মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষাতে ব্যাকরণ অংশটি অনেক ছাত্রছাত্রীর কাছেই একটি ভয়ের কারণ। সমাস, কারক, বাচ্য বা বাক্য পরিবর্তন নিয়ে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে যায় অনেকেরই। কিন্তু সঠিক কৌশল জানলে, যারা ব্যাকরণে দুর্বল তারাও সম্পূর্ণ নম্বর পেতে পারে। তোমাদের এই ভয় দূর করতে এবং পরীক্ষায় সাফল্য এনে দিতেই আজকের এই বিশেষ আলোচনা, যেখানে আমরা মাধ্যমিক ২০২৫ বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন (Madhyamik 2025 Bengali Grammar Suggestion) নিয়ে বিস্তারিত কথা বলব। এখানে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক ও প্রশ্ন তুলে ধরা হবে, যা শেষ মুহূর্তে দেখে গেলেই পরীক্ষায় বাজিমাত করতে পারবে।
মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষাতে ব্যাকরণ নিয়ে ভয়ের কোন ব্যাপার নেই। স্যার আমি সমাস পারিনা, স্যার আমি বাচ্য পরিবর্তন পারছিনা, এটা যাদের অভিযোগ তারাও ব্যাকরণে কিন্তু সম্পূর্ণ নাম্বার পেতে পারো। তোমাদের আবদারের একটা একটা সুপার এক্সক্লুসিভ আর্টিকেল। আজকের এই আর্টিকেল আমি তোমাদের জন্য মাধ্যমিক 2026 বাংলা ব্যাকরণের লাস্ট মিনিট সাজেশন নিয়ে হাজির হয়েছি।
মাধ্যমিক ২০২৬ বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন
তবে আর্টিকেল শুরুতেই একটা কথা বলি, আজকের এই আর্টিকেল গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো তোমাদের বুঝিয়ে বলা হবে। সেগুলো যদি তোমরা একটু দেখে যাও, ওই বললাম, তোমার বক্তব্য যদি হয়, স্যার আমি সমাস পারিনা, স্যার আমি বাক্য পরিবর্তন করতে পারবো না। তবুও তুমি ব্যাকরণে সম্পূর্ণ নাম্বার পাবে। আচ্ছা ব্যাকরণে নাম্বার কত থাকে? মোটামুটি 17 নম্বর থাকে ব্যাকরণে। মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র তুমি যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করো, তুমি দেখতে পাবে পরীক্ষাতে দু ধরনের প্রশ্ন ব্যাকরণ থেকে দেওয়া হয়। প্রথম নির্ণয় ধর্মী প্রশ্ন। দ্বিতীয় সংজ্ঞাধর্মী প্রশ্ন। নির্ণয়ধর্মী প্রশ্ন বলতে কারক নির্ণয় করো, সমাস নির্ণয় করো, তারপর বাক্য পরিবর্তন করো, বাচ্য পরিবর্তন করো। এইরকম প্রশ্ন গোটা প্রশ্নের মধ্যে তুমি দেখতে পাবে মোটামুটি চারটে থেকে ছটা রয়েছে। বাদবাকি 10 টা থেকে 11টা বা 12টা প্রশ্ন থাকবে সংজ্ঞা ধর্মী প্রশ্ন, কাকে বলে, উদাহরণ দাও, এইরকম প্রশ্ন। তাহলে তুমি বুঝতে পারলে আমি যদি কথার কথা ধরেও নি, তোমাকে 10 টা এসে কিউ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি এসে কিউয়ে রয়েছে অমুকের ব্যাসবাক্য সহ সমাস লেখ। তুমি সমাস পারোই না। ঐ প্রশ্নটি যদি তুমি ছেড়েও দাও, তবুও তোমার হাতে কিন্তু ন’টা অপশন রয়েছে। একটু ঠান্ডা মাথাতে ভাবলেই কিন্তু তুমি আটে আট পেতে পারো। আরেকটা মজার বিষয় মাধ্যমিক পরীক্ষাতে যেগুলো নির্ণয় করতে দেওয়া হয়, কারক, অকারক বা সমাস কিংবা বাক্য পরিবর্তন, বাচ্য পরিবর্তন এখানে কিন্তু খুব সহজ প্রশ্ন করা হয়। পরিচিত প্রশ্ন করা হয়। কঠিন প্রশ্ন কিন্তু এখানে হয় না। ভালোভাবে টেস্ট পেপার সলভ করা থাকলে ইজিলি এই অংশের নাম্বার তোমরা পেতে পারো।
