of V vs T] - বয়েল সূত্র ও চার্লসের সূত্রের সমন্বিত রূপটি প্রতিষ্ঠা করো।
উঃ- ধরি, গ্যাসের পরিমাণ =n মোল, চাপ = P, আয়তন = V, এবং উষ্ণতা= T বয়েলের সূত্রানুযায়ী, অপরিবর্তিত উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন প্রযুক্ত চাপের সঙ্গে ব্যস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয়। সুতরাং, V ∝ 1/P যখন n এবং T অপরিবর্তিত থাকে। …………….(i) চার্লসের সূত্রানুযায়ী, অপরিবর্তিত চাপে নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের আয়তন তার কেলভিন উষ্ণতার সঙ্গে সমানুপাতিক। সুতরাং, V ∝ T যখন n এবং P অপরিবর্তিত থাকে। …………….(ii)
(i) এবং (ii) নং সমীকরণের সমন্বয় করে পাওয়া যায়, P এবং T উভয়ই পরিবর্তিত হলে কিন্তু n অপরিবর্তিত থাকলে, V ∝ T/P বা, V=KT/P [যেখানে K সমানুপাতিক ধ্রুবক] - -273°C উষ্ণতাকে পরম শূন্য উষ্ণতা বলা হয় কেন?
উত্তরঃ চার্লসের সূত্র থেকে পরম শূন্য উষ্ণতার যে ধারণা পাওয়া যায়, তা গ্যাসের প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল নয়। অর্থাৎ, যে কোনো গ্যাসের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। এর চেয়ে কম উষ্ণতায় গ্যাসের আয়তন ঋণাত্মক হয় যা বাস্তবে সম্ভব নয়। এই কারণে -273°C উষ্ণতাকে পরম শূন্য উষ্ণতা বলা হয়। - বাস্তব গ্যাস গুলির আদর্শ গ্যাসের আচরণ থেকে বিচ্যুতির কারণ কি?
উত্তরঃ 1. আদর্শ গ্যাসের অণুগুলির আয়তন পাত্রের আয়তনের তুলনায় নগণ্য ধরা হয় কিন্তু বাস্তব অণুগুলির মোট আয়তন নগণ্য নয়। তাই বাস্তবে গ্যাস অণুগুলির অবাধে চলাচল করার আয়তন কমে যায়। 2. আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে অণুর নেয়া হয় অণুগুলির মধ্যে কোন আন্তঃআণবিক আকর্ষণ নেই কিন্তু বাস্তবে অণুগুলির মধ্যে আকর্ষণ আছে। তাই বাস্তব গ্যাসের ক্ষেত্রে চাপ আদর্শ গ্যাসের তুলনায় কম হয়। - আদর্শ গ্যাস ও বাস্তব গ্যাসের তিনটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ আদর্শ গ্যাস ও বাস্তব গ্যাসের প্রধান তিনটি পার্থক্য গুলি হল-
প্রথমত, আদর্শ গ্যাস যে কোনো চাপ ও উষ্ণতায় PV=nRT সমীকরণ মেনে চলে, কিন্তু বাস্তব গ্যাস নিম্নচাপ বা উচ্চ উষ্ণতা ব্যতীত PV=nRT সমীকরণ মেনে চলে না।
দ্বিতীয়ত, আদর্শ গ্যাসের অনুগুলির আয়তনকে অগ্রাহ্য করা হয়, তবে বাস্তব গ্যাসের অনুগুলির আয়তন ক্ষুদ্র হলেও তা গ্রাহ্য করা হয়।
তৃতীয়ত, আদর্শ গ্যাসের অনুগুলির মধ্যে কোনো আকর্ষণ বল নেই, কিন্তু বাস্তব গ্যাসের অনুগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল আছে। - নির্দিষ্ট উষ্ণতায় স্থির ভরের গ্যাসের চাপের সঙ্গে ঘনত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা কর।
উত্তরঃ স্থির উষ্ণতায় কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের ঘনত্ব ওই গ্যাসটির চাপের সঙ্গে সমানুপাতে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ, pαp বা p=Kp (যেখানে K = ধ্রুবক) P হল চাপ এবং ঘনত্ব। - গ্যাসের অণুর গতি উষ্ণতার ওপর কীভাবে নির্ভর করে?
উত্তরঃ অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্পে সূত্র বলার তাৎপর্য : অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্পটিকে পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণ করা না গেলেও এই প্রকল্পের সাহায্যে, গে-লুসাকের গ্যাস-আয়তন সূত্র, ডালটনের পরমাণুবাদ এবং আরও অনেক সূত্র ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়েছে। রসায়নে এমন কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি যা অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্প বিরোধী। তাই অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্পকে বর্তমানে অ্যাভোগাড্রো সূত্র বলা হয়। - গ্যাসের আয়তন উল্লেখ করতে গেলে চাপ ও উষ্ণতার উল্লেখ করতে হয় কেন?
উত্তরঃ উষ্ণতা বৃদ্ধি বা হ্রাস করলে গ্যাসীয় অণুগুলির গতিশক্তি বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়। একটি আবদ্ধ পাত্রে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাস রেখে অর্থাৎ, আয়তন স্থির রেখে এর উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে গ্যাসের অণুগুলির বেগ বৃদ্ধি পায়। আবার উষ্ণতা হ্রাস করলে গ্যাসের অণুগুলির বেগও হ্রাস পায়। আবার গ্যাসের আয়তন স্থির রেখে চাপ বাড়ালে আয়তন কমে। একইভাবে উষ্ণতা স্থির রেখে চাপ কমালে আয়তন কমে। আয়তন বাড়ালে আয়তন কমে। এইজন্য গ্যাসের আয়তন বলার সময় চাপ ও উষ্ণতার উল্লেখ করতে হয়। - একটি বেলুনের আকার উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে বৃদ্ধি পায় কেন?
উত্তরঃ উষ্ণতা বৃদ্ধিলে বেলুনের মধ্য বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়। সেজন্য বায়ুর চাপ কমতে থাকে। যদিও কিছুটা উষ্ণতাও হ্রাস পায়, উষ্ণতা হ্রাসের হার এর তুলনায় চাপ হ্রাসের হার কম। সেজন্য এক্ষেত্রে চার্লসের সূত্রের থেকে বয়েলের সূত্র বেশি প্রভাব দেখাবে। তাই বেলুনটি বৃদ্ধি পেতে থাকে। - আবদ্ধ পাত্রে রাখা কোনো গ্যাসের অণুর ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব কী হবে? গ্যাসের চাপের ওপরে বা এর প্রভাব কীভাবে পড়বে?
উত্তরঃ তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে আবদ্ধ পাত্রে রাখা গ্যাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে। এর প্রভাবে গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি পারে। - পরমশূন্য উষ্ণতা কোনো গ্যাসের আয়তন বাস্তবে কি শূন্য হয়ে যায় বুঝিয়ে বল।
উত্তরঃ -273°C উষ্ণতায় পৌঁছোবার আগে সব গ্যাস তরলে পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই ওই উষ্ণতায় কোনো গ্যাসের আয়তন বাস্তবে শূন্য হয় না। - অ্যাভোগাড্রোর প্রকল্পের সূত্র বলার তাৎপর্য কী?
উত্তরঃ গ্যাসের আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্কের সংজ্ঞাটি হল স্থির চাপে নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের উষ্ণতা 0°C থেকে 1°C বৃদ্ধি বা হ্রাসের জন্য, 0°C উষ্ণতায় ওই গ্যাসের যে আয়তন ছিল তার 1/273 অংশ বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়। - পুকুরের তলদেশ থেকে উৎপন্ন বুদবুদ যখন জলের উপরিভাগে আসে তখন তার আয়তন বেড়ে যায় কেন?
উত্তরঃ পুকুরের তলদেশে থেকে উৎপন্ন জলের উপরিভাগে এলে তখন তার আয়তন বৃদ্ধি পায়- পুকুরের তলদেশে উৎপন্ন বুদবুদ হল গ্যাসীয় পদার্থ। এখন পুকুরের তলদেশে জলের গভীরতা বেশি হওয়ায় সেখানে জলের চাপ বেশি হয় এবং যত পুকুরের উপরিভাগের দিকে আসা যায় তত জলের চাপ কমতে থাকে। তাই পুকুরের তলদেশে উৎপন্ন বুদবুদের ওপর জলের চাপ বেশি হওয়ায় তার আয়তন কম হয় এবং বুদবুদটি যত ওপরের দিকে উঠতে থাকে ওপর জলের চাপ তত কমতে থাকে। ফলে তার আয়তন বৃদ্ধি পায়। - বেলুনে ফুঁ দিলে বেলুনের আয়তন বাড়ে এবং চাপও বাড়ে। এখানে বয়েলের সূত্র লঙ্ঘিত হচ্ছে কী?
উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় বেলুনে ফুঁ দিলে বেলুনটির আয়তন বাড়ে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে বেলুনের ভিতরের বাতাসের চাপও বাড়ে। যখন বেলুনে ফুঁ দেওয়া হয় তখন বেলুনে অতিরিক্ত বাতাস প্রবেশ করে, ফলে বেলুনের ভিতরের বাতাসের ভর বেড়ে যায়, তাই আয়তন ও চাপ দুই-ই বেড়ে যায়। কিন্তু স্থির উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের ক্ষেত্রেই বয়েলের সূত্রটি প্রযোজ্য। তাই এক্ষেত্রে বয়েলের সূত্রটি প্রযোজ্য নয়। - গ্যাসের অণুগলির বেগের ও চাপের ওপর উষ্ণতার প্রভাব উল্লেখ করো।
উত্তরঃ গ্যাসের অণুর বেগের ও চাপের ওপর উষ্ণতার প্রভাব: উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলির গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। একটি আবদ্ধ পাত্রে নির্দিষ্ট ভরের গ্যাস রেখে অর্থাৎ আয়তন স্থির রেখে এর উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে গ্যাসের অণুগুলির আবেশ বৃদ্ধি পায়। তখন অণুনগুলি আরও বেশি বেগে পাত্রের দেওয়ালে আঘাত করে। ফলে গ্যাসের অণুগুলির বেগও হ্রাস পায়, ফলে গ্যাসের চাপ কমে যায়।
গাণিতিক সমস্যা ও তার সমাধান
- নির্দিষ্ট চাপে নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের 0°C উষ্ণতা 30°C থেকে করা হলে, ওই দুই উষ্ণতায় গ্যাসের আয়তনের অনুপাত কি হবে।
উঃ- গ্যাসের প্রাথমিক উষ্ণতা (T₁)= (0+273)K=273K
গ্যাসের অন্তিম উষ্ণতা (T₂) = (30+273)K=303K
V₁/V₂ = T₁/T₂
V₁/V₂ = 273/300
V₂/V₁ = 300/273
V₁ : V₂ = 91 : 101
অতএব, দুই উষ্ণতায় গ্যাসের আয়তনের অনুপাত হবে 91 : 101 - 27°C উষ্ণতায় 76 cm Hg চাপে নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাসের আয়তন 900 cc। কোন উষ্ণতায় 57 cmHg চাপে ওই গ্যাসের আয়তন 400cc হবে।
উঃ- প্রাথমিক আয়তন (V₁)= 900 cc, প্রাথমিক চাপ (P₁) = 76 cmHg, অন্তিম আয়তন (V₂) = 400 cc, অন্তিম চাপ (P₂) = 57 cmHg, অন্তিম উষ্ণতা (T₁) = ??
আবার, গ্যাসের,
P₁V₁/T₁ = P₂V₂/T₂
76×900/300 = 57×400/T₂
T₂ = 100
অতএব, নির্ণেয় উষ্ণতা = 100K - যে উষ্ণতায় 28 গ্রাম N₂ গ্যাসের আয়তন 2.56 atm চাপে 10L হবে, সেই উষ্ণতাটি নির্ণয় করো।
উঃ- N₂ গ্যাসের মোল সংখ্যা (n)= 28/28 = 1
PV = n.R.T
T = P.V / n.R
T = 2.56×10 / 1×0.082
T = 312.2 K
অতএব, নির্ণেয় উষ্ণতা = 312.2 K - একটি ক্ল্যাঙ্ক ব্র্যাঞ্জের আয়তন 500cc। স্থির চাপে ক্ল্যাঙ্কটির তাপমাত্রা 27°C থেকে 52°C করলে ওই ক্ল্যাঙ্ক থেকে কত আয়তন বাতাস বেরিয়ে যাবে।
উঃ- ক্ল্যাঙ্কের প্রাথমিক আয়তন (V₁)=500 cc এবং প্রাথমিক উষ্ণতা (T₁) = (27+273)K=300K
ক্ল্যাঙ্কের অন্তিম উষ্ণতা (T₂) =(52+273)K=325K
অন্তিম আয়তন (V₂)=??
আমরা জানি, V₁/T₁ = V₂/T₂
500/300 = V₂/325
V2 = 500×325 / 300 = 541.67cc
ক্ল্যাঙ্ক থেকে (541.67-500) cc=41.67 cc বাতাস বেরিয়ে যাবে। - 27°C উষ্ণতায় ও 570 mm Hg চাপে 2.2 gm CO2 এর আয়তন কত?
উঃ- CO2 গ্যাসের মোল সংখ্যা (n) = 2.2/44 = 1/20,
গ্যাসের চাপ (P)=570/760 = 3/4 atm, উষ্ণতা(T)= (27+273)K=300K, গ্যাসের আয়তন(V)=??
PV = n.R.T
V = nRT/P = (1/20)×0.821×300 / 3/4
অতএব, গ্যাসের আয়তন(V)=1.64 L - -3°C উষ্ণতায় কিছু পরিমাণ গ্যাসের আয়তন 750 cm3। চাপ অপরিবর্তিত রেখে এর আয়তন 1 লিটার করলে, গ্যাসটির অন্তিম উষ্ণতা কত হবে?
উঃ-গ্যাসের প্রাথমিক আয়তন (V₁) = 750 cm3 =(750/1000)= 1L এবং প্রাথমিক উষ্ণতা (T₁) = (-3+273)K=270K
অন্তিম আয়তন (V₂)= 1L
অন্তিম উষ্ণতা (T₂)=??
V₁/T₂ = V₂/T₂
750/1000 = 1/T₂
750/1000 = 270×1000/T₂
T₂ = 750/T₂ = 360 K
T₂ = 360 K =87°C
অতএব, গ্যাসটির অন্তিম আয়তনকে দ্বিগুণ হবে। - 2 atm চাপে 20°C উষ্ণতায় 10gm O2 গ্যাসের আয়তন 3.76 L হলে R এর মান নির্ণয় করো।
উঃ- O2 গ্যাসের মোল সংখ্যা (n)=(10/32)
গ্যাসের চাপ (P)=2 atm, উষ্ণতা (T)=(20+273)K=293K, আয়তন (V)=3.76 L
PV = n.R.T
R = PV / nT = 2×3.76 / (10/32)×293
R = 0.0821 L.atm/K/mol - চাপ স্থির রেখে গ্যাসের উষ্ণতা 0°C থেকে 273°C করলে গ্যাসটির অন্তিম আয়তন প্রাথমিক আয়তনের কতগুণ হবে?
উঃ- প্রাথমিক উষ্ণতা (T₁)=273K
প্রাথমিক আয়তন = V₁
অন্তিম উষ্ণতা (T₂)=(273+273)K=546K, অন্তিম আয়তন = V₂
V₁/T₁ = V₂/T₂
V₂/T₁ = 546/273 V₁/T₁ = 2/V₁
V₂ = 2V₁
অতএব, গ্যাসটির অন্তিম আয়তনকে দ্বিগুণ হবে। - 760 mmHg চাপে 0°C উষ্ণতায় কিছু পরিমাণ গ্যাসের আয়তন 300 cm3। একই চাপে 546°C উষ্ণতায় ওই গ্যাসের আয়তন কি হবে?
উঃ- প্রাথমিক উষ্ণতা (T₁)=273K
প্রাথমিক আয়তন (V₁) = 300 cm3
অন্তিম উষ্ণতা (T₂)=(546+273)K=819K
অন্তিম আয়তন (V₂) = ??
V₁/T₂ = V₂/T₂
300/273 = V₂/819
V₂ = 300×819 / 273
V₂ = 900 cm³
গ্যাসটির আয়তন 900-300) cm³= 600 cm³ বাড়বে। - 0.0°C উষ্ণতার নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসকে উত্তপ্ত করলে গ্যাসের চাপ ও আয়তন উভয়ই দ্বিগুণ হয়। গ্যাসের চূড়ান্ত তাপমাত্রা নির্ণয় করো।
উঃ- প্রাথমিক উষ্ণতা (T₁)=273K
প্রাথমিক আয়তন(V)=V
প্রাথমিক চাপ (P)= P
অন্তিম আয়তন (V₂)=2V
অন্তিম চাপ (P₂)= 2P
P₁V₁/T₁ = P₂V₂/T₂
P.V₁/T₁ = 2P.2V/T₂
বা T₂ = 4×273 = 1092
অতএব, গ্যাসের চূড়ান্ত তাপমাত্রা হবে (1092-273)K = 819K - একটি গ্যাসের পরম উষ্ণতা ও চাপ উভয়ই দ্বিগুণ করা হল। গ্যাসটির অন্তিম আয়তন ও প্রাথমিক আয়তনের অনুপাত লেখো।
উঃ-গ্যাসের উষ্ণতা (T)= T, প্রাথমিকচাপ (P)= P,
প্রাথমিক আয়তন =V₁,
অন্তিম উষ্ণতা (T₁)=2T, অন্তিম চাপ (P₁)=2P,
P₁V₁/T₁ = P₂V₂/T₂
P.V₁/T₁ = 2P.V₂/2T
V₂/V₁ = 1:1
অতএব, গ্যাসটির অন্তিম আয়তন ও প্রাথমিক আয়তনের অনুপাত 1 : 1 - ঘরের তাপমাত্রায় 76 cmHg চাপে কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন 1L, তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রাখলে 19 cmHg চাপে ওই গ্যাসের আয়তন কত হবে?
উঃ-কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের,
প্রাথমিকচাপ (P₁)=76 cm Hg
প্রাথমিক আয়তন (V₁) = 1 L
অন্তিম চাপ (P₂)= 19 cm Hg
অন্তিম আয়তন (V₂)=?
V₁/P₁ = P₂/V₂
1/V₁ = 19/76
V₂ = 4
তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রাখলে 19 cmHg চাপে ওই গ্যাসের 4 L হবে। - কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের 90 cmHg চাপে আয়তন 500 cm3 হলে ওই উষ্ণতায় এবং 60 cmHg চাপে গ্যাসটির আয়তন কত হবে?
উঃ- প্রাথমিক চাপ (P₁) =90 cm Hg
প্রাথমিক আয়তন (V₁) = 500 cm3
অন্তিম চাপ (P₂) = 60 cm Hg
অন্তিম আয়তন (V₃)=?
P₁V₂ = P₂V₂
500×90 = 60×V₂
V₂ = 750 cm³
গ্যাসটির আয়তন 750 cm3 হবে। - 770 mmHg চাপে 27 °C উষ্ণতায় কোনো নির্দিষ্ট ভরের হাইড্রোজেন গ্যাসের 75 cm3 আয়তন অধিকার করে। ওই উষ্ণতায় 750 mmHg চাপে ওই ভরের হাইড্রোজেন গ্যাস কত আয়তন অধিকার করবে?
উঃ- P₂=770 mmHg, P₃ = 750 mmHg, V₁ = 75 cm³,
V₂ = 75×770 / 750
V₂ = 77 cm³
ভরের হাইড্রোজেন গ্যাস 75 cm³ আয়তন অধিকার করবে। - 2 অ্যাটমস্ফিয়ার চাপে ও 300 K উষ্ণতায় 64g O2 গ্যাসের আয়তন কত হবে? (R=0.082L-atm.K-1.mol-1)
উঃ- P=2 atm, T=300 K, n=(64/32)=2, R=0.082 L.atm/K/mol, V=?
PV = nRT
V = nRT/P = 2×0.082×300 / 2 = 24.6 L
∴ গ্যাসেরআয়তন হবে 24.6লিটার।
রাসায়নিক গণনা
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
1] মিথেনের আণবিক ওজন 16, প্রদত্ত কোনটি এর বাষ্পঘনত্ব?— (a) 22.4 (b) 8 (c) 16 (d) 32
উত্তরঃ কোনো গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 16 হলে গ্যাসটির আণবিক গুরুত্ব d) 32।
2] 6.022×1023 সংখ্যক CO অণুর ভর— (a) 28 g (b) 14 g (c) 7.0 g (d) 56 g
উত্তরঃ 6.022×1023 সংখ্যক CO অণুর ভর- a) 28 g.
3] STP-তে 8 g SO2 এর আয়তন— (a) 2.8 L (b) 2.6 L (c) 3.2 L (d) 3.0 L
উত্তরঃ STP-তে 8 g SO2 এর আয়তন a) 2.8 L.
4] 12 g কার্বনের দহনে যে পরিমাণ CO2 উৎপন্ন হয় STP তে তার আয়তন হবে— (a) 1.2 L (b) 5.6 L (c) 4.8 L (d) 22.4 L
উত্তরঃ 12 g কার্বনের দহনে উৎপন্ন CO2 এর পরিমাণ- d) 22.4 L।
5] কার্বন ডাইঅক্সাইডের বাষ্পঘনত্ব – (a) 22 (b) 11 (c) 44 (d) 88
উত্তরঃ কার্বন ডাইঅক্সাইডের বাষ্পঘনত্ব- a) 22।
6] কোনো গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 16 হলে গ্যাসটির আণবিক গুরুত্ব হবে-
উত্তরঃ- 22
7] STP তে 2 মোল অক্সিজেনের আয়তন- 44.8 L/22.4 L/112 L/44.8ml
উত্তরঃ- 44.8 L
8] 12g কার্বনের সঙ্গে 32g অক্সিজেনের এর বিক্রিয়ায় কত মোল কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হবে ? 1 / 2 / 0.5 / 4.4
উত্তরঃ- 1 মোল।
9] একটি গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 8। 24 গ্রাম ওই গ্যাসের NTP তে আয়তন হবে- 6.72 L / 22.4L / 33.6 L/67.2 L
উত্তরঃ- 33.6 L।
10] 500 g চুনাপাথর উত্তপ্ত করলে কত গ্রাম CO2 পাওয়া যাবে-100 g / 200 g / 210 g / 220 g
উত্তরঃ- 220 g।
11] STP তে 11.2 L একি CO2 গ্যাসের ভর- 11 g / 22 g / 44 g / 11.2 g
উত্তরঃ- 22 g।
12] 7. 4NH3 + 3NO2 = 2N2+6H2O বিক্রিয়াটিতে N2 ও NH3 এর মোল অনুপাত কী ? 1:2 / 2:1 / 2:3 / 1:3
উত্তরঃ- 1:2
13] 9. 8 gm H2SO4 প্রস্তুতিতে করতে কত গ্রাম কস্টিক সোডা প্রয়োজন ? [H=1.0,Na=23, S=32]- 8g / 16g / 24g / 12g
উত্তরঃ- 9.8 g H2SO4 প্রস্তুতিতে হয় = (40 x 9.8) / (49 x 10) = 8 gm
14] 12g কার্বনের দহনে CO2 এর পরিমাণ– 32g / 44g / 22g / 28g
উত্তরঃ- 44g
15] STP তে 0.1 মোল গ্যাসের আয়তন— (a) 2.24 L (b) 22.4 L (c) 0.224 L (d) 22.4 L
উত্তরঃ STP তে 0.1 মোল গ্যাসের আয়তন- a) 2.24 L.
16] 16 g কার্বনের দহনে উৎপন্ন CO2-এর পরিমাণ— (a) 44 g (b) 32 g (c) 11 g (d) 22 g
উত্তরঃ- 6 g কার্বনের দহনে উৎপন্ন CO2 -এর পরিমাণ- d) 22 g.
17] 2 মোল O2 এর সঙ্গে 4 মোল H2 এর বিক্রিয়ায় উৎপন্ন স্টিমের মোল সংখ্যা কত ? – 2 / 4 / 6 / 1
উত্তরঃ- 2O2+ 4H2 = 4 H2O, অতএব, স্টিমের মোল সংখ্যা=4
18] একটি গ্যাসের আণবিক ভর 64; গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব কত? 64 / 32 / 16 / 128
উত্তরঃ- 32।
19] STP 44.8 লিটার একটি গ্যাসের ভর 56 গ্রাম। গ্যাসটির আণবিক ভর কত? 44.8 / 56 /14 / 28
উত্তরঃ- 28।
20] কার্বন যুক্ত কোনো গ্যাসীয় পদার্থের বাষ্পঘনত্ব 13 হলে, তার আণবিক সংকেত নীচের কোনটি হতে পারে ? CO2 / C2H4 / C2H6 / C2H2
উত্তরঃ- C₂H₂
21] কোনো গ্যাসের আণবিক ওজন 16 হলে, গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব হবে– 22.4 / 8 / 16 / 32।
উত্তরঃ- 8
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (M.C.Q.)
- STP তে 11.2 L একটি গ্যাসের ভর 22g । গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব- 44 / 22 / 66 / 11
উঃ- 22 - STP তে 2 মোল অক্সিজেনের আয়তন- 44.8 L/22.4 L/112 L/44.8ml
উঃ- 44.8 L
দীর্ঘ উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন – মান ৩
1.ফেরাস সালফাইডের সঙ্গে লঘু সালফিউরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় 1.7 g হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস পেতে কত গ্রাম ফেরাস সালফাইড প্রয়োজন হবে ? [Fe=56, S=32, H=1]
উঃ- FeS + H₂SO₄ → FeSO₄ + H₂S
FeS এর আণবিক ভর = (56+32)=88, H₂S এর আণবিক ভর =(2+32)=34
34 গ্রাম H₂S পেতে FeS লাগে 88 গ্রাম
1.7 গ্রাম H₂S পেতে FeS লাগে, 88 × 1.7 / 34 g = 4.4 g
অতএব, 1.7 g হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস পেতে 4.4 গ্রাম ফেরাস সালফাইড প্রয়োজন হবে।
বিক্রিয়ায় H₂ মোট ভর = (4 x 2)= 8 g
168 গ্রাম আয়রন থেকে H₂ পাওয়া যায় 8 গ্রাম
63 গ্রাম আয়রন থেকে H₂ পাওয়া যায় = 8 × 63 / 168 g = 3 g
∴ 3 গ্রাম হাইড্রোজেন পাওয়া যাবে।
আমরা জানি, STP তে 2 গ্রাম হাইড্রোজেনের আয়তন 22.4 লিটার। অতএব, 3 গ্রাম হাইড্রোজেনের আয়তন (22.4 x 3) / 2 লিটার = 33.6 লিটার।
- 5.6 লিটার অক্সিজেন গ্যাস প্রস্তুত করতে কী পরিমাণ পটাশিয়াম ক্লোরেটকে উত্তপ্ত করতে হবে? [K=39, Cl=35.5, O=16]
উঃ- 2KCIO₃ → 2KCl + 3O₂
KCIO₃ এর আণবিক ভর = (39+35.5+48)=122.5 g
বিক্রিয়ায় KCIO₃ এর মোট ভর = (2 x 122.5)=245 g
বিক্রিয়ায় O₂ এর মোট ভর = 96 g =(3 x 22.4) = 67.2 লিটার
অর্থাৎ, 67.2 লিটার অক্সিজেন গ্যাস প্রস্তুত করতে KCIO₃ লাগে 245 গ্রাম
5.6 লিটার অক্সিজেন গ্যাস প্রস্তুত করতে KCIO₃ লাগে, 245 × 5.6 / 67.2 g = 20.4 g - 63 g লোহিত তপ্ত লোহার ওপর দিয়ে স্টিম চালনা করলে কী পরিমাণ হাইড্রোজেন গ্যাস পাওয়া যাবে? STP তে ওই গ্যাসের আয়তন কত হবে? [Fe=56]
উঃ- 3Fe + 4H₂O → Fe₃O₄ + 4H₂
বিক্রিয়ায় Fe মোট ভর = (3 x 56)= 168 g
বিক্রিয়ায় H₂ উৎপাদন করতে আয়রন লাগে 168 গ্রাম
∴ প্রথম ক্ষেত্রে, 4 গ্রাম হাইড্রোজেন উৎপন্ন করতে আয়রন লাগে, 112 গ্রাম
∴ প্রথম ক্ষেত্রে, 4 গ্রাম হাইড্রোজেন উৎপন্ন করতে আয়রন লাগে, 112 গ্রাম
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, 8 গ্রাম H₂ উৎপন্ন করতে আয়রন লাগে 168 গ্রাম
∴ 4 গ্রাম হাইড্রোজেন উৎপন্ন করতে আয়রন লাগে, 84 গ্রাম
অতএব, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে লোহার পরিমাণ কম লাগবে। - 10 গ্রাম CaCO₃ এর সঙ্গে লঘু HCI এর বিক্রিয়ায় CO₂ গ্যাস উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে কত গ্রাম CO₂ এবং কতগুলি অণু উৎপন্ন হল। (Ca=40)
উঃ- CaCO₃ + HCl → CaCl₂ + CO₂ + H₂O
বিক্রিয়ায় CaCO₃ মোট ভর = (40+12+3×16)=100 g
বিক্রিয়ায় CO₂ মোট ভর = (12+2×16)= 44 g
100 গ্রাম CaCO₃ থেকে CO₂ পাওয়া যায় 44 গ্রাম।
∴ 10 গ্রাম CaCO₃ থেকে CO₂ পাওয়া যায়, 44 × 10 / 100 gm = 4.4 gm
আমরা জানি, 44 গ্রাম CO₂ তে অণু আছে 6.022 x 10²³ টি
∴ 4.4 গ্রাম CO₂ তে অণু আছে, 4.4 × 6.022 × 10²³ / 44 = 6.022 x 10²² টি। - লোহার সঙ্গে লঘু H₂SO₄ এর বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন উৎপন্ন হয়। আবার লোহার সঙ্গে স্টিমের বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন উৎপন্ন হয়। 4 গ্রাম হাইড্রোজেন তৈরী করতে হলে কোন ক্ষেত্রে লোহার পরিমাণ কম হবে? [Fe=56, H=1, O=16]
উঃ- প্রথম ক্ষেত্রে, Fe + H₂SO₄ = FeSO₄ + H₂
বিক্রিয়ায় H₂ মোট ভর = 2 g
2 গ্রাম হাইড্রোজেন উৎপন্ন করতে আয়রন লাগে 56 গ্রাম
∴ 4 গ্রাম হাইড্রোজেন উৎপন্ন করতে আয়রন লাগে, 4 × 56 / 2 gm = 112 গ্রাম
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, 3Fe + 4H₂O = Fe₃O₄ + 4H₂
বিক্রিয়ায় Fe মোট ভর = (3 x 56)= 168 g
বিক্রিয়ায় H₂ মোট ভর = (4 x 2)= 8 g
8 গ্রাম H₂ উৎপন্ন করতে আয়রন লাগে 168 গ্রাম
∴ 4 গ্রাম হাইড্রোজেন উৎপন্ন করতে আয়রন লাগে, 4 × 168 / 8 gm = 84 গ্রাম
অতএব, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে লোহার পরিমাণ কম লাগবে। - কত গ্রাম KCIO₃ কে উত্তপ্ত করলে উৎপন্ন অক্সিজেন 2.5 গ্রাম হাইড্রোজেনকে সম্পূর্ণভাবে জারিত করে জলে পরিণত করবে ? [K=39, Cl=35.5, O=16]
উঃ- 2H₂ + O₂ → 2H2O
বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেনের ভর 4 গ্রাম এবং অক্সিজেনের ভর 32 গ্রাম। অর্থাৎ, 4 গ্রাম হাইড্রোজেন জারিত করতে অক্সিজেন লাগে 32 গ্রাম। 2.5 গ্রাম হাইড্রোজেন জারিত করতে অক্সিজেন লাগে=(32 x 2.5)/4 = 20 গ্রাম।
2KCIO₃ → 2KCl + 3O₂
বিক্রিয়ায় KCIO₃ এর ভর = 2(39+35.5+3×16)=245 গ্রাম
বিক্রিয়ায় O₂ এর ভর = 3(2×16) = 96 গ্রাম
96 গ্রাম O2 পেতে প্রয়োজনীয় KCIO₃ = 245 গ্রাম
অতএব, 20 গ্রাম O₂ পেতে প্রয়োজনীয় KCIO₃ = (245×20)/96 = 51.04 গ্রাম - 4.8 g অক্সিজেন প্রস্তুত করতে কত গ্রাম পটাশিয়াম ক্লোরেট প্রয়োজন ? [K=39, Cl=35.5]
উঃ- 2KCIO₃ → 2KCl + 3O₂
বিক্রিয়ায় KCIO₃ এর ভর = 2(39+35.5+3×16)=245 গ্রাম
বিক্রিয়ায় O₂ এর ভর = 3(2×16) = 96 গ্রাম
96 গ্রাম O₂ পেতে প্রয়োজনীয় KCIO₃ = 245 গ্রাম
অতএব, 4.8 গ্রাম O₂ পেতে প্রয়োজনীয় KCIO₃ = (245×4.8)/96 = 12.25 গ্রাম - 40 g জিঙ্ক থেকে কত গ্রাম হাইড্রোজেন উৎপন্ন হয়। Zn এর নমুনা 20 শতাংশ অশুদ্ধ।
উঃ- Zn এর নমুনায় 20 শতাংশ অশুদ্ধ। বিশুদ্ধ Zn এর পরিমাণ 80%
অতএব, 40 g জিঙ্ক এ বিশুদ্ধ Zn এর পরিমাণ = (80×40)100 = 32 gm।
Zn + H₂SO₄ = ZnSO₄ + H₂
65 gm Zn থেকে H₂ পাওয়া যায় 2 gm।
অতএব, 32 gm Zn থেকে H₂ পাওয়া যায় = (32×2)/65 gm= 0.98 gm। - 130.8 গ্রাম লঘু H2SO4 এর সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে বিক্রিয়া করলে কত গ্রাম H2 উৎপন্ন হবে? STP তে উৎপন্ন হাইড্রোজেনের আয়তন কত? [Zn=65.4]
উঃ- Zn + H₂SO₄ = ZnSO₄ + H₂
65.4 গ্রাম Zn থেকে H₂ পাওয়া যায় 2 গ্রাম।
অতএব, 13.8 gm Zn থেকে H₂ পাওয়া যায়, 4 gm
STP তে 2 গ্রাম H₂ এর আয়তন 22.4 লিটার।
STP তে 4 গ্রাম H₂ এর আয়তন 2×22.4 = 44.8 লিটার। - STP তে 11.2 লিটার অ্যামোনিয়া তৈরী করার জন্য কী পরিমাণ অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের সঙ্গে চুন মিশিয়ে উত্তপ্ত করতে হবে? [N=14, H=1, Cl=35.5]
উঃ- 2NH₄Cl + Ca(OH)₂ = CaCl₂ + 2NH₃ + 2H₂O
বিক্রিয়ায় NH₄Cl এর ভর = 2(14+4+35.5) gm=107 gm এবং উৎপন্ন NH₃ আয়তন (2×22.4) = 44.8 লিটার।
44.8 লিটার NH₃ উৎপন্ন করতে NH₄Cl লাগে 107 gm
11.2 লিটার NH₃ উৎপন্ন করতে NH₄Cl লাগে, 107 × 11.2 / 44.8 gm = 26.75gm
26.75 gm অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের সঙ্গে চুন মিশিয়ে উত্তপ্ত করতে হবে। - 36 g ম্যাগনেসিয়াম অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করলে উৎপন্ন ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড ও হাইড্রোজেন গ্যাসের ভর কত হবে নির্ণয় কর। [Mg=24, Cl=35.5]
উঃ- বিক্রিয়ায় O₂ এর ভর = 3(2×16)= 96 গ্রাম বিক্রিয়ায় CaCO₃ মোট ভর = (40+12+3×16)= 100 g
96 গ্রাম O2 পেতে প্রয়োজনীয় KCIO3 = 245 গ্রাম বিক্রিয়ায় CO₂ মোট ভর = (12+2×16)= 44 g
অতএব, 16 গ্রাম O₂ পেতে প্রয়োজনীয় KCIO3 = (245×16)/96 = 40.83 গ্রাম 44 গ্রাম CO₂ উৎপন্ন করতে CaCO₃ লাগে 100 গ্রাম 66 গ্রাম CO₂ উৎপন্ন করতে CaCO₃ লাগে, 66 × 100 / 44 gm = 150 gm
তাপের ঘটনাসমূহ
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
2.1 শূন্যস্থান পূরণ কর- তরলের প্রকৃত প্রসারণ= পাত্রের প্রসারণ + তরলের আপাত প্রসারণ
- আদর্শ পরিবাহীর তাপ পরিবাহিতাচের মান কত?উত্তরঃ অসীম
- নিচের বিবৃতি ‘সত্য’ না ‘মিথ্যা’ লেখোঃ পাত্রের প্রসারণ বেশি হলে তরলের আপাত প্রসারণ বেশি হয়।উত্তরঃ মিথ্যা
- SI পদ্ধতিতে তাপ পরিবাহিতাঙ্কের একক লেখো।উত্তরঃ J.s⁻¹.m⁻¹.K⁻¹
- দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্কের SI একক কী? অথবা, ক্ষেত্রফল প্রসারণ গুণাঙ্কের SI একক কী? অথবা, আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্কের SI একক কী?
উত্তরঃ K⁻¹ - দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্কের মাত্রা কী? অথবা, ক্ষেত্রফল প্রসারণ গুণাঙ্কের মাত্রা কী? অথবা, আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্কের মাত্রা কী?
উত্তরঃ [θ⁻¹] - একটি উদাহরণ দাও যেখানে প্রয়োগে পদার্থের আয়তন কমে।
উত্তরঃ পিতল, জল - দ্বিধাতব পাতের দুটি ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ ফায়ার অ্যালার্ম, থার্মোস্ট্যাট - বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো – “কোন তরলের প্রকৃত প্রসারণ তরলটি যে পাত্রে রাখা হয় তার প্রসারণের উপর নির্ভর করে”।
উত্তরঃ উত্তরসত্য - লোহা, ইনভার ও তামার মধ্যে সবচেয়ে কম দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক কোনটির?
উত্তরঃ ইনভার - থার্মোমিটারে পারদ এর কোন ধরনের প্রসার হয়?
উত্তরঃ পারদ যেহেতু তরল। তাই এর তরল সংক্রান্ত প্রসারণ ঘটে - আদর্শ পরিবাহীর তাপ রোধাঙ্কের মান কত?
উত্তরঃ শূন্য। - গ্যাসের আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্কের সংজ্ঞায় কী কী স্থির থাকে?
উত্তরঃ প্রাথমিক আয়তন ও উষ্ণতা পরিবর্তন একক (স্থির) ধরা হয়। - জলের কোন ধর্মের জন্য শীতের দেশে জলচর প্রাণীরা বেঁচে থাকে?
উত্তরঃ জলের ব্যতিক্রমী প্রসারণ ধর্মের জন্য।0°C থেকে 4°C পর্যন্ত উষ্ণতা বৃদ্ধিতে জলের আয়তন কমতে থাকে। - তাপীয় রোধাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ তাপ পরিবাহিতার অনোন্যককে তাপীয় রোধাঙ্ক বলে। - তাপীয় রোধাঙ্কের SI একক লেখো।
উত্তরঃ W⁻¹.m.K - দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক (α) এর একক কি?
উত্তরঃ সিজিএস পদ্ধতিতে /°C, এসআই পদ্ধতিতে /K
সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী প্রশ্ন উত্তর
- একটি আদর্শ অন্তরকের তাপ পরিবাহিতা (a) 0 (b) 1 (c) 100 (d) অসীম
উত্তরঃ (a) 0 - আপাত প্রসারণ গুণাঙ্ক কার বৈশিষ্ট্য (a) কঠিনের (b) তরলের (c) কঠিন ও গ্যাসের (d) তরলের
উত্তরঃ (b) তরলের - নিচের পদার্থ গুলির মধ্যে কোনটির তাপ পরিবাহিতা সর্বাধিক (a) পারদ (b) লোহা (c) তামা (d) হীরক
উত্তরঃ (d) হীরক - কোন কঠিনের রৈখিক প্রসারণ গুণাঙ্কের একক হল (a) m (b) m⁻¹ (c) °C⁻¹ (d) °C
উত্তরঃ (c) °C⁻¹ - ধাতব স্কেল নিচের কোন উপাদানের তৈরি করা উচিত (a) পিতল (b) লোহা (c) কাঠ (d) ইস্পাত
উত্তরঃ (c) কাঠ - 1m ও 5m দৈর্ঘ্যের দুটি ধাতব দণ্ড কে একই তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা হলো। তাদের দৈর্ঘ্য প্রসারণ এর অনুপাত হবে (a) 1:5 (b) 5:1 (c) 10:1 (d) 1:2
উত্তরঃ (a) 1:5 - কাঁচের সাথে প্ল্যাটিনাম সিল করে আটকানো যায় (a) এদের দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক প্রায় সমান (b) ঘনত্ব সমান (c) ভর সমান (d) আপেক্ষিকতাপ সমান
উত্তরঃ (a) এদের দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক প্রায় সমান - এমন একটি পদার্থের নাম কর উষ্ণতা বৃদ্ধিতে যার দৈর্ঘ্য কমে যায় (a) জল (b) ইস্পাত (c) তামা (d) রবার
উত্তরঃ (d) রবার - আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে আয়তন গুণাঙ্ক ও চাপ গুণাঙ্কের অনুপাত (a) 1 (b) <1 (c) >1 (d) কোনটিই নয়
উত্তরঃ (a) 1 - কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তাপের পরিমাণ (a) প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের সমানুপাতিক (b) বেধের ব্যস্তানুপাতি (c) সময়ের সমানুপাতিক (d) সবগুলি সঠিক
উত্তরঃ (d) সবগুলি সঠিক - প্রদত্ত পদার্থ গুলির মধ্যে কোনটি তাপ পরিবাহিতা সবথেকে কম (a) রুপা (b) সোনা (c) হীরা (d) রবার
উত্তরঃ (d) রবার - পরিবাহিতাতঙ্ক ও নির্ভর করে (a) উষ্ণতার উপর (b) উপাদানের প্রকৃতির উপর (c) প্রস্থচ্ছেদের উপর (d) দৈর্ঘ্যের উপর
উত্তরঃ (b) উপাদানের প্রকৃতির উপর - কোন স্কেলে তাপমাত্রার ঋণাত্মক মান সম্ভব নয় (a) সেলসিয়াস স্কেলে (b) ফারেনহাইট স্কেলে (c) কেলভিন স্কেলে (d) সবকটি ঠিক
উত্তরঃ (c) কেলভিন স্কেলে - তাপ পরিবাহিতাতঙ্কের সিজিএস একক হল (a) cals⁻¹cm⁻¹°c⁻¹ (b) Calscm°c⁻¹ (c) Cal⁻¹scm°c⁻¹ (d) Cals-1cm°c-1
উত্তরঃ সিজিএস পদ্ধতিতে /°C, এসআই পদ্ধতিতে /K - তাপের সবচেয়ে সুপরিবাহী হলো (a) রুপা (b) লোহা (c) কাঁচ (d) তামা
উত্তরঃ (a) রুপা
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
- তাপ প্রয়োগের ফলে কঠিন তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের কি পরিবর্তন ঘটে?
উত্তরঃ তাপ প্রয়োগের ফলে কঠিন পদার্থের দৈর্ঘ্য, ক্ষেত্রফল, আয়তনের পরিবর্তন ঘটে। তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের শুধুমাত্র আয়তনের পরিবর্তন ঘটে - দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন কঠিন পদার্থের একক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে একক দৈর্ঘ্যে যে দৈর্ঘ্য প্রসারণ হয় তাকে দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক বলে। - ক্ষেত্র প্রসারণ গুণাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন কঠিন পদার্থের প্রতি একক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে একক ক্ষেত্রফলে যে ক্ষেত্র প্রসারণ হয় তাকে ক্ষেত্র প্রসারণ গুণাঙ্ক বলে। - আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন কঠিন পদার্থের প্রতি একক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে একক আয়তনে যে আয়তন প্রসারণ হয় তাকে আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক বলে। - আলফা(α), বিটা(β) ও গামার(γ) মধ্যে সম্পর্ক কি?
উত্তরঃ α = β/2=γ/3 - দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক (α) এর একক কি?
উত্তরঃ সিজিএস পদ্ধতিতে /°C, এসআই পদ্ধতিতে /K - ক্ষেত্র প্রসারণ গুণাঙ্ক (β) এর একক কি?
উত্তরঃ Watt.m⁻¹.K⁻¹ - গ্যাসের প্রসারণ গুণাঙ্কের মান লেখো।
উঃ- গ্যাসের প্রসারণ গুণাঙ্ক (γp) = 1/273 °C⁻¹ - SI পদ্ধতিতে কঠিনের দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্কের একক লেখো।
উঃ- K⁻¹
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন – মান ২
- লোহার দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক 12×10⁻⁶°C⁻¹ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ লোহার দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক 12×10⁻⁶°C⁻¹ বলতে বোঝায় 1 m দীর্ঘ একটি লোহার দণ্ডের উষ্ণতা 1°C বৃদ্ধি করলে দণ্ডটির দৈর্ঘ্য 12×10⁻⁶ বৃদ্ধি পারে। - লোহার আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক 36×10⁻⁶°C⁻¹ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ লোহার আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক 36×10⁻⁶°C⁻¹ বলতে বোঝায় 1 m³ আয়তন বিশিষ্ট একটি লোহার টুকরোর উষ্ণতা 1°C বৃদ্ধি করলে পাত্রটির আয়তন 36×10⁻⁶ m3 বৃদ্ধি পাবে। - তাপ পরিবহন ও তড়িৎ পরিবহনের মধ্যে দুটি সাদৃশ্য উল্লেখ করো।
উঃ- (১) কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব প্রভেদ না থাকলে যেমন তড়িৎ প্রবাহ হয় না ঠিক তেমনি পরিবাহীর দুই প্রান্তে উষ্ণতার পার্থক্য না থাকলে তাপ পরিবহন হয় না। (২) তাপ পরিবহনের সময় পরিবাহীর তাপীয় রোধ সৃষ্টি হয় এবং তড়িৎ পরিবহনের সময় পরিবাহীর তড়িৎ রোধ সৃষ্টি হয়। - কঠিনের ক্ষেত্র প্রসারণ গুণাঙ্কের সংজ্ঞা দাও। এর SI একক কী?
উঃ- প্রতি ডিগ্রি উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কোনো কঠিন পদার্থের প্রতি একক ক্ষেত্রফলে যে ক্ষেত্র প্রসারণ হয়, তাকে ওই পদার্থের ক্ষেত্র প্রসারণ গুণাঙ্ক বলে। পদার্থের ক্ষেত্র প্রসারণ গুণাঙ্কের SI একক হল K-11. - কঠিন পদার্থের মধ্যে দিয়ে তাপের পরিবহন কোন তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে লেখো।
উঃ- কঠিন পদার্থের মধ্যে দিয়ে তাপের পরিবহন যে তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তা হল-
১) কঠিন পদার্থের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল ২) কঠিন পদার্থের দৈর্ঘ্য ৩) কঠিন পদার্থের দুই প্রান্তের উষ্ণতার পার্থক্য। - একটি কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রফল T₁ উষ্ণতায় A₁, বর্ণমিটার ও T₂ উষ্ণতায় A₂ বর্ণমিটার। ওই কঠিন পদার্থটির ক্ষেত্র প্রসারণ গুণাঙ্কের গাণিতিক রূপটি একক সহ লেখো।
উঃ- একটি কঠিন পরিবাহীর দৈর্ঘ্য l, প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল A এবং দুই প্রান্তের বিভব-প্রভেদ হয় (V1-V2), তাহলে ওহমের সূত্র অনুযায়ী তড়িৎ প্রবাহমাত্রা I হবে- I = V₁-V₂ / R ………….(i) যেখানে R = পরিবাহীর রোধ। সুতরাং, (i) এবং (ii) সমীকরণ তুলনা করে বলা যায় কঠিন পদার্থের রুদ্ধটির তাপীয় রোধ RH=1/KA - তাপ প্রবাহমাত্রা ও তড়িৎ প্রবাহমাত্রার গাণিতিক রূপটি তুলনা করে তাপীয় রোধের রাশিমালাটি নির্ণয় করো।
উঃ- একটি কঠিন পদার্থের দৈর্ঘ্য l, প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল A এবং দুই প্রান্তের উষ্ণতা θ1 এবং θ2 হল, তাপ প্রবাহমাত্রা, IH = KA(θ₁-θ₂) / l
IH = θ₁-θ₂ / RH…………(i) যেখানে RH = l / KA - ঢালাই এর সময় লোহার তৈরি রড ব্যবহার করা হয় কেন?
উঃ- তাপের বৃদ্ধি বা হ্রাসে লোহার তৈরি রডের সাপেক্ষে যে বাড়া কমা হয় তা কংক্রিটের বাড়া কমার সঙ্গে প্রায় সমান হয়। লোহার তৈরি রডের সাপেক্ষে এই বাড়া কমা কংক্রিটের সমান না হলে যে চাপ সৃষ্টি হবে তাতে ঢালাই ফেটে যেতে পারে। - তরলের প্রকৃত প্রসারণ গুণাঙ্ক ও আপাত প্রসারণ গুণাঙ্কের সংজ্ঞা দাও। এদের মধ্যে সম্পর্কটি লেখো।
উঃ- তরলের প্রকৃত প্রসারণ গুণাঙ্কঃ প্রতি ডিগ্রি উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য 0°C উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের কোনো তরলের একক আয়ত্বে যে প্রকৃত প্রসারণ হয় তাকে ওই তরলের প্রকৃত প্রসারণ গুণাঙ্ক (γr) বলে। তরলের আপাত প্রসারণ গুণাঙ্কঃ প্রতি ডিগ্রি উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য 0°C উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের কোনো তরলের একক আয়ত্বে যে আপাত প্রসারণ হয় তাকে ওই তরলের আপাত প্রসারণ গুণাঙ্ক (γa) বলে।
γr এবং γa এর মধ্যে সম্পর্কঃ γr = γa + γg, যেখানে γg হল পাত্রের উপাদানের আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক। - শীতকালে পাথরের মেঝের তুলনায় কার্পেটের মেঝেরে আরামদায়ক মনে হয় কেন?