এবার প্রত্যেকটা অধ্যায় থেকে অর্থাৎ কারক, অকারক অংশ, সমাস, বাক্য, বাচ্য কোন কোন প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ, কোন কোন জায়গাতে চোখ বোলাতে হবে সেটাই জানাবো। তার আগে ছোট্ট অনুরোধ আর্টিকেলটার জন্য যারা আবদার করেছিলে তারা কমেন্ট লেখ। আর আর্টিকেলটা ভালো লাগলে লাইক করবে। বন্ধুদের মধ্যে এই vটা শেয়ার করে দিও। যাতে তারাও ব্যাকরণের জন্য পোক্ত হয়ে যেতে পারে। তবে আর্টিকেলর শুরুতে একটা সত্যি কথা আমাকে বলতেই হবে। তোমাদের বন্ধু হিসেবেই আজকের এই আর্টিকেলটা বানাচ্ছি, যাতে তোমরা অল্প পড়েও ব্যাকরণে পুরো নাম্বারটা পেয়ে যেতে পারো। আরেকটা উদ্দেশ্য বলতে পারো যে ব্যাকরণের ভীতিটাকে জয় করে যাতে তোমরা আজকের আর্টিকেল দেখে আত্মবিশ্বাসী হতে পারো সেজন্যই এই আর্টিকেল। কখনোই আমি তোমাদের পরামর্শ দিচ্ছি না যে ব্যাকরণ না পড়ে এই শর্টকাট কৌশলগুলো ফলো করে নাম্বার নিয়ে নাও। আমি ধরে নেব গোটা বছর তুমি ব্যাকরণ বই ভালোভাবে পড়েছো। মাধ্যমিকের এই পনেরো দিন আগে কোন কোন টপিকে চোখ বোলাবে তারই একটা দিক নির্দেশ আজকের এই আর্টিকেলতে দিলাম। তুমি জানো ব্যাকরণের কোন সাজেশন হয়না। সত্যিই হয়না। তবুও গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলোতে যদি একবারও চোখ বোলানো থাকে, আমার বিশ্বাস মাধ্যমিক পরীক্ষাতে তোমরা তার সুফল পাবে।
প্রথমেই আমি বলবো কারক, অকারক অংশ। এখান থেকে কাকে বলে, আমি যে প্রশ্ন গুলো বলবো তুমি খাতা কলম নিয়ে লিখে নাও। কিংবা যেটা পারছো না সেটা লিখে নাও। আজকে অল্প প্রশ্ন বলবো। কারক থেকে মোটামুটি 15 16 টা, সমাস থেকে 12 13 টা আর বাক্য বাচ্য থেকে পাঁচটা পাঁচটা। মাত্র এই কটা প্রশ্ন বলব, খাতায় লিখে নাও। যে যে অংশগুলোকে হাইলাইট করে পড়তে বলবো, সেটা পড়ো। তুমি সুফল পাবে।
কারক থেকে প্রথমেই পড়বে অনুসর্গ কাকে বলে? কাকে বলে বলতে কি বললাম? অনুসর্গ কাকে বলে, এর উদাহরণ খুব ভালো করে পড়বে। তির্যক বিভক্তি কাকে বলে, এর উদাহরণ। দুটি শব্দ বিভক্তি এবং দুটি ক্রিয়া বিভক্তির উদাহরণ দাও। একটা জিনিস মনে করিয়ে দিই। ক্রিয়া বিভক্তির অপর নাম ধাতু বিভক্তি। তাই তোমাকে প্রশ্ন এমন করা হতে পারে দুটি শব্দ বিভক্তির উদাহরণ দাও বা দুটি ধাতু বিভক্তির উদাহরণ দাও। আবার উল্টে প্রশ্ন হতে পারে ধাতু বিভক্তির অপর নাম কি? ক্রিয়া বিভক্তি। এগুলো কিন্তু তোমাকে একটু চোখ-কান খোলা রেখে পড়তে হবে। নেক্সট সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ কাকে বলে এবং এদের উদাহরণ। নেক্সট, সম্বোধন পদ বা সম্বন্ধ পদ কারক নয় কেন? কয়েকটা উত্তর একটু বলে দেই। সম্বন্ধ পদ বা সম্বোধন পদের সঙ্গে বাক্যের ক্রিয়াপদের সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে কোনো সম্পর্ক থাকে না। তাই এরা কারক নয়। এটুকু লিখলেই চলবে।