উঃ- শীতকালে কার্পেটের মেঝের তুলনায় পাথরের মেঝে বেশি ঠান্ডা মনে হয়। কার্পেটের তুলনায় পাথর তাপের সুপরিবাহী। পাথর মানুষের পা থেকে বেশি তাপ পরিবাহিত করে, কার্পেট কম তাপ পরিবাহিত করে, ফলে পাথরের মেঝে বেশি ঠান্ডা মনে হয় এবং কার্পেটের মেঝে কম ঠান্ডা মনে হয়। - তরলের দুই প্রকার আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্কের মধ্যে কোনটি তরলের নিজস্ব ধর্ম, তা যুক্তিসহ লেখো।
উঃ- তরলের দুই প্রকার আয়তন গুণাঙ্ক। একটি হলো প্রকৃত প্রসারণ গুণাঙ্ক ও প্রকৃত প্রসারণ গুণাঙ্ক। এদের মধ্যে প্রকৃত প্রসারণ গুণাঙ্ক তরলের নিজস্ব ধর্ম। তরলের প্রসারণ লক্ষ করতে হলে তরলকে একটি পাত্রে নিয়ে উত্তপ্ত করতে হয়। তাপ প্রয়োগের ফলে যেমন তরলের প্রসারণ হয় তেমনি তার সঙ্গে পাত্রেরও প্রসারণ হয়, তাকেই তরলের প্রকৃত প্রসারণ বলে। তাই তরলের প্রকৃত প্রসারণ নিজস্ব ধর্ম।
আয়তন প্রসারণ অপেক্ষেতর বেশি। তরলের আপাত প্রসারণ গুণাঙ্ক হলো পাত্রের প্রসারণের ওপর নির্ভরশীল। দ্বিতীয়ত, কঠিনের আপাত আয়তন প্রসারণ নেই; তবে তরলের আপাত আয়তন প্রসারণ হয়। আপাত প্রসারণ গুণাঙ্কের মান পাত্রের প্রসারণের উপর নির্ভরশীল। তৃতীয়ত, কঠিনের আয়তন প্রসারণ অপেক্ষেত কম; আর তরলের আয়তন প্রসারণ অপেক্ষেতক বেশি
- তরলের ক্ষেত্রে প্রকৃত ও আপাত এই দুই প্রকার প্রসারণের উল্লেখ করা হয় কেন?
উত্তরঃ কোনো তরলকে তাপ দিতে হলে ওই তরলকে কোনো পাত্রে বা আধারে রেখে তাপ দিতে হবে। প্রথমে তাপ বা আধারটির আয়তন তাপ প্রয়োগে বাড়ে এবং তরলের তাপীয় প্রসারণ অনেক কম সেজন্য আপাতদৃষ্টিতে তরলের প্রসারণই চোখে পড়ে। পাত্রের প্রসারণ উপেক্ষা করে যে আয়তন প্রসারণ হয় তাকে আপাত প্রসারণ বলে। আবার পাত্রের প্রসারণকে হিসাবের মধ্যে ধরলে যে আয়তন প্রসারণ পাওয়া যায় তাকে প্রকৃত প্রসারণ বলে। - তরলের আপাত প্রসারণ গুণাঙ্ক আছে, গ্যাসের ক্ষেত্রে ওই গুণাঙ্ক নেই কেন?
উত্তরঃ উষ্ণতা বৃদ্ধিতে তরল ও গ্যাসের আয়তন প্রসারণের সময় ধারক পাত্রেও প্রসারণ হয়। কিন্তু তরলের তাপীয় প্রসারণ অপেক্ষা গ্যাসের প্রসারণ অনেক বেশি হওয়ায় গ্যাসের ক্ষেত্রে পাত্রের আয়তন প্রসারণকে নগণ্য হিসাবে ধরা যায়। এজন্য পাত্রের প্রসারণের ব্যাপারটি তরলের ক্ষেত্রে হিসাবের মধ্যে নিলেও গ্যাসের ক্ষেত্রে হিসাবের মধ্যে না নিলেও চলে। তাই তরলের আপাত প্রসারণ গুণাঙ্ক থাকলেও গ্যাসের ক্ষেত্রে থাকে না। - গ্যাসের আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্কের সংজ্ঞা লেখো।
উত্তরঃ চাপ স্থির রেখে কোনো নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের উষ্ণতা 0°C থেকে 1°C বৃদ্ধি করা হলে এর প্রতি একক আয়তনে যে আয়তন বৃদ্ধি হবে তাকেই ওই গ্যাসের আয়তন গুণাঙ্ক বলে। - শীতকালে একই উষ্ণতায় থাকা একটি কাঠের চেয়ার এবং একটি লোহার চেয়ার হাত দিয়ে স্পর্শ করলে লোহার চেয়ার টিকে বেশি ঠান্ডা মনে হয় কেন? অথবা শীতকালে পাশাপাশি রাখা একটি লোহার চেয়ার এবং একটি কাঠের চেয়ারকে স্পর্শ করলে কাঠের চেয়ার অপেক্ষা লোহার চেয়ার বেশি ঠান্ডা মনে হয়, যদিও কাঠ ও লোহা উভয়ই মদেচ্ছই উষ্ণতা সমান। এর কারণ হল- লোহা তাপের সুপরিবাহী হওয়ায় এটি আমাদের দেহ থেকে দ্রুত তাপের পরিবহন ঘটায়- ফলে আমাদের দেহে শীতলতার অনুভূতি জন্মায়।
আলো
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
- দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ (r) ও ফোকাস (f) দৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তরঃ f=r/2 - সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ কত?
উত্তরঃ অসীম। - সমতল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ অসীম - গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাসের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ একটি - গোলীয় দর্পণকে জলে ডোবালে ফোকাস দৈর্ঘ্যের কী পরিবর্তন হবে?
উত্তরঃ অপরিবর্তিত থাকবে। - উত্তল দর্পণের ব্যবহারের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ গাড়ির ভিউ ফাইন্ডার, স্ট্রিট ল্যাম্পে প্রতিফলক হিসেবে ব্যবহার হয়। - অবতল দর্পণের ব্যবহারের উদাহরণ দাও?
উত্তরঃ টেলিস্কোপ, মোটর গাড়ির হেডলাইট, দন্ত চিকিৎসা ইত্যাদি - স্ট্রিট ল্যাম্পে প্রতিফলক হিসাবে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ উত্তল লেন্স - অবতল দর্পণ কখন সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব গঠন করে?
উত্তরঃ বস্তু যখন অবতল দর্পণের মেরু ও ফোকাসের মাঝামাঝি অবস্থান করে তখন সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। - উত্তল দর্পণের সামনে বস্তু রাখলে বস্তুর প্রতিবিম্ব কেমন হবে?
উত্তরঃ প্রতিবিম্বটি আকারে ছোটো, সমশীর্ষ ও অসদ হবে। - উত্তল দর্পণে রৈখিক বির্বধন কত হয়?
উত্তরঃ 1 এর চেয়ে কম হয়। - জলের মধ্যে থাকা বায়ুর বুদবুদ কোন ধরনের লেন্সের মতো আচরণ করে?
উত্তরঃ অবতল লেন্স। - উত্তল লেন্সে ফোকাসে থাকা বস্তুর প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?
উত্তরঃ অসীমে। - উত্তল লেন্স দ্বারা কোন ধরনের দৃষ্টি ত্রুটি প্রতিকার করা হয়?
উত্তরঃ দীর্ঘদৃষ্টি বা hypermetropia - অবতল লেন্সের চশমা ব্যবহার করে কোন ধরনের ত্রুটি দূর করা যায়?
উত্তরঃ হ্রস্বদৃষ্টি বা myopia - সরল ক্যামেরায় কোন লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ উত্তল লেন্স - সরল ক্যামেরা দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
উত্তরঃ প্রতিবিম্বটি সদ ও অবশীর্ষ হয় - কোন বর্নের আলোর জন্য উত্তল লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য সর্বাধিক?
উত্তরঃ লাল বর্ণ - সাদা আলোর কোন বর্নের প্রতিসরাঙ্ক সর্বনিম্ন?
উত্তরঃ লাল। - একটি লাল গোলাপকে নীল আলোয় দেখলে কেমন দেখাবে?
উত্তরঃ কালো। - প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে যে বর্নের বিচ্যুতি সর্বনিম্ন সেটি হল _
উত্তরঃ লাল। - প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে যে বর্নের বিচ্যুতি সর্বাধিক সেটি কোনটি?
উত্তরঃ বেগুনি বর্ণ - আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক ঘটনার উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ রামধনু। - আলোক রশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে গেলে আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণের মধ্যে কোনটি বড় হয়?
উত্তরঃ লঘু মাধ্যমে আপতন কোণ বড় হবে। - আলোর বিচ্ছ্বেপণের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ লাল আলোকে অনেক দূর থেকে বোকা যায়। কিন্তু সেই তুলনায় নীল বা বেগুনিকে বোঝা যায় না। - কোন বর্নের আলোর বিচ্ছ্বেপণ সবচেয়ে বেশি হয়?
উত্তরঃ দৃশ্যমান আলোর ক্ষেত্রে বেগুনি - কোন বর্নের আলোর বিচ্ছ্বেপণ সবচেয়ে কম হয়?
উত্তরঃ দৃশ্যমান আলোর ক্ষেত্রে লাল
সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী প্রশ্ন
- ENT ডাক্তাররা কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করেন (a) সমতল (b) অবতল (c) উত্তল (d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (c) অবতল - মোটর গাড়ির হেডলাইটে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয় (a) সমতল (b) উত্তল (c) অবতল (d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (c) অবতল - বস্তুর থেকে আকারে বড় অসদবিম্ব তৈরি করতে কোন ধরনের দর্পণ লাগে (a) সমতল (b) অবতল (c) উত্তল (d)কোনোটিই নয়
উত্তরঃ অবতল দর্পণ - দীর্ঘ দৃষ্টির প্রতিকারের জন্য ব্যবহৃত হয় যে লেন্স (a) উত্তল লেন্স (b) অবতল লেন্স (c) উত্তল দর্পণ (d) অবতল দর্পণ
উত্তরঃ (a) উত্তল লেন্স - স্বল্পদৃষ্টির কারণ (a) অক্ষিগোলকের আকার বড় হয়ে যাওয়া (b) অক্ষিগোলকের আকার ছোট হয়ে যাওয়া (c) ফোকাস দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়া (d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (b) অক্ষিগোলকের আকার ছোট হয়ে যাওয়া - লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে প্রতিসরণ কোণের মান (a)0° (b) 30° (c )60°(d)90°
উত্তরঃ (a) 0° - সবুজ কাঁচের মধ্য দিয়ে একটি লাল ফুলকে দেখলে (a) লাল দেখায় (b) নীল দেখায় (c) বেগুনি দেখায় (d) কালো দেখায়
উত্তরঃ (d) কালো দেখায় - প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলো যাওয়ার সময় কোন বর্নের চ্যুতি সবচেয়ে বেশি (a) কমলা (b) হলুদ (c) হলুদ (d) নীল
উত্তরঃ (d) নীল - একটি প্রিজমের প্রতিসারক তলের সংখ্যা (a)3 (b) 2 (c )4 (d) 5
উত্তরঃ (a) 3 - লেন্সের আলোক কেন্দ্রগামী রশ্মির চ্যুতি (a)0° (b)30° (c )60° (d)100°
উত্তরঃ (a) 0° - নিচের তরঙ্গ গুলির মধ্যে সবচেয়ে কম কোনটি (a) গামা রশ্মি (b) এক্স রশ্মি (c) অতিবেগুনি রশ্মি (d) অবলোহিত রশ্মি
উত্তরঃ (a) গামা রশ্মি - একটি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রে কোনো বস্তু রাখলে প্রতিবিম্বে রৈখিক বির্বধন হবে (a)2 (b)3 (c) 1 (d)0
উত্তরঃ (c) 1 - গোলীয় দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ ‘r’, এবং ফোকাস দৈর্ঘ্য ‘f‘, এর মধ্যে সম্পর্কটি হল- (a) f=2r (b) r = 2f (c) f = r (d) r = 3f
উত্তরঃ r = 2f - প্রিজমের মধ্যে দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে যে বর্নের বিচ্যুতি সর্বাধিক, সেটি কোনটি- (a) লাল (b) হলুদ (c) বেগুনি (d) সবুজ
উত্তরঃ বেগুনি। - একটি পাতলা উত্তল লেন্সের আলোককেন্দ্র ও ফোকাসের মধ্যে একটি বস্তু রাখা আছে। বস্তুর প্রতিবিম্বের প্রকৃতি কোনটি – (a) সদ ও অবশীর্ষ (b) অসদ ও অবশীর্ষ (c) সদ ও সমশীর্ষ (d) অসদ ও সমশীর্ষ।
উত্তরঃ D - একটি লাল ও একটি বেগুনি বর্নের আলোক রশ্মি বায়ু মাধ্যম থেকে একই কোণে একটি প্রিজমের আনততলে আপতিত হয়ে যথাক্রমে r ও v প্রতিসরণ কোণ উৎপন্ন করলে নীচের কোনটি সঠিক? (a) r=v (b) r=1/v (c) r > v (d) r < v
উত্তরঃ r < v - একটি বিন্দু আলোক উৎস একটি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রে স্থাপিত হল। এই উৎস থেকে দর্পণে আপতিত ও দর্পণ থেকে প্রতিফলিত রশ্মির মধ্যে চ্যুতি কোণ হল (a) 0° (b) 180° (c) 90° (d) 360°
উত্তরঃ 180° - নীচের কোনটির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি ? (a) X রশ্মি (b) Y রশ্মি (c) আতিবেগুনি রশ্মি (d) অবলোহিত রশ্মি
উত্তরঃ অবলোহিত রশ্মি। - প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণ যথাক্রমে 45° ও 30° হলে কৌণিক বিচ্যুতির মান হবে (a) 75° (b) 15° (c) 7.5° (d) 37.5°
উত্তরঃ (45-30)° = 15° - ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসরণের ক্ষেত্রে চ্যুতি কোণের মান হল- (a) i-r (b) r-i (c) i-2r (d) 2r-i
উত্তরঃ r-i - A, B, C, D চারটি মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক যথাক্রমে 1.5, 1.4, , 2.5, 1.3। এদের মধ্যে কোন মাধ্যমে আলোর বেগ সর্বাধিক- (a) A (b) B (c) C (d) D
উত্তরঃ D - মোটর গাড়ির হেডলাইটে ব্যবহৃত হয়- (a) উত্তল দর্পণ (b) অবতল দর্পণ (c) সমতল দর্পণ (d) উত্তল ও সমতল দর্পণ।
উত্তরঃ অবতল দর্পণ। - আলোককেন্দ্র দিয়ে যাবার সময় আলোকরশ্মির চ্যুতি – (a) 0° (b) 45° (c) 30° (d) 90°
উত্তরঃ 0° - শূন্য মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্কের মান – (a) 0 (b) 1 (c) 1.5 (d) 1.33
উত্তরঃ 1 - কোন জোড়টি সাদা আলোর বর্ণালির দুটি প্রান্তিক বর্ণ? (a) লাল ও বেগুনি (b) লাল ও সবুজ (c) বেগুনি কমলা (d) নীল ও আকাশি
উঃ লাল ও বেগুনি - লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে প্রতিসরণ কোণের মান – (a) 0° (b) 90° (c) 180° (d) দুই মাধ্যমের সংকট কোণ
উঃ 0° - একটি অবতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ 20 সেমি. হলে দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য হবে- (a) 20 সেমি. (b) 15 সেমি.(c) 10 সেমি. (d) 40 সেমি.
উঃ 10 সেমি. - দন্ত চিকিৎসকগণ ব্যবহার করেন- (a) উত্তল দর্পণ (b) উত্তল লেন্স (c) অবতল দর্পণ (d) অবতল লেন্স।
উঃ অবতল দর্পণ। - কোন দর্পণে বস্তুর তুলনায় ছোট প্রতিবিম্ব তৈরি হয়?
উঃ অবতল দর্পণ।
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন
- গোলীয় দর্পণের মেরু বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ একটি গোলীয় দর্পণের প্রতিফলক তলের মধ্যবিন্দুকে ওই দর্পণের মেরু বলে। - কোন গোলীয় দর্পণে লাল আলোর পরিবর্তে হলুদ আলো ফেলা হলো। ফোকাস দৈর্ঘ্যের কি পরিবর্তন হবে?
উত্তরঃ ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন হবে না - f ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি অবতল দর্পণকে জলে (প্রতিসরাঙ্ক 4/3) নিমজ্জিত করা হলো, ফোকাস দৈর্ঘ্যের কি পরিবর্তন হবে?
উত্তরঃ ফোকাস দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকবে - স্ট্রিট ল্যাম্পের প্রতিফলক হিসেবে কি ধরণের দর্পণ ব্যবহার করবে?
উত্তরঃ উত্তল দর্পণ - দাড়ি কামানোর দর্পণ হিসেবে কোন দর্পণ ব্যবহার করা উচিত?
উত্তরঃ অবতল দর্পণ - অবতল দর্পণ কখন কোন বস্তুর সমান আকৃতির প্রতিবিম্ব তৈরি করে?
উত্তরঃ বস্তু দর্পণটির বক্রতা কেন্দ্রে থাকলে - মোটর গাড়ির ভিউফাইন্ডার এ কোন দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ উত্তল দর্পণ - অবতল দর্পণের প্রধানাক্ষের সমান্তরালে কোন আলোকরশ্মি পড়লে প্রতিফলনের পর কোন পথে যায়?
উত্তরঃ ফোকাস বিন্দুর মধ্য দিয়ে যায় - অবতল দর্পণ কখন সদ ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব তৈরি করে?
উত্তরঃ বস্তুুটি দর্পণটির ফোকাস দূরত্বের মধ্যে থাকো। - একটি সমতল দর্পণের বির্বধনের মান কত?
উত্তরঃ সমতল দর্পণে বির্বধন সর্বদা 1 - কোন দর্পণে বস্তুর তুলনায় ছোট প্রতিবিম্ব তৈরি হয়?
উত্তরঃ অবতল দর্পণ। - কোন আলোকরশ্মি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র দিয়ে গেলে আপতন কোণের মান কত?
উত্তরঃ 0° - কোন মাধ্যমে আলোর গতিবেগ সবচেয়ে বেশি?
উত্তরঃ শূন্য মাধ্যমে - অবতল দর্পণের একটি ব্যাবহারিক প্রয়োগ লেখ।
উত্তরঃ দন্ত চিকিৎসকেরা এই দর্পণ ব্যবহার করেন - একটি প্রিজমের আয়তাকার তলের সংখ্যা কটি?
উত্তরঃ তিনটি - কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের একক কি?
উত্তরঃ প্রতিসরাঙ্কের কোন একক নেই - আলোকরশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে গেলে আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণের মধ্যে কোনটি বড়?
উত্তরঃ আপতন কোণের মান বড় - মরীচিকা সদ বিম্ব না অসদ বিম্ব?
উত্তরঃ অসদ বিম্ব - বিবর্ধক কাচরূপে কোন প্রকারের লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ উত্তল লেন্স - বস্তুর কোন অবস্থানে উত্তল লেন্স অসদ বিম্ব তৈরি করে?
উত্তরঃ আলোককেন্দ্র ও প্রকাশণের মধ্যে বস্তু থাকলে - কোন লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছ কে অপসারী আলোকরশ্মি গুচ্ছে পরিণত করে?
উত্তরঃ অবতল লেন্স - উত্তল লেন্স দ্বারা গঠিত সূর্যের প্রতিবিম্ব লেন্সের সাপেক্ষে কোথায় তৈরি হবে?
উত্তরঃ ফোকাসে - একটি উত্তল লেন্সকে জলে ডোবালে ফোকাস দূরত্বের কি পরিবর্তন হবে?
উত্তরঃ ফোকাস দৈর্ঘ্য বাড়বে - লেন্সের ক্ষমতার একক কি?
উত্তরঃ ডায়াপটার - একটি উত্তল লেন্সের ফোকাসে বস্তু রাখলে বির্বধনের মান কত?
উত্তরঃ অসীম - মোটর গাড়ির স্ট্রিট লাইটে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ উত্তল দর্পণ - বিবর্ধক কাচ হিসেবে কোন প্রকারের লেন্স ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ উত্তল লেন্স। - মায়োপিয়া বা হ্রস্বদৃষ্টি দূর করতে কোন ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ অবতল লেন্স। - কোন লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছকে অপসারী আলোকরশ্মি গুচ্ছে পরিণত করে ?
উঃ অবতল লেন্স। - কোন ধরনের লেন্সের সাহায্যে দীর্ঘ দৃষ্টি প্রতিকার করা যায় ?
উঃ উত্তল লেন্স - প্রিজমের মধ্যে দিয়ে সাদা আলো পাঠালে কোন বর্নের আলোর বিচ্যুতি নূন্যতম হবে ?
উঃ লাল বর্নের আলোর বিচ্যুতি নূন্যতম হবে। - আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ দাও।
উঃ আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ হল রামধনু। - বর্ণালী কাকে বলে ? বর্ণালী কত প্রকার ও কি কি ?
উঃ বহুবর্ণী আলো প্রিজমের মধ্যে দিয়ে প্রতিসরণের ফলে বিশ্লিষ্ট হয়ে বিভিন্ন উপদান বর্নের আলোকগুচ্ছে পরিণত হয়ে পর্দায় যে চওড়া পটি উৎপন্ন করে তাকে বর্ণালী বলে।
বর্ণালী দুই প্রকার, শুদ্ধ বর্ণালী ও অশুদ্ধ বর্ণালী। - এক্স রশ্মির একটি ব্যবহার লেখো।
উঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোগ নির্ণয়, ক্যান্সার, টিউমারের চিকিৎসায় এক্স রশ্মি ব্যবহৃত হয়। - একটি আলোক রশ্মি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র দিয়ে গেলে আপতন কোণ কত হবে?
উঃ আলোক রশ্মি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র দিয়ে গেলে তা দর্পণের ওপর লম্বভাবে আপতিত হয়, অর্থাৎ আপতন কোণ হবে 90°। - উত্তল লেন্সের সামনে কোথায় বস্তু রাখলে বস্তুর সমান আকারের সদবিম্ব গঠিত হয় ?
উঃ ফোকাসে। - মোটর গাড়ির হেডলাইটে কোন দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উঃ অবতল দর্পণ। - কোনোও দর্পণে বস্তুর দৈর্ঘ্যের তুলনায় ছোট দৈর্ঘ্যের অসদ প্রতিবিম্ব গঠিত হতে পারে কী?
উঃ হ্যাঁ পারে, উত্তল দর্পণে বস্তুর তুলনায় ছোট দৈর্ঘ্যের অসদ প্রতিবিম্ব গঠিত হতে পারে। - লাল ও নীল বর্নের আলোর জন্য কোনোও মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক যথাক্রমে µ₁ ও µ₂ হলে কোনটির মান বেশি?
উঃ µ₁।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন – মান ২ ও ৩
- উপাক্ষীয় রশ্মি কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব আলোকরশ্মি প্রধান অক্ষের খুব কাছ দিয়ে গিয়ে লেন্সের উপরে আপতিত হয় তাদের উপাক্ষীয় রশ্মি বলে। - কোন মাধ্যমে প্রতিসরাঙ্ক একের বেশি হতে পারে কি? যুক্তি দাও।
উত্তরঃ শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ ও কোন মাধ্যমে আলোর বেগের অনুপাত কে সেই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলে। শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগের চেয়ে অন্য কোন মাধ্যমে আলোর বেগ বেশি হতে পারে না। অর্থাৎ প্রতিসরাঙ্কের মান একের থেকে ছোট হতে পারেনা - আলোকরশ্মি ঘনমাধ্যম থেকে লঘুমাধ্যমে প্রবেশ করলে দিকের পরিবর্তন কিভাবে হবে?
উত্তরঃ আলোকরশ্মি ঘনমাধ্যম থেকে লঘুমাধ্যমে প্রবেশ করলে আপতন কোণের চেয়ে প্রতিসরণ কোণের মান বেশি হবে। অর্থাৎ প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যাবে। - সমান্তরাল কাচ ফলকে আলোকরশ্মির প্রতিসরণের ফলে চ্যুতি হয় না কেন?
উত্তরঃ সমান্তরাল কাচ ফলকে আলোকরশ্মি একটি তলে লঘু মাধ্যম থেকে প্রতিসৃত হয়ে তাই এক্ষেত্রে আপতিত রশ্মি প্রতিসৃত রশ্মির সমান্তরাল হয়। রশ্মি দুটি সমান্তরাল হলেও এদের মধ্যে কিছু পার্শ্ব সরণ ঘটে - একটি সবুজ কাঁচের মধ্য দিয়ে লাল ফুলকে দেখলে কি দেখবে ও কেন?
উত্তরঃ কালো দেখাবে। কারণ লাল ফুল সাদা সব রং কে শোষণ করে শুধুমাত্র লাল রঙটিকে প্রতিফলিত করে। সবুজ কাঁচ সবুজ ছাড়া সব রং কে শোষণ করে, তাই লাল ফুল থেকে আগত লাল বর্ণ কে সবুজ কাঁচ শোষণ করে নেয়। তাই কালো লাগে। - বিপদ সংকেত রূপে লাল আলো ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বাড়লে বিচ্ছ্বেপণ কম হয়। বিচ্ছ্বেপণ কম হয় বলে অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যায়। তাই বিপদ সংকেত রূপে লাল আলো ব্যবহার করা হয়। - স্বল্পদৃষ্টি বা মায়োপিয়া কি? কেন হয়? এর প্রতিকার লেখ।
উত্তরঃ চোখের যে ত্রুটি কাকে কাছের জিনিসপত্র দেখা গেলেও দূরের জিনিস স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় না তাকে হ্রস্বদৃষ্টি বা মায়োপিয়া বলে।
মায়োপিয়ার কারণ: 1. অক্ষিগোলকের আকার বৃদ্ধি পেলে 2. চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব কমে গেলে প্রতিকার: উপযুক্ত ক্ষমতার অবতল লেন্স ব্যবহার করে এই ত্রুটির প্রতিকার করা যায়। - শূন্য মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না কেন?
উত্তরঃ রেলের সূত্র অনুযায়ী Sin i/Sin r = ধ্রুবক ( i = আপতন কোণ, r = প্রতিসরণ কোণ)। এই ধ্রুবকটিকে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলে। প্রতিসরাঙ্কের মান আপতিত আলোর বর্ণ এবং মাধ্যম দুটির প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। এখন শূন্য মাধ্যম বা বায়ুর মাধ্যমে প্রতিটি বর্নের আলোর বেগ সমান হলেও কোন আলোকরশ্মি মাধ্যমে ভিন্ন বর্নের আলোর বেগ ভিন্ন হয়। দৃশ্যমান আলোর ক্ষেত্রে বেগুনি আলোর জন্য মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক সর্বোচ্চ এবং লাল বর্নের জন্য সর্বনিম্ন হয়। প্রতিসরাঙ্কের এই পরিবর্তনের জন্য প্রতিসরণের ফলে ভিন্ন বর্নের আলো ভিন্ন কোণে বেঁকে যায়। একই আপতন কোণের জন্য তাই সাদা আলোর মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন বর্নের আলোর প্রতিসরণ বিভিন্ন হয়। এই কারণে সাদা আলো বিচ্ছুরিত হয়। - গাড়ির হেডলাইটে কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয় এবং কেন?
উঃ মোটর গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। একটি অবতল প্রতিফলকের ফোকাসে একটি বাল্ব জ্বালালে হলে বাল্ব থেকে উৎপন্ন অপসারী আলোকরশ্মি অবতল প্রতিফলকে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পরে সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছে পরিণত হয়। এই সমান্তরাল আলোকরশ্মি গুচ্ছ অনেক দূরে যায় এবং গাড়ির চালক রাতের অন্ধকারে অনেক দূরের বস্তুকে দেখতে পায়। - উত্তল বা অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে দেখাও যে, f = r/2
উঃ- আলোর বিচ্ছুরণের প্রাকৃতিক উদাহরণ হল রামধনু।
প্রতিবিম্বের উষ্ণতা এবং বস্তুর উষ্ণতার অনুপাতকে রৈখিক বির্বধন বলে।
[Image illustrating the relationship f = r/2 for a concave mirror]
উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রেঃ- M₁PM₂ হল একটি উত্তল দর্পণের প্রধান ছেদ, C বক্রতাকেন্দ্র, F ফোকাস এবং P মেরু। একটি আলোকরশ্মি RS প্রধান অক্ষের সমান্তরালে এসে দর্পণের S বিন্দুতে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর ফোকাস F থেকে নির্গত হচ্ছে বলে মনে হয় এবং ST পথে চলে যায়। CSN দর্পণের উপর S বিন্দুতে লম্ব।
প্রতিফলনের সূত্র অনুযায়ী, ∠RSN= ∠TSN
∠ FSC= ∠TSN (বিপ্রতীপ কোণ) RS এবং PC রেখা পরস্পরের সমান্তরাল বলে ∠SCF=∠RSN (অনুরূপ কোণ) সুতরাং ∠FSC= ∠SCF
অতএব, CF=FS
দর্পণের উন্মেষ তার বক্রতা ব্যাসার্ধের তুলনায় অনেক ছোট এবং আপতিত রশ্মিগুলি উপাক্ষীয় হলে S বিন্দু P বিন্দুর খুব কাছে হয়। সেক্ষেত্রে FS=FP।
∴ f=1/2r (যেখানে r দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ এবং f ফোকাস দৈর্ঘ্য) - কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক আলোর বেগের উপর কিভাবে নির্ভরশীল ?
উঃ- আলোর গতিবেগে বাড়লে কোনো মাধ্যমে প্রতিসরাঙ্ক বাড়ে। - শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বর্ণালি কাকে বলে ?
উঃ- শুদ্ধ বর্ণালি :- যে বর্ণালীতে উপাদানগত বর্ণ গুলি নিজ নিজ অবস্থানে থেকে স্পষ্ট বর্ণপটির সৃষ্টি করে তাকে শুদ্ধ বর্ণালী বলে।
অশুদ্ধ বর্ণালিঃ- যে বর্ণালীতে উপাদানগত বর্ণ গুলি পাশাপাশি একে অন্যের ওপর পড়ে মিশ্র বর্ণ পটির সৃষ্টি করে তাকে অশুদ্ধ বর্ণালী বলে। - আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ দাও। প্রতিবিম্বের রৈখিক বির্বধন কাকে বলে ?
উঃ- একটি বায়ু মাধ্যমে রাখা প্রিজম। ∠A প্রিজমের প্রতিসারক কোণ, AB এবং AC দুটি প্রতিসারক তল এবং BC প্রিজমের ভূমি। একটি আলোকরশ্মি PQ বায়ুর মধ্য দিয়ে গিয়ে প্রিজমের AB প্রতিসারক তলের Q বিন্দুতে আপতিত হয়ে প্রতিসরণের পরে প্রিজমের মধ্য দিয়ে QS পথে প্রতিসৃত হয়ে অন্য প্রতিসারক তল AC এর উপর S বিন্দুতে আপতিত হয়ে ST পথে বায়ুতে নির্গত হয়েছে।NQO, AB তলের Q বিন্দুতে অভিলম্ব এবং NR’, IS তলের S বিন্দুতে অভিলম্ব। Q বিন্দুতে আপতন কোণ ∠PQN = i₁, এবং প্রিজমের কোণ ∠TSN = i₂, r₁IS বিন্দুতে আপতন কোণ ∠QSO = r₁, এবং r₂ হল ∠RQS + ∠RSQ
সুতরাং প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসরণের ফলে আলোকরশ্মির চ্যুতি, ∠XRT = δ
এখন, δ = ∠XRT = ∠RQS + ∠RSQ
∴ δ = (∠RQO – ∠SQO) + ( ∠RSO – ∠QSO)
δ = (i₁ – r₁) + (i₂ – r₂)
এখন, ΔQOS এ, r₁ + r₂ + ∠O = 180°………..(i)
আবার AQOS চতুর্ভুজে ∠AQO = ∠ASO = 90°
∴ ∠A + ∠O = 180°……………(ii)
(i) এবং (ii) থেকে পাই ∠A = r₁ + r₂
সুতরাং, চ্যুতি কোণ δ = i₁ + i₂ – A - কোনো তারের রোধ ৪Ω, তারটি কেটে অর্ধেক করা হলে তার নতুন রোধ কত হবে?
উঃ- তারকে কেটে অর্ধেক করা হলে তাদের দৈর্ঘ্য অর্ধেক হবে। যেহেতু তারের রোধ তারের দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক তাই তারটিকে নতুন রোধ হবে 4 ওহম। - কোনো মাধ্যমে আলোর বেগ 3 x 10⁸ m/s হলে ঐ মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক কত?
উঃ- আমরা জানি, শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ 3 x 10⁸ m/s ঐ মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক(μ) = শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ / ঐ মাধ্যমে আলোর বেগ = 3×10⁸/2×10⁸ = 1.5
অতএব, ঐ মাধ্যমে প্রতিসরাঙ্ক হবে 1.5। - বায়ু সাপেক্ষে কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক √2। বায়ুতে আলোকরশ্মির আপতন কোণ 45° হলে প্রতিসরণের ক্ষেত্রে ঐ রশ্মির চ্যুতি কোণ কত হবে তা নির্ণয় করো।
উঃ- প্রতিসরাঙ্ক (μ) = √2, বায়ুতে আলোকরশ্মির আপতন কোণ ( i ) = 45°
μ = Sin i / Sin r
Sin r = √2/2 = 1/√2
Sin r = Sin 30°
r = 30°
প্রতিসরণ কোণ (r) = 30°
চ্যুতি কোণ = ( i – r) = (45° – 30°) = 15°
অতএব, চ্যুতি কোণ = 15° - একটি আলোক রশ্মি প্রিজমের মধ্যে দিয়ে যায়। দেখাও যে, চ্যুতি কোণের মান δ = i₁ + i₂ – A
উঃ- একুটি বায়ু মাধ্যমে রাখা প্রিজম। ∠A প্রিজমের প্রতিসারক কোণ, AB এবং AC দুটি প্রতিসারক তল এবং BC প্রিজমের ভূমি। একটি আলোকরশ্মি PQ বায়ুর মধ্য দিয়ে গিয়ে প্রিজমের AB প্রতিসারক তলের Q বিন্দুতে আপতিত হয়ে প্রতিসরণের পরে প্রিজমের মধ্য দিয়ে QS পথে প্রতিসৃত হয়ে অন্য প্রতিসারক তল AC এর উপর S বিন্দুতে আপতিত হয়ে ST পথে বায়ুতে নির্গত হয়েছে। NQO, AB তলের Q বিন্দুতে অভিলম্ব এবং NR’, IS তলের S বিন্দুতে অভিলম্ব। Q বিন্দুতে আপতন কোণ ∠PQN = i₁, এবং প্রিজমের কোণ ∠TSN = i₂।
এখন, ΔQOS এ r₁ + r₂ + ∠O = 180°…………(i)
আবার AQOS চতুর্ভুজে ∠AQO + ∠ASO = 90°
∴ ∠A + ∠O = 180°…………(ii)
সুতরাং, চ্যুতি কোণ δ = i₁ + i₂ – ∠A - দীর্ঘ দৃষ্টি কী? এর প্রতিকারের জন্য কোন লেন্স ব্যবহৃত হয়?
উঃ- যদি চোখ দূরের বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে পায় কিন্তু কাছের বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে চোখের দৃষ্টিজনিত ত্রুটিকে দীর্ঘদৃষ্টি বলে। প্রতিকার- এর প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত ফোকাস দূরত্বের উত্তল লেন্স ব্যবহার করতে হবে। - একটি সরল ক্যামেরা দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উঃ- (i) সরল ক্যামেরা দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের প্রকৃতি হয় সদৃশ্য ও অবশীর্ষ। (ii) সরল ক্যামেরা দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের আকার বস্তুর চেয়ে ছোট। - অসীমে অবস্থিত কোনো বস্তু অবতল দর্পণ কর্তৃক গঠিত প্রতিবিম্ব দর্পণের সামনে কোথায় গঠিত হবে? প্রতিবিম্বটির একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উঃ- অসীমে অবস্থিত কোনো বস্তু অবতল দর্পণ কর্তৃক গঠিত প্রতিবিম্ব দর্পণের সামনে ফোকাসে গঠিত হবে। প্রতিবিম্বটি বস্তুর उल्टा গঠিত হবে। - একটি কাঁচফলকের ওপর 45° কোণে আপতিত সাদা আলোর প্রতিসরণের পর কাঁচফলকের ভেতরে বিচ্ছুরণ হবে কী?
উঃ- কাঁচ ফলকের ভেতরে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটবে না। - একটি প্রিজমের প্রধান ছেদ একটি সমবাহু ত্রিভুজ। ঐ প্রিজমের একটি প্রতিসারক তলে 30° কোণে আনত একটি রশ্মি যদি অন্য প্রতিসারক তলে 45° কোণে নির্গত হয় তাহলে চ্যুতি কোণ কত হবে?
উঃ- প্রিজমের প্রধান ছেদ একটি সমবাহু ত্রিভুজ, তাই প্রিজমের প্রতিসারক কোণ হবে (A) = 60°। একটি তলে আপতন কোণ (i₁) 30° এবং অন্য প্রতিসারক তলে (i₂) 45° কোণে নির্গত হয়, তাহলে চ্যুতি কোণ, δ = i₁ + i₂ –A
δ = (30° + 45°) – 60°
δ = (30° + 45°) – 60°
অতএব, δ = 15° - উত্তল লেন্সের অভিসারী ক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
উঃ- একটি উত্তল লেন্সকে অনেকগুলি মাখা কাঁটা প্রিজমের সমবায় রূপে কল্পনা করা যেতে পারে। উত্তল লেন্সের কেন্দ্র প্রিজম গুলির ভূমি লেন্সের প্রধান অক্ষের দিকে থাকে। লেন্সের উপরের অংশের প্রিজমগুলি ভূমির নীচের দিকে থাকে এবং নীচের অংশের প্রিজমগুলির ভূমি উপরের দিকে থাকে। এবং একটি প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মির প্রতিসরণ হলে রশ্মিটি প্রিজমের ভূমির দিকে বেঁকে যায়। এখন একটি উত্তল লেন্সের প্রধান অক্ষের সমান্তরালে আগত আলোকরশ্মি গুচ্ছ লেন্সের প্রতিসৃত হলে, প্রধান অক্ষের উপরের আলোকরশ্মিগুলি নীচের দিকে এবং প্রধান অক্ষের নীচের দিকের আলোকরশ্মিগুলি উপরের দিকে বেঁকে যায়। ফলে প্রতিসৃত রশ্মিগুলি প্রধান অক্ষের কাছে চলে আসে এবং প্রতিসৃত রশ্মি গুলি অভিসারী হয়ে প্রধান অক্ষের ওপর একটি বিন্দুতে মিলিত হয়। এই জন্যেই উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলে। - কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে?
উঃ- নির্দিষ্ট দুটি মাধ্যম ও নির্দিষ্ট বর্নের আলোর ক্ষেত্রে আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক হয়। যেখানে ধ্রুবক µ) কে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলে। - উত্তল লেন্স দ্বারা কোন ধরনের দৃষ্টি ত্রুটি প্রতিকার করা হয়?
উঃ- দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া প্রতিকার করা হয়। - দন্ত চিকিৎসকেরা কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করে? কাঁচ ফলকে প্রতিসরণের ফলে আলোক রশ্মির চ্যুতি হয় না কেন?
উঃ- দন্ত চিকিৎসকেরা অবতল দর্পণ ব্যবহার করে। কোনো আলোকরশ্মি সমান্তরাল কাঁচের স্লাবের মধ্যে প্রতিসৃত হলে আপতিত রশ্মি এবং নির্গত রশ্মি পরস্পর সমান্তরাল হয়। তাই এক্ষেত্রে আলোকরশ্মির কোনো কৌণিক চ্যুতি হয় না। - একটি উত্তল লেন্স থেকে 20 সেমি দূরে বস্তু রাখার ফলে উৎপন্ন প্রতিবিম্ব লেন্সের কোনো দিকেই পাওয়া গেল না। এ লেন্সের ফোকাস দূরত্ব কত? বায়ু সাপেক্ষে কাঁচের প্রতিসরাঙ্ক 1.5 হলে কাঁচের সাপেক্ষে বায়ুর প্রতিসরাঙ্ক কত?
উঃ- উত্তল লেন্সের ফোকাসে বস্তু রাখলে উৎপন্ন প্রতিবিম্ব লেন্সের কোনো দিকেই পাওয়া যায় না। অর্থাৎ, লেন্সের ফোকাস দূরত্ব হবে 20 সেমি। বায়ু সাপেক্ষে কাঁচের প্রতিসরাঙ্ক 1.5 হলে কাঁচের সাপেক্ষে বায়ুর প্রতিসরাঙ্ক হবে 1/1.5 = 0.66 - একটি বস্তুর দৈর্ঘ্য 5 সেমি,। এটিকে উত্তল লেন্সের সামনে 2 সেমি. দূরে রেখে 10 সেমি. প্রতিবিম্ব পাওয়া গেল। রৈখিক বির্বধন ও প্রতিবিম্ব দূরত্ব কত?
উঃ- অতএব, রৈখিক বির্বধন = 10/5 = 2 আবার, প্রতিবিম্ব দূরত্ব/ বস্তুর দূরত্ব =রৈখিক বির্বধন প্রতিবিম্ব দূরত্ব = (2 x 2) = 4 সেমি. - লঘু থেকে ঘনতর মাধ্যমে আলোকরশ্মির প্রতিসরণে চ্যূতিকোণ নির্ণয় করো। [আপতন কোণ = i এবং প্রতিসরণ কোণ= r]
উঃ- [Image of the light path diagram for refraction]
আলোক রশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রতিসৃত হলে আপতন কোণের (i) মান প্রতিসরণ কোণের (r) চেয়ে বেশি হয়। অতএব, চ্যুতি কোণ (δ)= i – r - সূর্যালাকে গাছের সবুজ পাতাগুলি ‘সবুজ ‘ দেখায় কেন?
উঃ- একটি অস্বচ্ছ বস্তু যে বর্নের আলো আমাদের চোখে প্রতিফলিত করে বস্তুটি সেই বর্নের মনে হয়। সাদা আলো একটি বস্তুর ওপর পড়লে যদি বস্তুটি সব বর্নের আলো প্রতিফলিত করে তাহলে বস্তুটিকে সাদা দেখায়। সবুজ পাতার ওপর সূর্যের আলো পড়লে পাতা সবুজ আলো প্রতিফলিত করে দেয় এবং অন্য আলো শোষণ করে। তাই পাতা সবুজ দেখায়। - একটি আলো বায়ু মাধ্যম থেকে অপর একটি মাধ্যমের ওপর আপতিত হল। মাধ্যমটির প্রতিসরাঙ্ক 1.5 হলে এবং মাধ্যমে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 4000 A হলে, বায়ু মাধ্যমে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত? এই মাধ্যমে আলোর বেগ কত?
উঃ- মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক (μ) = 1.5 আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (λ) = 4000 Å বায়ু মাধ্যমে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য= (λ)
আমরা জানি, μ = λ / λ₀
বা, λ₀ = μ / 4000 = 4000 / 1.5
বা, λ₀ = 6000 Å
আবার, শূন্যস্থানে আলোর বেগ, C = 3 x 10⁸ m/s
মাধ্যটিতে আলোর বেগ v হলে, μ = c / v
বা, v = c / μ = 3×10⁸/1.5
বা, v = 2 × 10⁸ m/s
উঃ- দ্যুতি কোণ (δ) = 40°, ∠A= 60°, এখানে i₂=i₁
আমরা জানি, δ = 2i₁ – ∠A
বা, i₁ = 50°
অতএব, আপদন কোণ হবে 50°। - একটি উত্তল লেন্সের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আপতিত রশ্মিগুচ্ছের জন্য প্রতিসৃত রশ্মির চিত্র আঁকো। ফোকাস (F) চিহ্নিত করো।
[Image illustrating the path of parallel rays through a convex lens] - অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাসের সংজ্ঞা দাও।
উঃ সমান্তরাল আলোক রশ্মিগুচ্ছ প্রধান অক্ষের সমান্তরালে এসে কোনো অবতল দর্পণে আপতিত হলে প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের উপরে যে বিন্দুতে মিলিত হয় বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় তাকে ওই অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাস বলে। - উত্তল দর্পণের মুখ্য ফোকাসের সংজ্ঞা দাও।
উঃ সমান্তরাল আলোক রশ্মিগুচ্ছ প্রধান অক্ষের সমান্তরালে এসে কোনো অবতল দর্পণে আপতিত হলে প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত যে নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় তাকে ওই উত্তল দর্পণের ফোকাস বলে। - স্পর্শ না করে একটি লেন্স উত্তল না অবতল কিভাবে চিনবে?
উঃ কোনো লেন্সের খুব কাছে একটি আঙুল রেখে অপর পাশ থেকে দেখতে হবে।
১ যদি প্রতিবিম্বটি অসদ্, সমশীর্ষ এবং বস্তুর আকারের তুলনায় বড় হয় তবে বুঝতে হবে সেটি উত্তল লেন্স।
২ যদি প্রতিবিম্বটি অসদ্ ও আকারের তুলনায় ছোট হয় তবে সেটি অবতল লেন্স। - গোলীয় দর্পণের ব্যবহার লেখো।
উঃ i) দন্ত চিকিৎসকদের কাজে ব্যবহৃত হয় ii) দাড়ি কামানোর দর্পণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় iii) মোটর গাড়ির হেডলাইট প্রতিফলক হিসেবে করা হয় - উত্তল দর্পণের ব্যবহার লেখো।
উঃ i) মোটর গাড়ির ভিউফাইন্ডারে ব্যবহৃত হয় ii) রাস্তার স্ট্রিট ল্যাম্পে আলোর প্রতিফলক রূপে ব্যবহৃত হয় - উত্তল লেন্সকে বিবর্ধক কাঁচ হিসেবে ব্যবহার করা হয় কেন?
উঃ কোনো উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্বের মধ্যে বস্তু রাখলে বস্তুর অসদ, সমশীর্ষ এবং বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব যত কম হবে প্রতিবিম্বের বির্বধনও তত বেশি হয়। উত্তল লেন্সের এই ধর্মকে বিবর্ধক কাঁচ লাগানা হয়। অর্থাৎ বলা যায় বিবর্ধক কাঁচ হল কম ফোকাস দৈর্ঘ্যের উত্তল লেন্স। - দৃশ্যমান বর্ণালী কাকে বলে?
উত্তরঃ দৃশ্যমান বর্ণালি বা দৃশ্য বর্ণালী বা আলোক বর্ণালী হচ্ছে তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালীর সেই অংশ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান অর্থাৎ যা মানুষের চোখ চিহ্নিত করতে পারে। এই তরঙ্গ দৈর্ঘীয় সীমার তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণকে আলো বা শুধু আলো বলে অভিহিত করা হয়। মানুষের চোখ ৩৮০ থেকে ৭৫০ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে সাড়া দেয়। - পরিপূরক বর্ণ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে দুটি বর্নের মিশ্রণে সাদা বর্ণ সৃষ্টি হয়, তাদের পরস্পরের পরিপূরক বর্ণ বলে। যেমন হলুদ ও নীল পরস্পরের পরিপূরক বর্ণ। - ত্রিসারিনের মধ্যে কাঁচদন্ড ডোবালে তা আর দেখা যায় না কেন?
উত্তরঃ ত্রিসারিন ও কাঁচের প্রতিসরাঙ্ক প্রায় সমান। এখন ত্রিসারিনের মধ্যে কাঁচদন্ডকে ডোবালে দুটি মাধ্যমেই প্রতিসরাঙ্ক একই হওয়ায় এদের মধ্যে আলাদা ভাবে কোনো প্রতিসরণ বা প্রতিসরণ হয় না। একমাঝ্যাম বলেই মনে হয়। তাই কাঁচদন্ডটিকে আর দেখা যায় না। - সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায় কেন?
উত্তরঃ সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায় আলোর বিক্ষেপণের কারণে। সূর্যের সাতটা আলোর সবগুলোর মধ্যে লাল রঙের বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম হয়। সকাল বা সন্ধ্যায় সূর্য দ্বীপ্তিক ভরে থাকে বলে সবচেয়ে বেশি ধূলোকণা বা বায়ুকণা অতিক্রম করে। এ সময় অন্যান্য আলোর বিক্ষেপণ ঘটলেও লাল আলোর তেমন ঘটে না। তাই লাল আলোর চেয়েও আমাদের চোখেও বাকিরা আসতে পারে না। - চিত্রসহ লেন্সের আলোককেন্দ্রের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ লেন্সের মধ্যের প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত যে বিন্দুর মধ্যদিয়ে কোনো আলোকরশ্মি অতিক্রম করলে প্রতিসরণের পর লেন্সের অপর পৃষ্ঠ থেকে নির্গত হওয়ার সময় আপতিত রশ্মির সমান্তরালভাবে নির্গত হয়, সেই বিন্দুকে আলোক কেন্দ্র বলে। - ফোকাস কাকে বলে?
উত্তরঃ গোলীয় দর্পণের ওপর একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মি প্রধান অক্ষের সমান্তরালে দর্পণের উপর পড়লে প্রতিফলনের পর তারা প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় তাকে মুখ্য ফোকাস বা ফোকাস বলে। - আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ আলোকরশ্মি যখন একটি সমসত্ব মাধ্যম থেকে ভিন্ন ঘনত্বের অপর একটা মাধ্যমে তিয়ার্কভাবে পড়ে তখন ওই দ্বিতীয় মাধ্যমের বিভেদতলে থেকে আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন ঘটে। ওই ঘটনাকে আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন ঘটে। ওই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে। - লেন্সের বক্রতা ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
উত্তরঃ লেন্সের কোনো গোলীয় তল যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে ওই তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে। - অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয় কেন?
উত্তরঃ অবতল লেন্স আপতিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত করে। অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলে। মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের ক্ষেত্রে উপাদানের প্রতিসরাঙ্কের চেয়ে বেশি হলে উত্তল লেন্সের মতো এবং অবতল লেন্স অভিসারী লেন্সের মতো আচরণ করে। - ফোকাস দূরত্ব কাকে বলে? অথবা, উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ লেন্সের আলোক কেন্দ্র থেকে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে ফোকাস দূরত্ব বলে। একে ‘f’ চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়। - নীল কাঁচের মধ্য দিয়ে তাকালে একটি লাল ফুলকে কালো দেখায় কেন?
উত্তরঃ লাল ফুল সাদা আলোর কেবলমাত্র লাল বর্নের প্রতিফলিত করে, বাকি বর্ণগুলি শোষণ করে। লাল ফুল থেকে নির্গত লাল বর্ণ নীল কাঁচ কর্তৃক শোষিত হওয়ায় চোখে কোনো আলো এসে পৌঁছায় না। তাই নীল কাঁচের মধ্য দিয়ে তাকালে লাল ফুলকে কালো দেখায়। - আলোর বিক্ষেপণ কাকে বলে?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয় অণু অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট সূর্যলোক শোষণ করে এবং শোষিত আলোকরশ্মিকে চতুর্দিকে বিস্তার ঘটায়, এই পদ্ধতিকে আলোর চারিদিকে বিস্তৃত হওয়াকেই আলোকর বিক্ষেপণ বলে। - কোনো সবুজ বস্তুকে সাদা আলোর দ্বারা আলোকিত করলে সবুজ দেখায় কেন? বস্তুতিকে হলুদ আলোর দ্বারা আলোকিত করলে বস্তুর রং কী দেখাবে?
উত্তরঃ সবুজ বস্তুর উপর সাদা আলো পড়লে বস্তুটি সবুজ বর্নের আলো প্রতিফলিত করে। এবং অন্যান্য বর্নের আলো শোষণ করে। সেজন্য বস্তুটিকে সবুজ দেখায়। হলুদ আলোর দ্বারা আলোকিত করলে বস্তুটি ওই আলো শোষণ করে। ফলে বস্তুতিকে কালো দেখাবে। - উত্তল ও অবতল লেন্সের মধ্যে দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ উত্তল লেন্স : এই লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও দুইপ্রান্ত ক্রমশ সরু। অবতল লেন্স : এই লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও প্রান্ত ক্রমশ মোটা। (ii) উত্তল লেন্স : উত্তল লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অভিসারী রশ্মিতে পরিণত করে। - লেন্সের সূত্রের সাহায্যে আলোর বিচ্ছুরণের ব্যাখ্যা দাও।
Ans মেয়রের সূত্রানুয়ী = ধ্রুবক (k = আপতন কোণ, r= প্রতিসরণ - এক্স রশ্মির কয়েকটি ব্যবহার আলোচনা করো।
উত্তরঃ (১) ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য এক্স রশ্মি ব্যবহৃত হয়। (২) হাড়ের গঠন জানতে এক্স রশ্মি ব্যবহৃত হয়। (৩) কেলাসিত পদার্থের কেলাস গঠন জানতে এক্স রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
চল তড়িৎ
4] তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফলের একটি প্রয়োগ হল – a) রেডিয়ো b) হিটার c) টিভি d) প্রেসার কুকার
উঃ- তড়িৎপ্রবাহের তাপীয় ফলের একটি প্রয়োগ হল – b) হিটার।
5] তড়িৎশক্তির খরচের হিসেবে কোনটি বেশি তড়িৎ খরচ সাশ্রয়কারী? a) ভায়র বাতি b) প্রতিপ্রভ বাতি c) LED d) CFL
উঃ-তড়িৎশক্তির খরচের হিসেবে c) LED বেশি তড়িৎ খরচ সাশ্রয়কারী।
6] R রোধের মধ্য দিয়ে t সময় ধরে I প্রবাহ চললে যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি খরচ হবে, তা হল- (a) IR2t (b) I2Rt (c) IRt (d) I2R2t
উঃ-R রোধের মধ্য দিয়ে t সময় ধরে I প্রবাহ চললে যে পরিমাণ তড়িৎশক্তি খরচ হবে, তা হল- a) IR2t .
7] ফ্লেমিং- এর বামহস্ত নিয়মকে বলা হয়- (a) ডায়নামোর নিয়ম b) মোটরের নিয়ম c) আবহের নিয়ম d) ভোল্ট নিয়ম
উঃ- ফ্লেমিং- এর বামহস্ত নিয়মকে বলা হয় – b) মোটরের নিয়ম।
8] ওরস্টেড- এর নীতিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে- a) হিটার b) বাল্ব c) বৈদ্যুতিক মোটর d) ইনভার্টার।
উঃ- ওরস্টেড- এর নীতিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে – c) বৈদ্যুতিক মোটর।
9] লেঞ্জের সূত্রটি প্রদত্ত কোন সংরক্ষণ সূত্র থেকে পাওয়া যায়? a) ভরের সংরক্ষণ সূত্র b) আধানের সংরক্ষণ সূত্র c) শক্তির সংরক্ষণ সূত্র d) ভর ও শক্তির সংরক্ষণ সূত্র।
উঃ-লেঞ্জের সূত্রটি c) শক্তির সংরক্ষণ সূত্র থেকে পাওয়া যায়।
10] ফ্যারাডের সূত্র দুটি বিবৃত করে- a) তড়িৎক্ষেত্র b) তড়িৎচালক ক্ষেত্র c) ক্ষেত্র d) তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ।
উঃ- ফ্যারাডের সূত্র দুটি বিবৃত করে – d) তড়িৎচুম্বকীয় আবেশ।
11] ডায়নামোতে কোন ধরনের শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
উঃ-ডায়নামোতে যান্ত্রিক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
12] তড়িৎক্ষমতার SI একক কী?
উঃ-তড়িৎক্ষমতার SI একক হল ওয়াট।
13] BOT এককের পুরো নাম লেখো।
উঃ- BOT এককের পুরো নাম Board of Trade unit.
14] কোন ব্যবহারিক যন্ত্রে ফ্লেমিং-এর বামহস্ত নিয়ম প্রযুক্ত হয়?
উঃ- বৈদ্যুতিক মোটরে ফ্লেমিং-এর বামহস্ত নিয়ম প্রযুক্ত হয়।
15] গৃহস্থালীতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি বর্তনীতে কোন সমবায়ে যুক্ত থাকে?
উঃ- গৃহস্থালীতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি বর্তনীতে কোন সমবায়ে যুক্ত থাকে।
- রোধাঙ্কের SI একক হল- a) Ωcm b) Ωm c) Ω d) Ω-1
উঃ- b) Ωm - রোধের SI হল- a) A b) V c) Ω d) ওহম
উঃ- c) Ω - বৈদ্যুতিক ডায়নামো কোন ভিত্তিতে কাজ করে? a) তড়িৎ প্রবাহের ওপর চুম্বক ক্রিয়া b) চুম্বকের ওপর তড়িৎ প্রবাহের ক্রিয়া c) তড়িৎ আবেশ d) তাপীয় ফল
উঃ- c) তড়িৎ আবেশ - নিম্ন লিখিত ভৌত রাশিগুলির মধ্যে অ্যাম্পিয়ার কোনটি? a) কুলম্ব-সেকেন্ড b) ভোল্ট-ওহম-1 c) ভোল্ট-ওহম d) ভোল্ট-1-ওহম
উঃ- b) ভোল্ট-ওহম-1 - কোনো পরিবাহীর দৈর্ঘ্য টেনে দ্বিগুণ করা হলে রোধাঙ্ক হবে- a) দ্বিগুণ b) চারগুণ c) অর্ধেক d) অপরিবর্তিত
উঃ- d) অপরিবর্তিত। - কিলোওয়াট-ঘন্টা দ্বারা সে ভৌতরাশি পরিমাপ করা হয় তা হল? a) তড়িৎ শক্তি b) তড়িৎ ক্ষমতা c) তড়িৎ প্রবাহমাত্রা d) তড়িৎ আধান
উঃ- সঠিক উত্তর- a) তড়িৎ শক্তি - ফ্লেমিং-এর বাম হস্ত নীতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়- a) ফিলামেন্ট বাল্ব b) ডায়ানোমো c) কুলম্বীয় বলের অভিমুখ d) DC মোটরের ঘূর্ণন
উঃ- d) DC মোটরের ঘূর্ণন - নীচের গুলির মধ্যে কোনটি রোধের SI একক? a) ভোল্ট b) অ্যাম্পিয়ার c) কুলম্ব d) ওহম
উঃ- d)ওহম - গৃহস্থালির বৈদ্যুতিক বর্তনীতে ফিউজ তার নিচের কোনটির সঙ্গে যুক্ত থাকে? a) আর্থ লাইন b) লাইভ লাইন c) নিউট্রাল লাইন d) লাইভ ও নিউট্রাল উভয় লাইন
উঃ- লাইভ লাইন - সমান ওয়াটের আলো নিঃসরণগুলির মধ্যে সর্বাধিক শক্তি সাশ্রয়কারী হল- a) চিকুলাইভেট b) CFL c) LED d) ভাস্বর বাতি
উঃ- b) LED
সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী প্রশ্ন
- উষ্ণতা বৃদ্ধিতে রোধাঙ্ক হ্রাস পায় – (a) পরিবাহীর (b) অর্ধপরিবাহীর (c) অন্তরকের (d) অতি-পরিবাহীর।
উঃ- অর্ধপরিবাহীর। - কোনটি রোধের একক – (a) ভোল্ট (b) অ্যাম্পিয়ার (c) কুলম্ব (d) ওহম
উঃ- ওহম। - প্রদত্ত রাশি গুলির মধ্যে অ্যাম্পিয়ার কোনটি – (a) কুলম্ব .সেকেন্ড (b) ভোল্ট, ভোল্ট, ওহম -1 (c) ভোল্ট . ওহম (d) ভোল্ট . ওহম -1
উঃ- অ্যাম্পিয়ার/সেকেন্ড (d) অ্যাম্পিয়ার/ সে.-1 - অপরিবর্তিত উষ্ণতায় কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব প্রভেদ এবং পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা I হলে, নীচের কোনটি সত্য? (a) V ∝ I (b) V ∝ I2 (c) V ∝ I-1 (d) V ∝ I-2
উঃ- V ∝ I - তড়িৎচালক বল (V), কার্য (W), ও আধান (Q) এর মধ্যে সম্পর্কটি হল- (a)Q=W/V (b) Q=V/W (c) Q=V/W2 (d) Q=W/V
উঃ- Q=W/V - গৃহস্থালীতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি কোন সমবায়ে যুক্ত থাকে? (a) আর্থ লাইন (b) লাইভ লাইন (c) নিউট্রাল লাইন (d) লাইভ ও নিউট্রাল লাইন।
উঃ- লাইভ লাইন। - ফিউজ তারের বৈশিষ্ট্য হল – (a) রোধ উষ্ণ, গলনাঙ্ক উচ্চ (b) রোধ নিম্ন, গলনাঙ্ক নিম্ন (c) রোধ নিম্ন, গলনাঙ্ক উচ্চ (d) রোধ উষ্ণ, গলনাঙ্ক নিম্ন।
উঃ- রোধ উষ্ণ, গলনাঙ্ক নিম্ন। - দুটি রোধ সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত। রোধ দুটি 100 Ω ও 200 Ω । এদের ক্ষমতার অনুপাত হবে- (a) 1:2 (b) 2:1 (c) 1:4 (d) 4:1
উঃ- 2:-1 - কুলম্ব = (a) ভোল্ট – অ্যাম্পিয়ার (b) অ্যাম্পিয়ার/ওহম (c) অ্যাম্পিয়ার/সেকেন্ড (d) অ্যাম্পিয়ার/ সে.-1
উঃ- অ্যাম্পিয়ার/সেকেন্ড (d) অ্যাম্পিয়ার/ সে.-1 - তড়িৎ ক্ষমতা (P), বিভব প্রভেদ (V) এবং রোধ (R) এদের মধ্যে সম্পর্কটি হল- (a)PR2=V2 (b) V=PR (c) P=V2/R (d) P=V2R
উঃ- P= V2/R - কোনো পরিবাহীর দৈর্ঘ্য টেনে দ্বিগুণ করা হলে রোধ হবে – (a) দ্বিগুণ (b) চারগুণ (c) অর্ধেক (d) অপরিবর্তিত।
উঃ- চারগুণ হবে। - একটি পরিবাহীর প্রবাহমাত্রা দ্বিগুণ করলে উৎপন্ন তাপ – (a) দ্বিগুণ হবে (b) চারগুণ হবে (c)একই থাকবে (d) অর্ধেক হবে।
উঃ- চারগুণ হবে। - পরিবাহীর রোধ ও সময় স্থির রেখে প্রবাহমাত্রা দ্বিগুণ করলে উৎপন্ন তাপ হবে- (a) দ্বিগুণ (b) চারগুণ (c) ছয়গুণ (d) আটগুণ।
উঃ- চারগুণা - তড়িৎ ক্ষমতার একক হল – (a) জুল (b) ওয়াট (c) ভোল্ট (d) কুলম্ব।
উঃ- ওয়াট। - নিচের কোনটি ওহমের সূত্র মানে না ? (a) রুপো (b)তামা (c) অ্যালুমিনিয়াম (d) সিলিকন।
উঃ- সিলিকন।
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন
- বিভবের CGS একক কী?
উত্তরঃ esu বিভব বা statvolt - বিভবের মাত্রা কী?
উত্তরঃ [ML²T⁻³I⁻¹] - বিভব কোন যন্ত্র দিয়ে পরিমাপ করা হয়?
উত্তরঃ ভোল্টামিটার - EMF বা তড়িৎচালক বল মাপা হয় কোন যন্ত্রের সাহায্যে?
উত্তরঃ পোটেনশিওমিটার - তড়িৎচালক বলের একক?
উত্তরঃভোল্ট - কোনটি তড়িৎ শক্তির একক – (a)কিলোওয়াট (b) কিলোওয়াট – ঘণ্টা (c) ভোল্ট, অ্যাম্পিয়ার (d) ভোল্ট/অ্যাম্পিয়ার।
উঃ- কিলোওয়াট – ঘণ্টা। - সত্য/ মিথ্যা বলো: বিভব প্রভেদ সর্বদা EMF এর তুলনায় কম হয়।
উত্তরঃ সত্য - প্রবাহমাত্রা কী রাশি?
উত্তরঃ স্কেলার রাশি। - তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা মাপার যন্ত্রের নাম কী?
উত্তরঃ অ্যামিটার (Ammeter) - রোধের SI একক কী?
উত্তরঃ ohm বা Ω বা V/A - ওহমের সূত্রানুসারে প্রবাহমাত্রা ও বিভবের লেখচিত্র কীরূপ?
উত্তরঃ মূলবিন্দুগামী সরলরেখা - রোধের অন্যোনককে কি রাশি বলে?
উত্তরঃ তড়িৎ পরিবাহিতা বলে। - সাইমেন্স (siemens) কীসের একক?
উত্তরঃ এটাও তড়িৎ পরিবাহিতার একক। - রোধাঙ্কের SI একক কী?
উত্তরঃ Ω.m - রোধাঙ্কের অনন্যক কে কী রাশি বলে?
উত্তরঃ পরিবাহিতাঙ্ক। - তড়িৎ পরিবাহিতাঙ্কের SI একক কী?
উত্তরঃ mho বা Ω⁻¹ - রোধাঙ্কের মান কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ উষ্ণতা এবং পদার্থের গঠনের ওপর নির্ভর করে। - আদর্শ পরিবাহীর রোধাঙ্কের মান কত?
উত্তরঃ শূন্য - আদর্শ অন্তরকের রোধাঙ্কের মান কত?
উত্তরঃ অসীম - উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সাধারণ পরিবাহীর রোধ বাড়ে না কমে?
উত্তরঃ বাড়ে - ওহমের সূত্র মানে না এমন একটি উপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ সিলিকন - অহমীয় পরিবাহীর রোধাঙ্কের উষ্ণতার সঙ্গে কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
উত্তরঃ উষ্ণতা বৃদ্ধিতে অহমীয় পরিবাহীর রোধাঙ্ক সুস্থায়ীর হারে হ্রাস পায়। - দুটি অর্ধ পরিবাহীর উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ সিলিকন, জার্মেনিয়াম - উষ্ণতা বৃদ্ধিতে অর্ধপরিবাহীর রোধাঙ্ক বাড়ে না কমে?
উত্তরঃ কমে যায় - একটি তারকে কেটে সমান দু টুকরো করা হল। তারটির উপাদানের রোধের কী পরিবর্তন হবে?
উত্তরঃ অর্ধেক হবে - একটি পরিবাহীর তারকে সমান দুইভাগে ভাগ করলে তারটির রোধাঙ্কের কী পরিবর্তন হবে?
উত্তরঃ একই থাকবে। - গৃহবর্তনীতে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি কোন সমবায়ে যুক্ত থাকে?
উত্তরঃ সমান্তরাল সমবায়ে। - বার্লোচক্রের ঘূর্ণনের অভিমুখ কীভাবে বদলাবে?
উত্তরঃ তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ বা চুম্বকক্ষেত্রের অভিমুখ পাল্টালে। - আমরা ফিউজ কোথায় যুক্ত করি লাইভ তারের সঙ্গে না নিউট্রাল তারের সঙ্গে?
উত্তরঃ লাইভ তারের সঙ্গে - ওয়াট-ঘন্টা কোন ভৌত রাশির একক?
উত্তরঃ তড়িৎ শক্তি - বৈদ্যুতিক বর্তনীতে সুইটকে কোন সমবায়ে যুক্ত করা হয়?
উত্তরঃ শ্রেণি সমবায়ে। - উষ্ণতার বৃদ্ধিতে অর্ধপরিবাহীর রোধ কিভাবে পরিবর্তিত হয়?
উত্তরঃ উষ্ণতা বৃদ্ধিতে অর্ধপরিবাহীর রোধ (রোধাঙ্ক) সুস্থায়ীর হারে হ্রাস পায়। - 1 BOT = কত জুল?
উত্তরঃ 1 BOT = 1 kWh = 3.6×10⁶ J - CFL ও LED এর পুরো অর্থ কী?
উত্তরঃ CFL = Compact Fluoroscent Lamp, LED = Light Emitting Diode - বৈদ্যুতিক বাতিতে কোন গ্যাস থাকে?
উত্তরঃ ফিলামেন্ট বাল্বে থাকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস। তবে নাইট্রোজেন গ্যাস থাকে পরে ফিলামেন্ট বাল্বের ভিতরে আর্গন গ্যাসে সঙ্গে সামান্য পরিমাণ পারদ বাষ্প থাকে। - বৈদ্যতিক বাতির ফিলামেন্ট কি দিয়ে তৈরি?
উত্তরঃ টাংস্টেন ধাতু দিয়ে তৈরি। - নাইক্রোম তার কী দিয়ে তৈরি?
উত্তরঃ নিকেল (80%), ক্রোমিয়াম (20%) ও সামান্য পরিমাণ লোহা থাকতে পারে। - নাইক্রোম তারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।
উত্তরঃ উচ্চ রোধ ও উচ্চ গলনাঙ্ক। - নাইক্রোম তারের ব্যবহার কোথায় করা হয়?
উত্তরঃ ইলেকট্রিক হিটার, ইস্ত্রি মেশিন ইত্যাদিতে। - ফিউজ তারের উপাদানগুলি কী কী?
উত্তরঃ টিন ও সীসা। - ফিউজ তারের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
উত্তরঃ উচ্চ রোধ ও নিম্ন গলনাঙ্ক - মোটর এর শক্তি কী কী উপায়ে বাড়ানো যায়?
উত্তরঃ তড়িৎ প্রবাহ বৃদ্ধি করে, শক্তিশালী চুম্বক ব্যবহার করে, কুন্ডলীর পাক সংখ্যা বৃদ্ধিএ মোটরের গতি বাড়ানো যায়। - বার্লোচক্রে কোন শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
উত্তরঃ তড়িৎশক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে - ডায়নামোতে কোন ধরনের শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
উত্তরঃ যান্ত্রিক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে পরিণত হয়।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন – মান ২ ও ৩
- তড়িৎ চালক বল ও বিভব প্রভেদের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ-
তড়িৎ চালক বল
যে কারণে তড়িৎ শক্তি অন্যান্য শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে তড়িৎ বর্তনীর কোনো অংশে তড়িৎ প্রবাহ চালায় সক্ষম হয় তাকে তড়িৎ চালক বল বলে।
তড়িৎ চালক বল হল বর্তনীতে এই দুই মান সমান হয়।
তড়িৎ চালক বল বর্তনীর রোধের ওপর নির্ভর করে না।
তড়িৎ চালক বল বর্তনীর রোধের ও ওপর নির্ভর করে।
পোটেনশিওমিটার যন্ত্রের সাহায্যে মাপা হয়।
বিভব প্রভেদ
বিভব প্রভেদ তড়িৎ চালক বলের ফল।
বিভব প্রভেদের মান সর্বদা তড়িৎ চালক বলের মান অপেক্ষা কম হয় ( কেবল মুক্ত বর্তনীতে এই দুই মান সমান হয় )
বিভব প্রভেদ বর্তনীর রোধের ওপর নির্ভর করে।
ভোল্টমিটার যন্ত্রের সাহায্যে মাপা হয়। - ‘240V-60W ‘ ও ‘240V-100W’ রেটিং এর দুটি বৈদ্যুতিক বাতিকে শ্রেণিকে সমবায়ে যুক্ত করা হলে কোন বাতিটি অধিকতর উজ্জ্বল ভাবে জ্বলবে?
উঃ- 240 V-60 W বৈদ্যুতিক বাতির রোধ,
R₁ = V²/P = (240)²/60 = 960 ohm
এবং 240 V-100 W বৈদ্যুতিক বাতির রোধ,
R₂ = V²/P = (240)²/100 = 576 ohm
যেহেতু দুটি বাতি শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত আছে তাই উভয়ের প্রবাহমাত্রা সমান। 60 W বাতির রোধ কম এবং 100 W বাতির রোধ বেশি সুতরাং, P=I₂R সূত্রানুসারে, প্রথম অর্থাৎ 60 W বাতি বেশি উজ্জ্বল ভাবে জ্বলবে। - 5 ওহম আভ্যন্তরীণ রোধ ও 2 ভোল্ট তড়িৎ চালক বল বিশিষ্ট একটি তড়িৎ- কোশকে 15 ওহম রোধের সঙ্গে যুক্ত করা হল। কোশের প্রান্তদ্বয়ের মধ্যে বিভব প্রভেদ কত হবে নির্ণয় করো।
উঃ- কোশের তড়িৎ চালক বল (E) = 2 V, আভ্যন্তরীণ রোধ (r)= 5 ohm, এবং বর্তনীর রোধ (R)= 15 ohm
তড়িৎ প্রবাহমাত্রা = I হলে, I = E / r + R = 2 / 15 + 5 = 0.1 A
অতএব, কোশের প্রান্তদ্বয়ের মধ্যে বিভব প্রভেদ হবে,V = IR বা, V= (0.1 x 15) = 1.5 V - 6 ওহম ও 4 ওহম রোধ বিশিষ্ট দুটি পরিবাহী তার সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করলে সমবায়টির তুল্য রোধ কত হবে?
উঃ- ধরি, R₁ = 6 ohm এবং R₂ = 4 ohm
আমরা জানি, 1 / R = 1 / R₁ + 1 / R₂
অতএব, R = R₁R₂ / R₁+R₂ = 6×4 / 6+4 = 2.4 ohm
অতএব, সমবায়টির তুল্য রোধ হবে ২.৪ ওহম। - কুলম্বের সূত্রটি লেখ।
উত্তরঃ দুটি বিন্দু আধানের কেন্দ্রে। দুটি আধানের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব 10⁻¹⁵ m থেকে অসীম দূরত্ব পর্যন্ত। - কুলম্বের দুটি বিন্দু আধানের মধ্যে ক্রিয়ারত আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল আধান দুটির গুণফল এর সমানুপাতি ও দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতী।
F=k.q₁q₂/d²যেখানে শূন্য মাধ্যমে ক্ষেত্রে k এর মান 9×10⁹ Nm²C⁻²। - কুলম্বের সূত্র কোন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? বা কুলম্বের সূত্রের সীমাবদ্ধতা কী?
উত্তরঃ স্থির, বিন্দু আধানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। - কুলম্বের গাণিতিক রূপটি লেখ।
উত্তরঃ ধরি, কোনো তড়িৎ মাধ্যমে অবস্থিত দুটি বিন্দু আধানের মধ্যে আন্তঃক্রিয়াশীল কুলম্বীয় বল, E=I(R+r) or,I=ER+r=E - তড়িৎচালক বল ও অভ্যন্তরীণ রোধের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা কর।
উত্তরঃ ধরি, কোনো তড়িৎ কোশের তড়িৎচালক বল E ও অভ্যন্তরীণ রোধ r। রোধের সঙ্গে যুক্ত হলে, ফলে প্রবাহমাত্রা I হলে I এই প্রবাহ R ও r উভয়ই রোধ দিয়ে যায়। হয় এবং উচ্চ গলনাঙ্ক হওয়ায় কার্বনে অধিক তাপে নাইক্রোম তার গলে যায় না। - তড়িৎকোষের নষ্ট ভোল্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ অভ্যন্তরীণ রোধের জন্য তড়িৎ কোশের তড়িৎচালক বলের মান কিছুটা কমে যায় যে পরিমাণ বিভব কমে যায় তাকে নষ্ট ভোল্ট বলে। 11r দ্বারা নষ্ট ভোল্ট পরিমাপ করা হয়। যেখানে, I তড়িৎ প্রবাহ, r অভ্যন্তরীণ রোধ। - ওহমীয় পরিবাহী ও অহমীয় পরিবাহী কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল পরিবাহী ওহমের সূত্র মেনে চলে তাদের ওহমীয় পরিবাহী বলে। যেমন- সোনা, রুপা, তামা ইত্যাদি। যেসকল পরিবাহী সূত্র মেনে চলে না তাদের অহমীয় পরিবাহী বলে। যেমন- সিলিকন, জার্মেনিয়াম ইত্যাদি - আর্কিং এর প্রয়োজনীয়তা লেখো।
উত্তরঃ গৃহস্থলীর বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে নিরাপদ রাখার জন্য যন্ত্রের দেহ থেকে একটি তার ভূমিস্থ করা হয়। যদি কোনো কারণে বৈদ্যুতিক যন্ত্র তড়িৎগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাহলে সেই যন্ত্র স্পর্শ করলে শক লাগার সম্ভাবনা থাকে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সঙ্গে আর্দিং ব্যবস্থা থাকলে অতিরিক্ত তড়িৎ আর্দিং তার দিয়ে মাটিতে চলে যায় এবং বিপদের সম্ভাবনা কমে যায়। - দক্ষিণ-হস্ত মুষ্টি সূত্র বিবৃত কর।
উত্তরঃ একটি তড়িৎবাহী তারকে ডান হাত দিয়ে এমনভাবে মুষ্টি করা যায় যাতে বুড়ো আঙুল তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ নির্দেশ করে তবে অন্যান্য আঙুলগুলির অগ্রভাগ তারের চারপাশে উৎপন্ন চৌম্বকক্ষেত্রের (চৌম্বক বলরেখার) অভিমুখ নির্দেশ করে। - বৈদ্যুতিক হিটারে ব্যবহৃত নাইক্রোম তারের প্রকৃতি কীরূপ?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক হিটারে ব্যবহৃত নাইক্রোম তার উচ্চ গলনাঙ্ক ও উচ্চ রোধাঙ্ক বিশিষ্ট হয়। উচ্চ রোধাঙ্ক হওয়ায় বেশি পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়। - তড়িৎ প্রবাহের ফলে কোনো ধাতব পরিবাহীতে 800 J তাপ উৎপন্ন হয়। প্রবাহমাত্রা 1A ও পরিবাহীর রোধ 20 ওহম হলে, কত সময় ধরে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করা হয়েছিল?
উঃ- পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ (H) = 800 জুল
প্রবাহমাত্রা (I) = 1 A
পরিবাহীর রোধ (R) = 20 ohm
সময় (t) = ?
আমরা জানি, H = 12.R.t
800 = (1)2 x 20x t
t = 800/20
t= 40, অতএব, পরিবাহীতে 40 সেকেন্ড সময় ধরে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করা হয়েছিল। - অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি লেখো।
উঃ- যদি কোনো কাল্পনিক সাঁতারু তড়িৎ পরিবাহী তার বরাবর তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখে হাত ছড়িয়ে এমনভাবে সাঁতার কাটে যে তার মুখ চুম্বক শলাকার দিকে থাকে তাহলে চুম্বক শলাকার উত্তর মেরু তার বাঁ হাতের দিকে বিক্ষিপ্ত হবে। - শর্ট সার্কিট কী?
উঃ- কোনো কারণে কোনো তড়িৎ বর্তনীর লাইন দুটির মধ্যে সরাসরি সংযোগ ঘটলে বর্তনীর রোধ প্রায় শূন্য হয়। একেই বলা হয় শর্ট সার্কিট। শর্ট সার্কিট হলে বর্তনীতে প্রবাহমাত্রা খুব বেড়ে যায়। ফলে লাইনের প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। - ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা দাও।
উঃ- কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব ও প্রবাহ মাত্রার অনুপাত কে ওই পরিবাহীর রোধ বলে। এর SI একক হল V/I বা ওহম (Ω)। - গৃহস্থলির বৈদ্যুতিক বর্তনীতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্র গুলি সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত থাকে কেন?
উঃ- বাড়ির সরবরাহ লাইনে 230V বিভব প্রভেদ এবং 50Hz কম্পাঙ্কের AC বিদ্যুৎ পাঠানো হয়। এর প্রত্যেক যন্ত্র এই মানের উপযুক্ত করে তৈরি করা হয়। সমান্তরালে লাগালে প্রত্যেক যন্ত্রে 230V , 50Hz মানের বিদ্যুৎ এসে পড়ে এবং যন্ত্র সঠিক ভাবে চলে। মেইন সুইচের পরে একটি বন্টন বাক্স থাকে। যা থেকে আলাদা আলাদা ফিটারের মাধ্যমে কয়েকটি লাইন টানা হয়। এবং বাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাদি বিভিন্ন লাইনে লাগানো থাকে, এতে কোনো লাইনে বেশি লোড পড়ে না এবং অথবা ফিউজ তার গলে না। - গৃহস্থলির বৈদ্যুতিক বর্তনীতে আর্দিং করা হয় কেন?
উঃ- গৃহস্থলির বিদ্যুৎ লাইন ও ওই লাইনে যুক্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে শর্ট-সার্কিটের বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য গৃহস্থলি বৈদ্যুতিক বর্তনীতে আর্দিং করা হয়। কোনো কারণে কোনো তড়িৎ বর্তনীতে অতিরিক্ত পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহ হলে তা আর্দিং এর মধ্য দিয়ে মাটিতে চলে যায়। কারণ পৃথিবীর বিভব শূন্য। - ফ্লেমিং এর বাম হস্ত নিয়মটি লেখো।
উঃ- বামহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি, মধ্যমা এবং তর্জনীকে পরস্পরের সঙ্গে সমকোণে রেখে প্রসারিত করলে যদি তর্জনী চৌম্বকক্ষেত্রের দিক এবং মধ্যমা তড়িৎ প্রবাহের নির্দেশ করে, তবে বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহীর গতির অভিমুখ নির্দেশ করবে। - 10 ওহম রোধ বিশিষ্ট একটি তারকে সমান দুইভাগে ভাগ করলে প্রতিটি তারের রোধ হবে 5 ওহম করে। রোধ দুটিকে সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করলে তুল্য রোধ কত হবে নির্ণয় করো।
উঃ- 10 ওহম বিশিষ্ট তারকে সমান দুইভাগে ভাগ করলে প্রতিটি তারের রোধ হবে 5 ওহম করে।
1/R = (1/5 + 1/5)
R = 2.5 ohm
সমান্তরাল সমবায়েটির 2.5 ওহম। - তড়িৎ ক্ষমতা বলতে কী বোঝায়?
উঃ- কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র সময়ের সাপেক্ষে যে হারে তড়িৎ শক্তি খরচ করে তাকে ওই যন্ত্রের তড়িৎ ক্ষমতা বলে। তড়িৎ ক্ষমতা (P) = তড়িৎশক্তি কৃতকার্য (W)/ সময় (t) - তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় প্রভাব সংক্রান্ত জুলের সূত্রগুলি লেখো।
উঃ- যে কোনো পরিবাহীতে তড়িৎ প্রবাহের ফলে উৎপন্ন তাপ পরিবাহমাত্রা, পরিবাহীর রোধ এবং প্রবাহের সময়ের ওপর নির্ভরশীল।
১. পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ (H) পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা (I) এর বর্গের সমানুপাতিক হয় যখন পরিবাহীর রোধ (R) এবং তড়িৎ প্রবাহের সময় (t) অপরিবর্তিত থাকে। H ∝ I² [যখন R এবং t ধ্রুবক] ।
২. পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ (H) পরিবাহীর রোধ (R) সমানুপাতিক হয় যখন তড়িৎ প্রবাহমাত্রা (t) এবং প্রবাহমাত্রা (R) অপরিবর্তিত থাকে। H ∝ R [যখন I এবং R ধ্রুবক] ।
৩. পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ (H) তড়িৎ প্রবাহের সময় (t) এর সমানুপাতিক হয় যখন তড়িৎ প্রবাহের সময় (t) অপরিবর্তিত থাকে। H ∝ t [যখন I এবং R ধ্রুবক] । - 440 ওহম রোধের বাতিকে 220 ভোল্ট মেইন্সে 10 ঘণ্টার জন্য যুক্ত করা হল। ব্যায়িত তড়িৎ শক্তির পরিমাণ BOT এককে নির্ণয় করো।
উঃ- রোধ, R=440 ohm, বিভব প্রভেদ, V=220
ক্ষমতা (P) =V2/R, বা, P= (220×220)/440 ওয়াট =110 ওয়াট
অতএব, ব্যায়িত তড়িৎশক্তি = (110×10) ওয়াট-ঘন্টা = 1100 ওয়াট-ঘন্টা।
= (1100/1000) = 1.1 কিলোওয়াট-ঘন্টা।
= 1.1 BOT - একটি বাড়িতে দুটি 60 ওয়াট বাতি এবং দুটি 80 ওয়াটের পাখা আছে। বাতি ও পাখা গুলি দৈনিক 5 ঘণ্টা করে চলে। প্রতি ইউনিটের দাম 4 টাকা হলে, এক মাসে কত খরচ হবে?
উঃ- দুটি বাতি ও পাখার মোট ক্ষমতা = 2(60+800) ওয়াট। = 280 ওয়াট। প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা করে চললে, এক মাসে চলে 5×30 = 150 ঘণ্টা। অতএব, ব্যায়িত ইউনিট = (280×150)/1000 ওয়াট-ঘন্টা। = 42 ওয়াট-ঘন্টা। এক মাসে খরচ হবে = (4×42) = 168 টাকা। - তড়িৎ চালক বল ও বিভব প্রভেদের মধ্যে একটি সাদৃশ্য ও একটি বৈশাদৃশ্য উল্লেখ করো।
উঃ- সাদৃশ্যঃ তড়িৎ চালক বল ও বিভব প্রভেদ উভয়রেই SI একক ভোল্ট।
বৈসাদৃশ্যঃ- তড়িৎচালক বল বর্তনীর রোধের ওপর নির্ভর করে না। কিন্তু বিভব প্রভেদ বর্তনীর রোধের ওপর নির্ভর করে। - একমুখী তড়িৎপ্রবাহ (AC) ও পরিবর্তী তড়িৎপ্রবাহ (DC) কাকে বলে?
উঃ- একমুখী তড়িৎপ্রবাহে (DC) :- যদি একটি পরিবাহীতে তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখ সময়ের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পূর্বের বিপরীত হয়, তাকেই বলা হলে সেই তড়িৎপ্রবাহকে পরিবর্তী তড়িৎপ্রবাহ বলে। পরিবর্তী তড়িৎপ্রবাহের (DC) :- যদি একটি পরিবাহীতে তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখ নির্দিষ্ট সময় অন্তর পূর্বের বিপরীত হয় তা হলে সেই তড়িৎপ্রবাহকে পরিবর্তী তড়িৎপ্রবাহ বলে। - মুক্ত বর্তনীতে তড়িৎ- কোশদ্বয়ের মধ্যে সংযোগ। লেখো।
উঃ- মুক্ত বর্তনীতে কোনো তড়িৎ কোশের দুটি মেরুর মধ্যে যে বিভব পার্থক্য থাকে, তাকে ওই কোশের তড়িৎ চালক বল বলে।
অথবা, মুক্ত বর্তনীতে কোনো কোশের ভেতরে একক ধনাত্মক আধানকে নিম্ন বিভবের পাত থেকে উচ্চ বিভবের পাতে নিয়ে যেতে যে পরিমাণ কার্য করতে হয়, তাকে ওই কোশের তড়িৎ চালক বল বা ব্যবহারিক একক হল ভোল্ট। - রোধাঙ্কের সংজ্ঞা দাও। রোধাঙ্কের SI একক কী?
উঃ- প্রথম পরিবাহীর রোধ r₁,, বিভব প্রভেদ V₁, এবং প্রবাহমাত্রা I₁ হলে, দ্বিতীয় পরিবাহীর রোধ r₂, বিভব প্রভেদ V₂, প্রবাহমাত্রা I₂, হলে, দুটি রোধ একই বিভব প্রভেদের মধ্যে যুক্ত আছে তাই V₁=V₂ হবে, 6 গুণ তাই I₂ = 6 x I₂
V₁ / V₂ = 6 x r₂/r₂
1=6 x r₂/r₂
1/6 = r₁/r₂
r₁ : r₂ = 1 : 6 - একটি বৈদ্যুতিক বাতির গায়ে ‘ 220V-100W ‘ লেখা আছে, এর অর্থ কী ?
উঃ- একটি বাতির গায়ে ‘ 220V-100W ‘ লেখা থাকার অর্থ হল যে ওই বাতিটিকে 220V বিভব পার্খক্যে যুক্ত করলে সেটি 100 J/S হারে তড়িৎ শক্তি খরচ করে এবং তার উজ্জ্বলতা সর্বোচ্চ হয়। - ওহমের সূত্রটি বিবৃত করো। কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে 10V বিভব প্রভেদ প্রয়োগ করলে 0.1A তড়িৎ প্রবাহমাত্রা হয়। পরিবাহী র রোধ নির্ণয় করো।
উঃ- উষ্ণতা, উপাদান এবং অন্যান্য ভৌত অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে, কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহমাত্রা ওই পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব-পার্থক্যের সমানুপাতিক।
পরিবাহীর রোধ R হলে, ওহমের সূত্রানুযায়ী V=I.R.⇒R=V/I=(10/0.1)=100 Volt - r₁ ও r₂ দুটি রোধকে একই বিভব প্রভেদে আলাদাভাবে যুক্ত করে দেখা গেল r₁ এর মধ্যে দিয়ে প্রবাহমাত্রা r₂ এর মধ্যে দিয়ে প্রবাহমাত্রার 6 গুন, r₁ ও r₂ এর অনুপাত নির্ণয় করো।
উঃ- দুটি রোধ একই বিভব প্রভেদের মধ্যে যুক্ত আছে তাই V₁=V₂, হবে, আবার, r₁ এর মধ্যে দিয়ে প্রবাহমাত্রা r₂ এর মধ্যে দিয়ে প্রবাহমাত্রার 6 গুণ তাই I₂ = 6 x I₂
V₁ / V₂ = 6 x r₂/r₂
1=6 x r₂/r₂
1/6 = r₁/r₂
r₁ : r₂ = 1 : 6 - একটি বৈদ্যুতিক বাতির গায়ে ‘ 220V-100W ‘ লেখা আছে, এর অর্থ কী ?
উঃ- একটি বাতির গায়ে ‘ 220V-100W ‘ লেখা থাকার অর্থ হল যে ওই বাতিটিকে 220V বিভব পার্খক্যে যুক্ত করলে সেটি 100 J/S হারে তড়িৎ শক্তি খরচ করে এবং তার উজ্জ্বলতা সর্বোচ্চ হয়। - একটি রোধ অপর একটি রোধের তিনগুণ। রোধ দুটিকে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করলে তুল্যরোধ হয় 12 Ω। রোধ দুটির মান নির্ণয় করো।
উঃ- ধরি, একটি রোধের রোধ R অপরটি 3R।
রোধ দুটিকে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করলে তুল্যরোধ = (R + 3R)= 4R
∴ 4R=12
∴ R = 3
রোধ দুটিকে শ্রেণি সমবায়ে তুল্যরোধ (R + 3R) = (3 x 3) = 9Ω - DC অপেক্ষা AC এর সুবিধা লেখো।
উঃ- a. অনেক কম শক্তি ক্ষয় করে এবং অনেক কম খরচে পরিবর্তী প্রবাহকে (AC) অনেক দূরবর্তী স্থানে প্রেরিত হয়। b. একটি ট্রান্সফরমার ব্যবহার করে একটি এসির ভোল্টেজ সহজেই পরিবর্তিত হতে পারে। - বাড়ির বৈদ্যুতিক বর্তনীতে আর্দিং করা হয় কেন?
উঃ- বাড়ির বৈদ্যুতিক বর্তনীতে কোন প্রকার ত্রুটি হলে আর্দিং লিকেজ কারেন্টকে ত্রুটিপূর্ণ সার্কিট থেকে বিচ্ছিন্ন করে। এতে করে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারকারিনি নিজে বেঁচে যায়। তাই বলা চলে নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহারের আর্দিং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। - AC, DC অপেক্ষা বিপজ্জনক কেন?
উঃ- কারণ এসি ভোল্টেজের শীর্ষমান এর গড় বর্গের বর্গমূল মানের (√2)গুণ। যেমন-কোন বাড়ির কাছে 220 V ডিসি অপেক্ষা 220 V এসিতে বেশি শক অনুভূত হবে। কারণ 220 V এসিতে সর্বোচ্চ ভোল্টেজ 220*√2 = 311 V এর শক থাকা তাই ডিসি অপেক্ষা এসি বিপজ্জনক। - দুটি বিন্দুর বিভবপার্থক্য 100 ভোল্ট বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ দুটি বিন্দুর বিভবপার্থক্য 100 ভোল্ট বোঝায় এই যে, এক বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে এক কুলম্ব ধনাত্মক তড়িতাধানকে নিয়ে যেতে 100 জুল কার্য করতে হয়। - একটি কোশের তড়িৎচালক বল 1.5 ভোল্ট-এর অর্থ কী?
উত্তরঃ কোনো কোশের তড়িৎচালক বল 1.5 ভোল্ট বলতে বোঝায় যে, কোষটির ধনাত্মক থেকে ঋণাত্মক মেরুতে 1 কুলম্ব তড়িতাধান নিয়ে যেতে 1.5 জুল কার্য করতে হয়। - ‘তড়িৎ প্রবাহমাত্রা’ কাকে বলে?
উত্তরঃ তড়িৎ পরিবাহীর যে-কোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ড যে পরিমাণ ধনাত্মক আধান প্রবাহিত হয় তাকে ওই পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহমাত্রা বলে। - তড়িৎ প্রবাহমাত্রার ব্যবহারিক এককএর সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ তড়িৎ প্রবাহমাত্রার ব্যবহারিক একক হল অ্যাম্পিয়ার। কোনো পরিবাহীর যে-কোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে এক কুলম্ব তড়িৎ প্রবাহিত হলে ওই তড়িৎ প্রবাহমাত্রাকে এক অ্যাম্পিয়ার বলে। - থ্রি-পিন প্লাগ টপের সঙ্গে লাগানো তার তিনটির অন্তরক আবরণের রং কী কী?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক লাইনে তিনটি তারের তার ব্যবহৃত হয়। তারগুলিকে চেনার জন্য তাদের ওপর আলাদা রঙের নির্দিষ্ট করা হয়। একে তারের রং সংকেত বলে। নতুন আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে লাইভ তারকে বাদামি, নিউট্রাল তারকে হালকা নীল ও আর্থ তারকে সবুজ বা হলুদ বর্নের করা হয়। - দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত কয়েকটি পরিবাহী ও অন্তরকের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত পরিবাহীগুলি হল— লোহা সোনার সঙ্কর ধাতু, তামা সোনা ইত্যাদি। অন্তরকগুলি হল- কাঁচ, রবার, কাগজ, পিভিসি ইত্যাদি। - একটি পরিবাহিতে তড়িৎপ্রবাহের ফলে যে তাপ উৎপন্ন হয় তা কীসের উপর নির্ভর করে?
উঃ- তড়িৎ প্রবাহের ফলে উৎপন্ন তাপ- (i) পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহমাত্রা, (ii)পরিবাহীর রোধ (iii) তড়িৎপ্রবাহের সময়ের উপর নির্ভর করে - সমপ্রবাহের বিশিষ্ট একটি লম্বা ও একটি ছোটো তামার তারের মধ্য দিয়ে একই সময় একই পরিমাণ তড়িৎ পাঠালে কোন তারটি বেশি উত্তপ্ত হবে ও কেন?
উঃ- কারণ আমরা জানি, একই উপাদান ও একই বিশিষ্ট তারের রোধ ও দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক তারটির রোধ ছোটো তারটির রোধ অপেক্ষা বেশি হবে। ফলে সুত্রানুযায়ী, পরিবাহীর মধ্য দিয়ে একই প্রবাহমাত্রা চললে যেটির রোধ বেশি তারটি বেশি উত্তপ্ত হবে। - ইলেকট্রিক হিটারে নাইক্রোম তার ব্যবহার করা হয় কেন?
উঃ- ইলেকট্রিক হিটারে নাইক্রোম তার ব্যবহারের কারণ (i) নাইক্রোম হল নিকেল (Ni), ক্রোমিয়াম (Cr) ও লোহার (Fe) সঙ্কর ধাতু। এর গলনাঙ্ক খুব বেশি হওয়ায় রোধাও বেশি। রোধের সঙ্গে সমানুপাতী, প্রবাহমাত্রা ও তড়িৎপ্রবাহের সঙ্গে বর্গানুপাতী এবং সময় এর সঙ্গে সমানুপাতী হয়। ফলে নাইক্রোম এর উচ্চ রোধ হওয়ায় তাপ উৎপাদনও ভারটি গলে যায় না। (ii) উচ্চ উষ্ণতাও নাইক্রোম বায়ুর সংস্পর্শে এলে বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয় না। - ফিউজ তারের বৈশিষ্ট্য কী? এটি কেন ব্যবহার করা হয়?
উঃ- বৈশিষ্ট্য : ফিউজ তারের রোধাঙ্ক উচ্চ মানের এবং গলনাঙ্ক কম। ব্যবহার : অতিরিক্ত তড়িৎপ্রবাহজনিত ক্ষতি থেকে ফিউজ তার বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন ও লাইনের সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রগুলিকে রক্ষা করে। - তড়িৎশক্তির এসআই একক কী? এর সংজ্ঞা দাও।
উঃ- কুলম্ব পরিমাপণ তড়িৎ আধানকে। ভোল্ট বিভবপার্থক্য - তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়া বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ তড়িৎপ্রবাহ যেমন চুম্বকের উপর ক্রিয়াশীল চুম্বকও একই ভাবে তড়িৎপ্রবাহের উপর ক্রিয়াশীল। চুম্বক ক্ষেত্রর মধ্যে অবস্থিত তড়িৎপ্রবাহের ওপর একটি বল প্রয়োগ করে। এই কারণে পরিবাহী নিজ অবস্থান থেকে বিক্ষিপ্ত হয়। একেই তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়া বলে। - বার্লোচক্র পরিবাহী প্রবাহে কাজ করে না কেন?
উত্তরঃ বার্লোচক্র তড়িৎপ্রবাহের ক্রিয়া এই নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। চুম্বকক্ষেত্রের অভিমুখ বিপরীত দিকে হলে চক্রের ঘূর্ণনের অভিমুখ বিপরীত হয়। পরিবর্তী প্রবাহে (AC)তড়িৎ প্রবাহের প্রতি মুহূর্তে দিক ও পরে বিপরীত দিকে ঘুরে। দুটো ঘূর্ণন হয় না। কেবলমাত্র সমপ্রবাহে (DC)-তে বার্লোচক্র কাজ করে। - বৈদ্যুতিক মোটরের শক্তি কী কী উপায়ে বাড়ানো যায়?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক মোটরের শক্তি বাড়ানোর উপায় : (i) আর্মেচারের মধ্যে তড়িৎপ্রবাহের মাত্রা বাড়িয়ে। (ii) আর্মেচারের তারের পাকের সংখ্যা বাড়িয়ে। (iii) ক্ষেত্র চুম্বকের চৌম্বকশক্তি বাড়িয়ে। - থ্রি-পিন প্লাগ কী? এটি কোন কাজে ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ থ্রি-পিন প্লাগ : যে প্লাগে তিনটি পিনের ব্যবস্থা থাকে তাকে থ্রি-পিন প্লাগ বলে। ওপরের বড়ো ছিদ্রটি আর্থ কানেকশনের জন্য ডান দিকের ছিদ্রটি লাইভ তারের এবং বামদিকের ছিদ্রটি নিউট্রাল তারের কানেকশনের জন্য। - আর্থ তারের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ আর্থ তারের বৈশিষ্ট্য : তারের রোধ কম হওয়ায় উচ্চতা কারণ তারের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট সীমার বেশি তড়িৎপ্রবাহ হলে সার্কিটের ফিউজ তারটি পুড়ে গিয়ে লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। - কোশের আভ্যন্তরীণ রোধ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ কোশের আভ্যন্তরীণ রোধ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে।
(i) সক্রিয় তরলের মধ্যে তড়িদ্দ্বারের নিমজ্জিত অংশের ক্ষেত্রফলের উপর। দুটি তড়িদ্দ্বারের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পেলে আভ্যন্তরীণ রোধ হ্রাস পায়।
(ii) কোশ মধ্যস্থ সক্রিয় তরলের প্রকৃতির উপর। সক্রিয় তরলের পরিবাহিতা বৃদ্ধি পেলে কোশের আভ্যন্তরীণ রোধের মান হ্রাস পায়।
(iii) তড়িদ্দ্বারের মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর : তড়িদ্দ্বারের মধ্যবর্তী দূরত্ব বাড়ালে আভ্যন্তরীণ রোধ বৃদ্ধি পায়। - কিলোওয়াট-ঘন্টা (KWh) বা BOT একক কাকে বলে?
উত্তরঃ এক কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র এক ঘন্টা চললে যে তড়িৎশক্তি ব্যয় হয়, তাকে 1 কিলোওয়াট-ঘণ্টা (KWh) বা 1 বোর্ড অব ট্রেড ইউনিট বা BOT একক বলে। - অর্ধপরিবাহী পদার্থ কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ অর্ধপরিবাহী পদার্থ হল সেই সমস্ত পদার্থ যে গুলির তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা সুপরিবাহী পদার্থের তুলনায় কম এবং অন্তরক পদার্থের তুলনায় বেশি তাদের অর্ধপরিবাহী পদার্থ বলা হয়।
পরমাণুর নিউক্লিয়াস
5] অন্তেজস্ক্রিয় মৌলটি হল – (a) Po (b) Pb (c) Pu (d) Rn
উঃ- অন্তেজস্ক্রিয় মৌলটি হল – b) Pb.
6] পরমাণু চুল্লিতে ভারী জল (D2O) ব্যবহার করা হয় কী হিসেবে? a) জ্বালানি b) মডারেটর c) প্রজেক্টাইল d) ভাইলুয়েন্ট
উঃ- পরমাণু চুল্লিতে ভারী জল (D2O) ব্যবহার করা হয় b) মডারেটরে হিসেবে।
7] নিউক্লিয় বিভাজন বা সংযোজন বিক্রিয়ায় তাপ শক্তি উৎপাদনে মূল ভূমিকা পালন করে – a) রাসায়নিক শক্তি b) তড়িৎশক্তি c) ভরের আপাত বিনাশ d) ভরবেগ
উঃ-নিউক্লিয় বিভাজন বা সংযোজন বিক্রিয়ায় তাপ শক্তি উৎপাদনে মূল ভূমিকা পালন করে – c) ভরের আপাত বিনাশ
8] নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরে – a) শৃঙ্খল বিক্রিয়া ঘটে b) শৃঙ্খল বিক্রিয়া ঘটে না c) শক্তি শোষিত হয় d) কোনোটিই নয়
উঃ- নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরে – b) শৃঙ্খল বিক্রিয়া ঘটে।
9] 1986 সালের 28 এপ্রিল রাত্রি 9টায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট দুর্ঘটনাটি রাশিয়ায় কোথায় ঘটেছিল? a) ফুকুশিমা b) চেরনোবিল c) মিনামটা d) ভোপাল
উঃ- 1986 সালের 28 এপ্রিল রাত্রি 9টায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট দুর্ঘটনাটি রাশিয়ায় চেরনোবিলে ঘটেছিল।
10] নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরে নিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যে পদার্থটির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেটি হল- (a) প্রোটন b) ইলেকট্রন c) নিউট্রন d) a-কণা
উঃ- নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরে নিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যে পদার্থটির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেটি হল c) নিউট্রন।
11] α, β, γ রশ্মির মধ্যে যার ভেদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
উঃ- α, β, γ -রশ্মির মধ্যে γ এর ভেদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
12] তেজস্ক্রিয় রশ্মি তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর কোন্ অংশ থেকে নির্গত হয়?