নেক্সট, তোমরা পড়বে প্রযোজক কর্তা, প্রযোজ্য কর্তা কাকে বলে, উদাহরণ। যে কর্তা অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় সে হল প্রযোজক কর্তা। মনে রাখবে সিনেমায় প্রযোজকেরা নায়ক-নায়িকাদের টাকা দিয়ে অভিনয় করিয়ে নেয়। প্রযোজকেরা কিন্তু অভিনয় করতে আসে না। নিরপেক্ষ কর্তা কাকে বলে, তার উদাহরণ, এটা তোমরা পড়বে। আর অকারক কয় প্রকার, কি কি? অকারক কয় প্রকার, কি কি? এই প্রশ্নটাও কিন্তু তোমরা এখান থেকে অতি অবশ্যই দেখে রাখবে। মাধ্যমিক ২০২৬ বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন
এরপর তোমরা দেখবে বিভিন্ন ধরনের কর্ম, করণের উদাহরণ। যেমন ব্যতিহার কর্তা কাকে বলে, উদাহরণ। কাকে বলেটা যদি কোনো কারণে মনে নাও থাকে উদাহরণগুলো ভালো করে রেডি রাখবে। সহযোগী কর্তা, সমধাতুজ কর্তা, কর্মে বিপ্সা, সমধাতুজ করণ, লক্ষণার্থক করণ, করণে বিপ্সা এইগুলো কিন্তু এই যে কটা নাম বললাম, এগুলো তোমরা দরকার হলে আর্টিকেলটা থামিয়ে থামিয়ে লিখে নাও, খুব ইম্পর্টেন্ট তোমাদের জন্য।
এছাড়াও পার্থক্য তোমরা করবে বিভক্তি অনুসর্গের পার্থক্য, বিভক্তি নির্দেশকের পার্থক্য, সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদের পার্থক্য। একটা করে পার্থক্য করলেই হবে। একটু সংক্ষেপে বলে দেই, বিভক্তি হল অর্থহীন বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ। অনুসর্গ হল অব্যয় পদ। হয়ে গেল পার্থক্য বিভক্তি অনুসর্গের। বিভক্তি নির্দেশক, বিভক্তি শব্দকে পদে পরিণত করে, নির্দেশক শব্দের পরে বসে বচন নির্দেশ করে। হয়ে গেল পার্থক্য। সম্বোধন পদ আর সম্বন্ধ পদ। সম্বোধন পদ এই পদের দ্বারা কাউকে সম্বোধন, আহ্বান বা ডাকা বোঝায়। আর সম্বন্ধ পদ বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে এই পদের সম্পর্ক না থাকলেও অন্য পদের সঙ্গে এর সম্বন্ধ থাকে। এটা লিখলেই হবে।
এরপর তোমরা শর্ট হিসেবে দেখে রাখবে বিভক্তি প্রধান কারক দুটি কি কি? অনুসর্গ প্রধান কারক দুটি কি কি? যারা জানো বিভক্তি প্রধান কারক কি কি আমাকে অবশ্যই লিখে জানিও। মাধ্যমিক ২০২৬ বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন
তারপর কোন কারকে কোন অনুসর্গ বসে? দ্বারা দিয়া কর্তৃক, দ্বারা দিয়া কোথায় বসছে? হতে থেকে হইতে থেকে কোথায় বসছে? এটা মনে রাখবে। কারক এবং বিভক্তি শব্দের অর্থ? কারক শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ যে করে বা ক্রিয়া সম্পাদক। আর বিভক্তি শব্দের অর্থ বিভাজন বা ভাগ। মনে রাখবে। অনুসর্গ আর কি কি নামে পরিচিত? পরসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয়। প্রথম চ্যাপ্টার থেকে