উঃ- তেজস্ক্রিয় রশ্মি তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে নির্গত হয়।
13] ধনাত্মক আধানযুক্ত তেজস্ক্রিয় কণার নাম লেখো।
উত্তরঃ ধনাত্মক আধানযুক্ত তেজস্ক্রিয় কণার নাম হলো – আলফা।
14] আধানবিহীন তেজস্ক্রিয় রশ্মির নাম লেখো।
উত্তরঃ গামা রশ্মি হল আধানবিহীন তেজস্ক্রিয় রশ্মির।
15] কোন ধরনের নিউক্লিয় বিক্রিয়া সূর্যের শক্তির উৎস?
উত্তরঃ নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়া সূর্যের শক্তির মূল উৎস।
সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী প্রশ্ন
- 92U238 থেকে 4 টি আলফা কণা এবং 4 টি বিটা কণা নির্গত হলে নতুন মৌলের ভরসংখ্যা ও পরমাণু ক্রমাঙ্ক হবে- 222, 82 / 222, 84 / 222, 86 / 222, 88
উঃ- 222, 88 - ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়- তেজস্ক্রিয় কার্বন / তেজস্ক্রিয় সালফার / তেজস্ক্রিয় কোবাল্ট / তেজস্ক্রিয় ফসফরাস।
উঃ- তেজস্ক্রিয় সালফার। - কোনটি α রশ্মি- He2+ / He+ / He / H+
উঃ- (c) উভয়ই
4] তেজস্ক্রিয় মৌল সবচেয়ে শেষে যে মৌলে পরিণত হয় সেটি হল – থোরিয়াম (Th) b) চ্যানস্টেন (W) c) মলিবডেনাম (Mo) d) লেড (Pb)
উঃ- তেজস্ক্রিয় মৌল সবচেয়ে শেষে যে মৌলে পরিণত হয় সেটি হল – d) লেড (Pb).
SAQ প্রশ্ন-উত্তর:-
- সূর্য কোন প্রক্রিয়া শক্তি উৎপন্ন হয়?
উত্তরঃ সূর্য্যে নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়া শক্তি উৎপন্ন হয়। - নিউক্লিয় চুল্লিতে মডারেটর হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়?
উঃ- নিউক্লিয় চুল্লিতে মডারেটর হিসেবে যে ব্যবহার করা হয়। গ্রাফাইট, ক্যাডমিয়াম দণ্ড। - নিউক্লিয় বিভাজনের ব্যবহার লেখ।
উঃ- a) পারমাণবিক বিদ্যুৎ তৈরি করতে b) পারমাণবিক বোমা তৈরিতে - 1amu পরিমাণ ভর কে শক্তিতে রূপান্তরিত করলে কত শক্তি উৎপন্ন হয়?
উত্তরঃ 931 MeV - কোন তেজস্ক্রিয় কণা নির্গমনে আইসোবার সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ β-কণা
মান ২ ও ৩ নম্বরের প্রশ্ন-উত্তর:
- নিউক্লিয় বিভাজন ও নিউক্লিয় সংযোজনের দুটি পার্থক্য লেখো।
উঃ-
নিউক্লিয় বিভাজন
অপেক্ষাকৃত ভারী নিউক্লিয়াস গুলিকে নিউট্রন দিয়ে আঘাত করে প্রায় সমান ভরের দুটি নিউক্লিয়াসে ভাঙ্গা হয়।
নিউক্লিয় বিভাজন বিক্রিয়ায় প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়।
নিউক্লিয় সংযোজনে বিভাজনের তুলনায় অনেক বেশি শক্তি উৎপন্ন হয়।
নিউক্লিয় সংযোজন
দুই বা তার বেশি হালকা পরমাণুর নিউক্লিয়াস যুক্ত করে একটি ভারী নিউক্লিয়াস তৈরি করা হয়।
নিউক্লিয় সংযোজনে তাপ নিউক্লিয় বিক্রিয়া বলে কেন? - নিউক্লিয়াসের সংযোজনে ঘটাতে গেলে ধনাত্মক আধানযুক্ত নিউক্লিয়াস গুলির মধ্যে বিকর্ষণ বলকে অতিক্রম করতে হয়। এর জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। অতি উচ্চ উষ্ণতা এবং চাপে নিউক্লিয়াসগুলি যথেষ্ট পরিমাণ তাপের সৃষ্টি হয়, তাই সেই তাপকে কাজে লাগিয়ে নিউক্লিয় সংযোজন ঘটায়। তাই এই বিক্রিয়াকে তাপ-নিউক্লিয় বিক্রিয়া বলে।
গোন্ড (₇₉Au¹⁹⁷) এবং ক্ষেত্রে নিউট্রন এবং প্রোটিনের সংখ্যার অনুপাত 1.5 এর চেয়ে কম। তাই এই দুটি তেজস্ক্রিয় নয়। কিন্তু রেডিয়াম (₈₈Ra²²⁶) এর ক্ষেত্রে নিউট্রন এবং প্রোটিনের সংখ্যার অনুপাত 1.5 এর বেশি হয় বলে এটি তেজস্ক্রিয়। - তেজস্ক্রিয়তা একটি নিউক্লিয় ঘটনা- ব্যাখ্যা করো।
উঃ- তেজস্ক্রিয়তা একটি নিউক্লিয় ঘটনা। এর সঙ্গে পরমাণু মধ্যস্থ নিউক্লিয়াসের বাইরের ইলেকট্রনের কোনো সম্পর্ক নেই। বাহ্যিক চাপ, উষ্ণতা, রাসায়নিক বিক্রিয়া, তড়িৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না। তেজস্ক্রিয়তা হল একটি নিউক্লিয়াসের ভাঙ্গন বা বিঘটন। তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ফলে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট নতুন মৌল উৎপন্ন হয়। আলফা, বিটা ও গামা। এর ফলে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট নতুন মৌল - নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি কাকে বলে? গোল্ড (₇₉Au¹⁹⁷) তেজস্ক্রিয় নয় কিন্তু রেডিয়াম (₈₈Ra²²⁶) তেজস্ক্রিয় কেন?
উঃ- একটি নিউক্লিয়াসের গুলি এক সঙ্গে সুদৃঢ়ভাবে আবদ্ধ হয়ে নিউক্লিয়াসের গঠনের সময় যে শক্তি মুক্ত করে, তাকে ওই নিউক্লিয়াসের বন্ধন শক্তি বলে।
যে সব মৌলের নিউট্রন এবং প্রোটিনের সংখ্যার অনুপাত 1.5 এর চেয়ে বেশি অথবা পারমাণবিক গুরুত্ব 206 এর বেশি সেই নিউক্লিয়াস গুলি অস্থায়ী হয় এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণ করে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করে। সেই সব মৌলগুলি তেজস্ক্রিয় হয়। - ⁹²U²³⁵ তেজস্ক্রিয় বিকিরণ শেষে ₈₂Pb²⁰⁷ এ পরিণত হয়। পরিবর্তিতটিতে নির্গত α ও β কণার সংখ্যা নির্ণয় করো।
উঃ- ⁹²U²³⁵→₈₂Pb²⁰⁷, পরিবর্তনে ভরের পার্থক্য = (235-207)= 28 একক
একটি α কণা নির্গত হলে ভরের একক হ্রাস পায়। অর্থাৎ 7 টি α কণা নির্গত হয়েছে।
আবার, একটি α কণা নির্গত হওয়ায় পরমাণু ক্রমাঙ্ক 2 একক হ্রাস পায়।
অর্থাৎ, অন্তিম মৌলের পরমাণু ক্রমাঙ্ক (92-14) = 78 হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু পরমাণু ক্রমাঙ্ক 82 হয়েছে। তার মানে পরমাণু ক্রমাঙ্ক 14 একক হ্রাস পেয়ে আবার 4 একক বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমরা জানি, একটি β- কণা নির্গত হলে পরমাণু ক্রমাঙ্ক 1 একক বৃদ্ধি পায়।
অর্থাৎ পরমাণুটি থেকে 4 টি β- কণা নির্গত হয়েছে।
অতএব, ওপরের পরিবর্তনেটিতে 7 টি α কণা এবং 4 টি β- কণা নির্গত হয়েছে। - ⁹²X²³⁵→₉₂Y²³¹ বিক্রিয়াটিতে কটি α ও β কণা নির্গত হয়েছে?
উঃ- পরমাণু দুটির ভরের পার্থক্য = (235-231)= 4 একক
একটি α কণা নির্গত হলে ভর 4 একক হ্রাস পায়। অর্থাৎ একটি α কণা নির্গত হয়েছে।
আবার, একটি α কণা নির্গত হওয়ায় পরমাণু ক্রমাঙ্ক 2 একক হ্রাস পায়।
অর্থাৎ, অন্তিম মৌলের পরমাণু ক্রমাঙ্ক (92-2) = 90 হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু পরমাণু ক্রমাঙ্ক আছে। তার মানে পরমাণু ক্রমাঙ্ক 2 একক হ্রাস পেয়ে আবার 2 একক বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমরা জানি, একটি β- কণা নির্গত হলে পরমাণু ক্রমাঙ্ক 1 একক বৃদ্ধি পায়।
অর্থাৎ পরমাণুটি থেকে 2 টি β- কণা নির্গত হয়েছে।
অতএব, ওপরের পরিবর্তনেটিতে 1 টি α কণা এবং 2 টি β- কণা নির্গত হয়েছে। - নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরে কোন নিউক্লিয় বিক্রিয়া ঘটে? একে শৃঙ্খল বিক্রিয়া বলে কেন?
উত্তরঃ শৃঙ্খল বিক্রিয়া। এই বিক্রিয়ায় একটি 92U235 এর নিউক্লিয়াসের বিভাজনে উৎপন্ন তিনটি নিউট্রনের প্রত্যেকটি অন্য নিউক্লিয়াসের বিভাজন ঘটাতে পারে। এর ফলে সঙ্গে আরও নিউট্রন উৎপন্ন হয়। এইভাবে নিউক্লিয় বিভাজন একবার শুরু হলে তা শৃঙ্খলের ন্যায় চলতে থাকে এবং বিক্রিয়ার হার দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। বিক্রিয়াটি শৃঙ্খলের ন্যায় চলতে থাকে বলেই একে শৃঙ্খল বিক্রিয়া বলে। - নিউক্লিয় সংযোজন কাকে বলে ? একটি উদাহরণ দাও।
উঃ- যে বিক্রিয়ায় দুই বা তার বেশি হালকা পরমাণুর নিউক্লিয়াস যুক্ত হয়ে তার চেয়ে ভারি নিউক্লিয়াস গঠন করে এবং তার ফলে বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়, তাকে নিউক্লিয় সংযোজন বলে।
উদাহরণঃ- দুটি ডয়টেরিয়াম নিউক্লিয়াস যুক্ত হয়ে একটি হিলিয়াম আইসোটোপ গঠন করে এবং সেই সঙ্গে নিউট্রন এবং শক্তি উৎপন্ন হয়।
₁H² + ₁H² → ₂He³ + ₀n¹ + 3.27 MeV - নিউক্লিয় বিভাজন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ- যে প্রক্রিয়ায় একটি তেজস্ক্রিয় পরমাণুর (যেমন- ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম বা থোরিয়াম) ভারী নিউক্লিয়াসকে ধীর গতিসম্পন্ন নিউট্রন দিয়ে আঘাত করে প্রায় সমান ভরের দুটি নিউক্লিয়াসে ভেঙে ফেলা হয় এবং তার সঙ্গে বহু সংখ্যক নিউট্রন এবং প্রচুর পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে নিউক্লিয় বিভাজন বলে।
উদাহরণঃ- ⁹²U²³⁵ + ₀n¹ →₅₆Ba¹⁴¹ + ₃₆Kr⁹² + 3₀n¹ + 200 MeV - নিউক্লিয় সংযোজনের পূর্বে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটানো আবশ্যক –কেন?
উঃ- নিউক্লিয় বিভাজন ঘটাতে প্রচুর তাপের প্রয়োজন হয়। যেহেতু নিউক্লিয়াসগুলি যথেষ্ট পরিমাণ তাপের সৃষ্টি হয়, তাই সেই তাপকে কাজে লাগিয়ে নিউক্লিয় সংযোজন ঘটায়। তাই এই কারণে নিউক্লিয় সংযোজনের পূর্বে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটানো অপেক্ষা পৃথিবীতে নিউক্লিয় ও বিভাজন ব্যতিত সংযোজনে প্রয়োজনীয় এই পরিমাণ তাপ আর কোনোভাবে উৎপন্ন করা সম্ভব নয়। - নিউক্লিয় বিভাজনকে শৃঙ্খল বিক্রিয়া বলা হয় কেন?
উঃ- নিউক্লিয় বিভাজনকে শৃঙ্খল বিক্রিয়াটি- ⁹²U²³⁵ + ₀n¹ →₅₆Ba¹⁴¹ + ₃₆Kr⁹² + 3₀n¹ + শক্তি
উপরিউক্ত বিক্রিয়ায় আমরা দেখতে পাই, বিক্রিয়া সংঘটিত করতে নিউট্রন প্রয়োজন হয় এবং বিক্রিয়াতে তিনটি নিউট্রন পাওয়া যায়। এই বিক্রিয়াতে তিনটি নিউট্রন পুনরায় গিয়ে তিনটি ইউরেনিয়ামকে আঘাত করে। এই ভাবে প্রতিটি ধাপে উৎপন্ন নিউট্রন ইউরেনিয়ামকে আঘাত করতে ওইভাবেই বিক্রিয়ার - কার্বন ডেটিং কী? নিউক্লিয় চুল্লী কী?
উঃ- C-14 আইসোটোপের তেজস্ক্রিয় বিঘটনকে ব্যবহার করে কোনো জৈব বস্তুর সঠিক বয়স নির্ধারণকেই কার্বন ডেটিং বলা হয়।
নিউক্লিয় চুল্লীঃ যে যন্ত্র বা ব্যবস্থার সাহায্যে নিউক্লিয় বিভাজনের শৃঙ্খল বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাকে নিউক্লিয় চুল্লী বলে। - কোনো তেজস্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে একটা α কণা নির্গত হলে ভৌতধর্মের ভরসংখ্যা এবং পারমাণবিক সংখ্যা ১একক করে বেড়ে যায় ও নতুন মৌলের সৃষ্টি হয়।
- কোনো তেজস্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে একটা β কণা নির্গত হলে ভৌতধর্মের ভরসংখ্যা এবং পারমাণবিক সংখ্যার কী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়?
উঃ কোনো তেজস্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে একটা β কণা নির্গত হলে মৌলটির ভরসংখ্যা একই থাকে ও পারমাণবিক সংখ্যা 1একক বেড়ে যায় ও নতুন মৌলের সৃষ্টি হয়। - লেড মোল এবং হিলিয়াম গ্যাস তেজস্ক্রিয় মৌলের খনিতে উপস্থিত থাকে কেনো?
উঃ: ভারী তেজস্ক্রিয় মৌলের ভাঙ্গনের ফলে উৎপন্ন α কণা পরিবেশ থেকে দুটি ইলেকট্রন সংগ্রহ করে হিলিয়ামে পরিণত হয়। পিচব্লেন্ড আছে এবং খনিতে হিলিয়াম গ্যাস পাওয়া যায়। ভারী তেজস্ক্রিয় মৌল গুলি তাদের শেষ পর্যায়ে লেডেতে পরিণত হয়। তাই তেজস্ক্রিয় মৌলে খনিতে লেড পাওয়া যায়। (পিচব্লেন্ড আকরিকের ইউরেনিয়াম(U), পোলোনিয়াম(Po), রেডিয়াম(Ra) প্রভৃতি পাওয়া যায়) - চিকিৎসা বিজ্ঞানে তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার ক্যান্সার আক্রান্ত কোশগুলোতে নষ্ট করার কাজে তেজস্ক্রিয় মৌল কোডিয়াম, কোবাল্ট(60CO) ব্যবহৃত হয়। লিউকিমিয়া, মস্তিষ্কের টিউমার রোগের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় ফসফরাস (32P) ব্যবহৃত হয়। থাইরয়েড রোগের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় আয়োডিন (131I) ব্যবহৃত হয়। - “কোনো মৌলের তেজস্ক্রিয়তা সম্পূর্ণ নিউক্লিয়াসজনিত ঘটনা” – ব্যাখ্যা করো।
উঃ- যে মৌলগুলি তাদের রাসায়নিক পরিবর্তন হয়ে অন্য যৌগ গঠন করলেও তার তেজস্ক্রিয় ধর্মের কোনো পরিবর্তন হয় না। যেমন – রেডিয়াম তেজস্ক্রিয় এবং রেডিয়াম ক্লোরাইডও তেজস্ক্রিয়। কোনো মৌলের রাসায়নিক ধর্ম বিভিন্ন কক্ষে ইলেকট্রন বিন্যাসের ওপর নির্ভরশীল। যেহেতু রাসায়নিক পরিবর্তনের পরেও তেজস্ক্রিয় মৌলের তেজস্ক্রিয়তা বর্তমান থাকে তাই তেজস্ক্রিয়তার সঙ্গে মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের কোনো সম্পর্ক নেই। আবার, তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গমনের ফলে নতুন ধর্মশিষ্ট মৌল উৎপন্ন হয়। এটা সম্ভব যদি নিউক্লিয়াসের গঠনের পরিবর্তন হয় অর্থাৎ নির্গতক্রিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার পরিবর্তন হয়। তাই বলা যায় – “কোনো মৌলের তেজস্ক্রিয়তা সম্পূর্ণ নিউক্লিয়াসজনিত ঘটনা।”
পর্যায় সারণি এবং মৌলদের ধর্মের পর্যাবৃত্ততা
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
- কোনো পর্যায়ের বামদিক থেকে ডানদিকে অগ্রসর হলে মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ ক্রমশ- (A) কমে (B) বাড়ে (C) একই থাকে (D) প্রথমে বাড়ে তারপরে কমে
উত্তরঃ কোনো পর্যায়ের বামদিক থেকে ডানদিকে অগ্রসর হলে মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ ক্রমশ (A) কমে - আধুনিক পর্যায়-সারণির ষষ্ঠ পর্যায়ে মৌলের সংখ্যা- (A) 2 (B) 8 (C) 18 (D) 32
উত্তরঃ আধুনিক পর্যায়-সারণির ষষ্ঠ পর্যায়ে মৌলের সংখ্যা (D) 32। - মেন্ডেলিভের পর্যায়-সারণিতে হাইড্রোজেনের রাখা যায়- (A) হ্যালোজেন বা ক্ষার ধাতুগুলির সাথে (B) চালকোজেন বা ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতুগুলির সাথে (C) নিকটোজেন বা মুদ্রা ধাতুগুলির সাথে (D) নিস্ক্রিয় গ্যাসগুলির সাথে
উত্তরঃ মেন্ডেলিভের পর্যায়-সারণিতে হাইড্রোজেনকে (A) হ্যালোজেন বা ক্ষার ধাতুগুলির সাথে রাখা যায়। - কোনটির বিজারণ ধর্ম সর্বোচ্চ?- (A) K (B) Na (C) Li (d) Cs
উত্তরঃ (D) Cs এর বিজারণ ধর্ম সর্বোচ্চ। - কোন হ্যালোজেনটির তড়িৎ-ঋণাত্মকতা সবচেয়ে কম?- (A) F (B) Cl (C) Br (D) I
উত্তরঃ (D) I বা আয়োডিনের তড়িৎ-ঋণাত্মকতা সবচেয়ে কম। - সবচেয়ে বেশি তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলটি হল- (A) O (B) Cl (C) F (D) Ne
উত্তরঃ সবচেয়ে বেশি তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলটি হল (C) F বা ফ্লোরিন। - কোনটির পর্যায়েরত ধর্ম নয়?- (A) জারণ ধর্ম (B) বিজারণ ধর্ম (c) তেজস্ক্রিয়তা (D) পারমাণবিক ব্যাসার্ধ
উঃ- (C) তেজস্ক্রিয়তা মৌলের পর্যায়গত ধর্ম নয়। - নীচের কোনটির পারমাণবিক ব্যাসার্ধ সর্বাধিক?- (A) K (B) H (C) Li (d) Na
উঃ- (A) K বা পটাশিয়ামের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ সর্বাধিক। - এদের মধ্যে কোনটি নোবেল গ্যাস?- (A) Ne (B) O2 (C) N2 (D) F2
উত্তরঃ-(A) Ne হল নোবেল গ্যাস।
- কোন বিজ্ঞানীকে ‘পর্যায়-সূত্রের জনক’ বলা হয়? (A) ডোবেরাইনার (B) নিউল্যান্ডস (C) অ্যাভোগাড্রো (D) মেন্ডেলিভ
উত্তরঃ (D) বিজ্ঞানী মেন্ডেলিভকে পর্যায়-সূত্রের জনক’ বলা হয়। - Al –এর পারমাণবিক ব্যাসার্ধ Si অপেক্ষা__।
উত্তরঃ Al –এর পারমাণবিক ব্যাসার্ধ Si অপেক্ষা বেশি। - ‘চালকোজেন’ শব্দের অর্থ_।
উত্তরঃ ‘চালকোজেন’ শব্দের অর্থ আকরিক উৎপাদক। - দীর্ঘ পর্যায়-সারণির প্রথম পর্যায়ে অবস্থিত নিষ্ক্রিয় গ্যাসটির নাম লেখো।
উত্তরঃ দীর্ঘ পর্যায়-সারণির প্রথম পর্যায়ে অবস্থিত নিষ্ক্রিয় গ্যাসটির নাম হিলিয়াম(He)। - জলের চেয়ে হালকা একটি ক্ষার ধাতুর নাম লেখো।
উত্তরঃ জলের চেয়ে হালকা একটি ক্ষার ধাতুর নাম হল সোডিয়াম। - সবচেয়ে হালকা নিষ্ক্রিয় গ্যাস কোনটি?
উত্তরঃ সবচেয়ে হালকা নিষ্ক্রিয় গ্যাস Hel - দ্বিতীয় পর্যায়ের তীব্রতম জারক পদার্থটির নাম কী?
উত্তরঃ দ্বিতীয় পর্যায়ের তীব্রতম জারক পদার্থটির নাম ফ্লোরিন। - ‘দুষ্ট মৌল’ (rogue element) কাকে বলে?
উত্তরঃ হাইড্রোজেন মৌলটিকে ‘দুষ্ট মৌল’ বলে। - তেজস্ক্রিয় নিষ্ক্রিয় মৌলটির নাম কি?
উত্তরঃ তেজস্ক্রিয় নিষ্ক্রিয় মৌলটির নাম হল রেডন (Rn)। - সাধারণ উষ্ণতায় তরল একটি অধাতব মৌলের নাম লেখো।
উত্তরঃ সাধারণ উষ্ণতায় তরল একটি অধাতব মৌলের নাম হল ব্রোমিন। - একটি হ্যালোজেন মৌলের নাম লেখো।
উত্তরঃ একটি হ্যালোজেন মৌলের নাম হল ক্লোরিন। - পর্যায়-সারণির দ্বিতীয় পর্যায়ে অবস্থিত নিষ্ক্রিয় মৌলটি কি?
উত্তরঃ পর্যায়-সারণির দ্বিতীয় পর্যায়ে অবস্থিত নিষ্ক্রিয় মৌলটি নিয়ন (Ne)। - মেন্ডেলিভের পর্যায়-সারণিতে কটি পর্যায় ও কয়টি শ্রেণি আছে?
উত্তরঃ মেন্ডেলিভের পর্যায়-সারণিতে সাতটি পর্যায় ও আটটি শ্রেণি আছে।
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর
- দীর্ঘ পর্যায় সারণিতে শ্রেণী সংখ্যা কত? (a) 7 (b) 8 (c) 9 (d) 18
উত্তরঃ (d) 18 - কোনটি সন্ধিগত মৌল নয় (a) Cr (b) Mn (c) Ni (d) Zn
উত্তরঃ (d) Zn - নিচের কোনটি পর্যাবৃত্ত ধর্ম নয় (a) তড়িৎ ঋণাত্মকতা (b) ইলেকট্রন আসক্তি (c) তেজস্ক্রিয়তা (d) আয়নীভবন বিভব
উত্তরঃ (c) তেজস্ক্রিয়তা - ম্যাগনেসিয়াম হল একটি (a) ক্ষার ধাতু (b) হ্যালোজেন মৌল (c) ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু (d) নিষ্ক্রিয় মৌল
উত্তরঃ (c) ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু - প্রদত্ত কোন যৌগে অষ্টক সূত্র প্রযোজ্য? (a) BeCl₂ (b) BCl₃ (c) NH₃ (d) LiH
উত্তরঃ (c) NH₃ - নিচের মৌলগুলির মধ্যে কোনটি সন্ধিগত মৌল নয় (a) Fe (b) Co (c) Ca (d) Cr
উত্তরঃ (c) Ca - কোনটি ক্ষার ধাতু নয়- IA / IIA / VII B / 0.
উত্তরঃ IA - কোনটি ক্ষার ধাতু নয়- Cs / Rb / K / Al
উত্তরঃ- Al - দীর্ঘ পর্যায় সারণির শ্রেণিতে শ্রেণি 17 এর অন্তর্গত Cl (17), F (9), Br (35) এর জারণ ধর্মের ক্রম হল- F>Cl>Br>I / F>I>Cl>Br / Cl>F>I>Br / F>I>Br>Cl
উত্তরঃ F>Cl>Br>I
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- দীর্ঘ পর্যায় সারণির প্রথম পর্যায়ে অবস্থিত নিষ্ক্রিয় গ্যাস টির নাম লেখ?
উত্তরঃ: 16 নম্বর শ্রেণীতে - আধুনিক দীর্ঘ পর্যায় সারণিতে কয়টি পর্যায় আছে?
উত্তরঃ: সাতটি - দীর্ঘ পর্যায় সারণিতে কয়টি শ্রেণি আছে?
উত্তরঃ: ১৮ টি - অক্সিজেনের পর্যায় সারণির কোন শ্রেণীতে অবস্থান করে?
উত্তরঃ: 16 নম্বর শ্রেণীতে অক্সিজেন অবস্থান করে। - ক্লোরিন পর্যায় সারণির কোন শ্রেণীতে অবস্থান করে?
উত্তরঃ: 17 নম্বর শ্রেণীতে - সোডিয়াম পর্যায় সারণির কোন্ শ্রেণীর অর্ন্তভুক্ত?
উত্তরঃ: 1 নম্বর - পর্যায় সারণির কোন পর্যায় কে অতি হ্রস্ব পর্যায় বলে?
উত্তরঃ: ষষ্ঠ পর্যায় কে - কোন পর্যায়ে কে অতি দীর্ঘ পর্যায় বলে?
উত্তরঃ: ষষ্ঠ পর্যায় কে - অতি হ্রস্ব পর্যায়ে অবস্থিত নিষ্ক্রিয় গ্যাস কোনটি?
উত্তরঃ: হিলিয়াম - মুদ্রা ধাতু গুলি পর্যায় সারণিতে কোন শ্রেণীতে আছে?
উত্তরঃ: 11 নম্বর শ্রেণীতে - চালকোজেন মৌলগুলি পর্যায় সারণির কোন শ্রেণীতে অবস্থিত?
উত্তরঃ: 16 নম্বর শ্রেণীতে চালকোজেন মৌল গুলি পর্যায় সারণির কোন শ্রেণীতে অবস্থিত - নিক্টোজেন মৌল গুলি পর্যায় সারণির কোন শ্রেণীতে অবস্থিত?
উত্তরঃ: 15 নং - এমন একটি মৌলের নাম করো যেটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে?
উত্তরঃ: টেকনিশিয়াম - পর্যায় সারণির অসম্পূর্ণ পর্যায় কোনটি?
উত্তরঃ: সপ্তম পর্যায় - একটি ইউরেনিয়ামোত্তর মৌলের নাম করো
উত্তরঃ: নেপচুনিয়াম - বিরল মৃত্তিকা মৌল গুলি কোন পর্যায়ে অবস্থান করে?
উত্তরঃ: 6 পর্যায়ে - পরমাণু গুলিকে ক্রমবর্ধমান তড়িৎ ঋণাত্মকতা অনুযায়ী সাজাও: C1,Br,I,F
উত্তরঃ F>Cl>Br>I - C1,Br,I,F এই অধাতব ধর্মের নিম্নক্রমে সাজাও
উত্তরঃ F>C1>Br>I - C1,Br,I,F কে পরমাণুর আকারের ঊর্ধ্বক্রমে সাজাও
উত্তরঃ F<C1<Br<I - C1,Br,I,F এই মৌলগুলোর মধ্যে কোনটির তড়িৎ ঋণাত্মকতা সবচেয়ে কম ও কোনটির পরমাণুর আকার সবচেয়ে বড়?
উত্তরঃ কোনটির পরমাণুর আকার সবচেয়ে বড়? উত্তরঃ I - সবচেয়ে তড়িৎ ধনাত্মক ও সবচেয়ে তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল গুলি কি কি?
উত্তরঃ:Li, F - প্রদত্ত মৌলগুলিকে ক্রম হ্রাসমান পরমাণুর আকার অনুযায়ী সাজাও: O, C, F, Li
উত্তরঃ: Li, C, O, F - পর্যায় সারণির তৃতীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি বিজারক মৌল কোনটি?
উত্তরঃ: সোডিয়াম (Na) - পর্যায় সারণীতে সবচেয়ে হালকা মৌল কোনটি?
উত্তরঃ: হাইড্রোজেন - কোন মৌলের জারণ ক্ষমতা সবথেকে বেশি?
উত্তরঃ: ফ্লুরিন - পর্যায় সারণির সবচেয়ে হালকা নিষ্ক্রিয় গ্যাস কোনটি?
উত্তরঃ: হিলিয়াম - পর্যায় সারণির শ্রেণীতে কঠিন, তরল, গ্যাস তিন রকম মৌল অবস্থান করে?
উত্তরঃ: 17 নম্বর - তেজস্ক্রিয় নিষ্ক্রিয় মৌল টির নাম লেখ।
উত্তরঃ: রেডন - হ্যালোজেন মৌলগুলির মধ্যে তেজস্ক্রিয় কোনটি?
উত্তরঃ: অ্যাস্টাটিন - একটি তরল ধাতুর নাম কর।
উত্তরঃ: পারদ বা মার্কারি - পর্যায় সারণির কোন পর্যায়ের মৌল গুলিকে আদর্শ মৌল বলে?
উত্তরঃ: তৃতীয় পর্যায় - দুটি মুদ্রা ধাতুর নাম কর?
উত্তরঃ: Cu, Ag - দুটি চালকোজেন মৌলের নাম কর।
উত্তরঃ: অক্সিজেন, সালফার - দুটি নিকটোজেন মৌলের নাম কর।
উত্তরঃ: নাইট্রোজেন, ফসফরাস - সন্ধিগত মৌল গুলি পর্যায় সারণিতে কোন শ্রেণীতে অবস্থান করে?
উত্তরঃ: 3 থেকে 12 নম্বর শ্রেণীতে সন্ধিগত মৌল গুলি অবস্থান করে। - পর্যায় সারণিতে কোন মৌল গুলির একাধিক যোগ্যতা দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ: সন্ধিগত মৌল গুলির একাধিক যোগ্যতা দেখতে পাওয়া যায়। - পরিবর্তনশীল যোজ্যতা দেখা যায় এমন একটি মৌলের নাম কর?
উত্তরঃ: লোহা - পর্যায় সারণীতে প্রথম দীর্ঘ পর্যায় কয়টি মৌল আছে?
উত্তরঃ: 18টি মৌল - চতুর্থ পর্যায়ে কটি সন্ধিগত মৌল আছে?
উত্তরঃ: 10টি - পর্যায় সারণিতে অতি দীর্ঘ পর্যায়ের সংখ্যা কটি?
উত্তরঃ: 32টি - তেজস্ক্রিয় নিষ্ক্রিয় গ্যাস কোনটি?
উত্তরঃ: সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম - সবচেয়ে তীব্র ক্ষার ধাতু টির নাম কি?
উত্তরঃ: ফ্লুসিয়াম - এমন একটি ধর্মের নাম করো যেটি পর্যায়গত ধর্ম নয়?
উত্তরঃ: তেজস্ক্রিয়তা ধর্ম - দুটি আদর্শ মৌলের নাম কর।
উত্তরঃ: সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম - সর্বাধিক তড়িৎ ঋণাত্মক কোন মৌল?
উত্তরঃ: সর্বাধিক তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল হলো ফ্লুরিন (F) - বিজ্ঞানী মোসলের পরীক্ষা থেকে কি জানতে পারা যায়?
উত্তরঃ: বিজ্ঞানী মোসলের পরীক্ষা থেকে জানা যায় পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণু ক্রমাঙ্ক ওই মৌলের রাসায়নিক ধর্মকে নিয়ন্ত্রণ করে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর – মান ২
- নিউল্যান্ডের অষ্টক সূত্রটি লেখো
উত্তরঃ: ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক গুরুত্ব অনুযায়ী সাজালে একটি নির্দিষ্ট মৌল থেকে শুরু করে পরবর্তী অষ্টম মৌলের রাসায়নিক ধর্মের পুনরাবৃত্তি ঘটে, এই সূত্রটি কে নিউল্যান্ডের অষ্টক সূত্র বলে। যেমন, লিথিয়াম থেকে শুরু করলে পরবর্তী অষ্টম মৌল হয় পটাশিয়াম। সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং লিথিয়ামের রাসায়নিক ধর্মের মিল আছে। - পর্যায় ও শ্রেণী কাকে বলে?
উত্তরঃ: পর্যায়: ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক গুরুত্ব অথবা ক্রমাঙ্ক অনুযায়ী সাজালে অনুভূমিক যে পংক্তি গুলি পাওয়া যায় তাদের পর্যায় বলে
শ্রেণী: ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক গুরুত্ব অনুযায়ী সাজালে একই ধর্ম বিশিষ্ট মৌল গুলি এক একটি উল্লম্ব পংক্তির মধ্যে পড়ে, এদের শ্রেণী বা গ্রুপ বলে। - ক্ষার ধাতু কাদের বলে? পর্যায় সারণিতে এরা কোন শ্রেণীতে অবস্থিত?
উত্তরঃ: লিথিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, রুবিডিয়াম, সিজিয়াম এবং ফ্লুসিয়াম এই মৌল গুলিকে ক্ষার ধাতু বলা হয়। কারণ এরা অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে তীব্র ক্ষারীয় অক্সাইড তৈরি করে যা জলের সাথে যুক্ত হয়ে ক্ষার তৈরি করে। পর্যায় সারণিতে ক্ষারধাতুর অবস্থান : পর্যায় সারণিতে ক্ষার ধাতু গুলি IA শ্রেণীতে (মেন্ডেলিফ), অথবা 1 নং শ্রেণীতে (আধুনিক পর্যায় সারণি) অবস্থিত - ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু কাদের বলে? পর্যায় সারণিতে এরা কোন শ্রেণীতে অবস্থিত?
উত্তরঃ: বেরিলিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ট্রান্সিয়াম, বেরিয়াম, রেডিয়াম এই মৌল গুলিকে ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু বলা এই মৌল গুলিকে মাটিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এবং এরা অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে ক্ষারীয় অক্সাইড উৎপন্ন করে যা জলের সাথে যুক্ত হয়ে ক্ষার তৈরি করে। পর্যায় সারণিতে ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতুর অবস্থান: ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু গুলি পর্যায় সারণিতে IIA (মেন্ডেলিফ) বা 2 নং শ্রেণীতে (আধুনিক) অবস্থিত - নিষ্ক্রিয় মৌল বা নোবেল গ্যাস কাকে বলে? পর্যায় সারণিতে এরা কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ: হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন, ক্রিপ্টন, জেনন, রেডন এই মৌল গুলিকে নিষ্ক্রিয় মৌল বা নোবেল গ্যাস বলে। এই মৌল গুলি রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় অর্থাৎ নির্দের মধ্যে এবং অন্য কোন মৌলের সাথে যুক্ত হয়ে যৌগ তৈরি করতে পারে না। এদের সর্ব বহিস্থ কক্ষে যে টোপস তৈরি করতে পারে না। এদের সর্ব বহিস্থ কক্ষপথে আটটি ইলেকট্রন থাকে (ব্যতিক্রম হিলিয়াম)। - ল্যান্থানাইডস মৌল কাদের বলে? এটা পর্যায় সারণিতে কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ: সিরিয়াম থেকে লুটেশিয়াম পর্যন্ত ১৪ টি মৌলকে ল্যান্থানাইডস বলে। এদের ১৪ টি মৌলকে বলা হয় বিরল মৃত্তিকা মৌল কারণ এরা প্রকৃতিতে খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায়।
পর্যায় সারণিতে বিরল মৃত্তিকা মৌলের অবস্থান : বিরল মৃত্তিকা মৌল গুলি পর্যায় সারণিতে ষষ্ঠ পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণীতে অবস্থিত - আয়নীয় বিভব কাকে বলে ? পর্যায় ও শ্রেণী বরাবর কিভাবে পরিবর্তিত হয় ?
উঃ- সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে অবস্থিত কোনো মৌলের একটি বিচ্ছিন্ন, গ্যাসীয় পরমাণু থেকে তার যোজ্যতা কক্ষের সবচেয়ে দুর্বলভাবে আবদ্ধ ইলেকট্রনটিকে সম্পূর্ণ রূপে অপসারিত করে পরমাণুটিকে একক ধনাত্মক বিশিষ্ট ক্যাটায়নে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম শক্তিকে ওই মৌলের আয়নীয় বিভব বলে। একই পর্যায়ের ডান দিক থেকে বাম দিকে গেলে আয়নীয় বিভব ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। আর, একই শ্রেণী বরাবর উপর থেকে নীচে গেলে আয়নীয় বিভব হ্রাস পায়। - মেন্ডেলিভের পর্যায় সূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি মৌল গুলির ক্রমবর্ধন পারমাণবিক গুরুত্বের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে পুনরাবৃত্ত হয়। - তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলতে কী বোঝো? পর্যায় ও শ্রেণি বরাবর এটি কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
উঃ- তড়িৎ অন্য কোনো মৌলের পরমাণুর সঙ্গে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ অবস্থায়, বন্ধন সৃষ্টিকারী ইলেকট্রন জোড়কে কোনো মৌলের নিজের দিকে আকর্ষণ করার প্রবণতাকে মৌলটির তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে। পর্যায় বরাবর বাম থেকে ডান দিকে গেলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধি পায়। শ্রেণি বরাবর ওপর থেকে নীচে গেলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা হ্রাস পায়। - সন্ধিগত মৌল বলতে কি বোঝায়? কোনো মৌল ক্যাটায়নে পরিণত হলে তার পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কী একই থাকে ব্যাখ্যা করো।
উঃ- চতুর্থ পর্যায়ে সপ্তম পর্যায়ের যে মৌলগুলি আদর্শ মৌলের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করে এবং যাদের দুটি কক্ষ ইলেকট্রন দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে না, তাদের সন্ধিগত মৌল বলে। কয়েকটি মৌলকে যেমন জিঙ্ক (Zn), ক্যাডমিয়াম (Cd) কিরে সন্ধিগত মৌল বলা হয় না। কোনো মৌল ক্যাটায়নে পরিণত হলে তার ইলেকট্রন সংখ্যা কমে যায়। অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের আধান বেড়ে যায় এবং বাইরের কক্ষের ইলেকট্রনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। ফলে মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ হ্রাস পায়। - মৌল সমূহের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলতে কি বোঝায় ? একটি উদাহরণ দাও।
উঃ- মৌল সমূহের যেসব ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মগুলি পর্যায়ক্রমে পুনরাবৃত্ত হয়, তাদের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলে। যেমন : পারমানবিক ব্যাসার্ধ। - মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণির তিনটি ত্রুটি লেখো।
উঃ- মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণির তিনটি ত্রুটি হল-
১) পর্যায় সারণীতে হাইড্রোজেনের জন্য নির্দিষ্ট স্থান স্থির করা সম্ভব হয়নি।
২) কিছু কিছু সমধর্মী মৌলগুলিকে বিভিন্ন গ্রুপে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু ভিন্ন ধর্মী মৌলকে একই গ্রুপে স্থান দেওয়া হয়েছে।
৩) পারমাণবিক গুরুত্ব বিভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও মৌলের আইসোটোপগুলিকে একই স্থানে রাখা হয়েছে। - A, B, C মৌলগুলির পারমাণবিক সংখ্যা হল যথাক্রমে 6, 8, 11। কোনটির জারণ ঋনাত্বকতার মান সর্বোচ্চ ? কৌলটির আয়ানন বিভব সর্বোচ্চ ? কার বিজারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ?
উঃ- A= কার্বন (C), B= অক্সিজেন (O), C= সোডিয়াম (Na)
তড়িৎ ঋণাত্মকতা সবচেয়ে অক্সিজেন (O) এর বেশি
অক্সিজেন (O) এর আয়ানন বিভব সর্বোচ্চ।
সোডিয়াম (Na) এর বিজারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ। - দীর্ঘ পর্যায় সারণির শ্রেণি- 2 এর মৌলগুলিকে ক্ষারমৃত্তিকা ধাতু বলা হয় কেন?
উঃ- দীর্ঘ পর্যায় সারণির গ্রুপ-2 তে অবস্থিত Be, Mg, Ca, Sr এবং Ba ধাতুগুলিকে ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু বলে। কারণ এই ধাতুগুলির অক্সাইড জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ক্ষার উৎপন্ন করে। - একটি সন্ধিগত মৌল এবং একটি ইউরেনিয়ামোত্তর মৌলের উদাহরণ দাও।
উঃ- সন্ধিগত মৌল- কপার (Cu) এবং ইউরেনিয়ামোত্তর মৌল- ইউরেনিয়াম (U)। - দীর্ঘ পর্যায় সারণির শ্রেণি-16 এর প্রথম তিনটি মৌল হল O, S ও Se। এদের পারমাণবিক ব্যাসার্ধের নিম্নক্রমে, তড়িৎ ঋণাত্মকতার ঊর্ধ্বক্রমে এবং আয়োনাইজেশন শক্তির নিম্নক্রমে সাজাও।
উঃ- পারমাণবিক ব্যাসার্ধের নিম্নক্রমঃ Se > S > O
তড়িৎ ঋণাত্মকতার ঊর্ধ্বক্রমঃ Se < S < O আয়োনাইজেশন শক্তির নিম্নক্রমঃ O > S > Se - হাইড্রোজেনের ধর্মের সঙ্গে দীর্ঘ পর্যায় সারণির শ্রেণি 17 মৌলগুলির দুটি সাদৃশ্য উল্লেখ করো।
উঃ- ১) হ্যালোজেনের মতো হাইড্রোজেন ও দ্বি-পরমাণুক।
২) হ্যালোজেনের মতো হাইড্রোজেনও ক্ষারধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়ায় যোন্স গঠন করে। - ডোবেরাইনার এর ত্রয়ী সূত্রটি লেখ।
উঃ- রাসায়নিকভাবে সদৃশ এমন প্রতি তিনটি মৌলের মধ্যে দ্বিতীয়টির পারমাণবিক গুরুত্ব মোটামুটি ভাবে প্রথম ও তৃতীয় মৌলটির পারমাণবিক গুরুত্বের গড়ের সমান হয়। লিথিয়াম (Li), সোডিয়াম (Na) ও পটাশিয়াম (K) এর রাসায়নিক ধর্মের মিল আছে। - পর্যায় সারণির আয়রন বিভবের মান পর্যায় বরাবর কীভারে পরিবর্তিত হয়? ব্যাখ্যা দাও।
উঃ- পর্যায় সারণির বাঁদিক থেকে ডানদিকে অগ্রসর হলে পরমাণুর কেন্দ্রকে নিউক্লিয়াসে একটি প্রোটন বা পজিটিভ চার্জ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ইলেকট্রনগুলি একই কক্ষে যুক্ত হওয়ায় সর্ববহিঃস্থ কক্ষের ইলেকট্রনগুলির ওপর কেন্দ্রকের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। ফলে পরমাণুর আকার / ব্যাসার্ধ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় এবং বহিস্থ কক্ষ থেকে ইলেকট্রন অপসারণ করতে অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। ফলে আয়ানন শক্তির (বিভব) মানও বৃদ্ধি পায়। - A, B, C মৌলগুলির পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 6, 8 ও 10 C হল নিষ্ক্রিয় মৌল। (i) কোনটি জারণ তড়িৎধর্মিতা সবচেয়ে বেশি? (ii) কার পরমাণুর আকার সবচেয়ে কম? (iii) B মৌলটি মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণি অবস্থান লেখো।
উঃ-
A → 6 → (K-2), (L-4)
B → 8 → (K-2), (L-6)
C → 10 → (K-2), (L-8)
(i) কোনটি জারণ তড়িৎধর্মিতা সবচেয়ে বেশি?
(ii) কার পরমাণুর আকার সবচেয়ে কম?
(iii) B মৌলটি মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণি অবস্থান লেখো। - হাইড্রোজেনকে ‘দুষ্ট মৌল’ (rogue element) কেন বলা হয়?
উঃ- পর্যায় সারণীতে হাইড্রোজেনকে নির্দিষ্ট স্থানে স্থান দেওয়া সম্ভব হয়নি। পর্যায় সারণিতে হাইড্রোজেনের জন্য স্থান ফাঁকা রাখা হয়েছে। সেই জন্য পর্যায়ের সময়ে স্থানগুলো মৌল দ্বারা পূরণ করা যায়নি। তাই এই পর্যায়েরটিকে অসম্পাত পর্যায়ে বলে। - পর্যায়-সারণির অসম্পাত পর্যায় কোনটি? একে এরূপ বলে কেন?
উত্তরঃ পর্যায়-সারণির সপ্তম পর্যায়টি হল অসম্পাত পর্যায়। এই পর্যায়ে ভবিষ্যতে আরও মৌল সংযোজিত হতে পারে, এই ভেবে কয়েকটি মৌলগুলির জন্য স্থান ফাঁকা রাখা হয়েছে। সেই জন্য পর্যায়ের সময়ে স্থানগুলো মৌল দ্বারা পূরণ করা যায়নি। তাই এই পর্যায়টিকে অসম্পাত পর্যায়ে বলে। - হাইড্রোজেনকে পর্যায় সারণীতে হাইড্রোজেনের সাথে ক্ষারধাতু এবং হ্যালোজেন মৌল উভয়ের সাথে সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য করা যায়। যেমন হাইড্রোজেন ক্ষারধাতুর মতো যোজ্যতা 1টি ইলেকট্রন বর্জন করে তড়িৎধনাত্মক H+ আয়ন উৎপন্ন করে আবার হ্যালোজেন ক্ষারধাতুর মতো আচরণ করেও হাইড্রোজেন একটি অধাতু। অপরদিকে, হ্যালোজেন হ্যালোজেন ক্লোরিনের মতো গ্যাসীয় এবং দ্বিপরমাণবিক। হ্যালোজেন মৌলগুলি তীব্র জারক কিন্তু হাইড্রোজেন তীব্র বিজারক। এযাবৎ বিভক্ত অবস্থানে জন্য হাইড্রোজেনকে দুষ্ট মৌল বা Rogue element বলে অভিহিত করেন।
- দীর্ঘ পর্যায়-সারণির কয়েকটি ত্রুটি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ দীর্ঘ পর্যায় সারণির কয়েকটি ত্রুটি হল – i) মেন্ডেলিভের পর্যায়-সারণির মতোই এই দীর্ঘ পর্যায়-সারণিতে হাইড্রোজেনের অবস্থান এখনও সুনির্দিষ্ট করা যায়নি। তাই এই মৌলটিকে সঠিকভারে কোনো একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। ii) ইলেকট্রন-বিন্যাসের ভিত্তিতে হিলিয়াম মৌলের অবস্থান ২ নং শ্রেণীতে না হয়ে মৌলটিকে ১৮ নং শ্রেণীতে স্থান দেওয়া হয়েছে, নিষ্ক্রিয় গ্যাসের সঙ্গে ধর্মের সাদৃশ্যের জন্য। iii) এই পর্যায়-সারণিতে মৌলের সমস্ত আইসোটোপগুলিকে একই
স্থানে অর্থাৎ, একই পর্যায়ে ও একই গ্রুপে স্থান রাখা হয়েছে। iv) এই পর্যায় সারণিতে ল্যান্থানাইড এবং অ্যাক্টিনাইড সারির প্রত্যেকটি মৌলকে পৃথক ভাবে স্থান উপযুক্ত স্থানে বসানো সম্ভব হয়নি। মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণিতে এই মৌলগুলিকে মূল সারণির নিচে পৃথকভাবে অনুভূমিক সারিতে স্থান দেওয়া হয়েছে, দীর্ঘ পর্যায়-সারণিতেও এই মৌলগুলিকে পৃথকভাবে মূল সারণির নিচে অনুভূমিক সারিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
- হ্যালোজেন মৌলগুলিকে প্রদত্ত ধর্মগুলির বিচারে ক্রমানুসারে সাজাও : পরমাণু আকার এবং জারণ ক্ষমতা।
উত্তরঃ: পরমাণুর আকার বৃদ্ধির ক্রম – FI>At জারণ ক্ষমতা হ্রাসের ক্রম – F>Cl>Br>I>At - আদর্শ বা প্রতিনিধি মৌল এবং হ্যালোজেন মৌল বলতে কী বোঝায়? উদাহরণ সহ লেখো।
উত্তরঃ আদর্শ মৌলঃ যে সমস্ত মৌলের পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ কক্ষ ছাড়া অন্য সব কক্ষেই সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সংখ্যায় ইলেকট্রন থাকে তাদের আদর্শ মৌল বলা হয়। 1, 2 এবং 13-17নং শ্রেণির মৌলগুলি এই ধরনের মৌল। হ্যালোজেন মৌলঃ আধুনিক দীর্ঘ পর্যায় সারণির 17নং শ্রেণির ফ্লুরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিন, আয়োডিন ও অ্যাস্টাটিন মৌল পিটিককে হ্যালোজেন মৌল বলে। হ্যালোজেন কথার অর্থ লবণ উৎপাদক। এই মৌলগুলি লবণ উৎপাদন করতে পারে তাই এদের হ্যালোজেন মৌল বলে।
আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
- জলের অণুতে কতগুলি বন্ধন থাকে? (A) 4 (B) 3 (C) 1 (D) 2
উত্তরঃ জলের অণুতে D) 2টি বন্ধন থাকে। - CaO গঠনের সময় Ca পরমাণুর কটি ইলেকট্রন যৌগ গঠনে অংশ নেয়- (A) 1 টি (B) 2 টি (C) 3 টি (D) 4 টি
উত্তরঃ CaO গঠনের সময় Ca পরমাণুর (b) 2 টি ইলেকট্রন যৌগ গঠনে অংশ নেয়। - কোনটি যৌগ গঠন ক্ষেত্রে অষ্টক নীতি মানা হয় না- (A) NaCl (B) KCl (C) LiH (D) CaO
উত্তরঃ কোনটি যৌগ গঠন ক্ষেত্রে অষ্টক নীতি মানা হয় না- (C) LiH - প্রদত্ত কোনটিতে সমযোজী বন্ধন বর্তমান- (A) হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (B) সোডিয়াম ক্লোরাইড (C) লিথিয়াম হাইড্রেড (D) ক্যালসিয়াম অক্সাইড
উত্তরঃ (A) হাইড্রোজেন ক্লোরাইড-এ সমযোজী বন্ধন বর্তমান।
5.প্রদত্ত কোনটি তড়িৎযোজী যৌগ নয়- (A) HCl (B) MgCl2 (C) ZnCl2 (D) KCl
উত্তরঃ তড়িৎযোজী যৌগ নয়- (A) HCl
- X(Z=12),Y(Z=17) মৌলটি দুটি দ্বারা উৎপন্ন যৌগ সংকেত হল – (A) XX (B) XY2 (C) X2Y3 (D) X2Y
উত্তরঃ X(Z=12),Y(Z=17) মৌলটি দুটি দ্বারা উৎপন্ন যৌগ সংকেত হল –(B) XY2 - কোন প্রকার বন্ধনে সুনির্দিষ্ট অভিমুখে থাকে না? (A) সমযোজী (B) অসমযোজী (C) তড়িৎযোজী (D) সবগুলি।
উত্তরঃ (C) তড়িৎযোজী বন্ধনে সুনির্দিষ্ট অভিমুখে থাকে না। - দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সমযোজী যৌগ হল- (A) কাপড় কাচার সোডা (B) ফটকিরি (C) জল (D) চক
উত্তরঃ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সমযোজী যৌগ হল-(C) জল - P একটি ধাতু এবং Q ও R উভয়ই তড়িৎ-ঋণাত্মক মৌল। প্রদত্ত কোন যৌগটি সমযোজী হবে- (A) PQ (B) PR (C) QP (D) QR
উত্তরঃ (D) QR যৌগটি সমযোজী হবে। - একই সঙ্গে আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন আছে এমন একটি যৌগ হল- (A) KH (B) NaCl (C) CH4 (D) KCN
উত্তরঃ একই সঙ্গে আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন আছে এমন একটি যৌগ হল- (D) KCN - আয়নীয় যৌগের গলনাঙ্ক ………. হয়।
উত্তরঃ আয়নীয় যৌগের গলনাঙ্ক বেশি হয়। - গ্লুকোজ__তড়িৎ পরিবহন সক্ষম নয়।
উত্তরঃ গ্লুকোজ যৌগ তড়িৎ পরিবহে সক্ষম নয়। - ধাতু ও অধাতুর বন্ধনে__যৌগ উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ ধাতু ও অধাতুর বন্ধনে তড়িৎযোজী যৌগ উৎপন্ন হয়। - দুটি পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন গ্রহণ-বর্জনের মাধ্যমে যে বন্ধন সৃষ্টি হয় তাকে কি বলে?
উত্তরঃ দুটি পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন গ্রহণ-বর্জনের মাধ্যমে যে বন্ধন সৃষ্টি হয় তাকে কি বলে। - CO2 এর অণুতে কি ধরনের বন্ধন বর্তমান?
উত্তরঃ CO2 এর অণুতে সমযোজী বন্ধন বর্তমান। - একটি পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস 2,8,1 হলে এটি তড়িৎযোজী না সমযোজী যৌগ গঠন করবে?
উত্তরঃ এটি তড়িৎযোজী যৌগ গঠন করবে। - কোন মৌল পর্যন্ত অষ্টক সূত্র প্রযোজ্য হয়?
উত্তরঃ ক্যালসিয়াম মৌল পর্যন্ত অষ্টক সূত্র প্রযোজ্য হয়। - জলে দ্রাব্য দুটি সমযোজী যৌগের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ জলে দ্রাব্য দুটি সমযোজী যৌগ হল গ্লুকোজ ও ইথানল। - জল ও বেঞ্জিনের মধ্যে কোনটিতে কেরোসিন দ্রবীভূত হবে?
উত্তরঃ জল ও বেঞ্জিনের মধ্যে কোনটিতে কেরোসিন দ্রবীভূত হবে?
শূন্যস্থান পূরণ কর
- ক্লোরোফরম ও জল পরস্পর………. হয় না।
উত্তরঃ মিশ্রিত - আয়নীয় যৌগগুলি……….. দ্রাবক-এ দ্রবীভূত হয়।
উত্তরঃ পোলার - …………যৌগগুলি অণুর প্রকৃতি হয়
উত্তরঃ আয়নীয় বা তড়িৎযোজী - আয়নীয় যৌগ গুলি জৈব দ্রাবকে………….
উত্তরঃ অদ্রাব্য - আয়নীয় যৌগ গুলি সাধারণ………ও……….. দ্বারা গঠিত ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন
- আয়নীয় যৌগ গুলি সাধারণত………..এবং এদের কেলাস……….. আকার বিশিষ্ট
উত্তরঃ কঠিন, জ্যামিতিক - আয়নীয় যৌগে……………অভিজ্ঞ থাকে না
উত্তরঃ অণুর - সমযোজী বন্ধনের নির্দিষ্ট………….আছে
উত্তরঃ অভিমুখ - মৌলের যোজ্যতার পরিমাপ করা হয় গঠিত………সংখ্যার দ্বারা
উত্তরঃ সমযোজী - …………যৌগগুলির সমবয়বতা ধর্ম দেখা যায়
উত্তরঃ সমযোজী - HCI একপ্রকার…………..যৌগ
উত্তরঃ সমযোজী - চিনি জলীয় দ্রবণে…………..হয় না
উত্তরঃ আয়নিত - গ্লকোজের জলীয় দ্রবণ তড়িৎ এর……
উত্তরঃ অপরিবারহী - হিরে হলো একটি কেলাসাকার পদার্থ যার কেলাসে C-C …………..বন্ধনে বর্তমান
উত্তরঃ সমযোজী বন্ধন বর্তমান - কার্বন টেট্রা ক্লোরাইড জলে…….কিন্তু বেনজিনে…….
উত্তরঃ অদ্রাব্য, দ্রাব্য
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
- রাসায়নিক বন্ধনে কোন ইলেকট্রন গুলি অংশগ্রহণ করে?
উত্তরঃ রাসায়নিক বন্ধন গঠনে পরমাণুর বাইরের কক্ষে ইলেকট্রন গুলি অর্থাৎ যোজক ইলেকট্রন বলে অংশগ্রহণ করে। - পরমাণু ও আয়নের মধ্যে কোনটি বেশি সুস্থিত?
উত্তরঃ আয়ন গুলি 3. যোজন কক্ষ বা যোজ্যতা কক্ষ কাকে বলে? উত্তরঃ পরমাণুর সব থেকে বাইরের কক্ষপথটিকে যোজ্যতা কক্ষ বা যোজন কক্ষ বলে - এমন একটি উদাহরণ দাও যেখানে আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন দু প্রকার বন্ধনী আছে?
উত্তরঃ ক্যালসিয়াম কার্বনেট - CaO তে কোন ধরনের রাসায়নিক বন্ধন(আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন) আছে?
উত্তরঃ আয়নীয় বন্ধন - এমন একটি মৌলের উদাহরণ দাও যেখানে অষ্টক পূর্তি হয় না।
উত্তরঃ লিথিয়াম হাইড্রেড (LiH) - ধাতু, অধাতু রাসায়নিক বন্ধন করলে কোন ধরনের যৌগ তৈরি হয়?
উত্তরঃ আয়নীয় যৌগ - কোন বিজ্ঞানী প্রথম আয়নীয় বন্ধনের ধারণা দেন?
উত্তরঃ বিজ্ঞানী কোশেল - দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় এমন একটি তড়িৎযোজী যৌগের নাম ও সংকেত লেখ।
উত্তরঃ খাদ্য লবণ বা, সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) - ফেরিক ও ফেরাস যৌগে Fe এর যোজ্যতা কত?
উত্তরঃ ফেরিক যৌগে 3 কিন্তু ফেরাস যৌগে 2 - কার্বন দ্বারা গঠিত তড়িৎযোজী যৌগের নাম কর।
উত্তরঃ ক্যালসিয়াম কার্বাইড (Cac2) - কোন প্রকার বন্ধনের নির্দিষ্ট অভিমুখ থাকে না?
উত্তরঃ আয়নীয় বন্ধনের - কোন প্রকার যৌগের ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন দিয়ে তৈরি?
উত্তরঃ আয়নীয় যৌগ - হাইড্রোজেন ক্লোরাইড অণুতে কোন ধরনের বন্ধন বর্তমান?
উত্তরঃ সমযোজী বন্ধন - অষ্টক নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যায় এমন একটি সমযোজী যৌগের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ হাইড্রোজেন - মিথেন যৌগে কার্বন ও হাইড্রোজেন এর মধ্যে বন্ধন কোন প্রকারের বন্ধন?
উত্তরঃ সমযোজী বন্ধন - জল আয়নীয় না সমযোজী যৌগ?
উত্তরঃ জল সমযোজী যৌগ - দ্বি বন্ধন যুক্ত একটি সমযোজী যৌগের নাম কর।
উত্তরঃ অক্সিজেন - ত্রিবন্ধন যুক্ত একটি সমযোজী যৌগের নাম কর।
উত্তরঃ নাইট্রোজেন - মিথেন অণুতে কয়টি সমযোজী বন্ধন আছে?
উত্তরঃ চারটি - সমযোজী দ্বিবন্ধন যুক্ত একটি যৌগিক অণুর নাম করো।
উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) - সমযোজী ত্রিবন্ধন যুক্ত একটি যৌগিক অণুর নাম করো।
উত্তরঃ অ্যাসিটিলিন (C₂H₂) - অ্যামোনিয়া অণুতে কয়টি নিঃসঙ্গ ইলেকট্রন জোড় আছে?
উত্তরঃ একটি - দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় এমন একটি সমযোজী যৌগের নাম কর।
উত্তরঃ জল, চিনি - এমন একটি যৌগের নাম করো যা নিজে সমযোজী যৌগ হলেও জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করতে পারে?
উত্তরঃ হাইড্রোজেন ক্লোরাইড - CO₂ অণুতে বন্ধন সৃষ্টিকারী ইলেকট্রন জোড়ের সংখ্যা কটি?
উত্তরঃ চারটি - এমন একটি যৌগের নাম কর যার কেন্দ্রীয় পরমাণুটির অষ্টক পূর্তি হয়নি?
উত্তরঃ BF₃ - জলের অণুতে কতগুলি সমযোজী এক বন্ধন আছে?
উত্তরঃ 2টি - একটি সমযোজী যৌগ কিন্তু গলনাঙ্ক উচ্চ এমন একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ Si এর যে কোন যৌগ SiO₂ - CCl₄ যৌগে কোন প্রকার বন্ধন আছে?
উত্তরঃ সমযোজী বন্ধন
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন – মান ২ ও ৩
- লুইসের ধারণা অনুসারে সমযোজী বন্ধন কিভাবে গঠিত হয় একটি উদাহরণ দিয়ে লেখো।
উঃ- লুইসের ধারণা অনুসারে ইলেকট্রনকে বিন্দুর সাহায্যে চিহ্নিত করে একটি সমযোজী বন্ধনের জন্য দুটি পরমাণুর মধ্যে একজোড়া বিন্দু বসিয়ে সমযোজী যৌগের গঠন প্রকাশ করা হয়। নিচে ক্লোরিনের লুইস ডট গঠন দেখানো হল।
[Image of Lewis structure of Chlorine molecule] - সোডিয়াম ক্লোরাইডের বন্ধন Na-Cl হিসেবে প্রকাশ করা যায় না কেন?
উঃ- সোডিয়াম পরমাণুর (2+8+1) যোজ্যতা কক্ষের একটি ইলেকট্রন ক্লোরিন পরমাণুর (2+7) যোজ্যতা কক্ষে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে সোডিয়াম Na+ আয়নে এবং ক্লোরিন Cl- আয়নে পরিণত হয়। উৎপন্ন ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন পরস্পর স্থির তড়িৎ আকর্ষণে যুক্ত হয়ে NaCl যৌগ গঠিত হয়। অর্থাৎ NaCl যৌগ একটি তড়িৎযোজী যৌগ। তখনই লেখা হয় যখন যৌগে সমযোজী বন্ধন দ্বারা গঠিত হয়। তাই NaCl যৌগ কে Na-Cl হিসেবে লেখা হয় না। - একটি পরমাণু থেকে অপর একটি পরমাণুতে সম্পূর্ণ ইলেকট্রন স্থানান্তরের মাধ্যমে কোন রাসায়নিক বন্ধন গঠিত হয় ? একটি উদাহরণ দিয়ে দেখাও।
উঃ- আয়নীয় বা তড়িৎযোজী বন্ধন গঠিত হয়। উদাহরণ- সোডিয়াম পরমাণুর (2+8+1) যোজ্যতা কক্ষের একটি ইলেকট্রন ক্লোরিন পরমাণুর (2+7) যোজ্যতা কক্ষে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে NaCl যৌগ গঠিত হয়। NaCl একটি তড়িৎযোজী যৌগ। - সোডিয়াম ক্লোরাইডের ক্ষেত্রে আণবিক ওজনের বদলে সাংকেতিক ওজন কথাটি ব্যবহার করা সঙ্গত কেন ?
উঃ- NaCl একটি অষ্টতলকীয় কেলাসাকার কঠিন পদার্থ। এর কেলাসের গঠনে প্রতিটি Na+ আয়ন নিকটতম 6 টি Cl- আয়ন দ্বারা এবং প্রতিটি Cl- আয়ন দ্বারা বেষ্টিত থাকে। একটি প্রতিটি Cl- আয়ন নিকটতম 6 টি Na+ আয়ন দ্বারা বেষ্টিত থেকে একটি সুস্থিত ত্রিমাত্রিক জালকের আকার ধারণ করে। প্রতিটি আয়ন এক-একটি অষ্টতলকের কেন্দ্রে এবং এর বিপরীত আধানযুক্ত আয়নগুলি ওই অষ্টতলকের শীর্ষ বিন্দুতে অবস্থান করে। এতেই আয়নীয় যৌগ NaCl উৎপন্ন হয়। আয়নীয় যৌগের অণুর কোনো অস্তিত্ব থাকে না। এই এইসব যৌগের ক্ষেত্রে আণবিক ওজন অপেক্ষা সংকেত ওজন কথাটি যুক্তিযুক্ত। - ইলেকট্রন ডট গঠনের সাহায্যে করো, ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইডে সমযোজী, না তড়িৎযোজী বন্ধন গঠিত হয়।(Mg = 12, Cl = 17)
উঃ- ম্যাগনেসিয়ামের (2+8+2) একটি পরমাণুর যোজ্যতা কক্ষের 2 টি ইলেকট্রন ক্লোরিনের (2+8+7) দুটি পরমাণুর প্রত্যেকটির যোজ্যতা কক্ষে একটি করে ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে MgCl₂ যৌগ গঠিত হয়। সুতরাং MgCl₂ একটি তড়িৎযojী যৌগ।
[Image of Lewis structure of MgCl₂] - সমযোজী দ্বি বন্ধনযুক্ত একটি যৌগিক অণুর উদাহরণ দাও। অণুটির লুইস ডট গঠন চিত্র অঙ্কন করো।
উঃ- সমযোজী দ্বি বন্ধনযুক্ত একটি যৌগিক অণুর উদাহরণ হল ইথিলিন যার লুইস ডট গঠন নিচে দেওয়া হল।
[Image of Lewis structure of Ethylene] - A এবং B এর পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক যথাক্রমে 17 ও 19। এদের দ্বারা উৎপন্ন যৌগের সংকেত ও প্রকৃতি উল্লেখ করো।
উঃ-A এর পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক 17। এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2+8+7 । অতএব, A একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে অ্যানায়নে পরিণত হবে। আবার, B এর পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক 19। এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2+8+8+1। B একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্যাটায়নে পরিণত হবে। অর্থাৎ A এবং B এর দ্বারা গঠিত যৌগটি তড়িৎযোজী হবে এবং এর সংকেত হবে AB। - সমযোজী যৌগের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উঃ- 1. সমযোজী যৌগ গুলি তড়িৎ পরিবহন করে না। 2. সমযোজী যৌগ গুলির গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অনেক কম হয়। 3. এই ধরনের যৌগ গুলি সাধারণত জৈব দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়। - Na ও Na(+) এর মধ্যে কোনটি বেশি স্থায়ী এবং কেন ?
উঃ- সোডিয়াম ক্লোরাইড এর গলনাঙ্ক এবং গ্লুকোজের গলনাঙ্ক থেকে অনেকটা বেশি কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ সোডিয়াম ক্লোরাইড হল আয়নীয় যৌগ এবং গ্লকোজ হল সমযোজী যৌগ।NaCl-এর গলনাঙ্ক হচ্ছে। - NaCl ও মিথেনের দুটি ভৌত ধর্মের পার্থক্য লেখো।
উঃ-
NaCl এর ভৌত ধর্ম- 1. এটি কেলাसित কঠিন পদার্থ
2.এটি একটি তড়িৎযোজী যৌগ - এর গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অনেক বেশি হয়।
মিথেনের ভৌত ধর্ম- 1. এটি গ্যাসীয় পদার্থ
2.এটি একটি সমযোজী যৌগ - এর গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অনেক কম হয়।
- NH₃তে কোন ধরনের রাসায়নিক বন্ধন বর্তমান? NH₃ এর লুইস ইলেকট্রন ডট ডায়াগ্রাম অঙ্কন করো।
উঃ- NH₃ তে সমযোজী বন্ধন বর্তমান। এর লুইস ডট ডায়াগ্রাম নিচে দেওয়া হল।
[Image of Lewis structure of NH₃] - সোডিয়াম ফ্লোরাইডে আয়নীয় বন্ধন কীভাবে গঠিত হয়? (F ও Na এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 9 ও 11)
উঃ- সোডিয়াম পরমাণুর (2, 8, 1) যোজ্যতা কক্ষের টি ইলেকট্রন ফ্লোরিন পরমাণুর (2, 7) যোজ্যতা কক্ষে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে নিম্নলিখিতভাবে NaF যৌগ গঠিত হয়, NaF একটি তড়িৎযোজী যৌগ।
[Image of Lewis structure of NaF] - C এর সর্ববহিঃস্থ কক্ষে 4 টি ইলেকট্রন এবং O এর সর্ববহিঃস্থ কক্ষে 6 টি ইলেকট্রন আছে। CO2 অণুর লুইস ডট ডায়াগ্রাম অঙ্কন করো।
উঃ- [Image of Lewis structure of CO₂] - MgCl₂ তে কী ধরনের রাসায়নিক বন্ধন বর্তমান? কীভাবে MgCl₂ তে রাসায়নিক বন্ধন গঠিত হয়।(Mg ও C1 এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 12 ও 17)
উঃ- MgCl₂ তড়িৎযোজী বন্ধন উপস্থিত।
[Image of Lewis structure of MgCl₂] - লুইস-ডট চিত্র অঙ্কন করো:- NH₃,H₂O, CaCl₂
উঃ নিজে কর। - প্রদত্ত কোনগুলি তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগ শনাক্ত করঃ I. C₂H₆CO, II. Na₂SO₃ III. AlCl₃ IV. CaH2
উত্তরঃ তড়িৎযোজী যৌগ: AlCl₃, Na₂SO₄
সমযোজী যৌগ: C₂H₅CO₂, CaH₂ - প্রদত্ত কোনগুলি তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগ শনাক্ত করঃ I. C2H4CO2 II. Na2SO4 III. AIC13 IV. CaH2
উত্তরঃ তড়িৎযোজী যৌগ: AlCl₃, Na₂SO₄
সমযোজী যৌগ: C₂H₅CO₂, CaH₂ - NaCl জলে দ্রাব্য কিন্তু অ্যালকোহলে অদ্রাব্য কেন?
উঃ: NaCl জলে দ্রাব্য কিন্তু অ্যালকোহলে অদ্রাব্য কারণ অ্যালকোহল হল অদ্রবীয় দ্রাবক। এর ফলে অ্যালকোহলের অণুগুলি বিপরীত তড়িৎধর্মী আয়নগুলিকে (Na+ ও Cl−) পরস্পরের থেকে পৃথক থাকতে সাহায্য করে না। তাই NaCl অ্যালকোহলে দ্রবীভূত হতে পারে না। - কঠিন NaCl তড়িৎ পরিবহন করে না কেন?
উত্তরঃ কঠিন NaCl-এ আয়নের অস্তিত্ব থাকলেও বিপরীত আধানগ্রস্ত আয়নগুলির তীব্র আকর্ষন বলের কারণে আয়নুগুলি গতিহীন থাকে। কিন্তু গলিত অবস্থায় দ্রাবকের প্রভাবে আয়নুগুলি উপাদান আয়নয়ে বিভাজিত হয়ে কেলাস থেকে বেরিয়ে হয় ও সবল হয়, সেই কারণে কঠিন NaCl তড়িৎ পরিবহন করে না। - আয়নীয় যৌগের ক্ষেত্রে সংকেত ওজন যথাযথ কেন?
উঃ- নির্দিষ্ট সংকেতে যুক্ত যে কোনো পদার্থের সংকেত ভর কথাটি প্রযোজ্য, কিন্তু যেসব পদার্থের অণুর পৃথক অস্তিত্ব আছে কেবল তাদের ক্ষেত্রে সংকেত ভর শব্দটি প্রযোজ্য। NaCl-এর সংকেত ভর কথাটি অধিক যথাযথ। - আয়নীয় ও সমযোজী যৌগের চারটি পার্থক্য লেখো।
আয়নীয় যৌগ - আয়নীয় যৌগগুলি সাধারণ অবস্থায় কঠিন, কেলাসাকার
- আয়নীয় যৌগের গলনাঙ্ক স্ফুটনাঙ্ক উচ্চ
- এরা পোলার দ্রাবক যেমন জলে দ্রাব্য, কিন্তু নন পোলার দ্রাবক যেমন অ্যালকোহলে অদ্রাব্য
- আয়নীয় যৌগগুলি গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে
সমযোজী যৌগ - সমযোজী যৌগগুলি সাধারণ অবস্থায় তরল বা গ্যাসীয়
- সমযোজী যৌগের গলনাঙ্ক স্ফুটনাঙ্ক তুলনামূলক কম
- এরা নন পোলার দ্রাবক যেমন অ্যালকোহলে দ্রাব্য কিন্তু পোলার দ্রাবক যেমন জলে অদ্রাব্য
- সমযোজী যৌগগুলি গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে না।
- দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় এমন একটি সমযোজী ও একটি আয়নীয় যৌগের নাম লেখ।
উত্তরঃ সমযোজী যৌগ: জল, আয়নীয় যৌগ: খাদ্য লবণ
তড়িৎ প্রবাহ ও রাসায়নিক বিক্রিয়া
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
1] Pt তড়িদ্দ্বার ব্যবহার করে কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণে অ্যানোড উৎপন্ন হয়- a) H2 গ্যাস b) O2 গ্যাস c) Cu2+ আয়ন d) Cu ধাতু
উঃ- Pt তড়িদ্দ্বার ব্যবহার করে কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণে অ্যানোডে উৎপন্ন হয়- b) O2 গ্যাস।
2] কোনটি ক্যাথোডে বিজারিত হওয়ার প্রবণতা বেশি? a) Cu2+ b) Mg2+ c) H+ d) K+
উঃ- কোনটি ক্যাথোডে বিজারিত হওয়ার প্রবণতা বেশি- a) Cu2+
3] তড়িৎ বিশ্লেষন সম্পর্কে প্রদত্ত বিবৃতিগুলির মধ্যে কোনটি সঠিক নয়? a) ক্যাটায়নগুলি ক্যাথোডে বিচারিত হয় b) ক্যাটায়নগুলি ক্যাথোডে জারিত হওয়ার চেষ্টা করে c) অ্যানায়নগুলি অ্যানোডে বিজারিত হওয়ার চেষ্টা করে d) অ্যানায়নগুলি অ্যানোডে ইলেকট্রন বর্জন করে
উঃ- তড়িৎ বিশ্লেষন সম্পর্কে c) অ্যানায়নগুলি অ্যানোডে বিজারিত হওয়ার চেষ্টা করে এই বিবৃতিটি সঠিক নয়।
4] কোনটি তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ?- a) NH4OH এর জলীয় দ্রবণ b) লঘু HNO3 c) কার্বন টেট্রাক্লোরাইড d) গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড
উঃ- কার্বন টেট্রাক্লোরাইড তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ।
5] টিনের প্রলেপনে ব্যবহৃত তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ- a) CuSO4 b) SnCl2 c) NISO4 d) Fe2O3
উঃ- টিনের প্রলেপনে ব্যবহৃত তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ- b) SnCl2
6] যে পাত্রে তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয় তা হল- a) ভোল্টামিটার b) পোটেনশিওমিটার c) গ্যালভানোমিটার d) ভোল্টমিটার
উঃ- যে পাত্রে তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয় তা হল d) ভোল্টামিটার।
7] প্রদত্ত কোনটি তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য? a) H2CO3 b) NH4OH c) NaOH d) HCOOH
উঃ- c) NaOH তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য।
8] জলের তড়িৎ বিশ্লেষণে ক্যাথোডে 22.4L গ্যাস উৎপন্ন হয়। একই সময়ে অ্যানোডে উৎপন্ন গ্যাসের আয়তন হল- a) 11.2L B) 22.4L C) 44.8L D) 5.6L
উঃ- জলের তড়িৎ বিশ্লেষণে ক্যাথোডে 22.4L গ্যাস উৎপন্ন হয়। একই সময়ে অ্যানোডে উৎপন্ন গ্যাসের আয়তন হল- a) 11.2L.
9] যখন লোহার চামচের ওপর রুপোর প্রলেপ দেওয়া হয়, তখন তড়িৎ বিশ্লেষ্য রূপে প্রদত্ত কোন পদার্থীয় জলীয় দ্রবণ ব্যবহার করা হয়? a) পটাসিয়াম সিলভার আইসোসায়ানাইড b) পটাসিয়াম আর্জেটো ক্লোরাইড c) পটাসিয়াম ডাইসায়ানিডো আর্জেটো (I) d) সিলভার নাইট্রেট
উঃ- যখন লোহার চামচের ওপর রুপোর প্রলেপ দেওয়া হয়, তখন তড়িৎ বিশ্লেষ্য রূপে পটাসিয়াম ডাইসায়ানিডো আর্জেটো লাগেটে (I) পদার্থের জলীয় দ্রবণ ব্যবহার করা হয়।
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর
- দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ পরিবহন করে উপস্থিত- a) কেবলমাত্র ক্যাটায়ন b) ইলেকট্রন c) কেবলমাত্র অ্যানায়ন d) ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন একসঙ্গে
উঃ- d) ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন একসঙ্গে - একটি তড়িৎ অবিশ্লেষ্য হয়- a) চুঁটে b) খাদ্য লবণ C) চিনি d) লোহা।
উঃ- c) চিনি - একটি মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য হল- a) H2SO4 b) NaCl c) NH4OH d) NaOH
উত্তরঃ- c) NH₄OH - একটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য হচ্ছে- a) গ্লিসারিন b) কেরোসিন C) সোডিয়াম ক্লোরাইড d) মোম।
উঃ- C) সোডিয়াম ক্লোরাইড - যে পাত্রে তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয় সেই পাত্রটির নাম a) ভোল্টমিটার b) ভোল্টামিটার c) অ্যামিটার d) কালোলোরিমিটার
উত্তরঃ- b) ভোল্টামিটার - ভোল্টামিটার হচ্ছে এমন একটি পাত্র যার মধ্যে – A) তড়িৎ লেপন করা হয় B) তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয় C) বরফ রাখা হয়. D) তড়িৎ পরিবহে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
উঃ- B) তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয়। - আসিত মিশ্রিত জলে তড়িৎ বিশ্লেষণ করলে অ্যানোড ও ক্যাথোডে উৎপন্ন গ্যাসের অনুপাত- A) 1:2 B) 2:1 C) 1:1 D) 1:1.5
সঠিক উত্তর- A) 1:2 - বিশুদ্ধ জলে তড়িৎ বিশ্লেষণে করতে হলে ওই জলে মেশাতে হবে- a) চুন b) KNO3 c) মিষ্টি পাউডার d) H2SO4
সঠিক উত্তর- D) H₂SO₄ - একটি রুপার চামচে সোনার জন্য অ্যানোডরূপে ব্যবহৃত হয়-A) প্ল্যাটিনাম B) Ag c) Au d) গ্রাফাইট
উত্তরঃ- c) Au - জলীয় দ্রবণে একটি মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য হল a) H2SO4 (b) NaCl c) CH3COOH d) NaOH
উত্তরঃ- c) CH₃COOH - Cu তড়িদ্দ্বার ব্যবহার করে CuSO4 দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণে ক্ষেত্রে কোন বিবৃতি সঠিক? a) ক্যাথোডের ভর কমে b) অ্যানোডের ভর বাড়ে c) দ্রবণে CuSO₄ এর গাঢ়ত্ব কমে d) দ্রবণে CuSO₄ এর গাঢ়ত্ব অপরিবর্তিত থাকে।
উত্তরঃ- d) দ্রবণে CuSO₄ এর গাঢ়ত্ব অপরিবর্তিত থাকে - লোহার মধ্যে রুপো লেপন করতে তড়িৎ বিশ্লেষ্য রূপে (a) AgNO3-এর জলীয় দ্রবণ (c)NaCl-এর জলীয় দ্রবণ (d) BaCl2-এর জলীয় দ্রবণ (b) CuSO₄-এর জলীয় দ্রবণ
উত্তরঃ- (a) AgNO3-এর জলীয় দ্রবণ - জলের তড়িৎ বিশ্লেষণে তড়িদ্দ্বার হিসেবে ব্যবহৃত হয় a) কপার পাত b) কপার পাত c) গ্রাফাইট পাত d) সিলভার পাত
উত্তরঃ- a) প্ল্যাটিনাম পাত - তড়িৎ বিশ্লেষণে তড়িৎ শক্তি রূপান্তরিত হয় a) শব্দ শক্তিতে b) তাপ শক্তিতে c) চুম্বক শক্তিতে d) রাসায়নিক শক্তিতে
উত্তরঃ- d) রাসায়নিক শক্তিতে - কোনটির তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা সর্বাধিক? a) বিশুদ্ধ জলের b) চিনির জলীয় দ্রবণের c) তরল হাইড্রোজেন ক্লোরাইডের d) অ্যাসিটিক এসিডের এর জলীয় দ্রবণ
উত্তরঃ- d) অ্যাসিটিক এসিডের এর জলীয় দ্রবণ - কোন ধাতুটি তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয় না? a) Al b) Na c) Mg d) Fe
উত্তরঃ-d) Fe
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
- জলের তড়িৎ বিশ্লেষণে অ্যানোড ও ক্যাথোডে উৎপন্ন গ্যাসদুটির আয়তনের অনুপাত কত?
উত্তরঃ 2:1 - একটি অধাতব পরিবাহীর নাম লেখ।
উত্তরঃ গ্রাফাইট - তড়িৎ বিশ্লেষণে কোন শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
উত্তরঃ তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। - কোনো তড়িৎ বিশ্লেষ্যের জলীয় দ্রবণ পরিবহে সময় তড়িতের বাহক কারা?
উত্তরঃ আয়ন। - কোন তড়িদ্দ্বারে ব্যাটারীর ধনাত্মক প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত রাখা হয়?
উত্তরঃ অ্যানোড - সত্য/ মিথ্যা বলো: Mg(OH)₂ একটি তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য।
উত্তরঃ সত্য - পারদ ও অ্যাসিডিয় জলের মধ্যে কোনটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য?
উত্তরঃ অ্যাসিডিয় জল - লোহার চামচের উপর নিকেলের প্রলেপ দিতে তড়িৎ বিশ্লেষ্য হিসেবে কী ব্যবহার করা যায়?
উত্তরঃ NiSO₄ - গাঢ় H₂SO₄ ও লঘু H₂SO₄–এর মধ্যে কোনটি তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা বেশি?
উত্তরঃ লঘু H₂SO₄ - দুটি ধাতব পরিবাহীর নাম লেখো।
উত্তরঃ তামা, অ্যালুমিনিয়াম - কোনটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ? স্বর্ণ, পারদ, খাদ্যলবণ
উত্তরঃ খাদ্যলবণ - তড়িৎ লেপনে যে পদার্থের ওপর তড়িৎ লেপন করতে হয় তাকে কোথায় রাখতে হবে?
উত্তরঃ ক্যাথোডে - তড়িৎ বিশ্লেষণ পদার্থের কী অবস্থায় তড়িৎ লেপন করতে হবে কঠিন, তরল না গ্যাসীয়?
উত্তরঃ তরল - তড়িৎ বিশ্লেষণে কে তড়িৎ পরিবহন করে?
উত্তরঃ তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ - তড়িৎ বিশ্লেষণ কোন প্রকারের তড়িৎ প্রবাহ ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ সমপ্রবাহ (DC) - পিতলের চামচের ওপর সিলভারের তড়িৎ লেপনে অ্যানোডে কী থাকে?
উত্তরঃ সিলভার - তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় কোন ইলেকট্রোডকে ক্যাথোড বলা হয়?
উত্তরঃ ঋণাত্মক তড়িদ্দ্বারকে ক্যাথোড বলে। - তড়িৎ পরিবাহী পদার্থের কারণ কী?
উত্তরঃ তড়িৎ পরিবাহী বলে। যেমন- তামা, রুপা। - তড়িৎ বিশ্লেষণ করে কোন প্রকার আয়নে যায় এমন পদার্থকে কী বলে? দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ তড়িৎ পরিবাহী বলে। যেমন- তামা, রুপা। - জলের তড়িৎ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে কী তড়িৎ বিশ্লেষ্য ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ তড়িৎ পরিবাহী বলে। যেমন- তামা, রুপা। - অ্যানোডে ব্যাটারীর কোন মেরুর সঙ্গে যুক্ত এবং ক্যাথোডে কোন মেরুর সঙ্গে যুক্ত?
উত্তরঃ অ্যানোডে ব্যাটারীর ধনাত্মক প্রান্ত ও ক্যাথোডে ঋণাত্মক প্রান্ত যুক্ত করতে হবে। - তড়িৎ পরিবহন করলে ও আয়নিত হয় না এমন পদার্থকে কী বলে? দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ পরিবাহী বলে। যেমন- তামা, রুপা। - জলের তড়িৎ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে কী তড়িৎ বিশ্লেষ্য ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ এসিডযুক্ত সালফিউরিক অ্যাসিড অথবা অন্য কোনো অ্যাসিড (H₂SO₄) মেশালে জল H⁺ ও SO₄²⁻ আয়ন উৎপন্ন হয় যা তড়িৎ পরিবহন সক্ষম। - বিশুদ্ধ জল তড়িৎ পরিবহনে অক্ষম। অন্যদিকে, জল সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) মেশালে জল H⁺ ও SO₄²⁻ আয়ন উৎপন্ন হয় যা তড়িৎ পরিবহন সক্ষম।
- কোনো তড়িৎ বিশ্লেষ্যের জলীয় দ্রবণে বিশ্লেষণের সময় তড়িতের বাহক কারা?
উত্তরঃ আয়ন। - তড়িৎ বিশ্লেষণে কোন শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
উত্তরঃ তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। - পদার্থ গুলির মধ্যে কোনটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য, কোনটি তড়িৎ অবিশ্লেষ্য এবং কোনটি তড়িৎ পরিবাহী লেখো।- লোহা, রবার, সাধারণ লবণ, তামা, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, কস্টিক সোডা, রূপা, চিনি, বেঞ্জিন, ইউরিয়া, অ্যালকোহল রূপা
উত্তরঃ নীচের কোশগুলি ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন বল- Ca²⁺,Cl⁻,SO₄²⁻, Mg²⁺, OH⁻, NO₃⁻
উত্তরঃ ক্যাটায়ন- Ca²⁺, Mg²⁺
অ্যানায়ন- Cl⁻,SO₄²⁻, OH⁻, NO₃⁻ - Cu তড়িদ্দ্বার ব্যবহার করে CuSO₄-এর জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণে কোন আয়ন ক্যাথোডের দিকে ধাবিত হয়?
উত্তরঃ ধনাত্মক আয়ন। - তামার চামচের ওপর রুপার প্রলেপ করতে ক্যাথোডে হিসেবে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ তামার চামচ - তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয় এমন একটি ধাতুর নাম লেখো।
উত্তরঃ সোডিয়াম - পিতল বা রুপার উপর সোনার দিনে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ হিসেবে কী ব্যবহার করতে হবে?
উত্তরঃপটাসিয়াম অরোসায়ানাইড (K[Au(CN)₂]) - কোনো বস্তুর ওপর রুপোর প্রলেপ দিতে হলে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ হিসেবে কী ব্যবহার করতে হবে?
উত্তরঃ পটাসিয়াম আর্জেটোসায়ানাইড (K[Ag(CN)₂]) - অ্যালুমিনার গলনাঙ্ক কত?
উত্তরঃ 2072°C - তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতির সাহায্যে অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশণের জন্য যে গলিত মিশ্রণের তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয় তাতে বিশুদ্ধ অ্যালুমিনা ছাড়া আর কী কী থাকে? এই তড়িদ্দ্বাররূপে ক্যাথোডে ও অ্যানোডে হিসেবে কী কী ব্যবহৃত হয়?
উঃ- মিশ্রণে 60% ক্রায়োলাইট (Na₃AlF₆) এবং 20% ফ্লুওস্পার (CaF₂) ও বিশুদ্ধ অ্যালুমিনা (AlF₃3NaF) এর 20% ফ্লুওস্পার (CaF2F2) মেশানো থাকে।
উঃ- ক্যাথোডে – লোহার চামচ অ্যানোডে – বিশুদ্ধ নিকেল দণ্ড।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর – মান ২
- তড়িদ্বিশ্লেষ্য পদার্থ বলতে কী বোঝায় ? উদাহরণ দাও। একটি মৃদু ও একটি তীব্র তড়িদ্দ্বার বিশ্লেষ্যের নাম লেখো।
উঃ- যেসব যৌগিক পদার্থ গলিত অবস্থায় বা দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়ে তড়িদ্বিশ্লেষ্য পদার্থ- গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড, তরল HCl, পারদ, তড়িদ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ- চিনির জলীয় দ্রবণ, গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড, তরল HCl - তড়িৎ বিশ্লেষণে অ্যানোড হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
উঃ- মিশ্রণে 60% ক্রায়োলাইট (Na₃AlF₆) এবং 20% ফ্লুওস্পার (CaF₂) । - কোনটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও কোনটি তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ চিনির জলীয় দ্রবণ,গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড, তরল HCI, পারদ,
উঃ-তড়িৎ-অবিশ্লেষ্য পদার্থ- চিনির জলীয় দ্রবণ, পারদ। V) কেরোসিন, তড়িদ্ বিশ্লেষ্য- গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড, iii) তরল HCl, vi) গলিত পটাশিয়াম ক্লোরাইড, vii) গলিত কস্টিক পটাশ, x) কস্টিক সোডার জলীয় দ্রবণ - MSO₄(M=ধাতু) এর জলীয় দ্রবণকে তড়িদবিশ্লেষণ করলে ক্যাথোডে কী বিক্রিয়া ঘটে লেখো। তড়িদবিশ্লেষণ দ্বারা বিজারণ না জারণ যুক্তিযুক্তি সহ লেখো।
উঃ-ক্যাথোড কী বিক্রিয়া- M2+ + 2e → M
আমরা জানি, কোনো পরমাণু বা আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করলে তাকে বিজারণ বলে। তাই বিক্রিয়াটি একটি বিজারণ বিক্রিয়া কারণ এখানে আয়ন দ্বারা ইলেকট্রন গ্রহণ হয়েছে। - অ্যাসিডিত জলের তড়িদবিশ্লেষণের সময় ক্যাথোডে ও অ্যানোডে কি কি বিক্রিয়া সংঘটিত হয়?
উঃ-ক্যাথোড বিক্রিয়া- অ্যাসিডিত জলের মধ্যে তড়িৎ চালনা করলে উৎপন্ন হাইড্রোজেন আয়ন ক্যাথোডে এসে ইলেকট্রন গ্রহণ করে প্রথমে H পরমাণুতে পরিণত হয়। এবং পরে দুটি H পরমাণু যুক্ত হয়ে হাইড্রোজেন অণুতে পরিণত হয়। ফলে ক্যাথোডে হাইড্রোজেন গ্যাস মুক্ত হয়।
H⁺ + e → H, H + H → H₂
অ্যানোড বিক্রিয়া: OH⁻ ও SO₄²⁻ উভয়ই অ্যানোড দ্বারা আকৃষ্ট হলেও এর দুটি আয়নের কোনোটিই আধান বর্জনের সুযোগ পায় না তার আগেই অ্যানোড দ্বারা আকৃষ্ট হলেও এর দুটি আয়নের কোনোটিই আধান বর্জনের সুযোগ পায় না বর্ণন করে Cu²⁺ আয়নরূপে দ্রবণে চলে আসে। এর ফলে Cu অ্যানোড ক্রমশ ক্ষয় পেতে থাকে।
Cu -2e⁻ → Cu²⁺ (জারণ) - তড়িৎলেপনে ব্যবহৃত তড়িৎ বিশ্লেষ্যের ঘনত্বের ওপর নিকেলের প্রলেপ দিতে তড়িদ্বিশ্লেষ্য, ক্যাথোডে ও অ্যানোড হিসেবে কী কী ব্যবহৃত হয়?
উঃ- ক্যাথোডে – লোহার চামচ অ্যানোডে – বিশুদ্ধ নিকেল দণ্ড।
তড়িদ্বিশ্লেষ্য – নিকেলের লবণ (NiSO₄) - বিশুদ্ধ জলে অল্প পরিমাণ সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করলে উৎপন্ন দ্রবণের তড়িৎ পরিবাহিতা বিশুদ্ধ জলের থেকে বেশি হয় কেন?
উঃ- বিশুদ্ধ জল সাধারণ তাপমাত্রায় অতি অল্পমাত্রায় আয়নিত হয়ে H⁺ এবং OH⁻ উৎপন্ন করে। তাই বিশুদ্ধ জল তড়িৎ এর কুপরিবাহী। কিন্তু জলে সামান্য পরিমাণে সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করলে এই অ্যানায়নের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যায়, ফলে দ্রবণের তড়িৎ পরিবাহিতা বিশুদ্ধ জলের থেকে বেশি হয়। - চিনির জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করতে পারে না, কিন্তু সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণ পারে কেন ?
উঃ- চিনি একটি সমযোজী যৌগ বলে জলীয় দ্রবণে কোনো আয়নে উৎপন্ন করতে পারে না। তাই চিনির জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করতে পারে না। অন্যদিকে, সোডিয়াম ক্লোরাইড একটি তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ। জলীয় দ্রবণে আয়নে Na⁺ এবং Cl⁻ আয়ন উৎপন্ন করে। সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করতে পারে। - তড়িৎলেপন কাকে বলে ? রুপোর কোনো বস্তুর ওপর সিলভারের তড়িৎ লেপনে ক্যাথোডে কী?
উঃ- রাসায়নিক পদ্ধতিতে কোনো নিম্ন মানের ধাতু বা সংকর ধাতু নির্মিত বস্তুর ওপর তড়িৎ বিশ্লেষণের কোনো উৎকৃষ্ট মানের ধাতুর পাতলা আস্তরণ দেওয়ার পদ্ধতিকে তড়িৎলেপন বলে।
ক্যাথোড হল রুপার বস্তু। - কপার তড়িদ্বারের সাহায্যে কপার সালফেট দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ করলে অ্যানোডে বিক্রিয়া দুটি লেখো।
উঃ-আয়নীয়ন:- CuSO₄ ↔ Cu²⁺+ SO₄²⁻
ক্যাথোড বিক্রিয়া:- Cu²⁺+ 2e → Cu (বিজারণ)
অ্যানোড বিক্রিয়া:- Cu – 2e⁻ → Cu²⁺ (জারণ) - অ্যানোড মাড কী? অ্যানোডাইজিং কী?
উঃ- তড়িৎ পরিশোধনের সময় অবিশুদ্ধ কপারের সঙ্গে মিশ্রিত Fe, Zn, Ni প্রভৃতি ধাতুগুলি সালফেট রূপে দ্রবণে দ্রবীভূত হয়। কিন্তু Au, Ag, Pt প্রভৃতি নোবেল মেটালগুলি অ্যানোডের তলায় কাদার আকারে জমা হয়। अनेक समय অ্যানোডের চারপাশে মসলিন নির্মিত থলি রেখে এই ধাতুগুলি সংগ্রহ করা হয়। একেই অ্যানোড মাড বলে।
অ্যানোডাইজিং : জল, বায়ু ও বিভিন্ন লবণের প্রভাবে Al বা ইহার সংকর ধাতুর তৈরি দ্রব্যের ক্ষয় রোধের জন্য তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে Al₂O₃-এর পাতলা প্রলেপ দেওয়াকে অ্যানোডাইজিং বলে। - তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলতে কী বোঝায়?
উঃ- যেসব যৌগ জলীয় দ্রবণে প্রায় সম্পূর্ণ রূপে বিপরীত তড়িৎ যুক্ত আয়নে বিয়োজিত হয়, তাদের তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলা হয়। যেমন HCl, HNO₃, H₂SO₄, NaOH ইত্যাদি। - তড়িৎ বিশ্লেষণে একটি উদাহরণসহ অ্যানোড ও ক্যাথোডে জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
উঃ- অ্যাসিডিত জলের ক্ষেত্রে অ্যানোডে দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে H⁺ এবং ইলেকট্রন বিজারণ বিস্তারিত হয় এবং অপরদিকে অ্যানায়নে অ্যানোডে গিয়ে ইলেকট্রন ত্যাগ করে নির্গত হয় এবং অ্যানায়নের জারণ ঘটে। একেই ক্যাথোডে বিজারণ এবং অ্যানায়নের জারণ প্রক্রিয়া বলে। - তড়িৎ বিশ্লেষণে যে শক্তি তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়, তাকে কী বলে?
উত্তরঃ রাসায়নিক শক্তি - লোহার ওপর তামার প্রলেপ দিতে তড়িদ্বিশ্লেষ্য ও ক্যাথোড হিসেবে কী কী ব্যবহৃত হয়?
উঃ- লোহার দ্রবণে তামার প্রলেপ দিতে হলে, তামার পাতকে অ্যানোড এবং লোহার বস্তুকে ক্যাথোডে ব্যববহার করা হয়। এর সঙ্গে কপার সালফেট দ্রবণের সঙ্গে সামান্য সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ - তড়িৎ বিশ্লেষণ কাকে বলে? CH₃COOH ও CuSO₄ এর আয়নীয়ন কিভাবে ঘটে?
উঃ- যে প্রক্রিয়ায় তড়িদ্বিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে ঐ তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষিত হয়ে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন করে, সেই প্রক্রিয়াকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে।
CH₃COOH এর আয়োনীয়ন – CH₃COOH↔CH₃COO⁻+H⁺
CuSO₄ এর জলীয় দ্রবণের আয়োনীয়ন হয়, CuSO₄↔Cu²⁺+H⁺OH⁻ এবং H2O↔H⁺+OH⁻ - তড়িৎ বিশ্লেষণে একটি উদাহরণসহ অ্যানোড ও ক্যাথোডে জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ অ্যাসিডিত জলের ক্ষেত্রে ক্যাথোডে দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে H⁺ এবং ইলেকট্রন বিজারিত হয় এবং অপরদিকে অ্যানায়নে অ্যানোডে গিয়ে ইলেকট্রন ত্যাগ করে নির্গত হয় এবং অ্যানায়নের জারণ ঘটে। একেই ক্যাথোডে বিজারণ এবং অ্যানায়নের জারণ প্রক্রিয়া বলে। - তড়িৎবিশ্লেষ্য কাকে বোঝাায়? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ যেসব যৌগিক পদার্থ উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়ে অথবা গলিত অবস্থায় তড়িদবিশ্লেষণের ফলে রাসায়নিকভাবে परिवर्तित হয়ে ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থে পরিণত হয়, সেইসব পদার্থকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। উদাহরণ- গলিত অবস্থায় NaCl বিয়োজিত হয়ে Na⁺ ক্যাটায়ন এবং Cl⁻ অ্যানায়ন তৈরি করে। এই অ্যানায়নগুলি চলার ফলেই তড়িৎ পরিবহন সম্ভব হয় এবং তড়িৎ পরিবহনের কারণেই NaCl বিয়োজিত হয়ে ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে Na ও Cl⁻ উৎপন্ন হয়। - অ্যাসিডিত জলের তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় ক্যাথোডে ও অ্যানোডে কি কি বিক্রিয়া সংঘটিত হয়?
উত্তরঃ ক্যাথোড বিক্রিয়া- অ্যাসিডিত জলের মধ্যে তড়িৎ চালনা করলে উৎপন্ন হাইড্রোজেন আয়ন ক্যাথোডে এসে ইলেকট্রন গ্রহণ করে প্রথমে H পরমাণুতে পরিণত হয় এবং পরে দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাইড্রোজেন অণু সৃষ্টি করে ও ক্যাথোড হাইড্রোজেন গ্যাস মুক্ত হয়।
H⁺+e→H
অ্যানোড বিক্রিয়া: OH⁻ ও SO₄²⁻ উভয়ই অ্যানোড দ্বারা আকৃষ্ট হলেও এর দুটি আয়নের কোনোটিই আধান বর্জনের সুযোগ পায় না তার আগেই অ্যানোড দ্বারা আকৃষ্ট হলেও এর দুটি আয়নের কোনোটিই আধান বর্জনের সুযোগ পায় না বর্ণন করে Cu²⁺ আয়নরূপে দ্রবণে চলে আসে। এর ফলে Cu অ্যানোড ক্রমশ ক্ষয় পেতে থাকে।
OH⁻→OH+e
4OH→2H₂O+O₂↑ - যৌগগুলি থেকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ চিহ্নিত করো- i) চিনির জলীয় দ্রবণ, ii) গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড, iii) তরল HCl,iv) পারদ, v) কেরোসিন, vi) গলিত পটাশিয়াম ক্লোরাইড, vii) গলিত কস্টিক পটাশ, viii)গ্রাফাইট, ix) পেট্রোল, x) কস্টিক সোডার জলীয় দ্রবণ, xi) গ্লকোজের জলীয় দ্রবণ
উঃ: তড়িৎ বিশ্লেষ্য: ii) গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড, iii) তরল HCl, vi) গলিত পটাশিয়াম ক্লোরাইড, vii) গলিত কস্টিক পটাশ, x) কস্টিক সোডার জলীয় দ্রবণ
তড়িৎ অবিশ্লেষ্য: i) চিনির জলীয় দ্রবণ, iv) পারদ, v) কেরোসিন, viii) গ্রাফাইট, ix) পেট্রোল, xi) গ্লকোজের জলীয় দ্রবণ - তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশনে তড়িৎ বিশ্লেষ্য, ক্যাথোড ও অ্যানোড হিসেবে কি ব্যবহার করা হয়?