যে যে অংশগুলোকে একটু হাইলাইট দিয়ে পড়তে বললাম, এগুলো পড়বে। কারণ আর্টিকেলর শুরুতে বলেছি নির্ণয় ধর্মী প্রশ্নের থেকে অর্থাৎ কারক অকারক নির্ণয় করো এই প্রশ্নের থেকেও বেশি দেওয়া হবে অমুক কর্তা কাকে বলে, অমুক পদ কাকে বলে এই জাতীয় প্রশ্ন। এজন্য আমি যে যে টপিক বললাম এগুলো অবশ্যই পড়ে নিও। কি বন্ধুরা? এগুলো রেডি আছে তো? কমেন্টে লিখে জানিও। আর যেগুলো একটু কঠিন আমি তো আলোচনার সময় উত্তর বলেই দিচ্ছি। শুধু যেটা আমি ঐ বোর্ডে লিখতে আমার ঠিক আমি কম্ফোর্ট ফিল করিনা। এজন্য বোর্ডে লিখে আমি দেখাতে পারলাম না। মুখে বলে দিচ্ছি, তোমরা প্লিজ একটু লিখে নিও। মাধ্যমিক ২০২৬ বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন
এবারের বিষয় সমাস। সমাস থেকে আমার প্রথম টিপস থাকবে প্রত্যেকটা সমাসের একটা করে উদাহরণ পড়বে। আমরা কিন্তু মাধ্যমিকে এমন প্রশ্ন দেখি অমুক সমাসের একটি উদাহরণ দাও। তাতে যাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য সবকটা সমাসের নাম এবং তার উদাহরণ তোমার কিন্তু মনে রাখতে হবে। সমাসের সংজ্ঞা সবগুলো পারলে মনে রাখবে। বিশেষ করে, আমি সবকটা সংজ্ঞা মুখস্থ রাখতে বলবো, ঠোঁটস্থ রাখতে বলবো, আত্মস্থ রাখতে বলব। তবুও যাদের হচ্ছে না তাদের জন্য বাক্যশ্রয়ী সমাস, বহুব্রীহি সমাস, অব্যয়ীভাব সমাস, নিত্য সমাস সবকটার সংজ্ঞা পড়বে। সমাস থেকে তিনটে পার্থক্য তোমাকে দেখতেই হবে। সন্ধি সমাস, উপমিত কর্মধারায়, উপমান কর্মধারায় সমাস। আর দ্বিগু সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাসের পার্থক্য। উপমিত, উপমান এই কনসেপ্টটা ভালো করে মনে রাখবে। উপমিততে কি থাকে, উপমানে কি থাকে না, কোনটায় কি থাকে, কোনটা উপমা, কোনটা উপমেয় এই জায়গাটা নিয়ে কিন্তু একটা স্বচ্ছ ধারণা তোমাকে রাখতে হবে। এরপর তুমি ধরো, কোন সমাসে কোন পদের অর্থ প্রাধান্য পায়? কোনটা পূর্ব পদের, কোনটা পর পদের, কোনটা উভয় পদের, কোনটাতে কোন পদের নয়, তৃতীয় কোন পদের। এটা তোমাকে একটু দেখে রাখতে হবে। তারপর কোন সমাসের পূর্বপদে বিশেষ্য বা বিশেষণ থাকে, কি থাকে? এইগুলো সংজ্ঞা থেকে কিন্তু মনে রাখতে হবে। এইরকম জটিল প্রশ্ন কিন্তু তোমাকে করা হতে পারে যাতে তুমি ঘাবড়ে না যাও। তাই বললাম সবকটা সমাসের সংজ্ঞা ভালো করে মুখস্থ বা আত্মস্থ রাখবে। এরপর ব্যাসবাক্য কাকে বলে, ব্যাসবাক্যের অপর নাম কি? সমাস কথার অর্থ কি? তারপর ধরো দ্বন্দ্ব সমাস, বহুব্রীহি সমাস, দ্বিগু সমাস এই সমাসের নামগুলোর অর্থ কি? যেমন দ্বন্দ্ব মানে মিলন, দ্বিগু মানে দুটো গরুর বিনিময়ে কৃত বা কেনা। বহুব্রীহি কথার অর্থ বহু ধানের মালিক। সমাস কথার অর্থ সংক্ষেপ। এইরকম প্রশ্ন কিন্তু হতে পারে।