উঃ: তড়িৎ বিশ্লেষণে পদ্ধতিতে অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশনে বিশুদ্ধ অ্যালুমিনাকে Al₂O₃ গলিত ক্রায়োলাইট (Na₃AlF₆) ও ফ্লুওস্পার (CaF₂) এর সঙ্গে মিশিয়ে তড়িৎ বিশ্লেষণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আয়রনের ট্যাংকের ভেতরের দেওয়ালে পুরু গ্যাস কার্বনের আস্তরণ থাকে যা ক্যাথোড হিসেবে কাজ করে এবং ট্যাংকের ওপরের দিক থেকে বেশ কয়েকটি গ্রাফাইট দণ্ড তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্যে আংশিকভাবে নিমজ্জিত থাকে। এই দণ্ডগুলিকে অ্যানোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। - “তড়িৎ বিশ্লেষণে মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের ফলে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে” – ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ তড়িৎ বিশ্লেষণে গলিত বা উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থগুলি আয়নে বিয়োজিত হয়। এই অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহ চালানো করলে ক্যাটায়নগুলি ক্যাথোডে আকর্ষিত হয় এবং ক্যাথোড থেকে ইলেকট্রন গ্রহণ বা মূলক রূপে আধানমুক্ত হয়। একইভাবে, অ্যানায়নগুলি অ্যানোডে আকর্ষিত হয়ে অ্যানোডকে ইলেকট্রন বর্জন করে আধানমুক্ত হয়। এই ঘটনাকেই তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে। - তড়িৎ বিয়োজন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ NaCl যৌগটি বিগলিত কিংবা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় বিয়োজিত হয়ে Na⁺ ও Cl⁻ আয়ন মুক্ত করে। NaCl। গলিত বা দ্রবীভূত = Na⁺ + Cl⁻
পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
1] ইউরিয়া প্রস্তুতির জন্য কোন গ্যাস দুটি ব্যবহৃত হয়? a) NO (b) H2S (c) N2 d) NO2
উঃ- ইউরিয়া প্রস্তুতির জন্য c) N2 ব্যবহৃত হয়।
2] নেসলার বিকারকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বাদামি বর্নের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে- a) NH3 b) HCl c) HNO3 d) NaOH
উঃ-নেসলার বিকারকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বাদামি বর্নের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে- c) HNO3
3] ওলিয়ামের সংকেত- a) H2SO4 b) H2S2O7 c) H2SO3 d) FeS
উঃ- ওলিয়ামের সংকেত- b) H2S2O7.
4] অ্যামোনিয়া থেকে উৎপন্ন জৈব সার হল- a) NH4(2)SO4 c) CO(NH2)2 d) NH4OH
উঃ- অ্যামোনিয়া থেকে উৎপন্ন জৈব সার হল- c) CO(NH2)2.
5] কিপস যন্ত্রে প্রস্তুত করা যায়- a) H2S b) NH3 c) H2 d) HCl
উঃ- কিপস যন্ত্রে প্রস্তুত করা যায়-a) H2S.
6] চোখের কর্নিয়া সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়- a) CH4 b) N2 (c) CFC (e) CO2 (d) CO
উঃ- চোখের কর্নিয়া সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়- c) CFC
7] CuSO4 দ্রবণে H2S গ্যাস চালনা করলে কোন বর্নের অধঃক্ষেপ পড়বে? a) সাদা b) কালো c) সবুজ d) হলুদ
উঃ- CuSO4 দ্রবণে H2S গ্যাস চালনা করলে b) কালো বর্নের অধঃক্ষেপ পড়বে। [কালো অধঃক্ষেপ কিউপ্রিক সালফাইড এর Cus.]
8] একটি ঝাঁঝালো গন্ধের গ্যাসের নাম হল- a) CO2 b) H2S c) NH3 d) C12
উঃ- একটি ঝাঁঝালো গন্ধের গ্যাসের নাম হল-c) NH3.
9] অলরুর চিপস-এর প্যাকেটে কোন্ গ্যাস ভরা থাকে- a) O2 b) H2 c) N2 d) CO2
উঃ- অলরুর চিপস-এর প্যাকেটে কোন্ গ্যাস ভরা থাকে-c) N₂.
10] লাইকার অ্যামোনিয়ার সঙ্গে CuSO4 এর জলীয় দ্রবণের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন দ্রবণের বর্নের নাম লেখো। a) গাঢ় নীল b) সাদা c) সবুজ d) লাল
উঃ- কপার সালফেটে [CuSO4] এর জলীয় দ্রবণে অতিরিক্ত অ্যামোনিয়া যোগ করলে কি পরিবর্তন হবে? উঃ- গাঢ় নীল হবে।
11] পরীক্ষাগারে নাইট্রোজেন প্রস্তুতিতে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের সঙ্গে অপর কোন যৌগের জলীয় দ্রবণ মিশ্রিত করে উত্তপ্ত করা হয়? (a) নাইট্রোজেন (b) অ্যামোনিয়া (c) হাইড্রোজেন সালফাইড (d) অক্সিজেন
উঃ-নাইট্রোজেনের পরীক্ষাগারে প্রস্তুতিতে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের সঙ্গে সোডিয়াম নাইট্রাইট (NaNO2) জলীয় দ্রবণ মিশ্রিত করে উত্তপ্ত করা হয়।
12] এর সঙ্গে জ্বলন্ত Mg ফিতার বিক্রিয়ায় উৎপন্ন সাদা পাউডারটির মধ্যে থাকা পদার্থটির নাম ও সংকেত লেখো।
উঃ- N₂ এর সঙ্গে জ্বলন্ত Mg ফিতার বিক্রিয়ায় উৎপন্ন সাদা পাউডারটির মতো ম্যাগনেসিয়াম নাইট্রেট (Mg3N2) তৈরি হয়।
13] রুপোর টাকা কোন গ্যাসের সং¯পর্শে এসে কালো হয়ে যায়?
উঃ- রুপোর টাকা হাইড্রোজেন সালফাইডের সং¯পর্শে এসে কালো হয়ে যায়।
14] রসায়নগারে লবণের ধাতবমূলক শনাক্তকরণে কোন গ্যাসটির প্রয়োজন?
উঃ- রসায়নগারে লবণের ধাতবমূলক শনাক্তকরণে হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S) গ্যাসটির প্রয়োজন হয়।
15] অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণ যোগ করলে যে অধঃক্ষেপ পড়ে তার বর্ণ ও প্রকৃতি কী?
উঃ- অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণ যোগ করলে সাদা জেলির মতো অধঃক্ষেপ পড়ে।
সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী প্রশ্ন
- হেবার পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়া প্রস্তুতির সময় যে অনুঘটকটি ব্যবহৃত হয়- (a) MnO₂ (b) Pt চূর্ণ (c) Fe চূর্ণ (d) Cu চূর্ণ
উঃ (c) Fe চূর্ণ - হেবার পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়ার শিল্প উৎপাদনের সময় অ্যামোনিয়া কোন ভৌত অবস্থায় থাকে? (a) কঠিন (b) তরল (c) গ্যাসীয় (d) তরল ও গ্যাসের মিশ্রণ
উঃ (b) তরল - গ্যাসের বর্ণ হালকা সবুজ- a) NO (b) N₂ (c) N₂ (d) NO₂
উত্তরঃ (c) N₂ - কোন গ্যাসটি কিপযন্ত্রে প্রস্তুত করা যায় না? (a) CO₂ (b) H₂S (c) H₂ (d) HCl
উত্তরঃ (d) HCl - অয়েল অফ ভিট্রিয়ল কোন এসিডকে বলে? (a) সালফিউরিক অ্যাসিড (b) নাইট্রিক অ্যাসিড (c) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (d) সাইট্রিক অ্যাসিড
উঃ (a) সালফিউরিক অ্যাসিড - ল্য রাঞ্জ পদ্ধতিতে কোন এসিড তৈরি হয় (a) H₂SO₄ (b) HCl (c) HNO₃ (d) H₂CO₃
উত্তরঃ(b)HCl - আস্বামী গ্যাসটি হল (a) H₂S (b) N₂ (c) N₂ (d) O₂
উত্তরঃ(b)H₂S - সালফান হল (a) 100% সালফিউরিক অ্যাসিড (b) 100% নাইট্রিক অ্যাসিড (c) 50% ওলিয়াম (d) 100% ওলিয়াম
উঃ (d)100% ওলিয়াম - কোন পদার্থ দ্বারা অ্যামোনিয়াকে শুষ্ক করা হয় (a) H2SO4 (b) CaCl₂ (c) CaO (d) P₂O₅
উঃ(c)CaO
শূন্যস্থান পূরণ কর
- অসংযায়াত পদ্ধতিতে সালফিউরিক অ্যাসিড প্রস্তুতিতে সালফার ডাই অক্সাইড এবং অক্সিজেনের মিশ্রণ_হওয়া প্রয়োজন।
উত্তরঃ বিশুদ্ধ - অসওয়াল্ড পদ্ধতিতে অনুঘটক হিসেবে_ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ Pt- Rh তারজালি - 1100°C উষ্ণতায় উত্তপ্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড এর সঙ্গে নাইট্রোজেনের বিক্রিয়ায়_উৎপন্ন হয়
উত্তরঃ নাইট্রোলিম - _বিক্রিয়ার সাহায্যে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে শনাক্ত করা হয়।
উত্তরঃ সোডিয়াম নাইট্রোপ্রুসাইড এর সঙ্গে হাইড্রোজেন সালফাইডের (মেলিনের বিক্রিয়া) - কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামাইন প্রস্তুতিতে__ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ ইউরিয়া - ক্ষারীয় পটাশিয়াম মারকিউরো আয়োডাইড নামক জটিল লবণের বর্ণহীন স্বচ্ছ জলীয় দ্রবণকে_বলো।
উত্তরঃনেসলার বিকারক - তরল অ্যামোনিয়াকে__হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ হিমায়ক - নেসলার দ্রবণের মধ্য দিয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাসকে চালনা করলে দ্রবণের বর্ণ_হয়।
উত্তরঃ বাদামি - CuCl3 এর সঙ্গে অ্যামোনিয়াম হাইড্রেক্সাইড এর বিক্রিয়ায় উৎপন্ন অধঃক্ষেপ এর বর্ণ_হয়।
উত্তরঃ সবুজ - 0.88 আপেক্ষিক গুরুত্ব বিশিষ্ট অ্যামোনিয়ার সম্পৃক্ত জলীয় দ্রবণকে_বলো।
উত্তরঃ লাইকার অ্যামোনিয়া
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
- অ্যামোনিয়া গ্যাসকে শুষ্ক করতে কোন পদার্থ ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ পোড়া চুন (CaO) - কোন দুটি গ্যাসের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া তৈরি হয়?
উত্তরঃ হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন গ্যাস বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়া তৈরি করে - নেসলার দ্রবণে অ্যামোনিয়ার সংস্পর্শে কোন রং ধারণ করে?
উত্তরঃ বাদামি - লাইকার অ্যামোনিয়াতে কত ভাগ অ্যামোনিয়া থাকে?
উত্তরঃ 35% অ্যামোনিয়া থাকে লাইকার অ্যামোনিয়াতে - অ্যামোনিয়া গ্যাসের শিল্প প্রস্তুতির নাম কি।
উত্তরঃ হেবার পদ্ধতি - হেবার পদ্ধতিতে কঠিন অনুঘটক হিসেবে কি ব্যবহার হয়?
উত্তরঃ আয়রন চূর্ণ (Fe) - কিপযন্ত্রে তৈরি করা যায় এমন একটি গ্যাসের নাম করো।।
উত্তরঃ কিপযন্ত্রে তৈরি করা যায় একটি গ্যাসের নাম হল H₂S - বায়ুতে উপস্থিত কোন গ্যাস রুপার জিনিসকে কালো করে?
উত্তরঃ H₂S - পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া প্রস্তুতিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখ করঃ প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য, শর্ত, বিক্রিয়ার সমীকরণ, গ্যাসের শুস্ককরণ ও সংগ্রহ
উত্তরঃ (i) অ্যামোনিয়া প্রস্তুতিতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্যঃ অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH₄Cl) ও কলিচুন (Ca(OH)₂অথবা পোড়াচুন (CaO)
(ii) অ্যামোনিয়া প্রস্তুতির শর্তঃ একভাগ ওজনের অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের সঙ্গে তিনভাগ ওজনের শুষ্ক অথবা পোড়া চুন ভালো করে মিশিয়ে উত্তপ্ত করে অ্যামোনিয়া তৈরি করা হয়।
(iii) সমিত রাসায়নিক সমীকরণ এবং (iv) গ্যাসের শুস্ককরণঃ
2NH₄Cl+CaO=CaCl₂+2H₂O+2NH₃
NH₄NO₃= N₂ + 2H₂O
(iv) উৎপন্ন হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S) গ্যাসের জলের নিম্ন অপসারণ দ্বারা সংগ্রহ করা হয়। - নেসলার বিকারকের সঙ্গে এমন একটি গ্যাস যা বাদামি বর্নের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে। সেই গ্যাসটির নাম কী?
উত্তরঃ H₂S - হেবার পদ্ধতিতে কোন অনুঘটক ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ আয়রন চূর্ণ (Fe) - H2S এর গন্ধ কেমন?
উত্তরঃ পচা ডিমের মতো - নেসলার দ্রবণে অ্যামোনিয়ার সংস্পর্শে কোন রং ধারণ করে?
উত্তরঃ বাদামি - লাইকার অ্যামোনিয়াতে কত ভাগ অ্যামোনিয়া থাকে?
উত্তরঃ 35% অ্যামোনিয়া থাকে লাইকার অ্যামোনিয়াতে - অ্যামোনিয়া গ্যাসের শিল্প প্রস্তুতির নাম কি।
উত্তরঃ হেবার পদ্ধতি - অ্যামোনিয়ার ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ (1)অ্যামোনিয়াম সালফেট [NH₄]₂SO₄], অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট [NH₄NO₃], অ্যামোনিয়াম ফসফেট [(NH₄)₃PO₄] প্রভৃতি অজৈব সার এবং জৈব সার ইউরিয়া [CO(NH)₂] প্রস্তুত করতে অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়।
(2) সলভে পদ্ধতিতে সোডিয়াম কার্বনেট, অসওয়াল্ড পদ্ধতিতে নাইট্রিক অ্যাসিড প্রভৃতিতে - কিপযন্ত্রে প্রস্তুত করা যায় এমন একটি গ্যাসের নাম লেখো।
উত্তরঃ অ্যামোনিয়া ও পোড়া চুন উভয়ই ক্ষারীয় পদার্থ। তাছাড়া পোড়াচুন হল শোষক পদার্থ। তাই উভয়ের মধ্যে বিক্রিয়া হয় না। উপরন্তু জল শোষিত হয়। - ইউরিয়া তৈরিতে কোন গ্যাস কাজে লাগে?
উত্তরঃ অ্যামোনিয়া, কার্বন ডাই অক্সাইড - লাইকার অ্যামোনিয়ার বোতল খোলার আগে ঠাণ্ডা করা প্রয়োজন কেন ?
উত্তরঃ লাইকার অ্যামোনিয়ার সম্পৃক্ত জলীয় দ্রবকে লাইকার অ্যামোনিয়ার বলে। উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে জলের মধ্যে অ্যামোনিয়ার দ্রাব্যতা কমে যায়। লাইকার অ্যামোনিয়ার বোতলে উচ্চচাপে অ্যামোনিয়া দ্রবীভূত থাকে তাই হঠাৎ ছিপি খুললে অ্যামোনিয়া ছিঁটকে এসে চোখে লাগতে পারে এবং চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই বোতলটিকে ঠান্ডা করা হয়। যাতে কিছুটা অ্যামোনিয়া পুনরায় দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের চাপ কমে। - অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডকে শুষ্ক কলিচুন সহ উত্তপ্ত করলে কী ঘটে সমীকরন সহ লেখো।
উত্তরঃ পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের সাথে শুষ্ক কলিচুনের মিশ্রণ উত্তপ্ত করলে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, অ্যামোনিয়া ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়।
Ca(OH)₂+2NH₄Cl = CaCl₂+2H₂O+NH₃ - অ্যামোনিয়াকে বায়ুর সন্ধ্রিজনে দ্বারা জারিত ঘটিয়ে কীভাবে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন করা হয় এবং শর্ত লেখো। (বিক্রিয়ার সমিত রাসায়নিক সমীকরণ লেখো)।
উঃ অ্যামোনিয়া ও অতিরিক্ত বায়ু মিশ্রণ (1 : 7.5 আয়তন অনুপাতে) 750°C — 900°C উষ্ণতায় প্লাটিনাম-রোহিয়াম - একটি ব্রোরাইড লবণ A এর সঙ্গে চুন মিশিয়ে উত্তপ্ত করলে কঠিন বহিরাবরণ গ্যাস B উৎপন্ন হয়। গ্যাস B বায়ুতে দাহ্য নয় কিন্তু জলের সঙ্গে HCI বাষ্পের বিক্রিয়ায় পুনরায় A পাওয়া গেল। A ও B কে শনাক্ত করো ও সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়াগুলি লেখো।
উত্তরঃ উপরিউক্ত বিক্রিয়ায় A হল – অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH₄Cl) এবং B হল – বায়বীয়গুলো গ্যাস অ্যামোনিয়া (NH₃)
প্রথম বিক্রিয়াটি – 2NH₄Cl+CaO →CaCl₂+H₂O+2NH₃(g)
দ্বিতীয় বিক্রিয়াটি – NH₃(g)+HCl(g)→NH₄Cl(কঠিন) - একটি বিক্রিয়া উল্লেখ করো যার থেকে বোঝা যায় যে অ্যামোনিয়াতে নাইট্রোজেন আছে।
উত্তরঃ কিউপ্রিক অক্সাইডের উপর দিয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস চালনা করলে কিউপ্রিক অক্সাইড বিজারিত হয়ে ধাতব কপার এবং নিজে জারিত হয়ে নাইট্রোজেনে জারিত হয়।
3CuO + 2NH₃ = N₂ + 3Cu + 3H₂O - নাইট্রোলিম কী?
উত্তরঃ উষ্ণতায় উত্তপ্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইডের উপর দিয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস চালনা করলে ক্যালসিয়াম সায়ানামাইড ও কার্বন উৎপন্ন হয়। এইভাবে প্রাপ্ত ক্যালসিয়াম সায়ানামাইড ও কার্বনের ধূসর মিশ্রণকে নাইট্রোলিম বলে। - রুপোর তৈরি জিনিস পুরোনো হলে কালো হয়ে যায় কেন?
উত্তরঃ বায়ুর মধ্যে অল্প পরিমাণ H2S থাকে। রুপোর তৈরি জিনিস বহুদিন ধরে খোলা বায়ুতে থাকলে রুপোর সঙ্গে H2S-এর বিক্রিয়ায় কালো রঙের সিলভার সালফাইড উৎপন্ন হয়। ফলে রুপোর জিনিস কিছুদিন পর কালো হয়ে যায়। - ‘ওলিয়াম’ কী?
উত্তরঃ উত্তপ্ত ৯৮% গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড ও সালফার ডাইঅক্সাইডের মিশ্রণকে ওলিয়াম বলে। - পরীক্ষাগারে প্রস্তুত H₂S গ্যাসকে কীভাবে অ্যাসিড বাষ্প ও জলীয় বাষ্প দূর করবে?
উত্তরঃ পরীক্ষাগারে প্রস্তুত উজলফ বোতল থেকে নির্গত H₂S গ্যাসকে সোডিয়াম হাইড্রোজেন সালফাইডের (NaHS) সম্পৃক্ত দ্রবণের মধ্য দিয়ে চালনা করে অ্যাসিড বাষ্প মুক্ত করা হয়। এরপর কন্সফরাস পেন্টাক্সাইড (P₂O₅) পূর্ণ একটি U-নলের মধ্যে চালনা করে জলীয় বাষ্প মুক্ত করা হয়। - কোক চেম্বারের কারখানা থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস নির্গত হওয়ার দুটি প্রতিকার লেখো।
উত্তরঃঅ্যামোনিয়া আমাদের চোখে পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তা ছাড়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে অতিরিক্ত অ্যামোনিয়া ফুসফুসে প্রবেশ করলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এজন্য কারখানা বা অ্যামোনিয়া ট্যাংক থেকে যদি হঠাৎ অ্যামোনিয়া গ্যাস বেরোতে থাকে তবে টোকা জায়গায় যেখানে অ্যামোনিয়ার গন্ধ আসছে না সেখানে চলে যেতে হবে। অনবরত চোখে মুখে জলের ঝাপটা দেওয়া উচিত। জলে ভেজানো রুমাল নাকে চেপে রাখা দরকার। যেহেতু অ্যামোনিয়া জলে অত্যন্ত দ্রাব্য সেজন্য এরকম প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বনে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। - কোন পদ্ধতিতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়?
উত্তরঃ লা ব্লাঙ্ক পদ্ধতিতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় - নাইট্রিক এসিডের শিল্প প্রস্তুতিতে কোন অনুঘটক ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ প্লাটিনাম তারজালি - কোন এসিড থেকে বাদামী রঙের গ্যাস নির্গত হয়?
উত্তরঃ ধূমায়মান নাইট্রিক এসিড থেকে। - ধূমায়মান নাইট্রিক এসিড থেকে যে গ্যাস নির্গত হয় তার নাম কি?
উত্তরঃ নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO₂) - ওলিয়াম এর রাসায়নিক নাম কি?
উত্তরঃ পাইরো সালফিউরিক অ্যাসিড - কোন অনুঘটক সালফার ডাই অক্সাইড কে সালফার ট্রাইঅক্সাইডে জারিত করে?
উত্তরঃ V₂O₃ অর্থাৎ ভেনাডিয়াম পেন্টঅক্সাইড - নাইট্রোজেন ঘটিত দুটি সারের নাম কর।
উত্তরঃ ইউরিয়া, অ্যামোনিয়াম সালফেট - বিলীয়মান রং কি?
উত্তরঃ অ্যামোনিয়া মুক্ত ফিনোলফথ্যালিন এর জলীয় দ্রবণকে বিলীয়মান রং বলে। - অ্যামোনিয়াকে শনাক্ত করতে কোন দ্রবণ ব্যবহার করা হয়।
উঃ: অ্যামোনিয়াকে শনাক্ত করতে নেসলার বিকারক ব্যবহার করা হয়।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন – মান ২ ও ৩
- অ্যামোনিয়া প্রস্তুতিতে গাঢ় H2SO4 ব্যবহার করা যায় না কেন?
উঃ: অ্যামোনিয়া ক্ষারধর্মী গ্যাস, H₂SO₄ একটি অ্যাসিড তাই বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম সালফেট নামক লবণ তৈরি করে
2NH₃+H₂SO₄=(NH₄)₂SO₄ - অ্যামোনিয়াকে জলের নিম্ন অপসারণ দ্বারা সংগ্রহ করা হয় না কেন?
উঃ: অ্যামোনিয়া জলে অত্যন্ত দ্রাব্য। এসিডীতে এক আয়তন জলে প্রায় ১২০০ আয়তন অ্যামোনিয়া হতে পারে তাই জলের অপসারণ দ্বারা অ্যামোনিয়াকে সংগ্রহ চেষ্টা করলে অ্যামোনিয়াকে জলকে দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং গ্যাসকে পাওয়া যায় না। এই কারণে অ্যামোনিয়াকে জলের নিম্ন অপসারণ দ্বারা সংগ্রহ করা যায় না। - তরল অ্যামোনিয়া কাকে বলে?
উঃ: অ্যামোনিয়াকে সংকেতে তরলে পরিণত করা যায়। 10°C তাপমাত্রায় 6 বায়ুমণ্ডলীয় চাপে অ্যামোনিয়া বর্ণহীন তরলে পরিণত হয়। - লাইকার অ্যামোনিয়া কি?
উত্তরঃ 0.88 আপেক্ষিক গুরুত্ব বিশিষ্ট অ্যামোনিয়ার সম্পৃক্ত জলীয় দ্রবণকে লাইকার অ্যামোনিয়া বলে। লাইকার এমনি প্রায় ৩০% অ্যামোনিয়া দ্রবীভূত থাকে। - লাইকার অ্যামোনিয়ার বোতল ঠান্ডা করে খোলা উচিত কেন?
উঃ: উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে জলের মধ্যে অ্যামোনিয়ার দ্রাব্যতা কমে যায়। লাইকার অ্যামোনিয়ার বোতলে উচ্চচাপে অ্যামোনিয়া দ্রবীভূত থাকে তাই হঠাৎ ছিপি খুললে অ্যামোনিয়া ছিঁটকে এসে চোখে লাগতে পারে এবং চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই বোতলটিকে ঠান্ডা করা হয়। যাতে কিছুটা অ্যামোনিয়া পুনরায় দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের চাপ কমে। - বিলীয়মান রং কি? কেন একে বিলীয়মান রং বলে?
উঃ: ফেনালফথ্যালিন কঠিন তাই গোলাপি রং। বিলীয় হয় কাপড়েটি আবার সাদা হয়ে যায়। তাই একে বিলীয়মান রং বলে। - নেসলার বিকারক কি? কিভাবে নেসলার বিকারকের সাহায্যে অ্যামোনিয়াকে শনাক্ত করা যায়?
উঃ: ক্ষারীয় পটাশিয়াম মারকিউরো আয়োডাইড এর স্বচ্ছ জলীয় দ্রবণকে নেসলার বিকারকের সংকেতে ব্যবহৃত হয়। হলো K₂HgI₄।
নেসলার বিকারকের সংস্পর্শে এলে বাদামি বর্নের ধারণ করে। বেশি পরিমাণে অ্যামোনিয়া চালনা করলে গারো বাদামি রঙের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। এই বিক্রিয়ার সাহায্যে অ্যামোনিয়া গ্যাস কে শনাক্ত করা হয়। - অ্যামোনিয়ার প্রধান ব্যবহার লেখো।
- পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া প্রস্তুতিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখ করঃ প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য, শর্ত, বিক্রিয়ার সমীকরণ, গ্যাসের শুস্ককরণ ও সংগ্রহ
উঃ: ইউরিয়া প্রভৃতি নাইট্রোজেন ঘটিত সার তৈরিতে অ্যামোনিয়া ব্যবহৃত হয়। অসওয়াল্ড পদ্ধতিতে নাইট্রিক এসিড প্রভৃতিতে অ্যামোনিয়া ব্যবহৃত হয়। - বরফ তৈরির কারখানা এবং বরফ কোল্ডস্টোরে হিমায়ক রূপে অ্যামোনিয়া ব্যবহৃত হয়।
- পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়া প্রস্তুতিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখ করঃ প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য, শর্ত, বিক্রিয়ার সমীকরণ, গ্যাসের শুস্ককরণ ও সংগ্রহ
উঃ: (i) অ্যামোনিয়া প্রস্তুতিতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্যঃ অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH₄Cl) ও কলিচুন (Ca(OH)₂অথবা পোড়াচুন (CaO)
(ii) অ্যামোনিয়া প্রস্তুতির শর্তঃ একভাগ ওজনের অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের সঙ্গে তিনভাগ ওজনের শুষ্ক অথবা পোড়া চুন ভালো করে মিশিয়ে উত্তপ্ত করে অ্যামোনিয়া তৈরি করা হয়।
(iii) সমিত রাসায়নিক সমীকরণ এবং (iv) গ্যাসের শুস্ককরণঃ
2NH₄Cl+CaO → CaCl₂+H₂O+2NH₃
(iv) উৎপন্ন হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S) গ্যাসের জলের নিম্ন অপসারণ দ্বারা সংগ্রহ করা হয়। - জলীয় কপার সালফেটের দ্রবণে মধ্যে H₂S গ্যাস চালনা করলে কী ঘটে সমিত রাসায়নিক সমীকরনসহ লেখ।
উঃ- জলীয় কপার সালফেটের দ্রবণের মধ্যে H₂S গ্যাস চালনা করলে কালো রঙের কিউপ্রিক সালফাইড অধঃক্ষিপ্ত হয়।
CuSO₄ + H₂S = CuS + H₂SO₄ - কীভাবে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসকে সংগ্রহ করা হয়?
উঃ- উৎপন্ন HCl গ্যাস জলের সাহায্যে শীতলীকৃত শীতল নলের শোষক স্তম্ভের নীচ থেকে ওপরে দিয়ে পাঠানো হয়। ওপর থেকে জল ফোঁটা করা হয়। ফলে গ্যাসের হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড সংগ্রহ করা হয়। - ইউরিয়ার প্রধান ব্যবহারগুলি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ইউরিয়ার ব্যবহারগুলির নিম্নরূপ –
(i) ইউরিয়া থেকে কলাজ্বরের ঔষধ ইউরিয়া চিটিন তৈরি করা হয়। এছাড়া ইউরিয়ার বহর করে ঘুমের ঔষধ বারবিটিউরেট তৈরি করা হয়।
(ii) সেলোফেন কাগজ, রেয়ন, নাইট্রোসেলুলোজ বিস্ফোরক পদার্থ প্রভৃতি শিল্পোৎপাদনে ইউরিয়া ব্যবহৃত হয়। - পরীক্ষাগারে N₂ প্রস্তুতির রাসায়নিক উপকরণ ও বিক্রিয়ার শমিত সমীকরণ দাও।
উঃ- রাসায়নিক উপকরণ – সোডিয়াম নাইট্রাইট (NaNO₂) এবং অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH₄Cl)।
বিক্রিয়ার শমিত সমীকরণ:- NH₄NO₂= N₂ + 2H₂O - অ্যামোনিয়া গ্যাস বিজারণ ধর্মী – প্রমান করো।
উঃ- অ্যামোনিয়া কিউপ্রিক অক্সাইডকে কপারে বিজারিত করে এবং নিজে নাইট্রোজেনে জারিত হয়।
3CuO + 2NH₃ = Cu₂ + N₂ + 3H₂O - সিলভার নাইট্রেটের জলীয় দ্রবণে H₂S গ্যাস চালনা করলে কী ঘটে সমীকরণসহ লেখো।
উঃ- সিলভার নাইট্রেটের জলীয় দ্রবণে H₂S গ্যাস চালনা করলে বিক্রিয়াজাত ভূট্টে কালো রঙের সিলভার সালফাইড (Ag₂S)
বিক্রিয়ার সমীকরণটি হল- 2AgNO₃+H₂S→[2HNO₃] - অ্যামোনিয়ার ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ (1) অ্যামোনিয়াম সালফেট [(NH₄)₂SO₄], অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট [NH₄NO₃], অ্যামোনিয়াম ফসফেট [(NH₄)₃PO₄] প্রভৃতি অজৈব সার এবং জৈব সার ইউরিয়া [CO(NH)₂] প্রস্তুত করতে অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়।
(2) সলভে পদ্ধতিতে সোডিয়াম কার্বনেট, অসওয়াল্ড পদ্ধতিতে নাইট্রিক অ্যাসিড প্রভৃতিতে - কিপযন্ত্রে প্রস্তুত করা যায় এমন একটি গ্যাসের নাম লেখো।
উঃ- অ্যামোনিয়া ও পোড়া চুন উভয়ই ক্ষারীয় পদার্থ। তাছাড়া পোড়াচুন হল শোষক পদার্থ। তাই উভয়ের মধ্যে বিক্রিয়া হয় না। উপরন্তু জল শোষিত হয়। - অ্যামোনিয়া গ্যাস বিষাক্ত নয়। তার পরেও হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S) গ্যাসের জলের নিম্ন অপসারণ দ্বারা সংগ্রহ করা হয়।
উঃ- অ্যামোনিয়ার সম্পৃক্ত জলীয় দ্রবকে লাইকার অ্যামোনিয়ার বলে। উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে জলের মধ্যে অ্যামোনিয়ার দ্রাব্যতা কমে যায়। লাইকার অ্যামোনিয়ার বোতলে উচ্চচাপে অ্যামোনিয়া দ্রবীভূত থাকে তাই হঠাৎ ছিপি খুললে অ্যামোনিয়া ছিঁটকে এসে চোখে লাগতে পারে এবং চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই এই জন্য লাইকার অ্যামোনিয়ার বোতল খোলার আগে ঠাণ্ডা করা প্রয়োজন। - অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডকে শুষ্ক কলিচুন সহ উত্তপ্ত করলে কী ঘটে সমীকরন সহ লেখো।
উঃ- পরীক্ষাগারে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের সাথে শুষ্ক কলিচুনের মিশ্রণ উত্তপ্ত করলে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, অ্যামোনিয়া ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়।
Ca(OH)₂+2NH₄Cl = CaCl₂+2H₂O+NH₃ - অ্যামোনিয়াকে বায়ুর সন্ধ্রিজনে দ্বারা জারিত ঘটিয়ে কীভাবে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন করা হয় এবং শর্ত লেখো। (বিক্রিয়ার সমিত রাসায়নিক সমীকরণ লেখো)।
উঃ- অ্যামোনিয়া ও অতিরিক্ত বায়ু মিশ্রণ (1 : 7.5 আয়তন অনুপাতে) 750°C – 900°C উষ্ণতায় প্লাটিনাম-রোহিয়াম
4NH₃ + 5O₂ = 4NO + 6H₂O - অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণে ফেনলপথ্যালিন যোগ করলে কী হবে? সাদা জামায় এই মিশ্রণটি ঢেলে দিলে তাৎক্ষণিক এবং কিছু সময় পর পর্যবেক্ষন কী হবে এবং এর কেন?
উঃ- অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণে ফেনলপথ্যালিন যোগ করলে গোলাপি বর্ণ ধারণ করে। ফেনলপথ্যালিন সাধারণত ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে গোলাপি বর্ণ ধারণ করে। সেই মিশ্রণে অ্যাসিড যুক্ত হলে মিশ্রণ বর্ণহীন হয়ে যায়। অ্যামোনিয়ার ফেনলপথ্যালিন যুক্ত জলীয় দ্রবণ সাদা জামায় ঢেলে দিলে তার পর বায়ুতে অবস্থিত কার্বনিক অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে বর্ণহীন হয়ে যায়। বায়ুর কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) হল কার্বনিক অ্যাসিডের মূল উৎস। - হেবার পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়া প্রস্তুতিতে শর্তগুলি হলো:
(i) প্রাথমিক রাসায়নিকসমূহ- ফেরাস সালফেট (FeS), লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) যোগ করা। ফেরাস সালফাইড (FeS), লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) এর সংস্পর্শে এসে সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂S) গ্যাস উৎপন্ন করে
(ii) বিক্রিয়ার শর্ত – ফেরাস সালফেট (FeS) এবং লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) যোগ করা। ফেরাস সালফাইড (FeS), লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄)এর সংস্পর্শে এসে হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S) গ্যাস উৎপন্ন করে
(iii) সমিত রাসায়নিক সমীকরণ – লঘু H₂SO₄+FeS=H₂S+FeSO₄ - একটি বিক্রিয়া উল্লেখ করো যার থেকে বোঝা যায় যে অ্যামোনিয়াতে নাইট্রোজেন আছে।
উঃ: কিউপ্রিক অক্সাইডের উপর দিয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস চালনা করলে কিউপ্রিক অক্সাইড বিজারিত হয়ে ধাতব কপার এবং নিজে জারিত হয়ে নাইট্রোজেনে জারিত হয়।
3CuO + 2NH₃ = N₂ + 3Cu + 3H₂O - নাইট্রোলিম কী?
উত্তরঃ উষ্ণতায় উত্তপ্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইডের উপর দিয়ে নাইট্রোজেন গ্যাস চালনা করলে ক্যালসিয়াম সায়ানামাইড ও কার্বন উৎপন্ন হয়। এইভাবে প্রাপ্ত ক্যালসিয়াম সায়ানামাইড ও কার্বনের ধূসর মিশ্রণকে নাইট্রোলিম বলে। - রুপোর তৈরি জিনিস পুরোনো হলে কালো হয়ে যায় কেন?
উত্তরঃ বায়ুর মধ্যে অল্প পরিমাণ H2S থাকে। রুপোর তৈরি জিনিস বহুদিন ধরে খোলা বায়ুতে থাকলে রুপোর সঙ্গে H2S-এর বিক্রিয়ায় কালো রঙের সিলভার সালফাইড উৎপন্ন হয়। ফলে রুপোর জিনিস কিছুদিন পর কালো হয়ে যায়। - ‘ওলিয়াম’ কী?
উত্তরঃ উত্তপ্ত ৯৮% গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড ও সালফার ডাইঅক্সাইডের মিশ্রণকে ওলিয়াম বলে। - পরীক্ষাগারে প্রস্তুত H₂S গ্যাসকে কীভাবে অ্যাসিড বাষ্প ও জলীয় বাষ্প দূর করবে?
উত্তরঃ পরীক্ষাগারে প্রস্তুত উজলফ বোতল থেকে নির্গত H₂S গ্যাসকে সোডিয়াম হাইড্রোজেন সালফাইডের (NaHS) সম্পৃক্ত দ্রবণের মধ্য দিয়ে চালনা করে অ্যাসিড বাষ্প মুক্ত করা হয়। এরপর কন্সফরাস পেন্টাক্সাইড (P₂O₅) পূর্ণ একটি U-নলের মধ্যে চালনা করে জলীয় বাষ্প মুক্ত করা হয়। - কোক চেম্বারের কারখানা থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস নির্গত হওয়ার দুটি প্রতিকার লেখো।
উত্তরঃঅ্যামোনিয়া আমাদের চোখে পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তা ছাড়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে অতিরিক্ত অ্যামোনিয়া ফুসফুসে প্রবেশ করলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এজন্য কারখানা বা অ্যামোনিয়া ট্যাংক থেকে যদি হঠাৎ অ্যামোনিয়া গ্যাস বেরোতে থাকে তবে টোকা জায়গায় যেখানে অ্যামোনিয়ার গন্ধ আসছে না সেখানে চলে যেতে হবে। অনবরত চোখে মুখে জলের ঝাপটা দেওয়া উচিত। জলে ভেজানো রুমাল নাকে চেপে রাখা দরকার। যেহেতু অ্যামোনিয়া জলে অত্যন্ত দ্রাব্য সেজন্য এরকম প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বনে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
ধাতুবিদ্যা
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
1] লোহার পেরেককে কোন দ্রবণে ডুবালে রং পরিবর্তন দেখা যাবে- a) ZnSO4 b) Al2(SO4)3 c) FeSO4 d) CuSO4
উঃ- লোহার পেরেককে d) CuSO4 দ্রবণে ডুবালে রং পরিবর্তন দেখা যাবে।
2] জার্মান সিলভারে থাকে না- a) Ag b) Cu c) Zn d) Ni
উঃ- জার্মান সিলভারে থাকে না a) Ag.
3] থার্মিট পদ্ধতিতে কোনটি বিজারক দ্রব্য- a) C b) Al c) Fe d) Zn
উঃ- থার্মিট পদ্ধতিতে বিজারক দ্রব্য হল b) Al.
4] কার্বন-বিজারণ পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা যায়- a) Zn b) Na c) K d) Al
উঃ- কার্বন-বিজারণ পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা যায় a) Zn।
5] জার্মান সিলভারে কোন মৌল সবথেকে বেশি থাকে? a) Ag b) Cu c) Ni d) Zn
উঃ- জার্মান সিলভারে কোন মৌল সবথেকে বেশি থাকে b) Cu.
6] সিসালাইট কোন ধাতুর আকরিক? a) Al.
উঃ- গিবসাইট কোন ধাতুর আকরিক a) Al.
7] অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক নয়- a) গিবসাইট b) ক্রায়োলাইট c) ম্যালাকাইট d) ফেলস্পার
উঃ- অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক নয় c) ম্যালাকাইট।
8] হেমাটাইট কোন্ ধাতুর আকরিক? a) তামা b) অ্যালুমিনিয়াম c) লোহা d) জিঙ্ক
উঃ- হেমাটাইট c) লোহা ধাতুর আকরিক।
9] বিমানের কাঠামো তৈরিতে ব্যবহৃত সংকর ধাতু হল- a) জার্মান সিলভার b) ব্রোঞ্জ c) ইনভার d) ডুরালুমিন
উঃ- বিমানের কাঠামো তৈরিতে ব্যবহৃত সংকর ধাতু হল d) ডুরালুমিন।
10] প্রদত্ত কোন্ ধাতু পিরদ সংকর তৈরি করে না- a) Zn b) Ag c) Fe d) Na
উঃ- c) Fe ধাতু পিরদ সংকর তৈরি করে না।
11] গ্যালভানাইজেশনে কোন ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়?
উঃ- গ্যালভানাইজেশনে জিঙ্ক ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়।
12] ‘দাশর্নিকের উল’ কাকে বলে?
উঃ- জিঙ্ক।
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
- প্রদত্ত কোনটি অ্যালুমিনিয়াম ধাতুর আকরিক- বক্সাইট / হেমাটাইট / ম্যালাকাইট / চালকোপাইরাইটস
উঃ- বক্সাইট। - প্রদত্ত কোন ধাতুসংকরে জিঙ্ক বর্তমান- কাঁসা/ পিতল/ ব্রোঞ্জ/ ডুরালুমিন।
উঃ- পিতল - জার্মান সিলভারের প্রধান উপাদান- Ag / Cu / Fe / Zn ।
উঃ- Cu - থার্মিট মিশ্রণ হল-(Fe2O3 +Al) / (FeO + Al) / (Fe2O3 + Cu) / (FeO + Cu)
উঃ- (Fe2O3 +Al) - ম্যালাকাইট কোন ধাতুর আকরিক- লোহা/ দস্তা/ অ্যালুমিনিয়াম/ তামা।
উঃ- তামা। - থার্মিট পদ্ধতিতে বিজারক রূপে ব্যবহৃত হয়- Al / Cu / Fe / Zn ।
উঃ- Al - সোডিয়াম ধাতু নিষ্কাশনে ব্যবহৃত হয়- কার্বন বিজারণ পদ্ধতি/ থার্মিট পদ্ধতি/ স্বতঃ বিজারণ পদ্ধতি/ তড়িৎ বিজারণ পদ্ধতি।
উঃ- তড়িৎ বিজারণ পদ্ধতি - ডুরালুমিনে কোনটি থাকে না – Al/Ni/Mg/Cu
উঃ- Ni - ডুরালুমিনে কোনটি থাকে না – Al/Ni/Mg/Cu
উঃ- Ni - গ্যালভানাইজেশনের কাজে ব্যবহৃত হয় – Al / Cu / Fe / Zn ।
উঃ- Zn। - ডুরালুমিনের উপাদান কোনটি – Mg / Mn / Zn / Al
উঃ- Al - লোহা ছাড়া অপর একটি ধাতুর নাম লেখো যা থার্মিট পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা যায়- Cu/Na/Zn/Cr
উঃ- Cr - কোন ধাতুটি ব্রোঞ্জ ও কাঁসাতে বর্তমান ? লোহা / নিকেল / তামা / টিন ।
উঃ- তামা।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর – মান ২ ও ৩
1.
বামস্তম্ভ
১. যে মৌলের অ্যামায়ন লোহায় মরিচা পড়াকে ত্বরান্বিত করে। [MP-18]
২. হেমাটাইট থেকে নিষ্কাশিত হয়। [MP-18]
৩. ডুরালুমিনে বর্তমান। [MP-16]
৪. ধাতু- সংকরে কপারকে উপস্থিত। [MP-17]
৫. কে বিজারণিত করে? [MP-17]
ডানস্তম্ভ
১. ক্লোরিন
২. আয়রন
৩. অ্যালুমিনিয়াম
৪. Cu-80%, Sn-20%
৫. Al
বামস্তম্ভ
- সঙ্কর ধাতু – ডুরালুমিন
- ব্রাস বা পিতল
- জার্মান সিলভার
- বেল মেটাল বা কাঁসা
- ম্যাগনালিয়াম
- স্টেইনলেস স্টিল
- অ্যালানিকো
- গান মেটাল
ডানস্তম্ভ
ব্যবহার – বিমান,মোটর গাড়ির যন্ত্রাংশ, প্রেসার কুকার ইত্যাদি তৈরি করতে ব্যবহার হয়।
ব্যবহার – বাসনপত্র, গয়না, ফুলদানি তৈরি ব্যবহার হয়।
ব্যবহার – বাসনপত্র, গয়না, ফুলদানি তৈরিতে ব্যবহার হয়।
ব্যবহার – বাসনপত্র, মূর্তি, মুদ্রা তৈরি করতে ব্যবহার হয়।
ব্যবহার – হালকা যন্ত্রপাতি, সস্তা মানের তুলাদণ্ড ও বিমানের যন্ত্রাংশ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার – বাসনপত্র, মূর্তি তৈরি করতে ব্যবহার হয়।
ব্যবহার – স্থায়ী চুম্বক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার – বন্দুক ও সামরিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
বামস্তম্ভ
- সঙ্কর ধাতু – ডুরালুমিন
- ব্রাস বা পিতল
- জার্মান সিলভার
- বেল মেটাল বা কাঁসা
- ম্যাগনালিয়াম
- স্টেইনলেস স্টিল
- অ্যালানিকো
- গান মেটাল
ডানস্তম্ভ
Al- 95%, Cu- 4%, Mg-.5%, Mn-.5%
Cu-60%, Zn-40%
Cu-25-30%, Zn-25-30%, Ni-40-50%
Cu-80%, Sn-20%
Al-98% Mg-2%
Fe-73%, Cr-18%, Ni-8%, C-1%
Al-20%, Ni-10%, Co-10%
Cu-85%, Zn-10%, Sn-5% - প্রদত্ত ধাতুগুলির একটি করে আকরিকের উদাহরণ দাও। জিঙ্ক, আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, কপার।
উঃ- জিঙ্ক এর আকরিক- জিঙ্ক ব্লেণ্ড বা জ্যাঙ্ক (ZnS)
আয়রন এর আকরিক- রেড হিমাটাইট (Fe₂O₃)
অ্যালুমিনিয়াম এর আকরিক- বক্সাইট (Al₂O₃.2H₂O)
কপার এর আকরিক- কপার পাইরাইটিস বা চালকোপাইরাইটস (CuFeS₂) - জারণ-বিজারণের ইলেকট্রনীয় তত্ত্ব অনুসারে দেখাও যে, নীচের বিক্রিয়াটিতে জারণ-বিজারণ একই সঙ্গে ঘটে
Cu²⁺ + Zn → Zn²⁺ + Cu
উঃ- যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন এক বা একাধিক ইলেকট্রন বর্জন করে, তাকে জারণ বলে। Zn → Zn²⁺ + e
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে বিজারণ বলে। Cu²⁺ + e → Cu
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে উপরিতুক্ত বিক্রিয়াটিতে জারণ-বিজারণ একই সঙ্গে ঘটে। - CuSO₄ এর জলীয় দ্রবণে জিঙ্কের একটি টুকরো যোগ করলে কী হবে?
উঃ- CuSO₄ এর জলীয় দ্রবণে জিঙ্কের একটি টুকরো যোগ করলে লাল রঙের আস্তরণ পড়ে।
Zn + CuSO₄ → Cu↓ + ZnSO₄ - জিংক অক্সাইড থেকে কীভাবে জিংক ধাতু পাওয়া যায় ? বিক্রিয়ার সমিত রাসায়নিক সমীকরণ লেখো।
উঃ- কার্বন – বিজারণ পদ্ধতিতে, জিংক অক্সাইড কে কার্বন দ্বারা বিজারিত করে জিঙ্ক ধাতু পাওয়া যায়। ZnO + C → Zn + CO - থার্মিট পদ্ধতির নীতিটি লেখো। রাসায়নিক সমীকরণ দাও।
উঃ- উচ্চ উষ্ণতায় অক্সিজেনের প্রতি অ্যালুমিনিয়ামের আসক্তি তীব্র হওয়ায় এটি তীব্র বিজারক হিসেবে কাজ করে। রেড হিমাটাইট অ্যালুমিনিয়াম চূর্ণ সহযোগে উত্তপ্ত করলে প্রায় 2000 ডিগ্রী উষ্ণতায় বিজারিত হয়ে গলিত আয়রনে পরিণত হয়। এই পদ্ধতিতে থার্মিট পদ্ধতি বলা হয়।
Fe₂O₃ + 2Al = 2Fe + Al₂O₃ - ধাতু সংকর কাকে বলে? পিতলের গুলি কী কী?
উঃ- দুই বা ততোধিক ধাতুর সমসত্ব বা অসমসত্ব যে কোনো ধরনের সংযোগের উপরে যে তড়িৎলেপনে একটি মাত্র ধাতুর ন্যায় আচরণ করে, থাকে ধাতু সংকর বলে।
পিতলের উপাদান গুলি হল- তামা (৭০%) এবং জিঙ্ক (৩০%) - ক্রায়োলাইট ও চালকোসাইট কোন ধাতুর আকরিক ?
উঃ- ক্রায়োলাইট অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক।
চালকসাইট কপারের আকরিক। - কার্বনেট রুপে কপার ও জিঙ্কের একটি করে আকরিকের নাম রাসায়নিক সংকেত সহ লেখো।
উঃ- কপারের আকরিক- ম্যালাকাইট, CuCO₃, Cu(OH)₂
জিঙ্কের আকরিক – ক্যালামাইন, ZnCO₃ - অ্যালুমিনা থেকে কার্বন-বিজারণ প্রক্রিয়ায় অ্যালুমিনিয়াম ধাতু নিষ্কাশন করা হয় না কেন?
উঃ- অত্যন্ত সুস্থিত যৌগ। তাই এটিকে উষ্ণতারতে কার্বন দ্বারা বিজারিত করা সম্ভব হয় না। অ্যালুমিনিয়াম, কার্বনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে Al₄C₃ উৎপন্ন করে। - লোহায় মরচে পড়ার মৃদু লমন্ধ হওয়া বিক্রিয়া দুটি লেখো।
উঃ- 2Fe + 2H2O + O₂ = 2Fe(OH)₂
Fe(OH)₂ + O₂ = 2Fe₂O₃,3H₂O (মরচে) + H₂O - আকরিকের সংজ্ঞা দাও উদাহরণসহ।
উঃ- যেসব খনিজ থেকে অপেক্ষাকৃত সহজ পদ্ধতিতে এবং স্বল্প ব্যয়ে লাভজনক বাণিজ্যিক উপায়ে উচ্চ মানের ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদের আকরিক বলে। যেমন রেড হিমাটাইট হল লোহার প্রধান আকরিক। - কপার ও অ্যালুমিনিয়ামের একটি করে ব্যবহার উল্লেখ করো।
উঃ- তামা: তড়িৎপরিবহিতার জন্য তড়িৎতার, মোটর, জেনারেটরে ইত্যাদি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। অ্যালুমিনিয়ামঃ বাসার বাসনপত্র, দরজা-জানালার ফ্রেম, চেয়ার – টেবিল নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। - গ্যালভানাইজেশন কাকে বলে?
উঃ- লোহার তৈরি বস্তুকে মরচের হাত থেকে রক্ষা করতে ঐ বস্তুগুলির উপর জিঙ্কের প্রলেপ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াকে ডিসকলবন বা গ্যালভানাইজেশন বলে। - একটি চকচকে লোহার ছুরিকে CuSO₄ দ্রবণে ডোবালে লোহার ছুরির ওপর তামার লাল আস্তরণ পড়ে, কিন্তু FeSO₄ দ্রবণে তামার ছুরি ডোবালে কোনো আস্তরণ পড়ে না-ব্যাখ্যা করো।
উঃ- তড়িৎ রাসায়নিক শ্রেণীতে যে ধাতু যত বেশি সক্রিয় সে বেশি সক্রিয় হয়। কিন্তু অন্য ধাতুকে প্রতিস্থাপিত করে নিজে যায়। কিন্তু FeSO₄ দ্রবণে তামা তড়িৎ রাসায়নিক শ্রেণীতে লোহা অপেক্ষা কম সক্রিয় হওয়ায় তা লোহার যৌগ থেকে লোহাকে প্রতিস্থাপিত করতে পারে না। - সব আকরিকই খনিজ, কিন্তু সব খনিজই আকরিক নয়’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ প্রকৃতিতে কোনো ধাতু, যৌগ হিসেবে অবশেষে অবস্থান করলে তাকে ঐ ধাতুর খনিজ বলে। কিন্তু যে সকল খনিজ থেকে স্বল্প ব্যয়ে ও সহজে অধিক পরিমাণ মৌলটি নিষ্কাশন করা যায়, তাকে ঐ নির্দিষ্ট ধাতুর আকরিক বলে। যেমন – আয়রনের খনিজ রেড হিমাটাইট এবং আয়রন পাইরাইটস। কিন্তু আয়রন পাইরাইটস থেকে সুলভে ও সহজ পদ্ধতিতে আয়রন নিষ্কাশন করা যায়। তাই এটি আয়রনের খনিজ কিন্তু আকরিক নয়। আবার রেড হিমাটাইট থেকে সহজে আয়রন নিষ্কাশন করা যায়, তাই এটি আয়রনের আকরিক। তাই বলা যায়, সব আকরিকই খনিজ কিন্তু সব খনিজই আকরিক নয়। - সব আকরিকই খনিজ, কিন্তু সব খনিজই আকরিক নয়’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ প্রকৃতিতে কোনো ধাতু, যৌগ হিসেবে অবশেষে অবস্থান করলে তাকে ঐ ধাতুর খনিজ বলে। কিন্তু যে সকল খনিজ থেকে স্বল্প ব্যয়ে ও সহজে অধিক পরিমাণ মৌলটি নিষ্কাশন করা যায়, তাকে ঐ নির্দিষ্ট ধাতুর আকরিক বলে। যেমন – আয়রনের খনিজ রেড হিমাটাইট এবং আয়রন পাইরাইটস। কিন্তু আয়রন পাইরাইটস থেকে সুলভে ও সহজ পদ্ধতিতে আয়রন নিষ্কাশন করা যায়। তাই এটি আয়রনের খনিজ কিন্তু আকরিক নয়। আবার রেড হিমাটাইট থেকে সহজে আয়রন নিষ্কাশন করা যায়, তাই এটি আয়রনের আকরিক। তাই বলা যায়, সব আকরিকই খনিজ কিন্তু সব খনিজই আকরিক নয়। - মরচে পড়ার দুটি ক্ষতি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ মরচে পড়লে ধীরে ধীরে লোহা ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে তাই মরচে পড়লে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। i. লোহার চাবি তালায় অনেক সময় মরচে পরে গিয়ে ঐ চাবি তালা বিকল হয়ে যায়। ফলে তা আর ব্যবহার করা যায়না। ii. বহু পুরনো বাড়িতে বড় লোহার দরজা থাকে, দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত অবস্থায় থাকার ফলে মরচে পরে তা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে গৃহকর্তাকে পুনরায় দরজা নির্মাণ করতে হয়। - কপার সালফেটের (CuSO₄) জলীয় দ্রবণে জিঙ্কের একটি টুকরো যোগ করলে কী হবে?
উঃ- তড়িৎ রাসায়নিক শ্রেণিতে জিঙ্ক কপারের আগে অবস্থান করে, সেই জন্য কপারকে (CuSO₄) যৌগ থেকে খুব সহজে কপারকে জিঙ্ক প্রতিস্থাপিত করে জিঙ্ক সালফেট (ZnSO₄) যৌগ গঠন করতে পারে।
ZnO+Cu+SO₄→Cu+ZnSO₄+ 2⁻ - আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম ও জিঙ্কের একটি আকরিক ও ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ আয়রনের আকরিকঃ ম্যাগনাটাইট (Fe₂O₃)
আয়রনের ব্যবহারঃ জলের পাইপ, কড়াই, দরজা, পেরেক, মোটোগাড়ি, জাহাজ ইত্যাদি তৈরিতে।
অ্যালুমিনিয়ামের আকরিকঃ ক্রায়োলাইট (AlF₃, ও NaF)।
অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহারঃ বিমান ও গাড়ির কাঠামো, বৈদ্যুতিক তার ইত্যাদি তৈরিতে।
জিঙ্কের আকরিকঃ জিঙ্ক ব্লেণ্ড (ZnS)
জিঙ্কের ব্যবহারঃ গ্যালভানাইজেশনে, রং শিল্পে, ছাপার ব্লক প্রভৃতিতে ব্যবহৃত হয়। - ইনভার কনস্টানটাইনের উপাদান লেখো। একটি ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ ইনভারঃ কনস্টানটাইনের উপাদান লোহা 73%, নিকেল 8%, ক্রোমিয়াম 8%, ও কার্বন 1%।
ব্যবহারঃ মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ, বাসনপত্র, অস্ত্রোপচার যন্ত্রপাতিতে ইত্যাদি প্রস্তুতিতে। - থার্মিট পদ্ধতির নীতি লেখো। থার্মিট মিশ্রণ কী?
উত্তরঃ নীতিঃ লোহা, ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কোবাল্ট প্রভৃতি ধাতুর অক্সাইডকে Al চূর্ণ সহযোগে উত্তপ্ত করে গলিত ধাতুতে পরিণত হয়। এই পদ্ধতিতে সোকগুলোকে থার্মিট পদ্ধতি বলা হয়।
থার্মিট মিশ্রণঃ তিন ভাগ Fe₂O₃ ও একভাগ Al চূর্ণের মিশ্রণকে থার্মিট মিশ্রণ বলা হয়। এটা ড্রেলাইটের সেলামাতে করতে ব্যবহৃত হয়। - রুপারে পাত্র আর্দ্র বায়ুতে রাখলে সবুজ ছোপ পড়ে কেন?
উত্তরঃ আর্দ্র বায়ুতে রুপারেকে রেখে দিলে ওপর রুপার কার্বনেট (Cu(OH)₂, আবার SO₂, এর উপস্থিতিতে কপার সালফেট (CuSO₄) গঠিত হয়, আবার কোনো কারণে হাইড্রোজেন সালফাইডের (H₂S)-এর বিক্রিয়ায় সবুজ রঙের জারীয় কপার কার্বনেট (CuCO₃, Cu(OH)₂), গঠিত হয়। - Al বা দস্তার পাত্রে খাবার জিনিস রাখা উচিত নয় কেন?
উঃ: টক জাতীয় ফল বা আচারে মধ্যে বিভিন্ন জৈব অ্যাসিড থাকে। এই অ্যাসিড জিঙ্ক বা Al এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত যৌগ তৈরি করে, যা মানবদেহের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই Al বা Zn পাত্রে খাবার জিনিস রাখা অনুচিত। - তামা তাপের সুপরিবাহী- এই ধর্মটির ব্যাবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (১) রান্নার বাসনপত্র তৈরিতে তামা ব্যবহৃত হয়। এর ফলে সহজে খাদ্যবস্তুতে তাপ সরবরাহ করা যায় ও রান্না দ্রুত সম্পন্ন হয়।
(২) ক্যালোরিমিটার প্রস্তুতিতে তামা ব্যবহৃত হয়। এর সাহায্যে পরীক্ষারধীন বস্তুর দ্বারা গৃহীত বা বর্জিত তাপ সহজে পরিমাপ করা যায়।
(৩) কলকারখানার বয়লার তৈরিতে তামা ব্যবহৃত হয়। তাপের সুপরিবাহী হওয়ায় বয়লারের জল দ্রুত গরম হয়। - লোহার মরচে রোধ করার জন্য জিঙ্কের লেপন বা গ্যালভানাইজেশন করা হয় কেন?
উত্তরঃ লোহার মরচে রোধ করার জন্য জিঙ্কের প্রলেপ দেওয়ার কারণ হল তড়িৎ রাসায়নিক শ্রেণিতে জিঙ্কের অবস্থান আয়রনের ওপরে। সুতরাং আয়রন অপেক্ষা জিঙ্ক তড়িৎ-ধনাত্মক অর্থাৎ জিঙ্কের জারণ এতেও আয়রন অপেক্ষা বেশি। তাই জিঙ্ক ও আয়রন একত্রে থাকলে বায়ুর অক্সিজেন বা জলীয় বাষ্পের আকষ্মনে আয়রনের আয়ারণের হাত থেকে রক্ষা পায়। তাই লোহায় মরচে পড়া রোধ করার জন্য জিঙ্ক লেপন বা গ্যালভানাইজেশন - সমুদ্রগামী জাহাজের ইস্পাত নির্মিত কাঠামো বা জলের নীচের পাইপ লাইনের সাথে ম্যাগনেশিয়ামের ব্লক যুক্ত করার কারণ কী?
উঃ: লোহার কোন জাহাজ বা জলের নীচে পাইপ লাইন বা লোহার বস্তু দীর্ঘদিন জলে থাকে এবং আয়রনের মরচে পড়া থেকে রক্ষা করা জন্য জাহাজের কাঠামো বা লোহার পাইপ লাইনের সঙ্গে ম্যাগনেশিয়ামের ব্লক যুক্ত থাকে। ফলে ম্যাগনেশিয়াম অ্যানোড এবং লোহা ক্যাথোড রূপে কাজ করে। এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আয়রনের ক্ষয়রোধ ঘটে। - অ্যালুমিনিয়াম পাতে আচার বা চাটনি খাওয়া উচিত নয় কেন?
উত্তরঃ আচারের বা চাটনি জাতীয় খাবারে ভিনিগার সেপানো হয়। অ্যালুমিনিয়ামের ওপরের পাত্রে রাখা চাটনি খাওয়া অনুচিত। - লোহার মরচে পড়া কাকে বলে? মরচে পড়ার কারণ লোহার জিনিস ক্ষয়প্রাপ্ত হয় কেন?
উত্তরঃ জলহাওয়াতে লোহাকে দ্রবাকে আর্দ্র বায়ুতে কিছুদিন খোলা অবস্থায় রেখে দিলে, লোহার ওপর লালচে বাদামি রঙের সোদক ফেরিক অক্সাইড (Fe₂O₃.xH₂O)-এর একটি আস্তরণ পড়ে, একেই লোহায় মরচে পড়া বলে।
জৈব রসায়ন
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
1] প্রদত্ত কোনটি একটি সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন? a) C3H6 b) C2H4 c) C2H2 d) C2H6
উঃ- d) C2H6 সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন।
2] প্রদত্ত কোনটি জৈবদুর পলিমার নয়? a) শর্করা b) সেলুলোজ c) টেফলন d) স্টার্চ
উঃ- টেফলন জৈবদুর পলিমার নয়।
3] ভিনিগারে কার্যকরী মূলক হল- a)-CHO b)-C = O c) -COOH d) -OH
উঃ- ভিনিগারে কার্যকরী মূলক হল c)-COOH.
4] মিথানল ও ইথানল পরস্পর- a) আইসোমার b) আইসোবার c) সমগণ d) আইসোটোপ
উঃ- মিথানল ও ইথানল পরস্পর- সমগণ
5] ইথাইল অ্যালকোহল ও ডাইমিথাইল ইথারের মধ্যে যে ধরনের সমাবয়বতা দেখা যায় তা হল- a) শৃঙ্খল ঘটিত b) অবস্থান ঘটিত c) কার্যকারীমূলক ঘটিত d) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ ইথাইল অ্যালকোহল ও ডাইমিথাইল ইথারের মধ্যে কার্যকারীমূলক ঘটিত সমাবয়বতা দেখা যায়।
6] মিথেন যৌগে কার্বনের সংযোজ্যতা- a) 4 b) 1 c) 3 d) 2
উত্তরঃ-মিথেন যৌগে কার্বনের সংযোজ্যতা- a) 4.
7] প্রদত্ত যৌগটি ব্রোমিন (Br2) দ্রবণকে বর্ণহীন করে?- a) C2H4 b) C2H2 c) C2H6 d) C6H6
উত্তরঃ- b) C2H4 যৌগটি ব্রোমিন (Br2) দ্রবণকে বর্ণহীন করে।
8] প্রোপান-1-অল ও প্রোপান-2-অল-এর মধ্যে কী ধরনের সমাবয়বতা দেখা যায়? a) শৃঙ্খলঘটিত b) অবস্থানঘটিত c) কার্যকরীমূলক ঘটিত d) ত্রিমাত্রিক
উত্তরঃ- প্রোপান-1-অল ও প্রোপান-2-অল-এর মধ্যে b) অবস্থানঘটিত সমাবয়বতা দেখা যায়।
9] কোনটি কৃত্রিম পলিমার নয়? a) PVC b) টেফলন c) স্টার্চ d) নাইলন।
উত্তরঃ- c) স্টার্চ কৃত্রিম পলিমার নয়।
10] কোন যৌগেতে কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন আছে? a) C2H6 b) C2H2 c) C2H4 d) C4H10
উত্তরঃ- c) C2H4 যৌগটিতে কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন আছে।
11] PVC-এর মনোমার কী?
উঃ-PVC-এর মনোমার হল ভিনাইল ক্লোরাইড।
12] সরলতম অ্যালকেনের নাম লেখো।
উঃ- সরলতম অ্যালকেনের নাম মিথেন।
13] অ্যাসিটিলিনের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উঃ- অ্যাসিটিলিনে উপস্থিত কার্বনের।
14] আলেয়া সৃষ্টিতে কোন গ্যাসটির ভূমিকা আছে?
উঃ- আলেয়া সৃষ্টিতে মিথেনের ভূমিকা রয়েছে।
15] দুটি জৈব ভঙ্গুর পলিমার এর উদাহরণ দাও।
উঃ- দুটি জৈব ভঙ্গুর পলিমার হল প্রাকৃতিক রবার, সেলুলোজ।
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর
- প্রদত্ত কোনটি একটি সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন . C3H6 / C2H4 / C2H2 / C2H6
উঃ- C2H6 - প্রদত্ত কোনটি অ্যালডিহাইডের কার্যকরী গ্রুপ –OH /-CHO /-=C=O /-COOH
উঃ- -CHO - অ্যাসিটোনে উপস্থিত কার্যকরী মূলক হল- -OH /-CHO /-=C=O /-COOH
উঃ- >-C=O - নির্দিষ্ট কার্বন পরমাণুযুক্ত অ্যালকিনে উপস্থিত হাইড্রোজেন পরমাণুর সংখ্যা – 6 / 8 / 9 /10
উঃ- 4, CH = C –CH3 - কোন কোন জ্বালানির মধ্যে সরলতম হাইড্রোকার্বন উপস্থিত থাকে ? ডিজেল / কেরোসিন / LPG / CNG
উঃ- 6, CH3 —CH2 —CH3 - কোনটি সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন নয় ? C2H6/ C3H6 / C3H8 / C4H10
উঃ- C3H6 - কার্বাইড গ্যাস বাতিতে জ্বলে যে গ্যাসটি সেটি হল- অ্যাসিটিলিন / মিথেন / হাইড্রোজেন / ইথেন।
উঃ- অ্যাসিটিলিন - LPG এর প্রধান উপাদান- মিথেন / প্রোপেন / বিউটেন ।
উঃ- অ্যাসিটিলিন - নির্দিষ্ট কার্বন পরমাণুযুক্ত হাইড্রোকার্বনে হাইড্রোজেন পরমাণুর সংখ্যা – 6 / 8 / 3 / 4
উঃ- 8 - সরলতম জৈব যৌগ – C2H6/ CH4 / C2H4 / C2H2
উঃ- CH4 - সমগণীয় শ্রেণীর যৌগগুলির মধ্যে আণবিক সংকেতের পার্থক্য হল -CH3/ -CH- / -C=C- / -CH2-
উঃ- -CH2- - নিচের কোন যৌগটির সঙ্গে জলীয় NaHCO3 এর বিক্রিয়ায় CO2 উৎপন্ন হয়। CH3CH2OH / CH3CHO / CH3C°CH3 / CH3COOH
উঃ- CH3COOH
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- CH3CH2CHO এর IUPAC নাম লেখো।
উঃ- মেম্বার টাইলস, খেলনা, নল প্রভৃতি প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। - CH3CH2CH2OH এর একটি অবস্থানগত সমাবয়বের পঠন সংকেত লেখো।
উঃ- CH3-CH(OH)-CH3 - পলি (টেট্রাফ্লুরোইথিলিন) এর একটি ব্যবহার লেখো। টোফালনের
উত্তরঃ টেফলনের মনোমার হল টেট্রাফ্লুরোইথিলিন। - নির্দিষ্ট কার্বন পরমাণুযুক্ত অ্যালকাইনে উপস্থিত হাইড্রোজেন পরমাণুর সংখ্যা কত?
উঃ- CH₃-CH₃-CH₃ - কার্বনহীন দুটি কার্যকারী মূলকের নাম লেখো।
উঃ- হাইড্রিক্সিল (-OH) - LPG এর গন্ধের কারণ কী?
উঃ- LPG এর সঙ্গে দূর্গন্ধযুক্ত মিথাইল বা ইথাইল মারকাপটান মেশানো থাকে। - কার্বনবিহীন একটি কার্যকারী মূলকের নাম লেখো।
উঃ- হাইড্রিক্সিল (-OH) - কার্বক্সিলমূলক যুক্তোমিথেনে যে আলেয়া দেখা যায় সেটি কোনো ভৌতকি ব্যাপার – ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কর্মাক্ত জলাভূমিতে যে আলেয়া দেখা যায় সেটি কোনো ভৌতকি ব্যাপার নয়। কারণ কর্মাক্ত পচা জলাভূমিতে জীবনের পচনের ফলে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই মিথেনের সঙ্গে ফাসফিন (PH₃), গ্যাস হাইড্রোফসফাই-ডাই-হাইড্রাইড রায়ুর সংস্পর্শে জ্বলে ওঠা সেই সঙ্গে দাহ্য গ্যাস ফাসফিন এরূপে জ্বলে থাকে। বায়ুদ্রবানের জন্য জ্বলন্ত অবস্হায় ধীরে ধীরে চলতে থাকে। একেই আলোয়ালো বলে। - IUPAC নাম লেখো- (a) CH₃COOH (b) CH₃CH₂COOH (c) CH₃CH(OH)CH₃ (d) CH₂ – CH₂ – CH₃
উঃ: (a) CH₃COOH = ইথানয়িক অ্যাসিড
(b) CH₃CH₂COOH = প্রোপানোয়নিক অ্যাসিড
(c) CH₃CH(OH)CH₃ = 2-হাইড্রক্সিপ্রোপেন
(d) CH₂ – CH₂ – CH₃ = প্রোপেন - LPG ও CNG এর মধ্যে উপাদানগুলির নাম লেখো।
উঃ- LPG এর মুখ্য উপাদান – বিউটেন। CNG এর মুখ্য উপাদান – মিথেন গ্যাস। - রেকিফায়েড স্পিরিট কী?
উঃ- 95.6% ইথানল ও 4.4% জলের মিশ্রণকে রেক্টিফায়েড স্পিরিট বলা হয়। - প্রকৃতিতে জৈব পলিমার প্রোটিনের বায়োডিগ্রেডেশন হয় কীভাবে?
উঃ- প্রকৃতিতে মৃত্তিকা স্থিত ব্যাটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি অণুজীব দ্বারা নিঃসৃত অংজাইম ও ডিস্ক্রেকীয় বিচিত্র উপযুক্ত প্রোটিনের রাসায়নিক বিক্রিয়া ওজন এবং সরল অজৈব অণুতে পরিণত হয়। - একটি জৈব যৌগের আণবিক সংকেত C₂H₄O₂, যৌগটি জলে দ্রাব্য এবং যৌগটির জলীয় দ্রবণে NaHCO₃ যোগ করলে CO₂ নির্গত হয়। যৌগটিকে শনাক্ত করো। যৌগটির মধ্যে ইথানলের বিক্রিয়া শর্ত ও সমিত রাসায়নিক সমীকরণ লেখো।
উঃ- জৈব যৌগের আণবিক সংকেত C₂H₄O₂। যৌগটি জলে দ্রাব্য এবং যৌগটির জলীয় দ্রবণে NaHCO₃ যোগ করলে CO₂ নির্গত হয়। অর্থাৎ যৌগটি অ্যাসিড। যা সংকেত CH₃COOH এবং নাম অ্যাসিটিক অ্যাসিড বা ইথানোয়িক অ্যাসিড।
গাঢ় H₂SO₄ এর উপস্থিতিতে ইথানলের সঙ্গে ইথানোয়িক অ্যাসিড উত্তপ্ত করলে ইথাইল অ্যাসিডেট এস্টার ও জল উৎপন্ন হয়।
CH₃COOH + C₂H₅OH Conc.H₂SO₄ CH₃COOC₂H₅ + H₂O Δ - জ্বালানিকরপে CNG ব্যবহারের সুবিধাগুলি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে করলে পেট্রোল ও CNG এর মধ্যে কোনটিতে অপেক্ষাকৃত কম বায়ু দূষণ সৃষ্টি করে?
উত্তরঃ যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে CNG ব্যবহার করলে অপেক্ষাকৃত কম বায়ু দূষণ হয়। - মিথেন গ্যাসকে অক্সিজেনে পোড়ানো হলে কী কী হবে রাসায়নিক সমীকরন সহ লেখো।
উঃ- মিথেন গ্যাসকে অক্সিজেনে পোড়ানো হলে অল্প ফীটকে নীলাভ শিখায় জ্বলে এবং CO₂ নির্গত হয় ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়।
CH₄ +2O₂→CO₂ + 2H₂O - অ্যাসিটিলিনের সঙ্গে হাইড্রোজেনের যুক্ত বিক্রিয়ার শর্ত সহ শমিত রাসায়নিক সমীকরণ লেখো। LPG এর একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ইথিলিনের হাইড্রোজেন সংযোজন বিক্রিয়া শর্ত – সাধারণ চাপ ও উচ্চকায় প্লাটিনাম, প্যালাডিয়াম বা র্যানি নিকেল অনুঘটকের উপস্থিতিতে বা 200 -300 °C উষ্ণতায় নিকেল অনুঘটকের উপস্থিতিতে হাইড্রোজেন সংযোজন বিক্রিয়ায় ইথিলিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন ইথেন উৎপন্ন হয়।
CH = CH + Ni/160⁰C H₂ → CH₃ – CH₃ - A, B, C যৌগ তিনটি শনাক্ত করো।
a) HC ≡ CH Pd+BaSO₄ A H₂
b) H₂C = CH₂ Ni/160⁰C H₂ → B
c) 2CH₄ 1500⁰C → C + 3H₂
উঃ- A) CH₂ = CH₂ ; ইথিলিন।
B) CH3-CH3
c) CH ≡ CH - A কে শনাক্ত করো। এবং B যৌগ দুটির পঠন সংকেত লেখো। A এর সঙ্গে ধাতব সোডিয়ামের বিক্রিয়ার সমিত সমীকরণ দাও।
CH₂ = CH₂ Br₂ / CCl₄ A
উঃ- A হল ইথানল (CH₃ – CH₂OH) এবং B হল মিথোক্রিমথেন (CH₃ – O – CH₃)
2CH₃CH₂OH + 2Na → 2CH₃CH₂O Na + H₂ - থার্মোপ্লাস্টিক পলিমার ও থার্মোসেটিং পলিমার কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উঃ- যেসব পলিমার তাপ প্রয়োগে নমনীয় হয়। কিন্তু তাপ অপসারণ করলে পুনরায় শক্ত অবস্থায় ফিরে আসে। এবং এই প্রক্রিয়া বারবার সম্পন্ন করলেও এর নমনীয় করা যায় না, তাদের থার্মোসেটিং পলিমার বলে। উদাহরণ : ইপক্সি রেজিন, ফেনল- ফরম্যালডিহাইড রেজিনা। পলিথিন, পলিভিনাইল ক্লোরাইড। - C₃H₈O আণবিক সংকেত বিশিষ্ট পরস্পর সমাবয়ব দুটি জৈব যৌগের নাম ও গঠন সংকেত লেখো।
উঃ- জৈব যৌগের অণুতে উপস্থিত যে সব সক্রিয় পরমাণু বা পরমাণুপুঞ্জ জৈব যৌগের প্রকৃতি ও রাসায়নিক ধর্ম নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের কার্যকরী গ্রুপ বলা হয়। যেমন অ্যালকোহলের কার্যকরী মূলক -OH । - C₄H₈O আণবিক সংকেত বিশিষ্ট দুটি মুক্ত জৈব যৌগের নাম ও গঠন সংকেত লেখো।
উঃ- ইথানল (CH₃ -CH₂OH)
মিথোক্রিমথেন (CH₃ – O – CH₃) - দুটি প্রতিস্থাপিত অ্যালকোহলের আণবিক সংকেত C₄H₈O। কিন্তু এদের কার্যকরী মূলক আলাদা।
উঃ- প্রোপানল (CH₃ – CH₂CHO)
প্রোপানোন (CH₃ – CO – CH₃) - দুটি ভিন্ন জৈব A এবং B একই আণবিক সংকেত C₄H₁₀O, A ধাতব সোডিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে কিন্তু B ধাতব সোডিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না।
উঃ- ইথাইল অ্যালকোহল (CH₃CH₂OH)
মিথোক্রিমথেন (CH₃ – O – CH₃) - A, B, C যৌগ তিনটি শনাক্ত করো।
CH₃CH₂OH CONC.H₂SO₄ 170~180°C A
Br₂, / CCl₄ B
H₂/N₁ 200⁰C C
উঃ- A) CH = CH - কার্যকরী মূলক কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উঃ- জৈব যৌগের অণুতে উপস্থিত যে সব সক্রিয় পরমাণু বা পরমাণুপুঞ্জ জৈব যৌগের প্রকৃতি ও রাসায়নিক ধর্ম নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের কার্যকরী মূলক বলা হয়। যেমন অ্যালকোহলের কার্যকরী মূলক -OH । - পলিমারাইজেশন কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উঃ- যে পদ্ধতিতে নিম্ন আণবিক ভরবিশিষ্ট সরল জৈব যৌগকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় উচ্চ আণবিক ভরবিশিষ্ট বৃদ্দাকার জৈব যৌগে পরিণত হয়, তাকে পলিমারাইজেশন বলে।
যেমন : ইথিলিনের পলিমারাইজেশন ঘটিয়ে পলিথিন তৈরি করা হয়। - মিথাইল ও মিথোক্রিমথেন এর আণবিক সংকেত C₂H₄O। কিন্তু এদের কার্যকরী মূলক আলাদা।
উঃ- ইথানল (CH₂ – CH₂OH)
মিথোক্রিমথেন (CH₃ – O – CH₃) - ইথাইল অ্যালকোহলকে অতিরিক্ত গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড সহ উত্তপ্ত করলে কী ঘটবে?
উঃ- ইথাইল অ্যালকোহলকে অতিরিক্ত গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড সহ উত্তপ্ত করলে ইথিলিন উৎপন্ন হয়।
CH₃CH₂OH Conc.H₂SO₄ 170⁰C → CH₂ = CH₂ - অবস্থানগত সমাবয়বতা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ- এই পঠন ক্যাটামোয়িটে কার্বন শৃঙ্খলমুক্ত যৌগসমূহে একই কার্যকরী মূলকের অবস্থানের বিভিন্নতার জন্য যে ধরনের সমাবয়বতার সৃষ্টি হয়, তাকে অবস্থানগত সমাবয়বতা বলে। যেমন – প্রোপান-1- অল এবং প্রোপান-2- অল - জৈব ভঙ্গুর ও জৈব অভঙ্গুর এমন একটি করে পলিমারের উদাহরণ দাও।
উঃ- জৈব ভঙ্গুর :– যেসব পলিমার মৃত্তিকার পরিবেশে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি অণুজীবের দ্বারা হয়ে CO2, H2O প্রভৃতি সরল অজৈব অণুতে পরিণত হয়, তাদের জৈব ভঙ্গুর বা বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার বলে। যেমন- পলিল্যাকটিক অ্যাসিড পলিল্যাকটিক অ্যাসিড। - সমগণীয় শ্রেণী কী? উদাহরণ দাও।
উঃ- একই উপাদান মৌলের সূত্রের দ্বারা গঠিত এবং সাধারণ সংকেত দ্বারা প্রকাশযোগ্য, একই কার্যকরী মূলক যুক্ত যৌগ সমূহকে আণবিক ভর বৃদ্ধির ক্রম অনুযায়ী সাজালে পর পর দুটি সদস্যর মধ্যে CH2 ব্যবধান বিশিষ্ট জৈব যৌগের যে শ্রেণী পাওয়া যায়, তাকে সমগণীয় শ্রেণী বলে। - ক্যাটিশন ধর্ম কাকে বলে ?
উঃ- একটি কার্বন পরমাণু অপর এক বা একাধিক কার্বন পরমাণুর সঙ্গে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুস্থিত যৌগ তৈরি করতে সক্ষম। জৈব যৌগের অণুতে বহু সংখ্যক কার্বন পরমাণুর সঙ্গে সমযোজী এক-বন্ধন, দ্বি-বন্ধন বা ত্রি-বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয়ে কার্বন শৃঙ্খল গঠন করে। কার্বন পরমাণুর এই বিশেষ ধর্মকে ক্যাটিশন ধর্ম বলে। - রুপান্তর করো:- অ্যাসিটিলিন থেকে ইথিলিন।
উঃ- অ্যাসিটিলিনের সঙ্গে। - অ্যাসিটিক অ্যাসিডের সঙ্গে সোডিয়াম হাইড্রোইড এর বিক্রিয়ার সমিত রাসায়নিক সমীকরণ লেখো।
উঃ- অ্যাসিটিক অ্যাসিডের সঙ্গে সোডিয়াম হাইড্রোইড এর বিক্রিয়ায়, সোডিয়াম অ্যাসিডেট লবণ এবং জল উৎপন্ন হয়।
CH₃COOH + NaOH → CH₃COONa + H₂O - NaCl এর জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করলেও চিনির জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করে না কেন?
উঃ: চিনির সমযোজী পদার্থ, গলিত অবস্থায় বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় আয়নে বিয়োজিত হয় না, তাই তড়িৎ পরিবহন করে না। কিন্তু NaCl তড়িৎযোজী পদার্থ, ওই আয়নে বিয়োজিত হয়, এই আয়নেগুলি তড়িৎ পরিবহন করে, তাই NaCl তড়িৎ পরিবহন করে। - সমাবয়বতা কী?
উঃ: একই আণবিক সংকেত বিশিষ্ট কিন্তু পৃথক পৃথক ধর্মবিশিষ্ট একাধিক যৌগ গঠনের ঘটনাকে বলায় তাকে সমাবয়বতা বলে। C₂H₆OI - টেফলনের মনোমার কী? একটি ব্যবহার লেখো।
ব্যবহারঃ ননস্টিকের বাসনপত্র, পাইপ ও টায়ারে এটি ব্যবহৃত হয়। - নীচের যৌগগুলিতে উপস্থিত কার্যকরী গ্রুপের সংকেত লেখো। (a) ইথাইল অ্যালকোহল (b) অ্যাসিটালডিহাইড (c) মিথানল (d) ইথানয়িক অ্যাসিড (e) অ্যাসিটোন >=< = 0 উঃ: মিথেন (CH₄) কে মার্স গ্যাস বলে। উত্তরঃ (a) ইথাইল অ্যালকোহল — OH (b) অ্যাসিটালডিহাইড — CHO (c) মিথানল – OH (d) ইথানয়িক অ্যাসিড (-COOH) (e) অ্যাসিটোন – >=< = 0
- IUPAC নাম লেখো-
(a) CH₃COOH
(b) CH₃CH₂COOH
(c) CH₃CH(OH)CH₃
(d) CH₂ – CH₂ – CH₃
উঃ: (a) CH₃COOH = ইথানয়িক অ্যাসিড
(b) CH₃CH₂COOH = প্রোপানোয়নিক অ্যাসিড
(c) CH₃CH(OH)CH₃ = 2-হাইড্রক্সিপ্রোপেন - মার্স গ্যাস কী?
উঃ: জলাভূমিতে বিভিন্ন গাছপালা পচে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। মিথেন সাধারণত জলাভূমি বা Marshy Land থেকে উৎপন্ন হওয়ায় মিথেনকে মার্শ গ্যাস (Marsh Gas) বলা হয়। - কর্মাক্ত জলাভূমিতে যে আলেয়া দেখা যায় সেটি কোনো ভৌতকি ব্যাপার – ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কর্মাক্ত জলাভূমিতে যে আলেয়া দেখা যায় সেটি কোনো ভৌতকি ব্যাপার নয়। কারণ কর্মাক্ত পচা জলাভূমিতে জীবনের পচনের ফলে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই মিথেনের সঙ্গে ফাসফিন (PH₃), গ্যাস হাইড্রোফসফাই-ডাই-হাইড্রাইড রায়ুর সংস্পর্শে জ্বলে ওঠা সেই সঙ্গে দাহ্য গ্যাস ফাসফিন এরূপে জ্বলে থাকে। বায়ুদ্রবানের জন্য জ্বলন্ত অবস্হায় ধীরে ধীরে চলতে থাকে। একেই আলোয়ালো বলে। - প্রোপানোন এর গঠন সংকেত লেখো।
উঃ- CH3C°CH3 - ভোলার সর্বপ্রথম অজৈব যৌগ থেকে একটি জৈব যৌগ পরীক্ষাগারে প্রস্তুত করেন। জৈব যৌগটি কী?
উঃ: ইউরিয়া।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র উত্তরসহ
Madhyamik 2017
‘ক’-বিভাগ
1.বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের নীচে চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখ।
1.1 নীচের কোনটি গ্রিনহাউস গ্যাস নয়? (a) মিথেন (b) জলীয় বাষ্প (c) কার্বন ডাই অক্সাইড (d) অক্সিজেন
উত্তরঃ (d) 64
1.2 নীচের কোনটি চাপের SI একক? (a) Nm² (b) N.m⁻² (c) N.m (d) N
উত্তরঃ (b) Nm²
1.3 একটি গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 32; নীচের কোনটি গ্যাসটির আণব ওজন ? (a) 8 (b) 16 (c) 32 (d) 64
উত্তরঃ (d) 64
1.4 নীচের কোনটির ওপর ধাতুর পরিবাহিতাতঙ্ক নির্ভর করে ? (a) উষ্ণতা (b) দৈর্ঘ্য (c) উপাদানের প্রকৃতি (d) প্রস্থচ্ছেদ
উত্তরঃ (c) উপাদানের প্রকৃতি
1.5 দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ এবং ফোকাস দৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্পর্কটি কী? (a) f=2r (b) r=2f (c) f=r/2 (d) f=3/2r
উত্তরঃ (b) f=r/2
1.6 প্রিজমের মধ্যে দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে যে বর্ণের বিচ্যুতি সর্বাধিক সেটি কোনটি? (a) লাল (b) হলুদ (c) বেগুনি (d) সবুজ
উত্তরঃ (c) বেগুনি
1.7 নিম্নলিখিত ভৌতরাশিগুলির মধ্যে অ্যাম্পিয়ার কোনটি? (a) কুলম্ব ভোল্ট (b) ভোল্ট ওহম -1 (c) ভোল্ট ওহম (d) ভোল্ট¹ ওহম
উত্তরঃ (b) ভোল্ট ওহম -1
1.8 নীচের কোনটি রোধাঙ্ক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে হ্রাস পায়? (a) পরিবাহী (b) অর্ধপরিবাহী (c) অতিপরিবাহী (d) অন্তরক
উত্তরঃ (b) অর্ধপরিবাহী
1.9 তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে নির্গত b – রশ্মি হল (a) ইলেকট্রনের স্রোত (b) প্রোটনের স্রোত (c) নিউট্রনের স্রোত (d) তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ
উত্তরঃ (a) ইলেকট্রনের স্রোত
1.10 দীর্ঘ পর্যায় সারণিতে শ্রেণির সংখ্যা কত? (a) 7 (b) 8 (c) 9 (d) 18
উত্তরঃ (d) 18
1.11 নীচের কোন্ যৌগটি গঠনের ক্ষেত্রে অষ্টক নীতি মান্য হয় না ? (a) NaCl (b) LiH (c) KCl (d) CaO
উত্তরঃ (b) LiH
1.12 নীচের কোনটি তড়িৎ পরিবহন করতে পারে? (a) গলিত NaCl (b) তরল HCl (c) কঠিন NaCl (d) গ্লকোজের জলীয় দ্রবণ
উত্তরঃ (a) গলিত NaCl
1.13 কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণে অতিরিক্ত পরিমাণ জলীয় অ্যামোনিয়া যোগ করলে উৎপন্ন দ্রবণের রং কি হবে? (a) হলুদ (b) সবুজ (c) গাঢ় নীল (d) বাদামি
উত্তরঃ (c) গাঢ় নীল
1.14 নীচের কোনটি জিঙ্কের আকরিক জিংক ব্লেডের সংকেত ? (a) ZnO (b) ZnS (c) ZnSO₄ (d) ZnCO₃
উত্তরঃ (b) ZnS
1.15 নীচের কোনটি একটি অ্যালকোহল? (a) -OH (b) -CHO (c) >C=O (d) –COOH
উত্তরঃ (a) -OH
খ – বিভাগ
- নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) :
2.1 জ্বালানির তাপনমূল্যের একক লেখো।
উত্তরঃ জ্বালানির তাপনমূল্যের একক হল কিলোজুল / গ্রাম (kJ/g) অথবা , স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতা বাড়ে না কমে? উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতা বাড়ে।
2.2 ওজোন স্তর সূর্য থেকে আগত কোন্ রশ্মির ভূপৃষ্ঠে আপতনকে প্রতিহত করে?
উত্তরঃ ওজোন স্তর সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মির ভূপৃষ্ঠে আপতনকে প্রতিহত করে।
2.3 নীচের বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো : অ্যাভোগাড্রো সূত্রে গ্যাসের অণুগুলির আয়তন গণ্য করা হয়।
উত্তরঃ মিথ্যা।
2.4 বয়ালের সূত্র অনুসারে অপরিবর্তিত উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের চাপ ও আয়তনের মধ্যে সম্পর্কটি লেখ।
উত্তরঃ বয়ালের সূত্র অনুসারে অপরিবর্তিত উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের চাপ ও আয়তনের মধ্যে সম্পর্কটি হল ব্যস্তানুপাতিক।
2.5 তরলের আপাত ও প্রকৃত প্রসারণ গুণাঙ্কের মধ্যে কোনটি তরলের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য?
উত্তরঃ তরলের আপাত ও প্রকৃত প্রসারণ গুণাঙ্কের মধ্যে কোনটি তরলের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।
অথবা, তাপ পরিবাহিতাঙ্কের SI একক কী?
উত্তরঃ তাপ পরিবাহিতাঙ্কের SI একক W.m⁻¹.K⁻¹
2.6 আলোকর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ হল – রামধনু।
উত্তরঃ আলোকর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ হল – রামধনু।
2.7 কোন ধরনের লেন্সের দ্বারা হ্রস্বদৃষ্টির প্রতিকার করা যায়?
উত্তরঃ অবতল লেন্সের দ্বারা হ্রস্বদৃষ্টির প্রতিকার করা যায়।
2.8 যদি তড়িদবিশ্লেষণের বিপরীত হয় তা হলে বালেটি চক্ক্রের গতিতে কী পরিবর্তন ঘটবে?
উত্তরঃ বালটি চক্ক্রের গতিতে বিপরীত দিকে ঘুরবে।
2.9 1 কুলম্ব তড়িৎ আধানকে 1 ভোল্ট বিভব প্রভেদের বিরুদ্ধে নিয়ে যেতে কত কার্য করতে হবে?
উত্তরঃ 1 জুল।
2.10 উষ্ণতার বৃদ্ধিতে অর্ধপরিবাহীর রোধ বাড়ে না কমে ?
উত্তরঃ উষ্ণতার বৃদ্ধিতে অর্ধপরিবাহীর রোধ বাড়ে।
2.11 বামস্তম্ভের সঙ্গে ডানস্তম্ভের সামঞ্জস্য বিধান করো :
বামস্তম্ভ ডানস্তম্ভ
(১) নোবল গ্যাস (a) Cs
(২) ইনভার (b) Rn
(৩) সর্বনিম্ন তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল (c) কার্বন দ্বারা বিজারণ
(৪) ZnO+CO → Zn+CO (d) একটি সঙ্কর ধাতু
উত্তরঃ (১) → (b), (২) → (d), (৩) → (a), (৪) → c
2.12 N₂ অণুর লুইস ডট চিত্র অঙ্কন কর। ( N এর পারমাণবিক সংখ্যা 7)
উঃ- [Image of Lewis structure of N₂]
2.13 তড়িৎ বিশ্লেষণে DC তড়িৎ প্রবাহ ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ তড়িৎ বিশ্লেষণে DC তড়িৎ প্রবাহ ব্যবহার করা হয়। অথবা, প্লাটিনাম ইলেকট্রোড ব্যবহার করে অ্যাসিডিত জলের তড়িৎ বিশ্লেষণে ক্যাথোডে বিক্রিয়া লেখো। উঃ- 2H⁺ + 2e → H₂
2.14 তরল অ্যামোনিয়ার একটি ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তরঃ রেফ্রিজারেটর, কোল্ড স্টোরেজ – এ হিমায়ক রূপে তরল অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়।
2.15 নাইট্রোজেনের পরীক্ষাগার প্রস্তুতিতে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের সঙ্গে সোডিয়াম নাইট্রাইট যৌগের জলীয় দ্রবণ মিশ্রিত করে উত্তপ্ত করা হয়।
2.16 মিথেন অণুতে H-C-H বন্ধন কোণের মান কত?
উত্তরঃ মিথেন অণুতে H-C-H বন্ধন কোণের মান হল – 109°28′
অথবা, CH₃COOH এর IUPAC নাম লেখো।
উঃ- CH₃COOH এর IUPAC নাম হল – প্রোপানোয়িক অ্যাসিড।
Madhyamik 2018
ক – বিভাগ
- সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করোঃ
1.1 গ্রিনহাউস গ্যাস হিসাবে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য নীচের কোন্ গ্যাসটির অবদান সবচেয়ে বেশি ? (a) NO₂ (b) CH₄ (c) CO₂ (d) H₂O বাষ্প
উত্তরঃ (c) CO₂
1.2 বয়েল সূত্র অনুযায়ী PV – P লেখচিত্র কোনটি ?
(a) [Image of a straight line with a positive slope]
(b) [Image of a straight line with a negative slope]
(c) [Image of a straight horizontal line]
(d) [Image of a straight vertical line]
উত্তরঃ (b) [Image of a straight horizontal line]
1.3 কোনো গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 32; নীচের কোনটি গ্যাসটির আণব ওজন ? (a) 2M = D (b) M = D2 (c) M = 2.8 D (d) M = 2 D
উত্তরঃ (d) M = 2 D
1.4 কঠিনের কত প্রকার তাপীয় প্রসারণ গুণাঙ্ক আছে? (a) এক (b) দুই (c) তিন (d) চার
উত্তরঃ (c) তিন
1.5 দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য থেকে নীচের কোনটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য বড়? (a) x-রশ্মি (b) অবলোহিত রশ্মি (c) γ-রশ্মি (d) অতিবেগুনি রশ্মি
উত্তরঃ (b) অবলোহিত রশ্মি
1.6 দন্তচিকিৎসকগণ ব্যবহার করেন (a) উত্তল দর্পণ (b) উত্তল লেন্স (c) অবতল দর্পণ (d) অবতল লেন্স
উত্তরঃ (c) অবতল দর্পণ
1.7 একটি ইলেকট্রনের আধান হল (a) -3.2×10⁻¹⁹ C (b) -1.6×10⁻¹⁹ C (c) 1.6×10⁻¹⁹ C (d) 3.2×10⁻¹⁹C
উত্তরঃ (b) -1.6×10⁻¹⁹ C
1.8 পরিবাহীর রোধ (R) ও পরিবাহীতে তড়িৎ প্রবাহের সময় (t) অপরিবর্তিত থাকলে পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ (H) ও প্রবাহমাত্রা (I) সম্পর্ক হল (a) H ∝ I (b) H ∝ 1/I2 (c) H ∝ I2 (d) H ∝ 1/I
উত্তরঃ (c) H ∝ I²
1.9 কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে 2 মিনিটে 12 C আধান প্রবাহিত হলে, তড়িৎ প্রবাহমাত্রা হল (a) 6 অ্যাম্পিয়ার (b) 0.1 অ্যাম্পিয়ার (c) 24 অ্যাম্পিয়ার (d) 10 অ্যাম্পিয়ার
উত্তরঃ (b) 0.1 অ্যাম্পিয়ার
1.10 দীর্ঘ পর্যায় সারণির শ্রেণি সংখ্যা হল (a) 9 (b) 13 (c) 18 (d) 19
উত্তরঃ (c) 18
1.11 দীর্ঘ পর্যায় সারণির শ্রেণি 17-এর অন্তর্গত Cl(17), F(9), Br(35)-এর জারণ ধর্মের ক্রম হল F>ClCl>Br>I / Cl>F>Br>I / F>I>Br>Cl
উত্তরঃ (d) F>Cl
I
1.12 নীচের কোন্ যৌগটির ক্ষেত্রে কোন আয়নীয় নেই? (a) LiH (b) CaO (c) NaCl (d) MgCl2
উত্তরঃ (a) LiH
1.13 নীচের কোন যৌগটির কঠিন অবস্থা আয়ন দ্বারা গঠিত নয়? (a) চিনি (b) সোডিয়াম ক্লোরাইড (c) হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (d) ক্যালশিয়াম ক্লোরাইড
উত্তরঃ (d) LiH
1.14 অয়েসলার বিকারক ব্যবহার করা হয়- (a) আর্থ লাইন (b) লাইভ লাইন (c) নিউট্রাল লাইন (d) লাইভ ও নিউট্রাল উভয় লাইন
উত্তরঃ(b) লাইভ লাইন
1.15 নীচের কোনটি একটি সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন? (a) C₃H₆ (b) C₂H₄ (c) C₂H₂ (d) C₂H₆
উত্তরঃ (d) C₂H₆
‘খ’ বিভাগ
- নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) :
2.1 বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায় ?
উত্তরঃ মেসোস্ফিয়ারে।
2.2 বায়োগ্যাসের একটি ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তরঃ সৌরশক্তি
2.3 নীচের বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো: নির্দিষ্ট উষ্ণতা ও চাপে কোনো আবদ্ধ পাত্রে রক্ষিত গ্যাসের মধ্যে অণুগুলির বেগ সমান।
উত্তরঃ সত্য।
2.4 চালর্সের সূত্র অনুসারে V বনাম T লেখচিত্রের প্রকৃতি কী?
উত্তরঃ মূলবিন্দু গামী সরল রৈখিক।
2.5 নীচের বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো: কঠিনের দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্কের মান সেলসিয়াস স্কেল ও কেলভিন স্কেলে একই হয়।
উত্তরঃ সত্য।
অথবা, হিরে, লোহা ও রুপোকে তাপ পরিবাহিতাদের নিম্নক্রমে সাজাও।
উত্তরঃ হিরে > রুপো > লোহা
2.6 উত্তল দর্পণে একটি ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহনে ভিউ ফাইন্ডার হিসেবে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
2.7 অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল কোনো রশ্মি অবতল দর্পণের দ্বারা প্রতিফলনের পর কোন পথে যায়?
উত্তরঃ অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল কোনো রশ্মি অবতল দর্পণের দ্বারা প্রতিফলনের পর মুখ্য ফোকাস দিয়ে যায়।
2.8 একটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের বিশিষ্ট লোহা ও তামার তারের দুইপ্রান্তে একই বিভব প্রভেদ প্রয়োগ করলে তার দুটির মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ কি না কারণ তাদের উপাদান আলাদা।
উত্তরঃ একই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের বিশিষ্ট লোহা ও তামার তারের দুইপ্রান্তে একই বিভব প্রভেদ প্রয়োগ করলে তার দুটির মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ হবে না কারণ তাদের উপাদান আলাদা।
2.9 একটি পরিবাহীর ক্ষেত্রে ওহম সূত্র অনুযায়ী I-V লেখচিত্র অঙ্কন করো।
উত্তরঃ [Image of the graph of I vs V for a conductor]
2.10 পারমাণবিক শক্তি একটি শান্তিপূর্ণ ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ পারমাণবিক শক্তি একটি শান্তিপূর্ণ ব্যবহার হল বিদ্যুৎ উৎপাদন।
2.11 বামস্তম্ভের সঙ্গে ডানস্তম্ভের সামঞ্জস্য বিধান করো :
বামস্তম্ভ ডানস্তম্ভ
(১) হ্যালোজেন মৌল (a) নোবল গ্যাস
(২) ইনভার (b) Rn
(৩) সর্বনিন তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল (c) কার্বন দ্বারা বিজারণ
(৪) ZnO+C → Zn+CO (d) একটি সঙ্কর ধাতু
(১) → (b), (২) → (d), (৩) → (a), (৪) → c
উত্তরঃ (১) → (c), (২) → (d), (৩) → (a), (৪) → c
2.12 N₂ অণুর লুইস ডট চিত্র অঙ্কন কর। ( N এর পারমাণবিক সংখ্যা 7)
উঃ- [Image of Lewis structure of N₂]
2.13 γ-রশ্মি হল ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের_তরঙ্গ।
উত্তরঃ তড়িৎ চুম্বকীয়
2.14 তড়িৎ বিশ্লেষণে সময় কোন ইলেকট্রোডকে ক্যাথোড বলা হয়?
উত্তরঃ তড়িৎ বিশ্লেষণে সময় কোশের ধনাত্মক মেরুতে যুক্ত ইলেকট্রোডকে ক্যাথোড বলা হয়।
অথবা, সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণ তড়িৎ বিশ্লেষণে ক্যাথোড বিক্রিয়াটি লেখ।
উত্তরঃ 2H⁺ + 2e → H₂
2.15 অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণ মৃদু ক্ষারীয় প্রকৃতির।
উত্তরঃ অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণ মৃদু ক্ষারীয় প্রকৃতির।
2.16 ইউরিয়ার একটি ব্যবহার লেখ।
উত্তরঃ ইউরিয়ার উৎপাদনে ব্যবহৃত দুটি পদার্থের মধ্যে একটি কার্বন ডাইঅক্সাইড, অপরটি কী? অ্যামোনিয়া (NH₃)।
2.17 CH₃CH₂CHO-এর IUPAC নাম লেখো।
উত্তরঃ CH₃CH₂CHO এর IUPAC নাম হল – প্রোপানাল।
অথবা, মিথেনের কার্বনের চারটি যোজ্যতা কীভাবে বিন্যস্ত থাকে ?