এখানে আমার একটা টিপস আছে। অব্যয়ীভাব, কর্মধারায় আর বহুব্রীহি এই তিনটে সমাস খুব ভালো করে তোমরা কিন্তু বুঝে বুঝে রেডি রাখবে। আগের অধ্যায়ে আমি একটা জিনিস বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। এটা কিন্তু রিসেন্টলি তোমাদের বছর থেকেই বইয়ে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে। তোমরা দেখবে কারক অধ্যায়ের শেষের দিকে সম্বন্ধ পদের জায়গাতে কোন সম্বন্ধ এই ধরনের একটা চার্ট বইয়ে রয়েছে। যেমন ধরো বললো পকেটের টাকা। পকেটের নিচে দাগ। এটা কোন সম্বন্ধ? এই ধরনের কোনটা কোন সম্বন্ধ সেটা একটু হলেও তোমরা ঐ চার্টটা দেখে রাখবে। ওখান থেকে প্রশ্ন হলেও কিন্তু হতে পারে। সমাস আর কারক থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বলে দিলাম। দেখো আসতে পারে তো যেকোনো প্রশ্ন। ব্যাকরণের জন্য তো সাজেশন সত্যি হয়না। তবে যে পাঁচ 10টা করে প্রশ্ন বললাম, পড়ো। মাধ্যমিক ২০২৬ বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন
এবার বাক্য আর বাচ্য একেবারে তিন-চারটে বলে দেব। এর মধ্যে থেকে দেখো। না পরেরটুকু বলবো না, পরেরটুকু পরীক্ষার দিন বুঝতে পারবে। বাক্য থেকে বাক্য নির্মাণের শর্ত কি কি? আসক্তি, ওটা কিন্তু তোমরা মানে যোগ্যতা, আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি। অনেকে আসক্তি লেখো। ওটা কিন্তু তয় তয় রশ্মি মানে নৈকট্য। তারপর যেকোনো একটা বাক্য দিয়ে তোমাদের বলা হতে পারে উদ্দেশ্য বিধেয় চিহ্নিত করো। এটা প্র্যাকটিস করবে। তোমাদের বলা হতে পারে একটি উদ্দেশ্য সম্প্রসারক বা একটি বিধেয় সম্প্রসারকের উদাহরণ দাও। তারপর কোন একটি ভুল বাক্য দিয়ে বলা হতে পারে এখানে বাক্য নির্মাণের কোন শর্ত মানা হয়নি বা এটি কেন বাক্য নয়? ধরো আমি বললাম গরুগুলি আকাশে উড়ছে এটা কেন বাক্য নয়? আমাকে কমেন্টে লিখে জানাও এক দাগ দিয়ে। দুই দাগ দিয়ে লিখবে এটা একবার মাধ্যমিকে এসছে, খাঁটি গরুর দুধ আমি খাই। এটা কেন বাক্য নয়? এক দাগ দিয়ে লিখবে গরুগুলো আকাশে উড়ছে কেন বাক্য নয়? আর দুই দাগ দিয়ে খাঁটি গরুর দুধ আমি খাই বা আমরা খাই, এটা কেন বাক্য নয় এটা লিখবে। আর এখান থেকে ধরো তুমি, যে কটা আর কি কথা বলার ভঙ্গিগতভাবে বা অর্থগতভাবে বাক্য রয়েছে, যেমন অনুজ্ঞাবাচক বা অনুজ্ঞাসূচক বাক্য, যেমন শর্ত সাপেক্ষ বাক্য, যেমন সন্দেহসূচক বাক্য, এই বাক্যগুলোর উদাহরণ ভালো করে পড়ে রাখবে। যেমন শর্তসাপেক্ষ বাক্য সূর্য উঠলে আমি স্কুলে যাব। সন্দেহবাচক বাক্য সে হয়তো চুরি করেছে। অনুজ্ঞাসূচক বাক্য ধূমপান করবেনা। এইগুলো এইরকম কিন্তু তোমাদের দেওয়া হতে পারে এখান থেকে মোটামুটি এই অংশগুলো গুরুত্বপূর্ণ। তুমি আমাকে বলো তো শর্তসাপেক্ষ বাক্য মাত্রই সরল বাক্য নাকি যৌগিক বাক্য নাকি জটিল বাক্য নাকি মিশ্র বাক্য? আমাকে কমেন্ট করবে তিন দাগ দিয়ে। এটা খুব ইন্টারেস্টিং একটা এমসিকিউ।