উঃ: [Image of the structure of methane]
‘গ’ বিভাগ
- নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয় ):
3.1 ভবিষ্যতে পরিবেশের ওপর বিশ্ব উষ্ণায়নের দুটি সম্ভাব্য প্রভাবের উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (i) গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ুর পরিবর্তন- শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বায়ুমণ্ডলের গড় উষ্ণতা ব্যাপক হারে শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ুর পরিবর্তন- শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বায়ুমণ্ডলের গড় উষ্ণতা ব্যাপক হারে শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে জীব বৈচিত্র বিপন্ন হয়ে জনসংখ্যার প্রাণী উদ্ভিদ চিরতরে হারিয়ে যাবে।
3.2 17°C উষ্ণতায় ও 750 mmHg চাপে নির্দিষ্ট ভরের একটি গ্যাস 580 cm³ আয়তন অধিকার করে। ওই চাপে 47°C উষ্ণতায় গ্যাসটি কত আয়তন অধিকার করবে ?
উঃ: এক্ষেত্রে, প্রাথমিক উষ্ণতা (T₁)=(273+17)K= 290K
প্রাথমিক আয়তন (V₁)=580 cm³
অন্তিম উষ্ণতা (T₂)=(273+47)K= 320K
অন্তিম আয়তন (V₂)=?
এখন, চার্লসের সূত্র থেকে পাই,
V₁/T₁ = V₂/T₂
V₁/V₂ = 290/T₂
∴ ওই চাপে 47°C উষ্ণতায় গ্যাসটি 640cm³ আয়তন অধিকার করবে।
3.3 আলোর প্রতিসরণের ফেল এর সূত্রটি লেখো।
উঃ: আলোর প্রতিসরণের ফেল এর সূত্রটি লেখো।
3.4 মুক্ত বর্তনীতে তড়িৎ-কোশের তড়িৎচালক বলের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ মুক্ত বর্তনীতে কোনো তড়িৎ কোশের দুটি মেরুর মধ্যে যে বিভব পার্থক্য থাকে, তাকে ওই কোশের তড়িৎচালক বল বলে।
3.5 CH₄ এর লুইস ডট ডায়াগ্রাম এঁকে দেখাও যে CH₄ সমযোজী বন্ধন দ্বারা গঠিত।(H ও C এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 1 ও 6)
উঃ: [Image of Lewis structure of CH₄]
3.6 সোডিয়াম ক্লোরাইডের ধর্মের সাহায্যে দেখাও যে সোডিয়াম ক্লোরাইড আয়ন দিয়ে গঠিত।
উঃ: সোডিয়াম ক্লোরাইডের আয়নে দিয়ে গঠিত হওয়ায় এটি জলীয় দ্রাবক যেমন জলে দ্রবীভূত হয় কিন্তু অজৈব দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়। আবার, কীভাবে সোডিয়াম ক্লোরাইডে আয়নীয় বন্ধন গঠিত হয় দেখাও। (Na ও Cl এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 11 ও 17)
উঃ: [Image of Lewis structure of NaCl]
3.7 Pb (NO₃)₂ এর জলীয় দ্রবণে H₂S গ্যাস চালনা করলে কী ঘটে তা রাসায়নিক সমীকরণ সহ লেখো।
উঃ: লেড নাইট্রেটের জলীয় দ্রবণে H₂S গ্যাস চালনা করলে কালো বর্নের লেড সালফাইডের (PbS) অধঃক্ষিপ্ত হয় এবং HNO₃ উৎপন্ন হয়।
3.8 তড়িৎবিশ্লেষণ পদ্ধতিতে নিষ্কাশনে নীচের বিক্রিয়াটি কোন তড়িদ্বারে ঘটে?
Mⁿ⁺ + ne = M (ধাতু)
উঃ: এটি একটি বিজারণ প্রক্রিয়া কারণ – গলিতে অবস্থায় কোন ধাতুর বিগলিত লবণের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে
3.9 ইথিলিন এর পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া দ্বারা কীভাবে পলিইথিলিন উৎপাদন করা হয় ?
উঃ: উদাহরণ ইথিলিনকে উচ্চচাপে ( 1500- 2000 বায়ুমণ্ডলীয় চাপে) পারঅক্সাইড, অক্সিজেন বা ক্রোমিয়াম অক্সাইড অনুঘটকের উপস্থিতিতে 150- 200 °C উষ্ণতায় উত্তপ্ত করলে অসংখ্য ইথিলিন অণু পরস্পর সঙ্গে যুক্ত বা সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আণবিক বিশিষ্ট ইথিলিনের পলিমার হল পলিথিন বা পলিথিন উৎপন্ন করে।
n(CH₂=CH₂) 1500°C-200°C, Ni / H₂ → [—CH₂—CH₂—]n Cr₂O₃ পলিইথিলিন
3.10 নীচের কীভাবে নীচের পরিবর্তনটি করা যায়? HC≡CH → CH₃CH₃
উঃ: HC-CH Ni / H₂ 300°C → H₃C-C-H
‘ঘ’ বিভাগ
- নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয় ):
4.1 আদর্শ গ্যাস কী ? একটি আবদ্ধ পাত্রে রক্ষিত কোনো গ্যাসের উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে গ্যাসটির চাপের ওপর তার প্রভাব কী ? যুক্তিসহ উত্তর দাও।
উঃ: যেসব গ্যাস যেকোনো চাপ ও উষ্ণতায় বয়েলে ও চার্লস উভয়ের সূত্র মেনে চলে তাকে আদর্শ গ্যাস বলে। আদর্শ গ্যাসের ধারণা নিছক কল্পনা মাত্র। বাস্তব এমন কোনো গ্যাসের অস্তিত্ব নেই। আবদ্ধ পাত্রে রাখা কোন গ্যাসের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে গ্যাস অনুগুলির গতিশক্তি তথা গতিবেগ বৃদ্ধি পায়। এখন গ্যাসের চাপ অনুগুলির গতির ওপর নির্ভর করে, গতি বাড়লে পাত্রে দেওয়ালের সঙ্গে অণুগুলির ধাক্কা খাওয়ার হার বেড়ে যায়, আবার গ্যাস অনুগুলির গতিবেগ বৃদ্ধি পেলে তাদের ভরবেগও বৃদ্ধি পায় তাই বলা যায় যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে আবদ্ধ পাত্রে রাখা গ্যাসের চাপ ও বৃদ্ধি পারে।
4.2 সালফারকে অক্সিজেনে পোড়ালে সালফার ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। 480 g একটি কঠিন যৌগিক পদার্থের নমুনাতে 352g অক্সিজেন আছে। 2240 লিটার SO₂ উৎপন্ন করতে S লাগে। 32 / 22.4 / 22400 / 224 = 100 মোল
(i) কত গ্রাম সালফার? এবং (ii) কত মোল O₂ প্রয়োজন হবে? (O = 16, S = 32 )
উঃ: (i) 22.4 লিটার SO₂ উৎপন্ন করতে S লাগে 32 গ্রাম 1 লিটার SO₂ উৎপন্ন করতে S লাগে 32 / 22.4 গ্রাম 2240 লিটার SO₂ উৎপন্ন করতে S লাগে 32 ×2240 / 22.4 = 3200 গ্রাম
S + O₂→SO₂
বা, 832g = 320g + গ্যাসীয় যৌগের ভর
বা, গ্যাসীয় যৌগের ভর = 832g -320g = 512g
আবার, গ্যাসীয় যৌগের বাষ্প ঘনত্ব = 32
∴ গ্যাসীয় যৌগের আণবিক গুরুত্ব = 2×32 = 64
∴ গ্যাসীয় যৌগের মোল সংখ্যা = 512 / 64 = 8
4.3 কঠিনের আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্কের সংজ্ঞা দাও এবং এর গাণিতিক রূপটি লেখো।
উঃ: একক এবং আয়তন বিশিষ্ট কোনো পদার্থের উষ্ণতা 1°C বৃদ্ধি করলে পদার্থটির যে পরিমাণ আয়তন প্রসারণ হয়, তাকে ঐ পদার্থের আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক বলে। একে গামা ( γ ) দ্বারা মনে করি, t₁°C উষ্ণতায় কোনো কঠিন পদার্থের আয়তন V₁, 2, = h₂/6 ∴ প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য 12 সেমি.।
γ = (V₂-V₁)/V₁(t₂-t₁)
∴ আয়তন প্রসারণ = (V₂-V₁)
অথবা, দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের তাপীয় প্রসারণের একটি করে উদাহরণ দাও।
উঃ: দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের তাপীয় প্রসারণের একটি করে উদাহরণ হলো আলোচনা করা হল – পারদ বা অ্যালকোহল থার্মোমিটারে তরলের তাপীয় প্রসারণকে কাজে লাগানো। কঠিন পদার্থের তাপীয় প্রসারণকে কাজে লাগিয়ে দ্বিধাতব পাত তৈরি করা হয় যা ফায়ার অ্যালার্ম -এ, ধাতুর প্রতিবিম্বিত ফুলসট্রাক, বৈদ্যুতিক ইস্ত্রির স্বয়ংক্রিয় সুইচে, রেফ্রিজারেটরে। এই যন্ত্রগুলো প্রত্যেকটি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয়। বাড়িতে দুধ গরম করার সময়ে দুধের পাত্রে বায়ু উত্তপ্ত হয় ও আয়তনে প্রসারিত হয়ে বাইরে বেরোতে চায়। ফলে দুধ উতলে ওঠে। অর্থাৎ দুধ উতলে ওঠা গ্যাসের তাপীয় প্রসারণের একটি উদাহরণ।
4.4 প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতন কোণ 45° হলে এবং প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্বের সঙ্গে 60° কোণ উৎপন্ন করলে কৌণিক চ্যুতির মান কত হবে ? 6 cm দৈর্ঘ্যের একটি বস্তুকে একটি উত্তল লেন্সের সামনে 2.4 cm দূরত্বে রাখলে লেন্সের থেকে 4.8 cm দূরত্বে প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। রৈখিক বির্বধন ও প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য কত?
উঃ: আপাতন কোণ (i) = 45°, এবং প্রতিসরণ (r) = 60°
রৈখিক বির্বধন = 2
∴ রৈখিক বির্বধন = 2
আবার, রৈখিক বির্বধন (m) = প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য (h₂) / বস্তুর দৈর্ঘ্য (h₁)
γ-রশ্মির একটি ক্ষতিকারক প্রভাবঃ প্রকৃতিগত ভাবে তেজস্ক্রিয় হওয়ায় এই রশ্মি সরাসরি শস্য, পানীয়, বায়ুর মাধ্যমে মানবদেহের সংস্পর্শে এসে ত্বক বা অন্যান্য অঙ্গে ক্যানসার , অস্থির নেক্রোসিস, রক্তের লিউকোমিয়া, ফুসফুসের ক্যানসারোসিস জাতীয় মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।
4.5 প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য কত?
উঃ: ক্যাট ও জল মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের অনুপাত 2.25 : 2
= শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ /2.25 × 10⁵
1 / 2 × 10⁵ : 1/ 2.25 × 10⁵
2.25 : 2
= 225 : 200
= 9 : 8 (উত্তর)
4.6 γ-রশ্মির একটি ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো।
উঃ: γ-রশ্মির একটি ক্ষতিকারক প্রভাবঃ প্রকৃতিগত ভাবে তেজস্ক্রিয় হওয়ায় এই রশ্মি সরাসরি শস্য, পানীয়, বায়ুর মাধ্যমে মানবদেহের সংস্পর্শে এসে ত্বক বা অন্যান্য অঙ্গে ক্যানসার , অস্থির নেক্রোসিস, রক্তের লিউকোমিয়া, ফুসফুসের ক্যানসারোসিস জাতীয় মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।
x-রশ্মির একটি ব্যবহারঃ শিল্প ক্ষেত্রে ঢালাই বা ধাতব উৎপাদনে ফাটল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে x রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
γ-রশ্মির একটি ব্যবহারঃ রেডিওগ্রাফিতে ক্যান্সার আক্রান্ত কোশগুলি ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করা হয়। γ-রশ্মির।
4.7 বাল্বের রেটিং লেখা থাকে 220V – 100W –এর অর্থ কী ?
উঃ: তড়িৎক্ষমতা – কোন তড়িৎ যন্ত্রের সময়ের সাপেক্ষে বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যয়ের হারকে তড়িৎক্ষমতা বলে।
দ্বিতীয় অংশ : একটি বাবের রেটিং লেখা আছে 220V – 100W – এর অর্থ হল – বাতিটির দু-প্রান্তের বিভব প্রভেদ 220 ভোল্ট হলে বাতিটি সবচেয়ে উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে এবং বাতিটি প্রতি সেকেন্ডে 100 ওয়াট তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে।
4.8 একটি তেজস্ক্রিয় পরমাণুর কেন্দ্রে 92 টি প্রোটন ও 143 টি নিউট্রন আছে। এই পরমাণু থেকে একটি কণা নির্গত হলে যে নতুন পরমাণু সৃষ্টি হয় তার কেন্দ্রকে কতগুলি প্রোটন ও নিউট্রন থাকবে?
উঃ: ভরসংখ্যা = 143 + 92 = 235 টি
ওই পরমাণু থেকে একটি α-কণা নির্গত হলে নতুন পরমাণু সৃষ্টি হবে ( 235 – 4 ) = 231 টি।
∴ পরমাণুর ক্ষেত্রে প্রোটন সংখ্যা (92-2) = 90 টি এবং ভর সংখ্যা হবে = (231-90) টি = 141 টি
নক্ষত্রের শক্তির উৎস হল নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়া
4.9 পর্যায় সারণীয় রচনায় মেন্ডেলিভের অবদান লেখো।
উঃ: পর্যায় সারণির রচনায় মেন্ডেলিভের অবদান অপরিসীম। তিনি প্রথম পর্যায় সূত্র আবিষ্কার করে সেই সূত্রর মাধ্যমে পর্যাপ্ত পর্যায়সারণি রচনা করেছিলেন। পর্যায়সারণি রচনায় মেন্ডেলিফের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হল – ধর্মের ভিত্তি করে মৌলসমূহের শ্রেণীবিভাগঃ মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণিতে অনেক ত্রুটি থাকাও এই পর্যায় সারণি মৌলগুলি সুশৃঙ্খল শ্রেণীবিভাগ-এর প্রথম সার্থক প্রচেষ্টা। কোন শ্রেণীর অন্তর্গত মৌল গুলির রাসায়নিক ধর্ম প্রায় সমান এবং ভৌত ধর্মের পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ক্রম ও তাদের বিপুল সংখ্যক যৌগগুলির ধর্মাবলির চর্চায় প্রস্তুত সহায়তা করেছে। পারমাণবিক গুরুত্ব সংশোধনঃ মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণির সাহায্যে কোন মৌলের সন্দেহজনক পারমাণবিক গুরুত্ব ও সংশোধন করা সম্ভব হয়েছে।
যেমন পর্যায় সূত্রে অনুসারে বোরন ও নাইট্রোজেন এর মাঝের স্থানে বেদের স্থান তাই এর যোজ্যতা 3 এবং পারমাণবিক গুরুত্ব 9.4 হওয়া উচিত। পরবর্তীতে এটিই প্রমাণিত হয়েছে।
নতুন মৌল আবিষ্কারের সহায়কঃ মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণির কিছু কিছু স্থানে ফাঁকা রাখা হয় এবং মেন্ডেলিভ মনে করেন যে এখানে যে মৌলগুলি আবিষ্কৃত হতে পারে এবং তাদের ধর্মও তিনি ভবিষ্যৎবাণী করে। পরবর্তীতে তার ভবিষ্যৎবাণী সঠিক হয়। যেমন – ইকা অ্যালুমিনিয়াম, ইকা সিলিকন এবং ইকা বোরন।
পর্যায়বৃত্ত সূত্র অনুসরণ করে মৌল গুলিকে সাজানোর সময় শ্রেণী বৈশিষ্ট্য অব্যাহত রাখার তাগিদে মেন্ডেলিভকে মূল পর্যায় সারণিতে অনেকগুলো শূন্যস্থান আনাছিলবিত্ত মৌলগুলির নির্দিষ্ট করা হয়েছিল তখন তিনি তখন তিনি অন্য অনুস্থান করতে পেরেছিলেন যে এই স্থানে অন্য কোন মৌল স্থান পেতে পারে।
4.10 দীর্ষ পর্যায় সারণির গ্রুপ 14 এর এর প্রথম তিনটি মৌলিক পদার্থ C, Si এবং Ge কে তাদের পারমাণবিক ব্যাসার্ধের ঊর্ধ্বক্রমে সাজাও।
উঃ: পর্যায় সারণিতে গ্রুপ 14 এর এর প্রথম তিনটি মৌলিক পদার্থ C, Si এবং Ge কে পারমাণবিক ব্যাসার্ধের ঊর্ধ্বক্রমে সাজালে হয় – C < Si < Ge
4.11 হ্যালোজেন মৌলগুলিকে সক্রিয়তা হ্রাস ক্রম অনুযায়ী সাজাও: F, CI, Br, I
উত্তরঃ F > Cl > Br > I
উঃ: পর্যায় বরাবর ডান থেকে বামে গেলে অপর। তড়িদঋনাত্মকতা বাড়ে। সুতরাং B- এর অপর। তড়িদঋনাত্মকতা বেশি।
(ii) পর্যায় বরাবর বাম থেকে ডানদিকে গেলে পরমাণুর আকার কমে। ∴ B-এর পরমাণুর আকার সবচেয়ে কম।
(iii) B এর অবস্থান : পর্যায় সংখ্যা = 2; শ্রেণি সংখ্যা = 61
(iii) B এর অবস্থান : পর্যায় সংখ্যা = 2; শ্রেণি সংখ্যা = 61
4.12 দুটি ভিন্ন ভৌত যৌগ A ও B একই আণবিক সংকেত, C₂H₆O সম্পন্ন। A ধাতব সোডিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে কিন্তু B ধাতব সোডিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না। A ও B যৌগ দুটির পঠন সংকেত লেখো। A এর সঙ্গে ধাতব সোডিয়ামের বিক্রিয়ার সমিত রাসায়নিক সমীকরণ লেখো।
উঃ: A ও B উভয় যৌগের একই আণবিক সংকেত C₂H₆O। সুতরাং A যৌগটি হবে ইথাইল অ্যালকোহল (CH₃CH₂OH) ও B যৌগটি হবে ডাইমিথাইল ইথার (CH₃OCH₃)।
দ্বিতীয় অংশঃ A যৌগ অর্থাৎ ইথাইল অ্যালকোহল এর সঙ্গে ধাতব সোডিয়ামের বিক্রিয়ার সমিত রাসায়নিক সমীকরণটি হল –
2CH₃CH₂OH + 2Na → 2CH₃CH₂ONa + H₂ (g)
Madhyamik 2022
‘ক’ বিভাগ
- বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের নীচে চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো : 1×15=15
1.1 বায়ুমণ্ডলের কোন্ স্তরটির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি? (a) ট্রপোস্ফিয়ার (b) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার (c) মেসোস্ফিয়ার (d) থার্মোস্ফিয়ার
উত্তরঃ (a) ট্রপোস্ফিয়ার
1.2 গ্যাস সংক্রান্ত বয়েলের সূত্রের লেখচিত্র হল
(a) [Image of a straight line with a positive slope]
(b) [Image of a straight line with a negative slope]
(c) [Image of a straight horizontal line]
(d) [Image of a straight vertical line]
উত্তরঃ (b) [Image of a straight horizontal line]
1.3 গ্যাসীয় পদার্থের আণবিক ভর (M) ও বাষ্প ঘনত্বের (D) সম্পর্ক হল- (a) 2M = D (b) M = D2 (c) M = 2.8 D (d) M = 2 D
উত্তরঃ (d) M = 2 D
1.4 একটি অবতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ 20 সে.মি. হলে দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য হবে (a) 20 সে.মি. (b) 15 সে.মি. (c) 10 সে.মি. (d) 40 সে.মি.
উত্তরঃ (c) 10 সে.মি.
1.5 দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য থেকে নীচের কোনটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য বড়? (a) x-রশ্মি (b) অবলোহিত রশ্মি (c) γ-রশ্মি (d) অতিবেগুনি রশ্মি
উত্তরঃ (b) অবলোহিত রশ্মি
1.6 দন্তচিকিৎসকগণ ব্যবহার করেন (a) উত্তল দর্পণ (b) উত্তল লেন্স (c) অবতল দর্পণ (d) অবতল লেন্স
উত্তরঃ (c) অবতল দর্পণ
1.7 একটি ইলেকট্রনের আধান হল (a) -3.2×10⁻¹⁹ C (b) -1.6×10⁻¹⁹ C (c) 1.6×10⁻¹⁹ C (d) 3.2×10⁻¹⁹C
উত্তরঃ (b) -1.6×10⁻¹⁹ C
1.8 পরিবাহীর রোধ (R) ও পরিবাহীতে তড়িৎ প্রবাহের সময় (t) অপরিবর্তিত থাকলে পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ (H) ও প্রবাহমাত্রা (I) সম্পর্ক হল (a) H ∝ I (b) H ∝ 1/I2 (c) H ∝ I2 (d) H ∝ 1/I
উত্তরঃ (c) H ∝ I²
1.9 কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে 2 মিনিটে 12 C আধান প্রবাহিত হলে, তড়িৎ প্রবাহমাত্রা হল (a) 6 অ্যাম্পিয়ার (b) 0.1 অ্যাম্পিয়ার (c) 24 অ্যাম্পিয়ার (d) 10 অ্যাম্পিয়ার
উত্তরঃ (b) 0.1 অ্যাম্পিয়ার
1.10 দীর্ঘ পর্যায় সারণির শ্রেণি সংখ্যা হল (a) 9 (b) 13 (c) 18 (d) 19
উত্তরঃ (c) 18
1.11 দীর্ঘ পর্যায় সারণির শ্রেণি 17-এর অন্তর্গত Cl(17), F(9), Br(35)-এর জারণ ধর্মের ক্রম হল F>ClCl>Br>I / Cl>F>Br>I / F>I>Br>Cl
উত্তরঃ (d) F>Cl>Br>I
1.12 নীচের কোন্ যৌগটির ক্ষেত্রে কোন আয়নীয় নেই? (a) LiH (b) CaO (c) NaCl (d) MgCl2
উত্তরঃ (a) LiH
1.13 নীচের কোন যৌগটির কঠিন অবস্থা আয়ন দ্বারা গঠিত নয়? (a) চিনি (b) সোডিয়াম ক্লোরাইড (c) হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (d) ক্যালশিয়াম ক্লোরাইড
উত্তরঃ (d) LiH
1.14 অয়েসলার বিকারক ব্যবহার করা হয়- (a) আর্থ লাইন (b) লাইভ লাইন (c) নিউট্রাল লাইন (d) লাইভ ও নিউট্রাল উভয় লাইন
উত্তরঃ(b) লাইভ লাইন
1.15 নীচের কোনটি একটি সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন? (a) C₃H₆ (b) C₂H₄ (c) C₂H₂ (d) C₂H₆
উত্তরঃ (d) C₂H₆
‘খ’ বিভাগ
- নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয় ):
2.1 বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায় ?
উত্তরঃ মেসোস্ফিয়ারে।
অথবা, বায়ুতে উপস্থিত একটি গ্যাসের নাম করো। যেটি পরিমাণ বাড়ালে বিশ্ব উষ্ণায়ন ঘটে।
উত্তরঃ CO₂।
2.2 একটি শক্তি উৎসের নাম লেখ যেটি স্থিতিশীল বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ বায়ুশক্তি।
2.3 নীচের বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো: নির্দিষ্ট উষ্ণতা ও চাপে কোনো আবদ্ধ পাত্রে রক্ষিত গ্যাসের মধ্যে অণুগুলির বেগ সমান।
উত্তরঃ মিথ্যা।
2.4 চালর্সের সূত্র অনুসারে V বনাম T লেখচিত্রের প্রকৃতি কী?
উত্তরঃ মূলবিন্দু গামী সরল রৈখিক।
2.5 নীচের বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো: কঠিনের দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্কের মান সেলসিয়াস স্কেল ও কেলভিন স্কেলে একই হয়।
উত্তরঃ সত্য।
অথবা, হিরে, লোহা ও রুপোকে তাপ পরিবাহিতাদের নিম্নক্রমে সাজাও।
উত্তরঃ হিরে > রুপো > লোহা
2.6 একটি আলোকর রশ্মি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র দিয়ে গেলে আপতন কোণ কত হবে?
উত্তরঃ আপতন কোণ হবে 0°।
2.7 একটি প্রিজমের কয়টি আয়তাকার তল আছে ?
উত্তরঃ একটি প্রিজমের তিনটি আয়তাকার তল আছে।
2.8 একটি অর্ধ পরিবাহীর উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ একটি অর্ধ পরিবাহীর উদাহরণ হল সিলিকন।
2.9 গৃহস্থলির বর্তনীতে লাইভ তার ছাড়া বাকি তার দুটি কী কী?
উত্তরঃ গৃহস্থলির বর্তনীতে লাইভ তার ছাড়া বাকি তার দুটি কী কী?
2.10 পারমাণবিক চুল্লিতে কোন-ধরনের নিউক্লীয় বিক্রিয়ার সাহায্যে শক্তি উৎপাদিত হয়?
উত্তরঃ নিউক্লিয় বিভাজন বিক্রিয়া।
অথবা, একটি প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয় মৌলের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ ইউরেনিয়াম।
2.11 বামস্তম্ভের সঙ্গে ডানস্তম্ভের সামঞ্জস্য বিধান করো :
বামস্তম্ভ ডানস্তম্ভ
(১) হ্যালোজেন মৌল (a) নোবল গ্যাস
(২) ইনভার (b) Rn
(৩) সর্বনিন তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল (c) কার্বন দ্বারা বিজারণ
(৪) ZnO+C → Zn+CO (d) একটি সঙ্কর ধাতু
(১) → (b), (২) → (d), (৩) → (a), (৪) → c
উত্তরঃ (১) → (c), (২) → (d), (৩) → (a), (৪) → c
2.12 F, I, Br, Cl কে ক্রমবর্ধমান তড়িৎ ঋণাত্মকতা অনুসারে সাজাও।
উত্তরঃ Al³⁺+3e→Al
2.13 তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে দিয়ে মুক্ত ইলেকট্রনগুলি তড়িৎ পরিবহন করে।
উত্তরঃ মিথ্যা
2.14 তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় কোন ইলেকট্রোডে জারণ ঘটে?
উত্তরঃ তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় অ্যানোডে জারণ ঘটে
অথবা, HNO₃, CH₃COOH, H₂SO₄ এদের মধ্যে কোনটি মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য?
উঃ- NH₃
2.15 অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির।
উত্তরঃ NH₃ তো সমযোজী বন্ধন বর্তমান।
2.16 ইউরিয়ার একটি ব্যবহার লেখ।
উত্তরঃ ইউরিয়ার উৎপাদনে ব্যবহৃত দুটি পদার্থের মধ্যে একটি কার্বন ডাইঅক্সাইড, অপরটি কী? অ্যামোনিয়া (NH₃)।
2.17 CH₃CH₂CHO-এর IUPAC নাম লেখো।
উত্তরঃ CH₃CH₂CHO এর IUPAC নাম হল – প্রোপানাল।
অথবা, মিথেনের কার্বনের চারটি যোজ্যতা কীভাবে বিন্যস্ত থাকে ?
উঃ: [Image of the structure of methane]
2.18 ডিনেচার্ড স্পিরিটের একটি ব্যবহার লেখো।
উঃ: রং, বার্নিশ শিল্পের কাজে ডিনেচার্ড স্পিরিট ব্যবহার করা হয়।
‘গ’ বিভাগ
- নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয় ):
3.1 ভবিষ্যতে পরিবেশের ওপর বিশ্ব উষ্ণায়নের দুটি সম্ভাব্য প্রভাবের উল্লেখ করো।
উত্তরঃ গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ুর পরিবর্তন- শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বায়ুমণ্ডলের গড় উষ্ণতা ব্যাপক হারে শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ব্যাপক হারে শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে জীব বৈচিত্র বিপন্ন হয়ে জনসংখ্যার প্রাণী উদ্ভিদ চিরতরে হারিয়ে যাবে।
3.2 17°C উষ্ণতায় ও 750 mmHg চাপে নির্দিষ্ট ভরের একটি গ্যাস 580 cm³ আয়তন অধিকার করে। ওই চাপে 47°C উষ্ণতায় গ্যাসটি কত আয়তন অধিকার করবে ?
উঃ: গ্যাস দুটির মোলার ওপর অনুপাত M₁ : M₂ = WRT / P × 5.600 : 4480 = 5600 : 4480 = 5 : 4।
V₁ / T₁ = V₂/ T₂
বা, 520×T₂ = 700×260
বা, T₂ = 700×260 / 520
বা, T₂ = 350
∴ গ্যাসটির অন্তিম উষ্ণতা 77°C।
3.3 আলোর প্রতিসরণের ফেল এর সূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ আলোর প্রতিসরণের ফেল এর সূত্রটি লেখো।
3.4 মুক্ত বর্তনীতে তড়িৎ-কোশের তড়িৎচালক বলের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ মুক্ত বর্তনীতে কোনো তড়িৎ কোশের দুটি মেরুর মধ্যে যে বিভব পার্থক্য থাকে, তাকে ওই কোশের তড়িৎচালক বল বলে।
3.5 CH₄ এর লুইস ডট ডায়াগ্রাম এঁকে দেখাও যে CH₄ সমযোজী বন্ধন দ্বারা গঠিত।(H ও C এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 1 ও 6)
উঃ: [Image of Lewis structure of CH₄]
3.6 সোডিয়াম ক্লোরাইডের ধর্মের সাহায্যে দেখাও যে সোডিয়াম ক্লোরাইড আয়ন দিয়ে গঠিত।
উত্তরঃ Na⁺ ক্যাটায়নগুলিকে এবং অপর ধনাত্মক প্রান্তো Cl⁻ ক্যাটায়ন-জালক থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। এর ফলে NaCl দ্রবণে জলীয় দ্রবীভূত হয়। এই অবস্থায় দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে।
অথবা, কীভাবে সোডিয়াম ক্লোরাইডে আয়নীয় বন্ধন গঠিত হয় দেখাও। (Na ও Cl এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 11 ও 17)
উত্তরঃ Na পরমাণু যখন একটি Cl পরমাণুর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তখন Na পরমাণুটি তার সর্ববহিঃস্থ কক্ষের একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌল Ne – এর ইলেকট্রন বিন্যাস (K=2 ,L=8) লাভ করে। অন্যদিকে, F পরমাণু দ্বারা গঠিত একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে Cl⁻ অ্যানায়নে পরিণত হয় ও নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌল Ar – এর ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে। এরপর বিপরীতধর্মী Na⁺ ও F⁻ স্থির তড়িৎ আকর্ষণ বলের মাধ্যমে পরস্পর যুক্ত হয়ে আয়নীয় যৌগ NaF গঠন করে।
[Image of Lewis structure of NaF]
3.7 Pb (NO₃)₂ এর জলীয় দ্রবণে H₂S গ্যাস চালনা করলে কী ঘটে তা রাসায়নিক সমীকরণ সহ লেখো।
উঃ: লেড নাইট্রেটের জলীয় দ্রবণে H₂S গ্যাস চালনা করলে কালো বর্নের লেড সালফাইডের (PbS) অধঃক্ষিপ্ত হয় এবং HNO₃ উৎপন্ন হয়।
3.8 তড়িৎবিশ্লেষণ পদ্ধতিতে নিষ্কাশনে নীচের বিক্রিয়াটি কোন তড়িদ্বারে ঘটে?
Mⁿ⁺ + ne = M (ধাতু)
উঃ: এটি একটি বিজারণ প্রক্রিয়া কারণ – গলিতে অবস্থায় কোন ধাতুর বিগলিত লবণের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে
Madhyamik 2023
- বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন। (প্রতিটি প্রশ্নের মান -১)
1.1. নীচের কোন গ্যাসটি ওজোন স্তরে ওজোন ক্ষয়ে সহায়তা করে
- CO₂
- CFC (উত্তর)
- He
- Ar
1.2. 4g H₂ গ্যাসের জন্য STP তে PV এর মান কত? (H = 1)
- 2RT
- 4RT (উত্তর)
- 0.5 RT
- RT
1.3. 12g C কে সম্পূর্ণরূপে পুড়িয়ে CO₂ তৈরি করতে কত গ্রাম O₂ লাগবে? (C = 12, O = 16)
- 32g (উত্তর)
- 12 g
- 16g
- 44 g
1.4. তরলের কত প্রকার তাপীয় প্রসারণ গুণাঙ্ক আছে?
- 1
- 2 (উত্তর)
- 3
- 0
1.5. প্রিজমের মধ্যে দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে যে বর্ণের বিচ্যুতি সর্বনিম্ন সেটি হল
- লাল (উত্তর)
- হলুদ
- সবুজ
- বেগুনি
1.6. কোনো উত্তল লেন্সের ফোকাসের মধ্যে বস্তু রাখলে বির্বধনের মান কত?
- 2 volt
- 8 volt (উত্তর)
- 6 volt
- 90°
- 22.5°
- 135°
- 45° (উত্তর)
1.7. পরিবাহিতাতঙ্কের একক কোনটি?
- mho.metre⁻¹ (উত্তর)
- mho.metre
- ohm.metre
- ohm.metre⁻¹
1.8. 40 ohm রোধবিশিষ্ট পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে 0.2 ampere তড়িৎ প্রবাহিত হলে, পরিবাহীর দুই প্রান্তের মধ্যে বিভব প্রভেদ কত?
- 0.5 volt
- 2 volt
- 8 volt
- 6 volt
1.9. α, β ও γ-রশ্মির ভেদন ক্ষমতার সঠিক ক্রম হল
- γ > α > β
- γ > β > α
- α > β > γ
- β > γ > α
উত্তরঃ γ > β > α
1.10. দীর্ঘ পর্যায় সারণির চতুর্থ পর্যায়ে কতগুলি মৌলিক পদার্থ আছে ?
- 8
- 32
- 16
- 18 (উত্তর)
1.11. CaO গঠনে কয়টি ইলেকট্রন Ca পরমাণু থেকে O পরমাণুতে স্থানান্তরিত হয় ?
- 0
- 1
- 2 (উত্তর)
- 3
1.12. N₂ গ্যাসএর পরীক্ষাগার প্রস্তুতিতে জন্য নীচের কোন যৌগপদুটির মিশ্র জলীয় দ্রবণ ব্যবহার করা হয়?
- NaNO₃ ও NH₄Cl
- NaCl ও NH₄NO₃
- NaNO₃ ও NH₄NO₃
- NaNO₂, ও NH₄Cl (উত্তর)
1.13. নীচের কোনটি জিঙ্কের আকরিক জিংক ব্লেডের সংকেত ?
- ZnO
- ZnS (উত্তর)
- ZnSO₄
- ZnCO₃
1.14. নীচের কোনটি একটি অ্যালকোহল?
- CH₃OCH₃
- CH₂CHO
- CH₃CH₂OH (উত্তর)
- CH₃COOH
‘খ’ বিভাগ
- নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়)(প্রতিটি প্রশ্নের মান-১):
2.1. বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত একটি গ্যাসের নাম করো যেটি গ্রিনহাউস গ্যাস নয়। তা হলে
– O₂।
2.2. কয়লার একটি নমুনার তাপন মূল্য 30,000 kJkg⁻¹ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কয়লার একটি নমুনার তাপন মূল্য 30000 kJ/kg বলতে বোঝায় 1 kg কয়লার সম্পূর্ণ দহনে 30000 kJ শক্তি উৎপন্ন হয়।
অথবা, স্থিতিশীল বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বায়ুশক্তি ব্যবহার করা যায় কেন?
উত্তরঃ স্থিতিশীল উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হলো চিরাচরিত শক্তির ব্যবহার কমিয়ে অচিরাচরিত শক্তির উৎসেগুলির ব্যবহার বাড়ানো। বায়ু শক্তি একটি অচিরাচরিত শক্তির উৎস। তাই স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য বায়ু শক্তি ব্যবহার করা যায়।
2.3. কোমনেও চাপে নির্দিষ্ট কোনো গ্যাসের 0°C উষ্ণতায় আয়তন V₀, চাপ অপরিবর্তিত রেখে গ্যাসটির উষ্ণতা 1°C বৃদ্ধি করলে চালর্সের সূত্র অনুযায়ী গ্যাসটির আয়তন বৃদ্ধির পরিমাণ কত হবে?
উত্তরঃ চালর্সের সূত্র অনুযায়ী গ্যাসটির আয়তন বৃদ্ধির পরিমাণ হবে V₀/273।
2.4. STP তে 1 L H₂ গ্যাসে ও 4 L CO₂ গ্যাসে উপস্থিত অণুর সংখ্যার অনুপাত কত হবে?
উত্তরঃ STP তে 1 L H₂ গ্যাসে ও 4 L CO₂ গ্যাসে উপস্থিত অণুর সংখ্যার অনুপাত হবে 1 : 4
2.5. নীচের বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো: কঠিনের দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্কের মান সেলসিয়াস স্কেল ও কেলভিন স্কেলে একই হয়।
উত্তরঃ সত্য।
2.6. উত্তল দর্পণে একটি ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ গাড়ির বা অন্যান্য যানবাহনে ভিউ ফাইন্ডার হিসেবে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
2.7. অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল কোনো রশ্মি অবতল দর্পণের দ্বারা প্রতিফলনের পর কোন পথে যায়?
উত্তরঃ অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল কোনো রশ্মি অবতল দর্পণের দ্বারা প্রতিফলনের পর মুখ্য ফোকাস দিয়ে যায়।
2.8. একটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের বিশিষ্ট লোহা ও তামার তারের দুইপ্রান্তে একই বিভব প্রভেদ প্রয়োগ করলে তার দুটির মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ হবে না কারণ তাদের উপাদান আলাদা।
উত্তরঃ একই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের বিশিষ্ট লোহা ও তামার তারের দুইপ্রান্তে একই বিভব প্রভেদ প্রয়োগ করলে তার দুটির মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ হবে না কারণ তাদের উপাদান আলাদা।
2.9. একটি পরিবাহীর ক্ষেত্রে ওহম সূত্র অনুযায়ী I-V লেখচিত্র অঙ্কন করো।
উত্তরঃ [Image of the graph of I vs V for a conductor]
2.10. পারমাণবিক শক্তি একটি শান্তিপূর্ণ ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ পারমাণবিক শক্তি একটি শান্তিপূর্ণ ব্যবহার হল বিদ্যুৎ উৎপাদন।
2.11. γ-রশ্মি হল ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের_তরঙ্গ।
উত্তরঃ তড়িৎ চুম্বকীয়
2.12. নীচের বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো: মূলত একটি সূক্ষ্ম জালক আকার উৎপন্ন হওয়ায় আয়নীয় যৌগ গঠন হওয়া সম্ভব হয়।
উত্তরঃ সত্য।
2.13. তড়িদবিশ্লেষণে পদার্থের মধ্য দিয়ে কারা তড়িৎ পরিবহন করে
উত্তরঃ তড়িদবিশ্লেষণে পদার্থের মধ্যে দিয়ে মুক্ত ইলেকট্রনগুলি তড়িৎ পরিবহন করে
অথবা, তড়িৎ বিশ্লেষণে সময় কোন ইলেকট্রোডকে অ্যানোড বলা হয়?
উঃ- তড়িৎ বিশ্লেষণে সময় কোশের ধনাত্মক মেরুতে যুক্ত ইলেকট্রোডকে অ্যানোড বলা হয়।
2.14. অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির।
উত্তরঃ অ্যামোনিয়ার জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির।
2.15. নাইট্রোজেনের পরীক্ষাগার প্রস্তুতিতে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণের সঙ্গে সোডিয়াম নাইট্রাইট যৌগের জলীয় দ্রবণ মিশ্রিত করে উত্তপ্ত করা হয়।
2.16. বাপ্যাকেটের ফলে বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় কোন্ যৌগ তৈরি হয়?
উত্তরঃ নাইট্রাস অক্সাইড (NO)
2.17. CH₃CH=CH₂ এর IUPAC নাম লেখো।
উত্তরঃ 1-প্রোপিন।
অথবা, মিথেনের কার্বনের চারটি যোজ্যতা কীভাবে বিন্যস্ত থাকে?
উত্তরঃ মিথেনের কার্বনের চারটি যোজ্যতা কীভাवे বিন্যস্ত থাকে?
‘গ’ বিভাগ
- নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয় ):
3.1. ভবিষ্যতে পরিবেশের ওপর বিশ্ব উষ্ণায়নের দুটি সম্ভাব্য প্রভাবের উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ভবিষ্যতে পরিবেশের ওপর বিশ্ব উষ্ণায়নের দুটি সম্ভাব্য প্রভাব হল –
(i) গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ুর পরিবর্তন- শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বায়ুমণ্ডলের গড় উষ্ণতা ব্যাপক হারে শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ব্যাপক হারে শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে জীব বৈচিত্র বিপন্ন হয়ে জনসংখ্যার প্রাণী উদ্ভিদ চিরতরে হারিয়ে যাবে।
3.2. 17°C উষ্ণতায় ও 750 mmHg চাপে নির্দিষ্ট ভরের একটি গ্যাস 580 cm³ আয়তন অধিকার করে। ওই চাপে 47°C উষ্ণতায় গ্যাসটি কত আয়তন অধিকার করবে ?
উঃ: এক্ষেত্রে, প্রাথমিক উষ্ণতা (T₁)=(273+17)K= 290K
প্রাথমিক আয়তন (V₁)=580 cm³
অন্তিম উষ্ণতা (T₂)=(273+47)K= 320K
অন্তিম আয়তন (V₂)=?
এখন, চার্লসের সূত্র থেকে পাই,
V₁/T₁ = V₂/T₂
V₁/V₂ = 290/T₂
∴ ওই চাপে 47°C উষ্ণতায় গ্যাসটি 640cm³ আয়তন অধিকার করবে।
3.3. আলোর প্রতিসরণের ফেল এর সূত্রটি লেখো।
উঃ: আলোর প্রতিসরণের ফেল এর সূত্রটি লেখো।
3.4. মুক্ত বর্তনীতে তড়িৎ-কোশের তড়িৎচালক বলের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ মুক্ত বর্তনীতে কোনো তড়িৎ কোশের দুটি মেরুর মধ্যে যে বিভব পার্থক্য থাকে, তাকে ওই কোশের তড়িৎচালক বল বলে।
3.5. CH₄ এর লুইস ডট ডায়াগ্রাম এঁকে দেখাও যে CH₄ সমযোজী বন্ধন দ্বারা গঠিত।(H ও C এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 1 ও 6)
উঃ: [Image of Lewis structure of CH₄]
3.6. সোডিয়াম ক্লোরাইডের ধর্মের সাহায্যে দেখাও যে সোডিয়াম ক্লোরাইড আয়ন দিয়ে গঠিত।
উত্তরঃ সোডিয়াম ক্লোরাইডের আয়নে দিয়ে গঠিত হওয়ায় এটি জলীয় দ্রাবক যেমন জলে দ্রবীভূত হয় কিন্তু অজৈব দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়। এই অবস্থায় দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে।
অথবা, কীভাবে সোডিয়াম ক্লোরাইডে আয়নীয় বন্ধন গঠিত হয় দেখাও। (Na ও Cl এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 11 ও 17)
উঃ: Na পরমাণু যখন একটি Cl পরমাণুর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তখন Na পরমাণুটি তার সর্ববহিঃস্থ কক্ষের একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌল Ne – এর ইলেকট্রন বিন্যাস (K=2 ,L=8) লাভ করে। অন্যদিকে, Cl⁻ পরমাণুর দ্বারা গঠিত একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে Cl⁻ অ্যানায়নে পরিণত হয় ও নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌল Ne – এর ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে। এর পর বিপরীতধর্মী Na⁺ ও F⁻ স্থির তড়িৎ আকর্ষণ বলের মাধ্যমে পরস্পর যুক্ত হয়ে আয়নীয় যৌগ NaF গঠন করে।
[Image of Lewis structure of NaF]
Madhyamik 2024
বিভাগ ‘ক’
(সমস্ত প্রশ্নের উত্তর করা আবশ্যিক)
১। বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের নীচে চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখোঃ ১×১৫=১৫
১.১ নীচের কোন গ্যাসটি গ্রিনহাউস গ্যাস? (a) CH₄ (b) CFC (c) CO₂ (d) CO
উত্তরঃ (a) CH₄
১.২ বাস্তব গ্যাস একটি আদর্শ গ্যাসের ন্যায় আচরণ করে— (a) উচ্চচাপ ও নিম্ন উষ্ণতায় (b) উচ্চ চাপ ও উচ্চ উষ্ণতায় (c) নিম্নচাপ ও নিম্ন উষ্ণতায় (d) নিম্নচাপ ও উচ্চ উষ্ণতায়
উত্তরঃ (d) নিম্নচাপ ও উচ্চ উষ্ণতায়
১.৩ STP তে 44.8 লিটার CO₂ এর মোল সংখ্যা— (a) 3 (b) 1 (c) 2 (d) 1.5
উত্তরঃ (c) 2
১.৪ আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে আয়তন গুণাঙ্ক ও চাপ গুণাঙ্কের অনুপাত— (a) ½ (b) 0 (c) 1 (d) 1/273
উত্তরঃ (c) 1/273
১.৫ প্রতিসরাঙ্ক ও আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সম্পর্ক প্রকাশকারী সমীকরণটি হল (a) μ = A+Bλ² (b) μ = A+B/λ² (c) μ = Aλ + B (d) µ= Aλ +B
উত্তরঃ (b) μ = A + B/λ²
১.৬ বিবর্ধিত অসদবিম্ব গঠিত হয়— (a) উত্তল দর্পণ দ্বারা (b) উত্তল লেন্স দ্বারা (c) সমতল দর্পণ দ্বারা (d) অবতল লেন্স দ্বারা
উত্তরঃ (b) উত্তল লেন্স দ্বারা
১.৭ একটি তারের দৈর্ঘ্য টেনে দ্বিগুণ করা হলে তারের রোধাঙ্ক— (a) দ্বিগুণ হবে (b) হ্রাস পাবে (c) একই থাকবে (d) চারগুণ হবে
উত্তরঃ (b) হ্রাস পাবে
১.৮ 5 অ্যাম্পিয়ার প্রবাহমাত্রা কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে 30 সেকেন্ড সময়ে প্রবাহিত হলে মোট প্রবাহিত আধান হবে— (a) 6 কুলম্ব (b) 150 কুলম্ব (c) 300 কুলম্ব (d) 30 কুলম্ব
উত্তরঃ (b) 150 কুলম্ব
‘খ’ বিভাগ
২। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) :
২.১ ক্লোরিন পরমাণু (Cl) ওজোন অণু (O₃) বিনষ্ট ঘটায় একটি বিক্রিয়ার সাহায্যে লেখো।
উত্তরঃ Cl + O3 → ClO; ClO + O3 → Cl + 2O₂
২.২ বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা লক্ষ করা যায়?
উত্তরঃ মেসোস্ফিয়ারে
অথবা, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের কক্ষপথটি বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে অবস্থিত ?
উত্তরঃ এক্সোস্ফিয়ার
২.৩ p বনাম 1/V লেখচিত্রর প্রকৃতি কি ?
উত্তরঃ সমপরাবৃত্ত
২.৪ পারমাণবিক শক্তি কাটি শান্তিপূর্ণ ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন
অথবা, নিউক্লীয় সংযোজনের আগে নিউক্লীয় বিভাজন ঘটানো হয় কেন ?
উঃ নিউক্লীয় সংযোজনের আগে নিউক্লীয় বিভাজন ঘটানো হয় কারণ
২.১১ বাম স্তম্ভের সঙ্গে ডান স্তম্ভের সামঞ্জস্য বিধান করো :
বাম স্তম্ভ ডানস্তম্ভ
(১) নোবল গ্যাস (a) Cs
(২) ইনভার (b) Rn
(৩) সর্বনিম্ন তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল (c) কার্বন দ্বারা বিজারণ
(৪) ZnO+C → Zn+CO (d) একটি সঙ্কর ধাতু
(১) → (b), (২) → (d), (৩) → (a), (৪) → c
২.১২ জল ও বেঞ্জিন এর মধ্যে কোনটি KCI দ্রবীভূত হয়?
উত্তরঃ জলে
অথবা, তড়িৎ বিশ্লেষণে সময় AC আর DC-এর মধ্যে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ তড়িৎ বিশ্লেষণে সময় AC আর DC-এর মধ্যে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
২.১৩ HCI গ্যাসের জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করে কেন?
উত্তরঃ HCI গ্যাসের জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন হওয়ার কারণ
২.১৪ অ্যামোনিয়া থেকে উৎপন্ন একটি জৈব সারের নাম ও সংকেত লেখো।
উত্তরঃ অ্যামোনিয়া থেকে উৎপন্ন একটি জৈব সারের নাম ও সংকেত লেখো।
২.১৫ শিল্পোৎপাদনে ব্যবহৃত H₂ প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত বিক্রিয়ায় অনুঘটকটি কী?
উত্তরঃ আয়রন
২.১৬ অ্যামোনিয়া গ্যাস শুষ্ক করার জন্য জন্য গাঢ় H₂SO₄ ব্যবহার করা হয় না কেন ?
উত্তরঃ অ্যামোনিয়া ক্ষারধর্মী এবং গাঢ় H₂SO₄ অ্যাসিডধর্মী। তাই এরা পরস্পর বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম সালফেট উৎপন্ন করে।
2NH₃+H₂SO₄=(NH₄)₂SO₄
২.১৭ সোডিয়াম ক্লোরাইডের তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সোডিয়াম ধাতু নিষ্কাশনের সময়ে অ্যানোড ক্লোরাইড যোগ করা হয় কেন ?
উত্তরঃ সোডিয়াম ক্লোরাইডের গলনাঙ্ক অনেক বেশি প্রায় 801°C । এই উচ্চ গলনাঙ্ককে কমানোর জন্য ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ও সোডিয়াম ক্লোরাইড 3 : 2 অনুপাতে মেশানো হয়। মেশানোর ফলে সোডিয়াম ক্লোরাইডের গলনাঙ্ক প্রায় 580°C হয়ে যায়।
অথবা, লোহায় মরচে পড়া প্রতিরোধের দুটি উপায় উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (i) লোহার গায়ে আলকাতরার প্রলেপ দিলে তেলরঙ লাগালে লোহায় মরচে পড়ে না।
(ii) লোহার গায়ে অন্য ধাতুর প্রলেপ দিলে বা তেলরঙ লাগালে লোহায় মরচে পড়ে না।