লাস্ট বাচ্য। বাচ্য থেকে প্রত্যেকটা বাচ্যের সংজ্ঞা উদাহরণ পড়বে। একটা আশা করি কমন পাবে। নেক্সট প্রত্যেকটা বাচ্যের পরিবর্তনের নিয়ম মানে বিশেষ করে কর্তৃ থেকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তনের নিয়ম, কর্তৃ থেকে ভাববাচ্যে পরিবর্তনের নিয়ম। একটা করে নিয়ম মনে রাখবে। নেক্সট বাচ্য শব্দের অর্থ কি? কোন বাচ্যের পরিবর্তন হয় না? কর্ম কর্তৃবাচ্যের হয়না, এটা মনে রাখবে। আরেকটা জিনিস ধরো বলা হল ঢাক বাজে, এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ? তোমাদের কিন্তু লিখতে হবে এটি কর্ম কর্তৃবাচ্যের উদাহরণ। আরেকটা টপিক আমি এখানে কিছু নোট করে ছিলাম। হয়তো বলেছি কিনা মনে নেই। নির্দেশক কাকে বলে? এটাও কিন্তু এবারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধরো আমি এরকম দিলাম গুলি, গুলো, তা, খানা এগুলো কিসের উদাহরণ? তাহলে তোমরা লিখে দেবে এগুলো নির্দেশকের উদাহরণ। বা তোমাকে বলা হলো একটি বহুবচন নির্দেশকের উদাহরণ দাও। তুমি লিখবে বৃন্দ, মানে ছাত্রবৃন্দ, বহুবচন বোঝায়। গুলো, কলমগুলো বহুবচন বোঝায়। বা তোমাকে দিল একটি একবচন নির্দেশকের উদাহরণ দাও। তুমি লিখে দিতে পারবে টা মানে কলমটা, ছেলেটা, এইরকম।
এই অল্প অংশ বললাম। দেখো যে পুরো ব্যাকরণ থেকে বাছাই করে কিছু টপিক বললাম। এই টপিকগুলোকে বেশি করে গুরুত্ব দাও। আর ঐ যে পাঁচ ছয় নাম্বার প্রয়োগধর্মী প্রশ্ন থাকে, ওটা কিন্তু তোমাকে প্রাকটিস করে কমন পেতে হবে। মানে তুমি বলবে স্যার আমাকে পাঁচটা বলে দিন যাতে আমি কারক বিভক্তি পেয়ে যাই, পাঁচটা সমাস বলে দিন সমাস পেয়ে যাই। আমি যদি 500 টা লাইনও বলে দিই সেই কারক বিভক্তি পরীক্ষাতে কমন আসবে এটা বলা যায়না। আমি যদি 500 টা বাক্য বা বাচ্য পরিবর্তনও তোমাদের বলে দিই তার মধ্যে থেকেই কমন আসবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই। কারণ যেকোনো লাইন থেকেই প্রশ্ন হতে পারে। তাই ঐ কটি প্রশ্নের জন্য তোমাকে প্রাকটিস করতে হবে। কারক সম্পর্কে, কারক নির্ণয় সম্পর্কে বেসিক নলেজ না থাকলে কারক নির্ণয় করতে পারাটা তো চাপেরই। সমাস পড়া না থাকলে সমাস পারবে না। কিন্তু এই যে সংজ্ঞাধর্মী প্রশ্ন এটুকু আমি তোমাদের বলে দিলাম কোন কোন অংশগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো প্র্যাকটিস করো। তবে এর বাইরে থেকেও প্রশ্ন হতে পারে। সাজেশন মানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমি অন্যদের মত মিথ্যাচার করিনা। 2016 সাল থেকে ইউটিউবে আছি। পশ্চিমবঙ্গের সর্বপ্রথম ইউটিউব চ্যানেলে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মাধ্যমিকের সাজেশন পোস্ট করেছিলাম। সেই অতীত ঐতিহ্য থেকে বলছি, অন্যের মিথ্যাচারে বিশ্বাস করবে না। চাইলে আমি বলতেই পারতাম 10 টি প্রশ্নে ব্যাকরণের সব কমন। আমার আর্টিকেলতে এক মিলিয়ন ভিউস হতো। কিন্তু তোমাদের ভবিষ্যতের সর্বনাশ হতো। তাই সে পথে যাইনি। সত্যি কথা বললাম, সৎ কথা বললাম, সহজভাবে জানালাম। কেমন লাগল আজকের আর্টিকেল? আমাকে লিখে জানিও। তোমাদের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।